নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পাখির চোখে পৃথিবী দেখতে ভালোবাসি।

সাইফুল আজীম

পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।

সাইফুল আজীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন খারাপের গল্প: এ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান-২

১০ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

এটা মোটেই হওয়া উচিত ছিলনা যে এ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান-২ দেখে মন খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু আজ সেটাই হল। হবেই না বা কেন? সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষাকরাী যখন মাত্র কয়েকটা সেকেন্ডের অভাবে নিজের প্রয়সীকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায় এমনিতেই।



প্রথমেই বলি এটা কোন মুভি রিভিউ না তাই মুভির বিস্তারিত কাহিনী বা অন্যান্য তথ্য এখানে লিখছিনা। শুধুমাত্র মুভিটি দেখে যা মনে হল তাই লিখছি।



মুভিটির কয়েকটা রিভিউ সামুতে পড়ে মনে হয়েছিল মজা পাবনা। কিন্তু ত্রিমাত্রিক রূপে স্পাইডির সাথে সময়টি ভালোই কাটল আজ। তবে কখনও কখনও স্পাইডিকে এ্যানিমেটেড মনে হচ্ছিল যা আশা করিনি। হতে পারে আমার দেখার ভুল। এছাড়া পুরো মুভিতে গ্রাফিক্স বেশ উপভোগ্য ছিল। ঈল মাছগুলো নিজের দিকে তেড়ে আসা দেখেতো মাঝারী আকারে চেঁচিয়েই উঠেছিলাম তবে এর জন্য ত্রিমাত্রিকতাকে সাধুবাদ দিচ্ছি।



চরিত্রের কথায় আসি এবার। স্পাইড়ার ম্যানের সাথে প্রথমে তার ডাই-হার্ড ফ্যান এবং পরে তার জানে-দুশমন ইলেক্ট্রো এবং ওসক্রপের উত্তরাধিকারী যে কিনা স্পাইডির বন্ধু থেকে অবশেষে শত্রুই হয়ে যায়, এই তিনজনই মুভিটিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। স্পাইডির প্রেয়সীর অবদানও ছিল বেশ কিন্তু মুভির শেষে তার করুন মৃত্যু যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে, সব চরিত্রকে দূরে ঠেলে আমার মনে ঠাই করে নিয়েছে। এখনও কষ্ট হচ্ছে বেচারীর জন্য। সদ্য অক্সফোর্ডে সুযোগ পাওয়া মেয়েটির বিদায় আমি কিছুতেই মানতে পারছিনা। জানি এটা মুভি বিনা কিছুইনা তবুও মন খুব খারাপ আমার :((



মুভিটি প্রথম থেকেই দ্রুতলয়ে এগিয়ে গিয়েছিল কিন্তু মাঝে একটু ঝিমিয়ে পড়েছিল তবে পরক্ষনেই তা আবার দ্রুতটা ফিরে পায়। মুভিটিতে শেষ বলে কিছু ছিলনা। রাইনোকে ঠেকাতে স্পাইডির আগমন......রাইনোর তার দিকে এগিয়ে আসা এবং স্পাইডির তাকে আক্রমন, এভাবে মুভি শেষ হলেও যেন নতুন কিছু শুরুর ইঙ্গিত দিল। দেখা যাক পরের পর্ব এখান থেকেই শুরু হয় কিনা!



এ ধরনের মুভিতে কিছু অবাস্তবতা থাকবেই তাই সেদিকে যাচ্ছিনা। সবমিলিয়ে বলা যায় মুভিটা উপভোগ্য তবে তা অন্য মাত্রা পাবে যদি ত্রিমাত্রিক রূপে দেখা হয়।



"কথা দিন হতাশ হলেও কখনওই আশা ছাড়বেননা", হাই স্কুল গ্রাজুয়েশনে এই কথাটিই বলেছিল স্পাইডির প্রেয়সী। সত্যি বলতে কি মুভিটি দেখে বাকী সবকিছুর চাইতে এই মেয়েটির অকাল মৃত্যু আমার মনে ঠাই করে নিয়েছে। অনেক কিছু লিখতে চাইলেও বারবার এই বিষয়টাই চলে আসছে। মাত্র কয়েকটি সেকেন্ড! পরিচালক কি দিতে পারতনা স্পাইডিকে?



এ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান-৩য়ের অপেক্ষায় রইলাম। রাইনোকে পরাস্ত দেখতে চাই। জানি বাড়াবাড়ি তবুও স্পাইডির প্রেয়সীকে ফিরে পেতে চাই। মুভি দেখে মন খারাপ করতে চাইনা /:), একদমই না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


নিজের মতো করে রিভিউ লেখার আপনার এই দিকটা ভাল লাগে। +++

১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষাকরাী যখন মাত্র কয়েকটা সেকেন্ডের অভাবে নিজের প্রয়সীকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয় তখন মন খারাপ হয়ে যায় এমনিতেই।

মুভিটা এখনো দেখি নাই। পোস্টের শুরুতে আপনার স্পয়লার এলার্ট দেয়া উচিত ছিল। /:) /:)

১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:২০

সাইফুল আজীম বলেছেন: ভাই, সমস্যা নাই। দেখুন আর রোমান্টিক সিনগুলোতে ভাবুন কি হবে এত রোমান্স করে? কয়েক সেকেন্ডের নাই ভরসা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.