![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
ছুটির দিনে ঘরে থাকাই দায়। তাই সকাল সকাল ১০ জনের দল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাহাড়ের রাণী মুসৌরির উদ্দেশ্যে। মুসৌরিতে এটা আমার ৩য় ভ্রমণ। তবে এবার ঘুরতে যাবার সাথে সাথে গাইডের কাজটাও করতে হয়েছে। কারন সাথের নয় জন ছয় দেশ থেকে আসা আর দেরাদুনে প্রথমবার। যাই হোক, ভ্রমণব্লগ শুরুর আগে মুসৌরি নিয়ে দুকথা বলি। মুসৌরি দেরাদুন থেকে ৩৫ কিমি দূরে এম.এস.এল থেকে ২০৯১ মিটার উপরে অবস্থিত। ছোট্ট,ছিমছাম শহর। টুরিস্টরা শুধু শহরের রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়াতে আর শপিং করতে ভালোবাসে। হাঁটতে হাঁটতে মেঘ ধরার চেষ্টা, মজাই আলাদা। এখানকার লোকেরা মুসৌরিকে বলে পাহাড়ের রাণী। আদুরে নাম আর কি!
শুরু করছি ভ্রমণ ব্লগ। সকাল ৮.৩০ নাগাদ ক্যাম্পাস থেকে রওয়ানা হলাম আমরা। দেরাদুন ছাড়িয়ে পাহাড়ে উঠতেই আঁকাবাঁকা রাস্তার শুরু সাথে লো স্পীডেের সতর্কবাণী। কারন রাস্তাটি একটু ঝুঁকিপূর্ণ।
রাস্তা যতই উপরে উঠে, কুয়াশা ততই ঘিরে ধরে আমাদের। আমি এতে অভ্যস্ত তাই মজাই লাগছিল। তবে বাকি বন্ধুরা চালককে বারবার সাবধানী হতে বলছিল।
একসময় সর্পিল রাস্তা পেরিয়ে, রাস্তার পাহাড়ি ছড়ার ছন্দপতন উপভোগ করে আমরা পৌছে গেলাম মুসৌরি।
পৌছেই শুরু করলাম হন্টন। তবে মাঝে চাওমিন দিয়ে নাস্তা করে নিলাম। মেঘে ঢাকা শহরে হেঁটে আমরা মেঘের কোলে হারিয়ে গেলাম। মুসৌরিতে সবকিছুর দাম তুলনামূলকভাবে কম। কেন জানিনা তবে কম তাই সাথের সবাই শপিংয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেল। আমিও কিনলাম কিছু-মিছু। একটি কাউবয় হ্যাট, একটি ডাই-কাস্ট কার আর প্রিয়জনের জন্য আরো কিছু।
শহরের এমাথা-ওমাথা ঘুরে সময় এল আরো উপরে যাওয়ার। বাহন কেবল কার। নিমিষেই মুসৌরির সর্বোচ্চ স্থানে পৌছে গেলাম। প্রায় ৩০০০ মিটার উচ্চতায়। মেঘলা চারিপাশ তাই এভারেস্ট দেখা হলনা তবে দূরের বন দেখে ভালো লাগল খুব।
পিক থেকে একসময় আবার বেস মানে মুসৌরির রাস্তায় নেমে আসলাম। লান্চ করে নিলাম চিকেন বিরিয়ানি দিয়ে। লালচে বিরিয়ানির স্বাদ মন্দনা একেবারে। আরও কিছুটা সময় এদিক-ওদিক ঘুরলাম। টুরিস্টদের জন্য রিক্সা, ঘোড়া কতকিছুরই না ব্যবস্থা। রিক্সা দেখে খুব ভালো লাগল। অনেকদিন পর দেখলামতো তাই!
ভ্রমণ সমাপ্ত হল। আমাদের বহর পাহাড়ের রাণীকে বিদায়* জানিয়ে ফিরে চলল। আস্তে আস্তে নেমে এলাম ৬৫৬ মিটারে। একজন অসুস্থ হয়ে পড়ল কিছুটা তবে কোন সমস্যা হলনা তেমন। হোস্টেলে ফিরে এলাম। অপেক্ষায় পরবর্তী ছুটির দিনের।
*আমি মুসৌরিকে বিদায় জানাইনি। কারন শীতের সময় আসব বরফের চাদরে মুড়ানো পাহাড়ের রাণীর রূপ দেখতে। মুসৌরি আসব আমি, অবশ্যই আসব।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০১
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর ..++
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: একটা পয়েন্ট এন্ড শ্যুট আর একটা ট্যাব......সম্পদ বলতে এই। চেষ্টা করি ছবিতে প্রাণ আনতে। ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
েবনিটগ বলেছেন: jose
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:১৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার +++
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১০
তূর্য হাসান বলেছেন: ছবির জন্য প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পোস্ট। ভালো থাকুন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। ডিসেম্বরে ৮ দিনের বিশাল ট্যুর। আশা করছি ভালো কিছু ব্লগ উপহার দিতে পারব।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ............।
খুব ভাল লাগে ভ্রমন ব্লগ .........।।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ঘুরতে ভালবাসি আর তা শেয়ার করতে।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ, যাবার ইচ্ছে ছিল...
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২১
সাইফুল আজীম বলেছেন: চলে আসুন। ভালো হয় ডিসেম্বরে আসলে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন কাহিনী ।