নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথের প্যাঁচালী

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫



বন্ধু শোন,এসো তোমায়
একটি মেয়ের সত্যিকারের
গল্প শোনায়।

ছোটবেলা থেকে মেয়েটি এমন
একজন স্বপ্নবাজ ;
সকল কাজের কাজি থাকে যেমন।

সাহিত্যে র ভাষায় একটা কথা
জুতা সেলাই থেকে চন্ডি পাঠ, গাথা
যে সব কাজ জানে;
সব কথা শোনে এবং মানে।

মেয়েটি সেই রকম একজন মানুষ!
কল্পনাতে ওড়ায় যারা ফানুস!
সতি সত্যি টাকু দিয়ে জুতা সেলাই
এবং নিজ প্রচেষ্টায়
কোরআন তেলোওয়াতও শিখেছে
তা শুদ্ধ ভাবে;
কিছু সুরা হিফয,দুনিয়া ও আখেরাতে
যা রক্ষাকবয আযাবে।

সব কাজ বিপুল উদ্যোম নিয়ে যদিও শুরু করে
তবে অলস প্রকৃতির কারনে না এগুতে পারে।

আর হ্যা ছোটবেলায় ঠান্ডা প্রকৃতির হলেও
জিদ্দি আর ডানপিটে ছিল বটে।
যেমন গাছে চড়া,টিনের চালে ওঠা,
ছাদের কার্নিশে নামা,
নদীও পার হয়েছে সাঁতার কেটে।
মৃৎশিল্প, তারপর ছবি অংকন করা
ছোট ভাইয়ের সাথে গামছা দিয়ে মাছ ধরা।
একাকী বর্শি ছিপ দিয়েও অনেক মাছ ধরেছে
সেই পথের প্যাচালীর অপু আর দূর্গার গল্পের মতো;
সত্যি সত্যিই কিন্তু তারা সেটা করেছে;
তার ছোট ভাইয়ের সাথে।
দুই ভাইবোনের ছোটবেলাটা
তেমনি কেটেছে সাথেমাথে।

ঐ যে বললাম না সকল কাজের কাজি!
কিন্তু তাই বলে নয় দুষ্টু ও পাজি।
কাপড় সেলাই ট্রেইলারিং, সুচিশিল্পের কাজ,
ব্লক, বাটিকও শিখেছিল নিজের চেষ্টা ।
হারমোনিয়াম নিয়ে কিছু দিন
গাওয়ারও ছিল প্রচেষ্টা।
পরে হারাম জেনে ক্ষান্ত দেয়া আর কি।
সত্যিকারের গল্পই বলছি; হাঁ-জি!

আর পড়াশোনা?
ক্লাস টেনে বিবাহ পর্বের পালা শেষ
আঠারোতে মা!
ফের ছয় বছর পর আবার শুরু।
এসএসসি থেকে বিএ।
এমএ টাও কমপ্লিট হয়ে যেতো
প্রিলিমিনারীতে
যদি না অসুস্থ হতো।
পরে দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠাতে;
চাকুরী তো আর করবো না ;
এটা মনে হওয়াতে।

চিকিৎসা বিষয়েও আগ্রহ ছিল তার
মা বলতেন পড়ালে তুই হতিস ভালো ডাক্তার।

ইয়োগা, হিজামা,সাইকেলিং, আকুপ্রেশার, হোমিও,আয়ুর্বেদী,তিব্বা নবী,
আরো চিকিৎসা আছে যেমন রুকাইয়া,
সাউন্ড ও ম্যাসাজ থেরাপী।
এগুলো সব বিকল্প চিকিৎসা,
এ্যলোপ্যাথী ছাড়া সবই।

বর্তমানে নিজ ও পারিবারিক বদ্যি
হিসাবে নিয়োজিত।
বাকিটা জীবন রবের কাছে তথাকথিত
চিকিৎসা হতে চায় পানাহ ও হেফাজত।

ক্লাস সেভেনে প্রথম লেখার চেষ্টা
বান্ধবীর বিচ্ছেদে।
শখ ছিল কবি,লেখক,আবৃতিকার হবে।
১লা ফেব্রুয়ারিতে টিএসসির কবিতা উৎসবে
স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ।
কবি শামসুর রহমান, শামসুল হক,
লুৎফর রহমান, ইমদাদুল হক মিলন
কবি, সাহিত্যিকগনের কাল ছিল তখন।

ঊনিশ শতকের বিরানব্বই, তিরানব্বই সাল
নায়িকা, মডেলের শখও হয়েছিল ;
সেটা বিপাশা মৌসুমী,তানিয়াদের কাল।
সংস্কৃতির ভূত!
না! না! জিন মাথায় ঢুকেছিল।
দ্বীন না বুঝলে যেটা হয় সচরাচর
মাথা পাগল;
শিল্প, সাহিত্যের নামে যেটা করে ভর।

একুশের বইমেলায় বই ছাপা হবে,
আবৃতিকার হিসেবে সবাই চিনবে।
পদক,মেডেল,পুরস্কার!
স্বপ্ন! আরো কত কি পাবে।
সুনাম,প্রশংসা, নাম- ডাক হবে।
আসলে স্বপ্ন নয়!
সকলের যেমনটা হয়!
সেগুলো হতো দুঃস্বপ্ন জন্য তার
সফল হলে জীবনে
আর আযাবের কারন হতো মরনে।

ভুলের পিছু ছোটাছুটি তার।
খ্যতির মোহ নাম যার।
সে-ই সে পথ!
নানা মুনির নানা মত!

তারপর একদিন।

সব পাখি ঘরে ফিরে?

না সবাই ফিরেনা;
আল্লাহ চান দিতে যাকে,
আর হেদায়েত দেন
যার ভালাই চান তাকে।

হয়তো কোন ধুলিকনা
পরিমান কিছু ভালো লেগেছে তাঁর
কার?
তার রবের।
পথহারা পথিক কে
উঠিয়ে ধুলো থেকে
তুলে দিলেন তাঁর পথের
কিনারায়।
যদি না দিতেন কি সর্বনাশ!
হতো তবে হায়!
সূরা ফাতিহায়!
সকল মুমিন চায়
তার রবের কাছে প্রার্থনায়।
"ইহ্দিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম!
আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন।"

সে-ই সে সিরাতাল মুস্তাকিম সরল পথ!
যে পথ তার রবের নির্দেশিত।

মেয়েটির শুধু এতটুকু ছিল প্রয়াস ;
শুনলাম এবং মানলাম।
গড়িমসি নয়;
সাধারনতঃ যেমনটা হয়।
ব্যস শ্রেফ এতটুকই;
রবের খাজানা অসীম!
ভান্ডারে তাঁর কমতি নেই
কোনকিছুরই।

আর---!
দুনিয়াতে তারপর
তাঁর অসীম খাজানার
ভান্ডার থেকে এতো দিলেন,
এ--তো---- দিলেন!
আলহামদুলিল্লাহির রব্বিল আ'লামীন ।

মানুষ কার কাছে চায় কাকে ফেলে।
হায়রে বোকা!
আর তাইতে তো খায় ধোকা;
আজরাইল আঃ এলে
বোঝে! যখন চোখ খোলে;
তখন আর ফেরার উপায় থাকেনা।

তারপর অনেক পথ!
সেই থেকে সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে
হেঁটে চলেছে।
সামানা তেমন কিছু নেই
সঙ্গী সাথী ও।

শুধু সান্তনা রবকে চিনেছে
পরিবার,পরিজন,সন্তান
সবার থেকে এমন কি
মা-বাবার চেয়েও
তিনি আপন!
সেটা জেনেছে;
আর তার কাছেই চাইতে শিখেছে।

জীবনে রিজিকের চারটি স্তর।
দুনিয়ার ঘর
মানুষজনের চোখে
রিযিক বলতে আমারা সাধারণত,
বুঝি টাকা-পয়সা,অর্থ-সম্পদকে।

# রিযিকের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।

# রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।

# রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং পূণ্যবান স্ত্রী।

# রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।

এখন তার জীবনে চাওয়া!
যেন সে পায়!
আসমানের দিকে হাত তুলে
চেয়ে আছে সাহায্যের আশায়।

আর যাইবে যেদিন
দুনিয়া ছেড়ে সেদিন--
সে যাইবার কালে তার রবের সান্নিধ্যে
বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ লইয়া যেন পারে যাইতে
সর্বদা রত সেই প্রার্থনায়----
তা সকল মুসলিমের চাওয়া উচিত
এবং অবশ্যই যেন চায়!
اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।

رَبِّ هَبۡ لِىۡ مِنَ الصّٰلِحِيۡ

‘হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন

সূরা আস-সাফফাত - ৩৭:১০০

رَبِّ هَبۡ لِىۡ مِنۡ لَّدُنۡكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً‌ ۚاِنَّكَ سَمِيۡعُ الدُّعَآءِ‏

হে আমার রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

সূরা আলে ইমরান - ৩:৩৮

رَبَّنَا هَبۡ لَـنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّيّٰتِنَا قُرَّةَ اَعۡيُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِيۡنَ اِمَامًا‏
হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন

সূরা আল-ফুরকান - ২৫:৭৪

رَبِّ هَبْ لِىْ حُكْمًا وَّاَلْحِقْنِىْ بِالصّٰلِحِيْنَۙ
'হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞান দান কর এবং
সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর।'
সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৩

وَاجْعَلْ لِّىْ لِسَانَ صِدْقٍ فِى الْاٰخِرِيْنَۙ
'আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে যশস্বী কর,
সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৪

وَاجْعَلْنِىْ مِنْ وَّرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيْمِۙ
এবং আমাকে সুখময় জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর,
সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৫

وَلَا تُخْزِنِىْ يَوْمَ يُبْعَثُوْنَۙ
এবং আমাকে লাঞ্ছিত করিও না পুনরুত্থান দিবসে

সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৭

يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَّلَا بَنُوْنَۙ
যেদিন ধন - সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোন কাজে
আসবে না;
সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৮

اِلَّا مَنْ اَتَى اللّٰهَ بِقَلْبٍ سَلِيْمٍؕ
'সেদিন উপকৃত হইবে কেবল সে,যে আল্লাহর নিকট
আসিবে বিশুদ্ধ অন্তকরণ লইয়া।'
সূরা নম্বর: ২৬ আয়াত নম্বর: ৮৯

কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ (স:)এর সুপারিশ লাভ

দশবার বলবে সকাল ও সন্ধ্যায়।

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।

আমীন।

-----RabAh ✍️
--- সাল--২০২৪ ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.