নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

লা* নত অর্থাৎ অ*ভি* শাপ

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৩৪

# লা* নত অর্থাৎ
অ*ভি* শাপ

আল্লাহ তা‘আলা যে পুরুষালী স্বভাবে
সৃষ্টি করেছেন তাকে তা বজায় রাখা;
এবং নারীকে যে নারীত্ব দিয়ে
সৃষ্টি করেছেন তাকে ধরে রাখা তা;
সেটাই হচ্ছে আল্লাহর বিধান।

এটা এমনি এক ব্যবস্থা,
যা না হলে মানব জীবন
ঠিকঠাক চলবে না।

পুরুষের নারীর বেশ বরণ
এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ;
স্বভাববিরুদ্ধ কাজ;
সমাজে এই ধরনের কালচার
গড়ে উঠছে আজ।

এর ফলে অশা* ন্তির দুয়ার
যেমন খুলে যায়
তারা তেমনি মেতে ওঠে
উচ্ছৃং*খলতা ও বেলে* ল্লাপনায়।

শরী*‘আতে এ জাতীয় কাজকে
হা* রাম বলে গণ্য করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তিকে যে আমল করার দরুন
শর‘ঈ দলীলে লা *নত অর্থাৎ অভি* শাপ
দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এমন।

সেই দলীলেই করে প্রমাণ
উক্ত কাজ হা* রাম ও কবী*রা গু* নাহ;
মুস* লিমরা সবাই জানে একথা
বলোতো কে বলবে জানে নাহ্।

ধ্বং* স ও আ* যা*ব থেকে বাঁচতে
আর তাই তোমাকে স্মরণ
করিয়ে দিচ্ছে নিম্নের হাদীসে--

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত,

«لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ»

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশ ধা* রণকারীদের এবং নারীদের মধ্যে পুরুষের বেশ ধা* রণকারিণীদের অ* ভি* শাপ দিয়েছেন”।[1]

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে আরও বর্ণিত আছে,

لَعَنَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ، وَالمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِْ»

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীবেশী পুরুষদেরকে এবং পুরুষবেশী নারীদেরকে অ*ভি* শাপ দিয়েছেন”।[2]

এ অনুকরণ উঠাবসা, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন, দৈহিকভাবে মেয়েলী বেশ ধারণ করা, কথাবার্তা ও চলাফেরায় মেয়েলীপনা অবলম্বন করা কিংবা পুরুষের বেশ ধারণ করা ইত্যাদি।

পোশাক ও অলংকার পরিধানেও অনুকরণ রয়েছে। সুতরাং পুরুষের জন্য গলার হার, হাতের চুড়ি, পায়ের মল, কানের দুল পরা চলবে না। অনুরূপভাবে মহিলারাও পুরুষদের জামা, পাজামা, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবী পরতে পারবে না। নারীদের পোশাকের ডিজাইন পুরুষদের থেকে ভিন্নতর হবে। হাদীসে এসেছে,

«لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجُلَ يَلْبَسُ لِبْسَةَ الْمَرْأَةِ، وَالْمَرْأَةَ تَلْبَسُ لِبْسَةَ الرَّجُلِ»

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা* ‘নত করেছেন সেই পুরুষের ওপর যে মেয়েলী পোশাক পরিধান করে এবং সেই নারীর ওপর, যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে”।[3]সুতরাং উভয়ের কারো জন্যই স্ব স্ব বেশভূষা বদল করা জায়েয হবে না।

>

[1] সহীহ বুখারী; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪২৯।

[2] সহীহ বুখারী; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪২৮।

[3] সুনান আবু দাউদ; মিশকাত, হাদীস নং ৪৪৬৯।

------RabAh ✍️
---৯--৯--২০২৪ ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.