নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে কখনো ভাবি না। অতীত নিয়ে ভেবে কোন লাভ নেই কারণ সেটা আর ফিরে আসবে না আর ভবিষ্যত নিয়ে ভাবি না কারণ সেটা আমার জীবনে আসবে কিনা তা কেউ জানে না, তাই যা করবো আজই। সর্বদা যা করবো বর্তমান পরিস্থিতি দেখে।
চামেলী খাতুন। নামটা কেমন শোনা শোনা লাগছে তাই না? অবশ্য শোনারই কথা কারণ তিনি ছিলেন একটা সময় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমের একজন ক্রিকেটার।
১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর হয়েছিলো তার জন্ম। এই তো কিছুদিন পরই তার পূরণ হবে ত্রিশ বছর। কিন্তু সেই ত্রিশটা বছর সে উদযাপন করতে পারবে কিনা সেই নিয়ে আছে সংশয়। কারণ সে এখন বিচানায় শুয়ে জীবনের ২২ গজ পিচে যুদ্ধ করছে।
২০১১ সালে তিনি তার জীবনের শেষ ম্যাচ খেলেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। তারপর আর কখনো ক্রিকেট খেলা হয়নি। তার পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিলো আর মেরুদন্ডের দুই হাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে থাকা নরম ডিস্কগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এখন তার শরীরের ডান পাশ প্রায় অচল বলা যায়। তার উপরই ছিলো তার পুরো পরিবারে কোন দায়িত্ব।
তিনি শুধু ক্রিকেটারই ছিলেন না ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল ও এথলেটসও ছিলেন জাতীয় পর্যায়ে। কিন্তু চামেলীর এই অসময় পাশে নেই বিসিবি। এই নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর করবেনই না বা কেনো, যেখানে একজন ছেলে ক্রিকেটারের কিছু হলে বিসিবি তাকে নানা সুযোগ সুবিধা দেয় আর উন্নত মানের চিকিৎসা পায় সেখানে বিসিবি তার কোন খোঁজ খবর নেয় না। সেম!
আমাদের দেশে এখনো নারীদের দেওয়া হয় না তাদের প্রাপ্য অধিকার। তিনি এখন শুধু শারীরিক ভাবেই বিপদগ্রস্ত নয় মানসিক ভাবেও তিনি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কারণ ডাক্তার বলেছে তাকে বিদেশে গিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে যার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাক দরকার হবে। তিনি চামেলীর কাছে এখন এতো টাকা কোন ভাবেই যোগার করা সম্ভব না।
চামেলী যতক্ষণ পর্যন্ত পেরেছিল ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তার পরিবারকে চালিয়েছেন। আনসার ভিডিপিতে চাকরি করতেন তিনি এবং সেটাই ছিলো তার শেষ অবলম্বন। কিন্তু অসুস্থ বাড়ার কারণে সে এখন করতে পারছে না চাকরি। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত সম্ভব ছিলো ততদিন পর্যন্ত তিনি নিয়েছেন মা ও বোনের খেয়াল। আজকাল খুব কম মেয়ে দেখা যায় যে কিনা এই রকম মারাত্মক পরিস্থিতে থেকেও নিজের কথা না ভেবে পরিবারের কথা ভাবেন হয়তো এমন ছেলেও পাওয়া যাবে না। চামেলী সেই জন্য স্যালুট আর সে অবশ্যই এর দাবিদার।
এতদিন পর্যন্ত তিনি তার এলাকার কোন সংস্থা থেকেও পাননি কোন সুযোগ সুবিধা। কিন্তু কেনো? তার উত্তরে আপনি কি বলবেন? কিন্তু এখন আর চামেলীর পক্ষে সম্ভব না তাই তিনি জানালেন তার কষ্টের কথা। আমাদের দেশটা এমন দেশ যেখানে বলা হয় ছেলে মেয়ের অধিকার সমান কিন্তু বাস্তবে তার কতটা প্রতিফলিত? নাকি এসব শুধু সাহেবদের দেওয়া বাণি?
কিন্তু এখন তার একটা সুখবর হতে পারে কারণ তার চিকিৎসা হয়তো হবে। বাংলাদেশের দু'জন বর্তমান ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান তারা সাহায্য করবেন চামেলীকে। দোয়া থাকবে চালেমীর জন্য যাতে সে আবারো খেলতে পারেন দেশের জন্য ম্যাচ। চামেলীর ইচ্ছা সে আবারও বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।
প্রশ্ন এখানে অনেক হয়। কেনো চামেলী পেলো না তার অধিকার? কেনো এতোদিন চুপ ছিলো? ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু একটা জিনিস ভেবে দেখেন শরীরের একটা পাশ প্রায় অচল থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের উপার্জিত অর্থে খাইয়েছে পড়িয়েছে তার মা ও বোনকে। কারো কাছে হাত পাতে নি। তার মতো আত্মসম্মানশীল মেয়ে পাওয়া খুব কঠিন।
শাকিব ও মুস্তাফিজের উপর অনেকে অনেক কারণে রাগান্বিত কারণে বা শুধু শুধুই। অনেকের কাছে হয়তো ভালো লাগে না। কিন্তু তাদের এই অবদান সামান্য হলেও চামেলীর কাছে ভাষায় প্রকাশ করা ক্ষমতা নেই। খুব জলদি সুস্থ হয়ে যায় চামেলী এই আশাই থাকবে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: বাস্তবে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। খেলতে দেখেছি ও তার বর্তমান অবস্থার খবর পত্রিকা ও অনলাইনে দেখেছি।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে। মানবতার জয় হোক।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১
সজিব আহমেদ আরিয়ান বলেছেন: সেই কামনাই থাকবে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: বিসিবি'র কি কিছুই করার নেই। কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতেছে যেখানে সেখানে আর...।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি উনাকে চেনেন, নাকি নিউজ থেকে লিখেছেন?