![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
ভিশাখাপট্টম ভ্রমন নিয়ে ধারাবাহিক লিখেছিলাম। শেষ পর্বে বলেছিলাম একটি বোনাসের কথা যাতে থাকবে ভিশাখাপট্টমে অবস্থিত সাবমেরিন মিউসিয়ামের ছবি সহ বর্ননা। দেরীতে হলেও বোনাসটি নিয়ে হাজির হলাম আজ।
সাবমেরিন মিউসিয়ামটি আসলে প্রায় ৩০০ ফিট লম্বা একটি রাশিয়ান কে-ক্লাস সাবমেরিন যা ১৯৬৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতীয় নৌ বাহিনীতে ব্যবহারের পর মিউসিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুরুতেই নজরে এল সাবমেরিনের সামনে থাকা টর্পেডো সমেত টর্পেডো টিউবগুলো। দেখে মনে হল আঘাত হানতে তৈরি, শুধু কমান্ডের অপেক্ষায়।
ভেতরে গিয়ে প্রথমেই দেখলাম টর্পেডো রুম যা সাবমেরিনের সম্মুখভাগে অবস্থিত। টর্পেডো টিউব, ফায়ার কন্ট্রোল ইউনিট এবং মাইন.....এই নিয়ে টর্পেডো রুম। সাবমেরিনের শেষ প্রান্তেও একই রকম আরেকটি ইউনিট আছে।
টর্পেডো টিউব:
ফায়ার কন্ট্রোল ইউনিট:
মাইন:
টর্পেডো রুম ছেড়ে সামনে এগোতেই চোখে পড়ল ইমার্জেন্সী ওয়াটার কন্ট্রোল ভাল্ব যা দিয়ে খুব দ্রুত ডাইভ দেয়া বা ভেসে উঠার কাজ করা হয়ে থাকে এমনটাই বলল গাইড। তার সাথেই জরুরী পরিস্থিতে বাইরে যাওয়ার জন্য ডাইভিং স্যুটও দেখলাম।
ইমার্জেন্সী ওয়াটার কন্ট্রোল ভাল্ব:
ডাইভিং স্যুট:
এরপর দেখলাম এর ভেতরে থাকার জন্য করা কিছু ব্যবস্থা। ওয়াশ স্পেস, টয়লেট, সাবমেরিন কমান্ডারের কেবিন, অফিসারদের কেবিন, ক্রু কেবিন, কিচেন, ডাইনিং.........একের পর এক সুন্দর করে সাজানো আর একদম পরিপাটি।
ওয়াশ স্পেস:
টয়লেট:
সাবমেরিন কমান্ডারের কেবিন:
অফিসারদের কেবিন:
ক্রু কেবিন:
কিচেন:
ডাইনিং:
চলে এলাম সাবমেরিনের মাঝামাঝি অবস্থানে যেখানে কমুনিকেশন এবং সোনার ইউনিট অবস্থিত। একটি গ্রাফ বেসড মিটার দেখলাম যা ডেপথের পরিবর্তনের সাথে সাউন্ড ভেলোসিটির পরিবর্তন দেখায়। সাবমেরিনের স্টিলথনেস বুঝতে এটার প্রয়োজন হয়।
কমুনিকেশন এবং সোনার ইউনিট:
গ্রাফ বেসড মিটার:
এরপর এল হ্যাচ ল্যাডার। এটাকেই সাবমেরিনের দরজা বলা যায়। কিছুটা উপরে উঠলাম তবে বাইরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ তাই নিচে নেমে এলাম।
হ্যাচ ল্যাডার পার হতেই দেখা মিলল ইন্জিনরুম। যেখানে আছে পাওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, সাবমেরিন কন্ট্রোল সিস্টেম, ইন্জিন......এইসব। কিন্তু পেরিস্কোপটি কোথাও চোখে পড়লনা। জানতে পারলাম পেরিস্কোপের বাইরের অংশটি আছে এখানে। ওটা শুধুমাত্র বাইরে থেকেই দেখা যায়।
পাওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেম:
সাবমেরিন কন্ট্রোল সিস্টেম:
ইন্জিন:
ইন্জিনরুম শেষে হতেই সাবমেরিনের শেষের অংশে এসে পড়লাম। বাইরে যাওয়ার আগে এই অংশে থাকা টর্পেডো এবং মাইন ইউনিট দেখতে পেলাম। আর বাইরে এসে দেখলাম সাবমেরিনের শেষভাগ।
টর্পেডো এবং মাইন ইউনিট:
সাবমেরিনের শেষভাগ:
এই ছিল সাবমেরিন কুরুসুরার ভেতর-বাহির। ছবি তুলতে বাড়তি ফি দেওয়ার বিরক্তিকর ব্যাপারটা ছাড়া বাকি সব খুবই উপভোগ্য। আর সমুদ্রতটেই মিউসিয়ামটি অবস্থিত হওয়ায় পরিবেশটিও দারুন।
বোনাস পর্বের সমাপ্তি এখানেই। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
**সকল বর্ননা গাইড এবং ভেতরে থাকা লেভেলের উপর নির্ভর করে লিখেছি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
সাইফুল আজীম বলেছেন:
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
পথহারা নাবিক বলেছেন: ভালো লেগেছে!! ধন্যবাদ!!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
তূর্য হাসান বলেছেন: কোনো ফি ছাড়াই সাবমেরিন দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অতিরিক্ত একটা ধন্যবাদ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও বিনা ফিতেই দেখছি। এন্ট্রি+ক্যামেরা ফি দুইটাই আমার অরগানাইজেশন পে করেছিল
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল। সাবমেরিন সম্পর্কে জানা গেল অনেক কিছু! আপনাকে ধন্যবাদ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
আহমেদ আলিফ বলেছেন:
সবকিছুই নতুন দেখলাম ও জানলাম!
ধন্যবাদ!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
জুন বলেছেন: সাইফুল আজীম অনেক ভালো লাগলো জেনে যে আপনিও আমার মত এই ঐতিহাসিক সাবমেরিনটি দেখেছেন। আমিও এটা নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম । সময় থাকলে দেখতে পারেন
Click This Link
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০১
সাইফুল আজীম বলেছেন: আপনার পোস্টটি সুন্দর হয়েছে
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
মৃন্ময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দারুন একটা বিষয় দেখানোর জন্য,
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
কালীদাস বলেছেন: ছবিগুলোর ধারাবাহিকতাটা ভাল লাগল, এবং সুন্দর। জুনের পোস্টেও মনে হয় দেখেছিলাম এই সাবমেরিনের কয়েকটা ছবি,....আপনারগুলো দেখে চোখে প্রকটভাবে ফুটে উঠল- ইহা একখানা মান্ধাতা আমলের ডুবযান!!
পোস্ট চমৎকার
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: মান্ধাতা বলেইতো মিউসিয়ামের রূপ ধারন করেছে।
৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!
অনেক ভালো লাগা!!!
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম।
ভাল পোস্ট।
তবে মানুষ এগুলো না বানালেই ভাল হতো।
ধন্যবাদ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
মানুষ এগুলো না বানালে ভাল হতো কেন
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
অহন_৮০ বলেছেন: ভালো লেগেছে
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার সাথে আর জুন আপুর সাথে বেশ ভাল সাবমেরিন ঘুরে দেখা হল ।চমৎকার পোস্ট এ ভাললাগা
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২১
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
েবনিটগ বলেছেন: +