নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃতি সবসময় ফেরত দেয় । আজ আপনি যা করবেন প্রকৃতি আগামীতে আপনাকে তাই ফেরত দিবে । -Saif

সাইফুলইসলাম সাইফ

মানুশ আমি আমার কেন পাখির মত মন ?

সাইফুলইসলাম সাইফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

//মুসলমানদের নাম উঠলেই ইসলাম অমুক ইসলাম তমুক শুনে শুনে দেখে দেখে হদ্দ হয়ে গেলাম মাইরি//--কবির সুমন

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫

যাদের পুঁজি (দীর্ঘকাল গরীব দেশগুলোকে শোষন করে আসছে, তাদের রক্ত খেয়ে যে পুঁজির সৃষ্টি), যারা বিশ্ব শেয়ার বাজারের মূল খেলোয়াড়, যারা বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের মালিক, যারা ঠিক করে দেয় ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে কী হবে না হবে, আর কদিন পরে যাদের মাল্টিন্যাশনাল কম্পানিগুলোর বোর্ড মিটিং-এ গরীব দেশগুলোর, বিশেষ করে উপমহাদেশের দেশগুলোর সংবিধান নিয়ন্ত্রণ ও অগ্রাহ্য করার পদ্ধতি সম্পূর্ণভাব তৈরি হয়ে যাবে ও অনুসৃত হবে আমাদের দেশগুলোর বেশিরভাগ সংসদীয় দল যা বিনা বাক্যব্যায়ে মেনে নেবে, যারা ঠিক করে দেয় “প্রগতি” কাকে বলে এবং আমরা তা মাথা পেতে নিয়ে থাকি, যারা ঠিক করে দেয় সভ্যতা কাকে বলে এবং আমরা তা চেটে চেটে খাই, যারা দেখা হলে “হাই” বলে ব’লে আমাদের মধ্যেও অনেকে বলে থাকেন, তাদের বেশিরভাগ বা সবাই খৃষ্টান। ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যাবে খৃষ্টানরা সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ করেছেন এবং অপরদের দেশে গিয়ে গায়ে পড়ে এক তরফা হামলা চালিয়ে সেইসব দেশ দখল করে উপনিবেশ কায়েম করেছেন এবং মূল বাসিন্দাদের খৃষ্টধর্মে দীক্ষা দিয়েছেন – বিনা ব্যতিক্রমে। ভারত যাচ্ছেন ভেবে কলম্বাস কিভাবে মধ্য আমেরিকায় গিয়ে তারপর “সবাইকে সভ্য/ খৃষ্টান বানাও” অভিযান পরম্পরার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন তার ইতিহাস জেনে নেওয়া কঠিন নয়।

আমি জানি, কেউ কেউ অমনি মুসলমানদের দিকে আঙুল তুলবেন, বিশেষ করে “শিক্ষা” যাঁদের বিশেষ ক্ষতি করতে পারেনি। তাঁরা ভেবে দেখবেন না – ধরা যাক, ভারতের মুসলমান নৃপতিরা যদি চাইতেন সবাইকে ঠেঙিয়ে মুসলমান বানিয়ে ছাড়তে পারতেন। তার বিরুদ্ধে কেউ লড়ে গেলে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হতো। সে যুদ্ধে মুসলমান নৃপতিদের দলবলই জিততেন বলে মনে হয়।

গায়ের জোরে উপনিবেশ কায়েম করে (এই “উপনিবেশ” কথাটি বড্ড জরুরি), মূল বাসিন্দাদের ওপর একধার থেকে অত্যাচার চালিয়ে ধর্মান্তরিত করার বড় বড় নজির শ্বেতাঙ্গ খৃষ্টান দেশগুলি যে ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে স্থাপন করতে পেরেছে আর কেউ তা পারে নি।

আধুনিক যুগে, মুসলমানদের দেশ সৌদি আরব তার পেট্রলের জোরে আমেরিকার বড় বড় বার্তাসংস্থা, টিভি সংস্থা কিনে ফেলে নিজেদের, ধরা যাক ইসলামি ব্যাপারস্যাপারেরই প্রচার চালাতে পারত। আরব শেখরা হ্যাল্যাল্ল্যালা-হ্যাল্যাল্ল্যালা করতে করতে আমেরিকায় গিয়ে ABC, NBC, CBS এর মতো বেজায় প্রভাবশালী বার্তাসংস্থাগুলোকে তাদের অবকাঠামো সমেত কিনে না ফেলে বড় বড় প্রাসাদ কিনে সেগুলোর জানলার ফ্রেম, বাথরুমের fittings, দরজার তালা, রান্নাঘরের নানান সরঞ্জাম ২৪ নয় ২৮ কারাট সোনা দিয়ে গড়িয়ে নিলেন। এতো টাকা তাঁদের। এবং এতো টাকা তাঁরা ঐভাবে ওড়াতে পেরেছেন। যারা আধুনিক যুগেও মধ্যযুগের মতো চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তাদের কে বাঁচাবে। পেট্রল-লপচপানি একদিন ফুরোবেই। তারপর?

প্যালেস্টাইন মুক্তি সংগঠন PLO কে ইসলামী দেশগুলো মেনে নিতে পারেনি কারণ PLO সেকুলার। ভাবতে ভালো লাগে (বুড়ো হয়ে গেছি, কিছু স্মৃতিই এখন সম্বল – চারদিক তাকিয়ে শুধু উচ্চিংড়েদের আনন্দবাজারি/ফেসবুকীয় আস্ফালন, “মাসতুতো বোন পিসতুতো ভাই/ এসো লাগাই এসো লাগাই” – গোছের পদ্য – কপিরাইট কবি রাহুল পুরোকায়স্থ – আর নপুংসক আস্ফালন দেখি/ পড়ি আর ভাবি – এবারে মানে মানে কেটে পড়াই ভালো) ভারতের রাজধানীতে এক দিন PLOর দপ্তর খোলা হয়েছিল। যদ্দূর মনে পড়ছে – সে ছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমল।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৫র এপ্রিল/মে আমি ওয়াশিংটন ডি সি তে Voice of Americaর বাংলা বিভাগে International Radio Broadcaster-এর চাকরি করেছিলাম। খুবই ছোট মাপের চাকরি। ইচ্ছে করলে সারা জীবন USA তেই থাকতে পারতাম, Golden Hand Shake নিয়ে অবসর নিতে পারতাম। সেসব না করে VOA’র চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে আমেরিকা থেকে নিকারাগুয়া গিয়েছিলাম বিপ্লবের ওপর বই লিখতে। চার অক্ষরের বোকা হলে যা হয় আর-কি। সিপিএমের অক্লান্ত ideologue, ‘ইনসাইডাররা’ আড়ালে বলেন লুনাচারস্কির সঙ্গে যিনি পিট্টু আর লিন বিয়াও-এর সঙ্গে যিনি লাট্টু খেলতেন সেই মহামতি হক সাহেব অবশ্য ২০০৯-এর ভোটের সময়ে আজকাল পত্রিকায় লিখেছিলেন যে কবীর সুমনকে CIA নিকারাগুয়ায় পাঠিয়েছিল সানদিনিস্তা বিপ্লব ধ্বংস করতে। এই বোধবুদ্ধি না হলে আর বাঙ্গালি বিপ্লবীর হবে-টা কী।

ওই চাকরিটি করতে গিয়ে রোজ house-এর সাহেবদের লেখা স্ক্রিপ্ট তর্জমা করতে হতো, আর খবর। স্ক্রিপ্টগুলোতে PLOর তকমা ছিল “সন্ত্রাসবাদী সংগঠন”। কখনও বা “আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী”।

কমিউনিস্ট দেশ মানেই সন্ত্রাসবাদী ও গণতন্ত্রবিরোধী। তাছাড়া, কমিউনিস্ট দেশ, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কিউবার কাজ কি? – নানান দেশে বিপ্লব রপ্তানি করা। আর মধ্য আমেরিকায় বা দক্ষিণ আমেরিকার কোনও দেশে যদি একবার এমনকি আংশিক সমাজতন্ত্রী হাওয়া জোরালো হয়ে ওঠে তাহলে Domino effect অনিবার্য – অর্থাৎ আশপাশের দেশগুলো সব সমাজতন্ত্রের অগণতান্ত্রিক রাস্তা ধরবে, তাসের ঘরের মতো পরপর পড়ে যাবে। অতএব, গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী USA`র মহান দায়িত্ব কী? – ঐ দেশে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করা। – এই হচ্ছে USAর মতবাদের একটা বিশেষ দিক। সামরিক হস্তক্ষেপ আমি করবই। কখন করব সেটা আমিই ঠিক করব। তা হুজুর, USA কি ইসলামী? তাঁরা কি শরিয়া মেনে চলেন?

যতদিন সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল, দুনিয়ায় নয়-নয় করেও একটা ভারসাম্য ছিল। নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা ছিল মস্কোর। ফলে USAর অনেক ঘোষিত শয়তানি শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারেনি। সোভিয়েত-ঘনিষ্ঠ অন্যান্য দেশের সম্মিলিত কন্ঠও জাতিসংঘে জোরালো ছিল। ভোটাভুটিতে পশ্চিমি সাহেবদের দেশগুলো সব সময়ে ইচ্ছে মতো কিছু করে উঠতে পারত না।

সেই সময় আর নেই। পুঁজিবাদী সাহেব খৃষ্টান দেশগুলো এখন প্রায় যা খুশি তাই করে নিতে পারে। করেছে এবং করছেও। সোভিয়েত ইউনিয়নের নামের সঙ্গে এক সময়ে Social Imperialist কথাটা চালু হয়েছিল। সাহেব খৃষ্টান দেশগুলো সোজাসাপ্টা Imperialist.

ইসলামকে হেয় করার জন্য দান্তে ‘ডিভাইন কমেডি’ লিখেছিলেন। ক্রুসেড তত্ত্ব চালু করেছিল ইউরোপিয় খৃষ্টান দেশগুলো -এই ব’লে যে অবতার যীশু যে পাত্র থেকে তাঁর জীবনের শেষ খাওয়াটি খেয়েছিলেন সেই পবিত্র পাত্রটি মুসলমানরা দখল করে রেখেছেন। অতএব ‘ক্রুসেড’ বা ধর্মযুদ্ধ ঘোষণা করো মুসলমানদের বিরুদ্ধে। “ধর্মযুদ্ধ” বললেই ইসলামের কথা মনে করাটা fashioable করে তোলা হয়েছে। Fashionable করে তুলেছে শ্বেতাঙ্গরা, তাদের মিডিয়া। এদের ‘রেলিজিয়ন’? মুসলমানদের নামের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের নাম জড়িয়ে চমৎকার সব কথা বলাটা যেখানে চালু রেয়াজ সেখানে আমার লেখায় ও বুলিতে শ্বেতাঙ্গ খৃষ্টান বা খৃষ্টান শ্বেতাঙ্গ কথাটা অনেকের পছন্দ হবে না। কিছু করার আছে কি?

ধর্মযুদ্ধ না হ’লে ‘ক্রুসেড’টা তাহলে কী ছিল? নববিবাহিত দম্পতিদের ফুলশয্যার রাত? লিউট বাজিয়ে সেরানেড করতে করতে?

১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত আমি দ্বিতীয় দফায় জার্মানিতে ছিলাম। সে-সময়ে খৃষ্টিয় এস্ট্যাবলিশমেন্টে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা হচ্ছিল – সম্ভবত Second Vatican এর ঠ্যালায়। তাছাড়া Liberation Theologyরও বড় ভূমিকা ছিল সেই সময়ে।

পশ্চিম ইউরোপিয় ইতিহাসবেত্তাদের মধ্যে কেউ কেউ তখন বলতে শুরু করেন – খৃষ্টানরা ক্রুসেড করেছিলেন মুসলমানদের নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে। অবতার যীশুর শেষ খাওয়ার পাত্র মুসলমানরা হরণ করেন নি। -কী আপদ রে বাবা! তা করবেনই বা কেন? – প্রথম ক্রুসেডের সময় থেকে বিশ শতকের আটের দশকের এই ঘোষণা-স্বীকারোক্তির মাঝের দীর্ঘ সময়ে খৃষ্টানদের মধ্যে অনেকেই হয়তো কী পরিমান ঘৃণা ও বিদ্বেষ মুসলিমদের সম্পর্কে পোষণ করেছেন…কতো মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। একাধিক খৃষ্টান নৃপতি সৈন্যসামন্ত লোকলস্কর নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন “Holy Grail” মুসলমানদের কবল থেকে উদ্ধার করতে। একটি ক্রুসেডে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কয়েক হাজার বালকবালিকাকে খৃষ্টান নৃপতি ধর্মযুদ্ধে সামিল করেছিলেন। বছরের পর বছর এই আজগুবি বিষয়টাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। আজ যারা কথায় কথায় বিশ্বের সব কলংকর জন্য ইসলামকে দোষ দিচ্ছে তারা কি ভেবে দেখবে? না, দেখবে না। দেখলে ইতিহাস অন্য রকম হতো।

দু’দুটো মহাযুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে আধুনিক পৃথিবী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাদে ইউরোপের যে ভূখণ্ড তাতে যতজনের প্রাণ গিয়েছিল তার চেয়ে বেশি প্রাণ গিয়েছিল শুধু সোভিয়েত ইউনিয়নেই – শুনেছি। এই দুটি যুদ্ধের মূলে কারা? মুসলমানরা?

বিশ্বের প্রথম এটম বোমা কারা তৈরি করেছিল ও ব্যবহার করেছিল? মুসলমানরা?

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জীবানু-যুদ্ধের অস্ত্র তৈরিও হয়, ব্যবহারও করা হয়। এই অস্ত্র কারা বানিয়েছিল? মুসলমানরা?

পৃথিবীর অস্ত্রব্যবসায় কারা কারা জড়িত? একটু চর্চা করে দেখবেন?

মার্কিন বিজ্ঞানীপ্রবর কার্ল সেগান একবার বলেছিলেন – মানুষের হাতে আজ যে পরিমান পরমাণু অস্ত্র মজুদ আছে তা দিয়ে পৃথিবীকে অন্তত আটবার পুরোপুরি ধ্বংস করা যায়। এই অস্ত্রের মূল নির্মাতা কারা? মুসলমানরা? কাদের হাতে ব্যবসাটা? সৌদি আরব বা UAE? নাকি পাকিস্তান? তাহলে তো হয়েই গিয়েছিল। যাঁরা এইসব চমৎকার গণবিধ্বংসী অস্ত্র উদ্ভাবন করেছেন ও বানিয়েছেন তাঁদের গায়ের রং কেমন? তাঁদের religion?

“Religion” কথাটা সচেতনভাবেই লিখছি। মুসলমানদের নাম উঠলেই ইসলাম অমুক ইসলাম তমুক শুনে শুনে দেখে দেখে হদ্দ হয়ে গেলাম মাইরি।

তাহলে কী দাঁড়াল?

বরযাত্রী যাচ্ছে রিক্সায়, আর বর – পায়ে হেঁটে…

জয় গুরু!

লিংক: http://www.8poure.com/2015/11/17/13500

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৮

রাফা বলেছেন: চমৎকার লেখা-কিন্তু এই প্রশ্ল করার মত যোগ্য নেতৃত্যও নেই মুসলমানদের মধ্য।আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে বিপরীত পক্ষ।যা এদের মূল কাজ-প্রতিপক্ষ তৈরি করেইতো বিরুদ্ধাচারন করা খুব সহজ। কারন প্রকৃত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দাড়াবেনা এই কাপুরুষরা জিবন থাকতে।

ধন্যবাদ,একেবারে সহজ সরল বিশ্লেষণের জন্য।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাইফুলইসলাম সাইফ বলেছেন: আপনি বলেছেন " চমৎকার লেখা-কিন্তু এই প্রশ্ল করার মত যোগ্য নেতৃত্যও নেই মুসলমানদের মধ্য।" আমরা যখন জেনেই যাচ্ছি যে, প্রশ্ন করার মত যোগ্য নেতৃত্যও নেই মুসলমানদের মধ্য তখন আমি মনে করি প্রত্যেক মুসলমানের উচিত নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রশ্ন উত্থাপন করা এবং একই সাথে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করা ।

আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.