নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশা ও নেশা ড্রোন, জি.আই.এস এবং রিমোট সেনসিং নিয়ে কাজ করা। সেটাই করে চলছি, সেই সাথে আছি সামুর সাথে।
সালমানের জয় হো নিয়ে লিখেছিলাম যেবার তখন বলিউডের কাপ নুডুলস্ রেসিপি কথাটি উল্ল্যেখ করেছিলাম। দিন গেল, মাস গেল সালমান আবারও হাজির আরেকটি কাপ নুডুলস্ নিয়ে যার নাম কিক। মসলাদার কিন্তু আগোছালো, তিন শব্দে এই হল কিক তবে মজা যে একদমই পাইনি তা কিন্তু নয়। কিক দেখার পরের অনুভব নিয়ে তাই লিখছি কিছু আজ!
কিক ছবিতে সালমান কিছুটা মোটু লাগছিল। ক্যামেরার কারসাজি নাকি ত্রুটি বলতে পারছিনা সে যাই হোক ২০০৯ (সম্ভবত) এর তেলেগু মুভি কিকের রিমেকে সালমানকে ভালোই মানিয়েছে। তবে বুঝতে পারছিনা খান সাহেব ক্রমাগত রিমেক মুভিই কেন করছেন? নতুনত্বের খোজে তার কোন আগ্রহই নেই দেখছি!
কিক মুভির অন্যতম উপলব্ধি হল "জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ তো বরই সৌন্দর্য" । মনোবিদ চরিত্রে তাকে মানিয়েছে বেশ! তবে শান্ত-সৌম্য মনোবিদ গানগুলোতে যে নাচ দেখালেন তাতে........আমিতো ফিদা
কিক মুভিতে যে ট্যাক্সি টাইপ ট্রাই-সাইকেলটি ছিল তা আমার খুবই মনে ধরেছে। কিন্তু এই গরিবের মনে ধরাই সই
মুভিতে কি দেখলাম তা বতাং বলবনা বরাবরের মতই কিন্তু কোথাও যেন একটা অসংগতি এবং অমিল চোখে পড়ল। কি হল, কেন হল, কিভাবে হল.....বেশ কয়েকবারই এর হিসাব মিলেনি আমার। সালমান শেষ দৃশ্যে কিভাবে পুলিশ হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। পুরো মুভি জুড়েই কি সে ওয়ান্টেড টাইপ আন্ডর কভার পুলিশ ছিল নাকি রাতারাতি এসিপি বনে গিয়েছিল বুঝলামইনা।
একশ ক্রোর কামিয়ে নিয়া মুভি দেখতে গিয়ে যখন ২৫০ জনের থিয়েটারে জনা ত্রিশেকের দেখা মিলে তখন আবারও হিসাব মিলেনা। কিক দেখতে গিয়ে বারবার শুধুই হিসাবের গরমিল।
কিক মুভিতে একটি টুইস্ট ছিল আর তা হল সালমানের ডেভিল হওয়ার কারন। প্রথমে প্রেমিকার জন্য ভাবলেও পরে কারনটা পুরোই অন্য ছিল যা কিছুটা হৃদয় বিদারকও বটে। সালমান তার মুভিতে এবারও একটি ম্যাসেজ দিতে চেষ্টা করেছেন। ব্যাপারটি ভালো লেগেছে।
দেরাদুনের দিনগুলো শেষের পথে। তাই ছুটির দিনগুলোতে আনন্দ বিনা আর কিছু নয়। কিক দেখে আনন্দ পেলাম বটে তবে হিসাব মিলাতে গিয়ে বিরক্তও কম হইনি। সবমিলিয়ে কাপ নুডুলস্ কিক আহারযোগ্য এবং স্বাদু তবে সুস্বাদু নয় এই যা!
*নার্গিস ফকরি আপার আইটেম সংটি ভালো লেগেছে। আপা বলিউড দৌড়ে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সালমান খানের গাওয়া হ্যাং-ওভার গানটিতে সালমানে কন্ঠ মনোহর ছিল। সালমান, গান চলুক তবে!
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
সাইফুল আজীম বলেছেন: সেটাই। নাহলে এতদিনে এর হিন্দি ভার্সন টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখতে পেতাম।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
ডি মুন বলেছেন: দেখিনি এখনো।
আপনার পোস্ট ভালো লাগলো।
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
সাইফুল আজীম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সালমানের মুভি কেন যেন ভাল লাগে না। কারণ জানি না। হয়ত তামিল তেলেগুর রিমিক মুভি করে বলেই। নয়ত অন্য কোন কারণ।
আপনার রিভিউ ভাল লেগেছে
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সাইফুল আজীম বলেছেন: আমারর কোন ব্যাক্তি বিশেষ পছন্দ/অপছন্দ নেই খুব একটা তবে রিমেক কালচার আমার একদমই অপছন্দের।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
সমন্বয় বলেছেন: কিক ravi tejar র তেলুগু মুভির রিমেক ছিল ( নিশ্চিত )। ২০০৯ এর এই তেলেগু ফিল্মের কোন হিন্দি ভার্সন বের হয় নি। ধারণা করা হয় সালামান খান তা করেতে দেয় না। কারণ এতে তার ফিল্ম এ ভাঁটা পড়ার সম্ভবনা থকেতে পারে।
আমিও অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি। খান সাহেবের বুদ্ধি আছে বলেতে হবে।