![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমাদের মাঝে একটা গল্প হয়ে বেঁচে থাকতে চাই
পাশের বাসার রাহেলা আন্টি নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলছে। পরিচিত মানুষ ছাড়া তিনি কারো রিকুয়েস্ট এস্পেট করেন না। আন্টির কলেজ কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তৃষাও ফেসবুক চালায়।
,
রাতে সুয়ে সুয়ে নিউজ ফিড ঘাটঘাটি করতেছি। হঠ্যাৎ ফাইন্ড ফ্রেন্ডে 'মিস রাহেলা খাতুন' নামটা ভেসে উঠলো। বুঝলাম এই নতুন অ্যাকাউন্টটা পাশের বাসার আন্টিরি হবে।
,
অ্যাকাউন্টটা দেখে নানা রকম কুবুদ্ধি মাথায় এসে ভর করলো। কি করা যায়, আন্টির সাথে একটু মজা করতে হবে। আন্টির মেয়েকে শত বার রিকুয়েস্ট করেই তার নাম্বার বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কোনোটাই পেলাম না। এবার এর একটা বিহিত করতে হবে।
,
আন্টির অ্যাবাউটে বড় করে লেখা "অপরিচিত কারো রিকুয়েস্ট এস্পেট করি না" তাহলে কি করা যায়। আন্টি ও আমাদের বাড়ির মাঝখান দিয়ে সরু একটা রাস্তা চলে গেছে। রাস্তার মোরে আলতাব সাহেবের বাসা। আলতাব আঙ্কেলের ছেলে রুশান আমার ক্লাসমেট। পরে দিন সকালে কলেজে গিয়ে রুশানকে বললাম বন্ধু তোর মোবাইলটা একটু দিবি, একটু গান শুনবো। আমার মোবাইলটা বার বার হ্যাং করতেছে। রুশান মোবাইলটা আমার কাছে দিয়ে প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে গেলো "আই মিন ইসু করতে গেলো'
,
রুশানের মোবাইলের গ্যালারি ঘেটেঘুটে আলতাব আঙ্কেলের সাতটা সিঙ্গেল ছবি কালেক্ট করলাম। যাক ভালোই হলো। এই ছবি গুলো দিয়েই কাজ হবে। রাতে এসে একটা নিউ অ্যাকাউন্ট খুললাম "মির্জা আলতাব রহমান" আমি হয়ে গেলাম আলতাব রহমান।
,
রাত নয়টার দিকে 'রাহেলা' আন্টিকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম । পাঁচ মিনিট পড়ে নোটিফিকেশন আসলো 'মিস রাহেলা খাতুন' আপনার রিকুয়েস্ট এস্পেট করেছে। আপনি এখন তার সাথে চুটিয়ে প্রেম করতে পারেন। আবেগে একটু বাড়িয়ে বলে ফেলেছি বন্ধুরা। রিকুয়েস্ট এস্পেট হবার সাথেই সাথেই আন্টি আমাকে মেসেজ করলো।
,
=> কেমন আছো আলতাব?
=> ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?
=> আমাকে কি তুমি ভালো থাকতে দিয়েছো?
,
"মনের মনের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি বেগে ঝড় বইতে শুরু করলো আমার। বুঝলাম কিছু একটা ঘ্যাপলা আছে"।
,
=> আমি তোমাকে খারাপ রাখলাম কিভাবে?
=> সব ভুলে গেছো, মনে পড়ে কলেজ লাইফের কথা?
=> রাহেলা এসব এখন বলে লাভ কি?
=> তুমি এখনো বদলালে না, লাভ ক্ষতির হিসেব আজো চিন্তা করো?
=> এসব কথা বাদ দাও তো। ডিনার করছো?
=> না করি নাই। একটা কথা বলবো?
=> বলো কি বলতে চাও?
=> কালকে আমার সাথে একটু সরাসরি কথা বলতে পারবা?
=> রাস্তার মোরের টং দোকানে সকালে তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
=> ওকে,, কাল তাহলে কথা হচ্ছে আগামীকাল.....!!
,
আন্টির গোপন খবর এভাবে বেরিয়ে আসবে, আমি মোটেও কল্পনা করিনি । আজ থেকে ২০ বছর আগের সেই প্রেমের কথা আজো মনে রেখেছে আন্টি। আলতাব আঙ্কেলের সাথে রিলেশন ছিলো বিষয়টা জানতামই না। ফেসবুকের বদৌলতে গোপন খবরটা আমার জানা হলো। কি প্রেম মাইরি। আজ কালের ডিজিটাল প্রেম হলে তো সপ্তাহ গড়ানোর আগেই ভুলে যেতো।
,
কাল কি হবে, আলতাব আঙ্কেল কি মোরের টং দোকানে সকালে চা খেতে যাবে। যদি চা খেতেও যায় তাহলে আন্টিই বা তখন কি বলবে? আমার এসব চিন্তায় গা ঘেমে পানি টপটপ করে পড়ছ।
,
এই সানভি, সানভি স্যাত সকালে ঘামছিস কেনো। বেলা কয়টা বাজে সেদিকে খেয়াল আছে। কলেজ যাবি না, উঠ তারাতারি। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজ যা বলছি।
,
হায় আল্লাহ, তাহলে কি এত সময় স্বপ্ন দেখছিলাম। আম্মু তুমি এটা কি করলা। আঙ্কেলের টং দোকানের সিনটা দেখতে দিলে না। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে বাড়ি থেকে বের হতেই আলতাব আঙ্কেলকে মোরের টং দোকানে চা খেতে দেখলাম। কিন্তু রাহেলা আন্টির বাড়ির গেটে এত্ত বড় একটা তালা ঝুলে আছে।
,
বুঝতে বাকী নেই। আরে আন্টি তো ঈদের আগেই গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। ধুর ছাই আমি এখনো স্বপ্ন নিয়ে পড়ে আছি। মনে মনে একটাই চিন্তা করলাম 'ইহা আসলেই একটি রোমান্টিক প্রেমের গল্প'........................!!
,
লিখা:----- Sajol Al Sanvi (নিশ্চুপ কান্না)
,
২| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
Sajol Al Sanvi বলেছেন: ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
নয়তো ৫৭ ধারায় মামলার ঝুকিও ছিল ... হা হা হা
যাক স্বপ্ন গড়িয়ে বেঁচে গেছেন