নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"অতিসাধারণ একজন মানুষ। সবাইকে সঠিক পথ প্রদর্শনে এক কলম যোদ্ধা। \"

Sajol Al Sanvi

তোমাদের মাঝে একটা গল্প হয়ে বেঁচে থাকতে চাই

Sajol Al Sanvi › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেঈমানি ( পর্ব---- ২য়)

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩২

আলিফ শোন এত তারা হুরার কিছু নাই আমি তো বলতেইছি সব কিছুই হবে একটু সবুর করো। আমাকে তুমি কতটা ভালোবাসো, সত্যি করে মন থেকে বলবা।
,
তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি জানি না তবে তোমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে, তোমার পাশে বসতে ভালো লাগে, তোমার চুলের গন্ধ ভালো লাগে । তোমার চোখে চোখ রাখতে ভালো লাগে ।
,
আমার কথার মায়া জালে রুপা এত সময়ে বন্দি হয়ে গেছে। রুপা চোখ বন্দ করে চুপচাপ সব কিছু উপভোগ করছে। ফাইনালি যাবার আগে, "আলিফ তোমাকে বিশ্বাস করে আমার সব কিছু উজার করে দিচ্ছি"। শেষে আমাকে ছুরে ফেলে দিবে নাতো।
,
মৃত্যু ছাড়া তোমাকে কেউ আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না। তোমার মাথায় হাত রেখে কসম খাচ্ছি। এমন কথা আর কোনো দিন বলবানা তোমার মরার আগে যেনো বিধাতা আমার মরন দেয়। আমার যত আয়ু আছে সব টুকু তোমাকে দিয়ে বিধাতা তোমাকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখুক। আচ্ছা আলিফ তুমি আমার ছেলেটাকে মেনে নিবা তো।
আরে জান পাখি তোমার ছেলে তো আমারই ছেলে বলে আবিরের মাথায় হাত বোলালাম। আবির বিভোরে ঘুমাচ্ছে রুপা আমার বুকে মাথা রেখে টুকটাক কথা বলছে রুপা, সে রাতে আরো দুই গেম হলো। রাত প্রায় চারটা বাজে আরেকটু হলেই ফজরের আযান দিবে। তাছারা অমিত ভাইয়ের ও আসার সময় হয়ে গেছে।
,
জান পাখি আর দেরি করা ঠিক হবে না, আরেকটু হলে ধরা পরে যাবো। তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না জান তবুও তো যেতে হবে। কাল রাতে কি আসবো পাখি। অমিত আগে বাসায় আসুক বিকালে তোমাকে জানাবো। ঠিক আছে পাখি কপালে লম্বা একটা চুম্মা দিয়ে দরজা খুলে বের হলাম। আমি বের হবার টুকটাক পরেই অমিত ভাই রুপাকে ডাকছে,,,!
-- রুপা দরজা খুলো এই রুপা দরজা খুলো।
-- এত সময়ে আপনার ঘরে ফেরার সময় হলো।
-- চুপ এক দম চুপ মেজাজ বহুত খারাপ আছে।
,
রুপা আর কথা না বাড়িয়ে সুয়ে পড়লো। আমিও ওদের কথা শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি নিজেই জানি না। ঘুম ভাঙ্গলো রুপা ভাবির কথাবার্তা শুনে। ছোট আব্বু আপনার বাদর ছেলেটা এভাবে বেলা করে ঘুমালে কলেজ করবে কখন! আর বলনো বউমা এই ফাজিল টাকে আমি মানুষ করতে পারলাম না। তুমি একটু শাসন করলেই তো পারো এই "বাদর"টাকে নিয়ে আমি পড়েছি এক মহা ঝামেলায়। আপনি কিছু চিন্তা করবেন না ছোট আব্বু বাদরকে আমিি মানুষ বানিয়েই ছাড়বো। আমি চোখ মুছতে মুছতে ঘরের দরজা খুললাম।
,
এই যে নবাব সাহেব আপনার কলেজ নাই। এত বেলা পর্যন্ত ঘুমালে হবে আজ সারা দিন আপনার ভাত বন্ধ। ওই পেত্নী তুই ভাত বন্ধ করার কে আমি তোর কামাই খাই। পাশ থেকে মা বললো ঠিক বলেছো বউমা এই বাদরকে সুটকি করে রাখাই উচিত। লে হালুয়া আমার ঘরে আমিই এখন বেয়াই। মা কাল থেকে ঠিক মতো কলেজ যাবো খেতে দাও খুব ক্ষুধা লাগছে । পারবো না তোর হাত আছে বেরে খা। দাও না মা খুব ক্ষুধা লাগছে ভাত বেরে খেতে পারবো না। বউমা একটু যাও তো ভাত বেরে বাদর টাকে। আমি খেতে যাবো রুপা চুপিচুপি, এই বদমাইশ রাতে ইয়ে হলো গোসল দিছো খেতে যাচ্ছো। আরে মনেই তো নাই আমি খেতে যাচ্ছি ফরজ গোসলই তো দেয়া হয়নি। ওই তুমি গোসল দিছো। গোসল দিবো টুকটাক পরেই আমি মেয়ে মানুষ কারন ছাড়া গোসল দিতে পারি না। যাও তুমি গোসল দিয়ে আসো। আমি ভাত বাড়ছি।
,
এভাবে রুপার সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক আরো গভীর হতে শুরু করলো। অবৈধ সম্পর্কের মোহ আমাকে পাপের আরো গভীরে নিয়ে যাচ্ছিলো দিন দিন। কিন্তু একটা কথা তখন একটা বারো মাথায় কাজ করেনি দিনের পর দিন যে পাপের বোঝা আমি কাঁধে তুলছি সে বোঝা কি আমি কোনো দিন কাঁধ থেকে নামাতে পারবো । রুপার সাথে এভাবে ছয় মাস ভালো মতোই কেটে গেলো। এর মাঝে ফেসবুকে এক মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। একদিন রুপা কাছে আমি এই নতুন প্রেমের সম্পর্কটা ধরা পরে যাই। এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের মাঝে ব্যাপক ঝরগা হয়। রুপাকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেই তোর সাথে আমার সম্পর্ক রাখা পসিবল না। প্লিজ আমাকে ভুলে যা। আলিফ আমি কি তোমার কাছে আজ খুব বড় বোঝা হয়ে গেছি। হ্যা তুই বোঝা হয়ে গেছিস। আচ্ছা ঠিক আছে ভালো থেকে । কলেজ থেকে ফিরে এই খারাপ মেয়ের মুখ আর দেখতে হবে না এই বলে রুপা আমার ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলো। আমি জামা প্যান্ট পড়ে সাইকেলটা নিয়ে কলেজে আসলাম। মনটা ভালো ঠেকছে না পড়ালেখা কোনো কিছুতেই মন বসছে না। ভূগোল ক্লাস করছি হঠাৎ আম্মুর কল বাহিরে বের হয়ে কল রিসিভ করলাম।
,
--- আলিফ একটু তারাতারি বাড়িতে আয় রুপা বিষ খাইছে।
--- আমি চমকে উঠলাম, আল্লাহ এবার মনে হয় আমি জেলে।
,
সাইকেলটা নিয়ে একটানে বাড়িতে আসলাম বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম। রুপার মুখে মোটা সাইজের একটা পাইপ ঢুকিয়ে দিয়ে ওয়াস করছে ডক্টর। ভীর ঠেলে কাছে গেলাম চোখ ফুটে যেনো যেকোনো সময় প্রান পাখিটা বেরিয়ে যাবে, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রুপা। নিজেকে তখন পশুর থেকেও নিকৃষ্ট মনে হচ্ছিলো। প্রায় ত্রিশ মিনিট পড়ে বিপদ মুক্ত হলো গোসল করিয়ে রুপাকে ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। ছোট্ট ভাতিজাটা আমার হাত ধরে বলছে চাচ্চু আব্বু চাচ্চু আব্বু আম্মুর কি হয়েছে। তখন আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। এই ছোট্ট মাছুম বাচ্ছাকে কিভাবে বুঝাবো আব্বুরে আরেকটু হলেই তুর মা মরে যেতো। যার পুরোটাই দায়ি থাকতাম আমি। ডক্টর অনেক গুলো ঔষধ দিয়ে গেলো।
পরে বিষ খাওয়ার কারন জানতে চাইলে রুপা সবাইকে বললো, আমি দাঁত মাজোন মনে করে বিষ দিয়ে দাঁত মেজেছি। তারপর যখন বমি বমি লাগছিলো তখন বুঝতে পারলাম এটা দাঁত মাজোন না অন্য কিছু।
,
রুপার কাছে কিছুতেই যেতে পারিছি এই ঘটনার পর থেকে। কারন অমিত ভাই সন্ধ্যা রাতেই বাড়িতে আসে। একদিন বিকালে জানতে পারলাম আজ পাশের গ্রামে জুয়া খেলা হবে সুবর্ণ সুযোগ রুপাকে কাছে পাওয়ার। সন্ধ্যা রাতেই অমিত ভাইকে টাকার মোটা পেটি নিয়ে বের হতে দেখলাম তার মানে আজ সারা রাত বাড়ি আসবে না। দশটার দিকে এক পা দুই পা করে রুপার ঘরের দরজার সামনে আসলাম। একি দরজা খোলা রুপা বিছানায় বসে আছে......!
,
--- ময়না পাখি কেমন আছো।
--- আলিফ আজকের পর থেকে তুমি আমার রুমে আসবা না।
--- কথা না বাড়িয়ে রুপার পা ধরে কান্না শুরু করলাম। জানি এই পদ্ধতিটা খুব কার্যকারী।
--- আলিফ কি করছো পা ছারো বলছি ।
--- তুমি ক্ষমা না করা পর্যন্ত পা ছারবো না।
--- তোমাকে ক্ষমা করছি এবার পা ছারো।
,
লাফ দিয়ে উঠে রুপাকে জরিয়ে ধরলাম ময়নারে তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি। তাহলে ফেসবুকের ওই মেয়েটা.....!!
,
ফেসবুকের ওই মেয়েকে তখনই ব্লক দিলাম যোগাযোগের সব রাস্তা থেকে। সেদিন রুপাকে অনেক আদর করলাম। এভাবে আরো ছয়টা মাস কেটে গেলো। দেখতে দেখতে সম্পর্কটা প্রায় তিন বছরে গড়িয়ে গেলো। রুপার সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন আর ভালো লাগে না যেভাবেই হোক এই আপদটাকে ঘার থেকে নামাতে হবে । কিন্তু এমন ভাবে সম্পর্কটা ভাঙ্গতে হবে যেতো রুপা সুইসাইড না করে। ইন্টার রেজাল্ট দিলো টেনে টুনে পাশ করলাম। এটাই মুখ্যম ব্যবস্থা রুপার থেকে আগে দূরে সরে যেতে হবে তার পর যোগাযোগ কমিয়ে দিলেই কেল্লাফতে।
,
বাবা মাকে বললাম ঢাকাতে ভর্তি হবো। তারা কোনো অমত করলেন না কিন্তু রুপা মাকে বললো ছোটমা আলিফকে বাহিরে ভর্তি করা কি ঠিক হবে। রুপা চাচ্ছিলো আমাকে গ্রামেই রাখতে কিন্তু আমি তো অন্য চিন্তা করে রেখেছি রুপা তো সেটা জানে না।
,
ঢাকাতে ভর্তি হলাম সাথে ছোট্ট একটা জব করছি । ফোন মাঝে মাঝে বন্ধ রাখি। এবাবে প্রায় দুই মাস কেটে যায়। একদিন রুপার সাথে কথা বলার সময় ইচ্ছে করেই ঝরগা বাদিয়ে দেই। সেদিনের পর থেকে টানা দুই মাস আমার সব নাম্বার বন্ধ। একদিন রাত দশটার দিকে কি মনে করে পুরোনো সিমটা চালু করলাম............ ................!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.