![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিরম্তন সত্য!
সবার ওপর মানুষ সত্য!
আসলে কি তাই? কথাটা সত্যি
নাকি কথা মিথ্যে?
ফেলানী খাতুন পনের
স্বর্না দাস তের,
হিন্দু একজন, অপরজন মুসলমান;
আজ শুনি আবারো;
জয়ন্ত যার নাম।
আজ তোমরা আমাদের পৃথিবীতে নেই
এর আগে যারা গেছে পৌঁছে
সেই পৃথিবীতে চলে গেছো তাদের কাছে।
সবাইকে জানি হবে যেতে;
তবে কেউ -ই চায়না পৌঁছাক অপমৃত্যুতে।
অবাক বিস্ময়ে ফেলানী শেষ নিঃশ্বাস ফেলে
চেয়েছিল সেদিন তার জন্মভুমি পানে
আটকে কাঁটাতারের জালে
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পাবে মাটি
তবু কাঁটাতার থেকে না মুক্তি মেলে।
শুধু গানে আর কবিতায়
ফুটে ওঠে দেশপ্রেম কাব্যবন্দনায়;
"খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি
আমার দেশের মাটি।"
দরদ ভরা কন্ঠে গেয়ে ওঠে সকলে
এগুলো শুধুই কাগজে কলমে চলে।
মাটি আর মানুষের সমন্বয়ে
তবেই তো একটি দেশ?
যদি মানুষ এভাবে মরে
হয় শেষ;
শুন্য মাটি দিয়ে কি হবে?
কারা রবে?
বিশ্বাস ঘাতকতা ষড়যন্ত্র
হিন্দু মুসলিম যোজন দুরত্ব করে;
পরাধীনতার শিকল পরে;
সেই সিরাজুদ্দৌলার পলাশীর প্রান্তরে।
যুগযুগ একই হাটে একই মাঠে
একই বিদ্যাপিঠে;
হেসেখেলে বড় হয়ে ওঠে;
বাংলায়! হয়ে ভাই যেন সহোদরে
কে তাকে বিভেদ করে?
তারকাঁটার বেড়াজাল আজ
স্মরন করিয়ে দ্যায় কার কি কাজ।
মুসলিম-হিন্দু পরিচয়,
আসলে কারো কাছে মুখ্যনয়।
মোরা বাংলাদেশী!
তারা ভারতবাসী;
পরদেশী!
পরবাসী!
এটাই দেয়াল তোলে!
সেইকথা ভুলে,
ধর্মের বুলি আউড়ে;
যাও দেখি কাঁটাতারের পারে
"হিন্দু আমি" বলো স্বর্ণা দাসের মতোই
সর্ব শক্তি দিয়ে চিৎকার করো যতোই;
অথবা যাও! জয়ন্ত দাদা হয়ে;
সাদর সম্ভাষন জানাবে তোমাকে
বুকে;
রাইফেেলের বুলেট উপহার দিয়ে।
আর তুমি হিন্দু মুসলিম যেই হও
রক্তমাখা শরীরে লুটিয়ে পড়বে
বাংলাদেশীই হয়ে;
আর খবরে এপরিচয়ই প্রকাশিত হবে।
স্বাধীনতার দাবী নিয়ে
অর্ধশতাব্দীর বেশী পেরিয়ে
এর কোন বিহিত হয় না।
দেশ-কাল-পাত্রের উর্ধ্বে উঠে
মানুষ, মানুষের জন্য ;
মানুষ সেটা কেন হায়!
চেতনায় নেয়না।
সকলেই ক্ষমতা ও মাটিই চায়
হায়!
একদা সবাইকে সেই
মাটিতেই ;
মিশে হবে যেতে ;
না চাইলেও যেতে হয়!
ক্ষমতাও চিরকাল নয়।
তবুও মানুষ
মানুষ চায় না।
সাম্য, মুক্তি, মানবতার কথা যত
বুলেট বিদ্ধ শরীরে রক্তের কালিতে
অদৃশ্য অক্ষরে মিথ্যে লেখা থাকে
সবার উপর মানুষ সত্য!
-----RabAh✍️
---১১--৯--২০২৪ইং
©somewhere in net ltd.