![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চব্বিশের সেই দিনগুলি
সিরিজ--(২)
একটি অনুচ্ছেদ
প্রসঙ্গঃ রাজাকার
সকলের কাছ প্রশ্নঃ
ছোটবেলা থেকে
শুনে আসছি একটি শব্দ।
রাজাকার।
কখনো তুই রাজাকার।
কখনো ও রাজাকার, অথবা
সে রাজাকার।
রাজাকার কারা? এর সংঙ্গা
এর উৎপত্তি স্হান;
তাদের সমাজে অবস্হান;
স্পষ্ট ভাবে অনেকেরই
জানা নেই।
আগে না জানলেও চলতো।
কারন সকলেই সুবিধাভোগী নয়তো।
কিন্তু বর্তমানে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার ভাবে
সকলেরই জানতে হবে।
কারন আজ একটি জাতি যখন
করে নাম পরিবর্তন
রাজাকার নাম করেছে ধারণ।
মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার।
অর্ধ শতাব্দীর বেশী ধরে বহুল প্রচলিত
সেই শব্দ যা রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় শব্দ
হিসাবে ব্যবহৃত।
আসুন উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নেই।
মুক্তিযুদ্ধ = পশ্চিম পাকিস্তানের শাষকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, শোষন, নিপীড়ন,নির্যাতন ও বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে নয় মাসব্যপী যে যুদ্ধ হয়েছিল তাকে মুক্তি যুদ্ধ বলে।
মুক্তি+ যুদ্ধ = শত্রু মুক্ত করার জন্য যে যুদ্ধ= মুক্তিযুদ্ধ।
শত্রু =একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠী যা জোরপূর্বক বা হুমকি হিসাবে বিবেচিত হয়। এমন ব্যক্তি যিনি অন্যের প্রতি শত্রুতা, ঘৃণা বিদ্বেষ অনুভব করেন।
মুক্তিযোদ্ধা = একজন মুক্তিযোদ্ধা হলেন
এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার দেশের শাসক গোষ্ঠীর বৈষম্য মুলক আচরণ,শোষন, নিপীড়ন, নির্যাতন ও
বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
রাজাকার = বুৎপত্তি গত ভাবে এটি একটি আরবী শব্দ এর অর্থ সেচ্ছাসেবী।
রাজাকার বাংলাদেশে একটি অপমান জনক শব্দ যার অর্থ বিশ্বাসঘাতক,, প্রতারক।
রাজাকাররা ছিল পূর্ব পাকিস্তানী আধা সামরিক বাহিনী যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিম পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করতো।
পুলিশ কওমী রাজাকার হলো পাকিস্হানের একটি সেচ্ছাসেবক বাহিনী যা পুলিশকে তাদের কাজের সময় সাহায্য করতো। তারা বেতন ভুক্ত ছিল।
সাধারন জনগন কেউ নয়।
এদেশ কাদের?মুক্তিযোদ্ধাদের ?
তাদের ছেলেদের? মেয়েদের?
নাতিদের- পুতিদের?
ক্রমান্বয়ে বংশপরম্পরায়
বংশধরগনদের?
কেয়ামত পর্যন্ত?
মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতির সার্টিফিকেট
নিয়ে যাবে মৃত্যুর পর ---
কবর?
তারপর তার
পরকালে? নেই অন্ত যার!
মিজানের পাল্লায় আমলনামার সাথে
পাল্লায় ওজন হবে দিতে?
অবশ্যই তা ভালো ও মন্দের
তখন ফয়সালা হবে
মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার দ্বন্দের!
মুক্তিযোদ্ধারা আলাদা কোন
গ্রহ থেকে আসা প্রাণী বা নয় দানব!
তারা ছিলেন আমাদেরই দেশের
আপামর জনগন।
এবং তারা মানব!
মানবীয় গুণাবলী নিয়ে
ফেরেশতা নয় ;
মানুষ তারা খুবই সাধারণ!
ছিল কৃষক, শ্রমিক, মুটে জেলে
পুলিশ,কেরানী,ছাত্র,সেনা,
ছিল আরো কে--না।
কিছু সন্তান ছিল এলিট শ্রেণীর!
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর;
কিছু পালিয়ে আসা সদস্য!
এ কথাতে আসি,
তারা পূর্ব পাকিস্তানেরই অধিবাসী!
আরো বিভিন্ন পেশা ও ধর্মের মানুষজন;
মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান
প্রত্যেকেরই আছে এতে অবদান।
এখন কথা হচ্ছে, যাদের পূর্ব পুরুষ
যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি যারা
কিংবা যারা যুদ্ধে
পালাতে গিয়ে গেছে মারা
পরিচয় কি বহন করবে তারা?
একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় বহনকারী
সার্টিফিকেট দরকার;
লাগবে আামাদের সবার
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।
নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
লালন-পালন, বছর গননা ;
এতো এতো সমালোচনা,
সেমিনার,সিম্পোজিয়াম আলোচনা
যতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ;
বোঝা যাচ্ছে বৃথা যায়নি তা।
যদিও তা ভাবা হয়েছিলো আগাছা!
সেই আগাছার শিকড় মাটির
অনেক গভীরে পৌঁছেছে।
হকের প্রশ্নে এলে---
হবে গাজী সে বেঁচে থাকলে!
আর শহীদ হবে মরলে!
তবে শর্ত;
মৃত্যু ঈমাণের সাথে হলে।
----- RabAh✍️
---২৭শে--জুলাই--২০২৪ ইং
©somewhere in net ltd.