নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের ভিতরের যোগ্যতাকে কখনো দেখাতে না পারা ব্যক্তিটাই অযোগ্য বলে গণ্য হয়। তবে আমি যোগ্য অযোগ্যর মাঝামাঝি একটা দড়ি ধরে ঝুলছি।

সজিব আহমেদ আরিয়ান

অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে কখনো ভাবি না। অতীত নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই কারণ সেটা আর ফিরে আসবে না আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না কারণ সেটা আমার জীবনে আসবে কিনা তা কেউ জানে না, তাই যা করবো আজই। সর্বদা যা করবো বর্তমান পরিস্থিতি দেখে।

সজিব আহমেদ আরিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাউকে কিছু বলবে না ; আমি আল্লাহকে সব বলে দেবো।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস হৃদয়ে হাহাকারের প্রতিধ্বনি তুলছে অবিরাম। মানুষ কতোটা সইতে পারে? চোখের কান্না পানি হয়ে ঝরে বলে দৃশ্যমান। কিন্তু হৃদয়ের কান্না? রক্তক্ষরণ? কোন্ শব্দ/বাক্য/প্রতিক্রিয়া দিয়ে মাপা যায় এর গভীরতা? সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাসটি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সিরিয়ার তিন বছরের এক যুদ্ধাহত শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বললো- ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’ শিশুটির রক্তমাখা ছবিটির দিকে তাকালেই বুঝে নেওয়া যায় সে আল্লাহর কাছে কী বলবে।

সভ্যতার দ্বান্দ্বিক যুদ্ধ চলছে। এ দ্বন্দ্ব বিশ্বাসের, এ দ্বন্দ্ব আদর্শের। একটি আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করতে হয় আর একটি আদর্শ দিয়ে। ক্ষমতা, শক্তি, জোর দিয়ে আদর্শকে মোকাবেলা করতে গেলেই দ্বন্দ্ব তীব্র হয়ে ওঠে। সেই দ্বান্দ্বিক যুদ্ধে আদর্শবানরা কখনো কখনো পরাজিত হলেও তাদের বিশ্বাসের পরাজয় ঘটে না। বিশ্বাসী তো সে-ই, যে প্রয়োজনে জীবন দিয়েও প্রমাণ করতে পারে ‘আমার বিশ্বাসের প্রতি আমি অবিচল’।

সিরিয়ান এই শিশুটি সভ্যতা, যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, আদর্শ- এগুলো হয়তো পরিষ্কার করে বুঝতে পারেনি। কিন্তু তার ‘বিশ্বাস’ কতো প্রবল! ‘আমি আল্লাহকে সব বলে দিবো!’ সে নিশ্চিত সে আল্লাহর কাছে ফিরে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়; আল্লাহর কাছে সে নালিশ করবে! যারা তাকে মেরেছে, শুধুমাত্র মুসলিম হওয়ার কারণে যারা তাকে রক্তাক্ত করেছে, যারা তার আদর্শকে আদর্শ দিয়ে প্রতিহত না করে বুলেট ছুড়ে মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে সে আল্লাহর কাছে নালিশ করবে। এছাড়া আর কীইবা করার আছে ছোট্ট এই শিশুটির

পৃথিবীর কারো কাছে সে অভিযোগ করেনি। কারো কাছে সে তাকে মারার বিচার চায়নি। সে জানে এবং সবাইকে জানিয়ে দিয়ে গেল- এই আদর্শহীন একচোখা বিবেকহীন বিশ্বের কাছে মুসলিমদের কিছু চাইতে নেই। এ এমনই এক বিশ্ব যেখানে মানবাধিকারের ডেফিনিশনই নির্মিত হয় কিছু মানুষকে ‘অমানুষ’ বিবেচনা করে। এ এমনই এক বিশ্ব যেখানে শক্তিধররা/ক্ষমতাবানরা যা বলবে তা-ই সত্য। পূর্বতিমুরের যোদ্ধারা হয় স্বাধীনতাকামী, আর আরাকানের, কাশ্মীরের যোদ্ধারা জঙ্গী কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদী। কালো-সাদা’র তফাত ঘোছাতে ম্যান্ডেলার ভূমিকা ইতিহাস হয়ে থাকবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কালো বেলালকে প্রথম মুয়াজ্জিন বানিয়েছিলেন। বর্ণবাদ নিয়ে কোনো আলোচনায় এই উদাহরণ দিতে পারবেন না। দিলেই আপনি ‘ব্যাকডেটেড’ কিংবা মৌলবাদী/প্রতিক্রিয়াশীল। এমন একটি ন্যায়ভ্রষ্ট পৃথিবীর কাছে বিশ্বাসীদের কিছু চাওয়ার নেই। তাদের সমস্ত চাওয়া আল্লাহর কাছে।

বাংলাদেশেও বিশ্বাসের এই দ্বন্দ্ব ক্রিয়াশীল। এখানেও আদর্শকে পরাজিত করার জন্য আরেকটি আদর্শের পরিবর্তে বেছে নেওয়া হয় বুলেট বোমা অস্ত্র। একজন বিশ্বাসী মানুষ প্রশ্নহীনভাবে মেনে চলতে চাইবে আসমানী বাণীকে। তার কাছে কুরআনকে বিশ্বাস করার মানে হলো কুরআন নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনা করা। কুরআনের বিধানসমূহ জানা এবং সেগুলো মেনে চলা। এখন কুরআন যদি সমাজ বদলের কথা বলে, কুরআন যদি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের কথা বলে, তাহলে তো সেই কাজটিই তাকে করতে হবে। যদি কেই মনে করে কুরআন এগুলো বলেনি, তাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। আর যদি কেউ বলে, সমাজ বদলের জন্য কুরআনের চেয়েও ভালো কোনো রেসিপি তার কাছে আছে, তাহলে সে সেই আদর্শের দিকে মানুষকে ডাকবে। মানুষ যেটি মেনে নেয়। আদর্শের জবাব আদর্শ দিয়ে। কিন্তু দু:খজনক হলো, বাংলাদেশে আদর্শের এই উদারতা নেই। প্রায়ই পত্রিকায় দেখা যায়, জিহাদী বই উদ্ধার। এর মানে কী? জিহাদী বই কি কোনো নিষিদ্ধ বই? তাহলে সবার আগে তো কুরআন নিষিদ্ধ করতে হবে। কুরআনে শতাধিক জায়গায় জিহাদের কথা বলা হয়েছে। কোনো খ্রিষ্টান কিংবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে যদি নিজ ধর্মের কোনো বইসহ পাওয়া যায়, তাকে কি গ্রেফতার করা হবে?

মিডিয়া, সরকার, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এভাবে বিশ্বাসীদের উপর আঘাত হানছে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়ার পরেও, শুধুমাত্র বিশ্বাসের কারণে, কোন সংগঠনকে বলা হচ্ছে জঙ্গী। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে চলার তৌফিক দিক। আমিন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: অক্টোবার মাসটা মনে হচ্ছে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই......শেষই হয়না.......

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের সামাজিক মূল্যবোধগুলি প্রজন্মগত (এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম) ব্যাবধানের কারনে বর্তমান সময়ে একটি গ্লোবাল সামাজিক সমস্যায় পরিনত হয়েছে।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

আরোহী আশা বলেছেন: আল্লাহ্ তাদের উপর রহম করুন। আমিন। সাথে যালিমকে ধ্বংস করে দিন। আমিন

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হৃদয়বিদারক!

অর্থ আর ক্ষমতার কাছে মানবতা অসহায়।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি এই দেশের বিষয়ে কিছু বলব না।সিরিয়ার বাচ্চাটার কথা শুনে খুব মর্মাহত হলাম।সারা পৃথিবী যখন আপনার বিরুদ্ধে চলে যায়
তখন বিচার দেয়ার মত কেবল একজনই থাকেন।আর তিনিই মহান আল্লাহ।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি মর্মাহত!
বোবাকান্নায় বাকরুদ্ধ আমি।
আল্লাহ দোষীদের বিচার করবেন নিশ্চয়ই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.