![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
দেরাদুনে দেখার মত অনেক কিছুই আছে চারিপাশে। যদিও আমি আগেই সব জায়গায় ঘুরেছি তবুও আজকে ক্যাম্পাসের ৪ বাংলাদেশী মিলে একটু ঘুরতে বের হলাম ছুটির দিনে। আজ গিয়েছিলাম সহস্রধারাতে। এটা একটা পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতধারা যাতে ছোট-বড় নানা আকারের শত-সহস্র ধারা এসে মিলেছে আশেপাশের পাহাড় থেকে। আজকের ব্লগ সহস্রধারা ভ্রমন নিয়ে।
যাত্রা শুরু হল অটো রিক্সায়। পাহাড় বেয়ে নিচে নামতে থাকলাম আমরা। দেরাদুনে আমি যেখানে থাকি তা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৬৫৬ মিটার উপরে। সহস্রধারা এর থেকে বেশ নিচে অবস্থিত। তাই নিচে নামতে থাকলাম আমরা রাস্তা বেয়ে।
সহস্রধারাতে পৌছাতেই ঝরনা আমাদের স্বাগত জানাল। ঝরনাধারা নিচে গিয়ে ধারায় মিশে যাচ্ছে এক অদ্ভুত ছন্দে। বেশ ভালো লাগল দৃশ্যটা।
দেরী না করে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে আমরা ধারার কাছে চলে এলাম। পানির রং এখানে সবুজাভ আর খুব ঠান্ডা।
খুজে পেলাম ধারায় এসে মিশে যাওয়া পাহাড়ি ছড়াগুলোকে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে কি সুন্দর বয়ে চলেছে তারা।
আমরা ৪জনই ধারার পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকলাম আর নানা রকম মজা করতে থাকলাম। একসময় চা দিয়ে গলা ভিজিয়ে তৈরি হলাম পাহাড়ের উপরে উঠতে। রোপ ওয়ে বা কেবল কার হল আমাদের বাহন। কেবল কারে করে উঠে এলাম ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৯৭২ মিটার উচ্চতায় যেখান থেকে চারপাশের পাহাড়, ঝরনা, ধারা, বাড়িঘর, জুম চাষ যেন একটা ক্যানভাসের মত দেখায়।
এখানে অনেক মজা করলাম। সবাই মিলে চাওমিন, ছোলা-বাটুরা খেলাম। ফটোসেশন করলাম। তারপর আবার কেবল কারে করে নিচে নেমে এলাম। টুকটাক শপিং হল। শহরের চাইতে এখানে অনেক কিছুই সস্তা। তাই শপিং জমল বেশ।
ভ্রমন শেষে আবারো অটো রিক্সায় করে ক্যাম্পাসে ফিরে এলাম। গত দুই দিন ব্যস্ততায়।ও ক্লান্তিময় হলেও সহস্রধারা ভ্রমন টনিকের মত সব কিছু থেকে রেহাই দিল। দেরাদুনের এই ব্যস্ত জীবনে মাঝে মাঝে ভ্রমন আসলেই জরুরী। না হলে বেঁচে থাকাই দায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: বাহ দারুণ হইসে তো!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ছবি আর বর্ণনায় মুগ্ধ