![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহেঞ্জোদারো! নাম শুনেছো,
সোনারগাঁও, পানামাও ঘুরে এসেছো।
বুড়ি গঙ্গার তীরে আহাসান মন্জিল
লালবাগের কেল্লা;বেশি দিনের কথা না;
ইতিহাসের পাতা, শিহরিত হয়ে ওঠে গা।
রংপুরের রাজবাড়ীতে ঘুরতে ঘুরতে
পৌঁছে যায় পেচানো সিঁড়ি ধরে
চিলেকোঠার ঘরে,
কল্পনায় ছায়ারা ঘোরাফেরা করে।
দীঘাপতিয়া,বগুড়ার মহাস্হান গড়
কত কত শান,শওকত,প্রতিপত্তি
একদার সৌর্য,বীর্য, অহংকার।
একদিন একদল মানুষের,
আমার মত,তোমার মত।
কতশত স্মৃতি বুকে ধারন করে
দাঁড়িয়ে আছে,
ইট,সুরকীর দেয়ালে ধুলোর সাথে মিশে
এখনো আছে হয়তোবা কারো কেশ
চিহ্ন অবশেষ।
মধ্যরাত্রীর আঁধার ফুরে হয়তো, ক্ষুদিত পাষানে
নাটক মঞ্চায়িত হয়; জানিনে।
গল্প কবিতায় লেখা হয়, সুখের কথা
কখনো দুখের গাঁথা ;
অথবা পরাজয়ের গ্লানি।
সুদূর অতীতের কোরআনে বর্নিত
আদ,সামুদ,নুহ আঃ এর কওমের কথাও জানি।
লুত,ইব্রাহিম, মুসা, মারিয়াম আঃ কাহিনী
বিশ্বাসী যারা; মনে- প্রাণে মানি।
নমরুদ ফেরাউন,হামান,কারুন,
আবুজেহেল,আবুলাহাব,উবাই ইবনে খলফ
আবরাহার হস্তি বাহিনী।
অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না কেউ-ই
এই দুনিয়াতে পূর্বে যেমন ছিল না
তারাও আজ নেই;
যারা বর্তমানে আছে অচিন্ত বা চিন্তাশীল
রবেনা ভবিষ্যতে সে-ও।
তবে আজ অতীত গিয়ে নয়;
বর্তমানেই ধ্বংসস্তুুপের পাশে
দাঁড়িয়ে রানা প্লাজার নাটক দেখি।
দেখি, রং মেখে শিশুদের শুয়ে থাকা, বলে তারা
ভ্যান বোঝাই করে নেয়া মানুষ,রক্তে মাখা পোড়া।
তরতাজা কিশোর, যুবক চোখে
কত হাজারো স্বপ্ন দেখে!
ভীরু কাপুরুষ নিচ,স্বার্থপরতার ভীড়ে
বুক পেতে দিয়ে যায় দাঁড়িয়ে
বন্দুকের নল পিছাতে না পারে; তারে।
শত বছরের কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া নয়
চোখের সামনে লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয়।
নিমেষেই ধ্বংসস্তুুপে পরিনত হয় জনবহুল শহর, নগরী।
আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায় পোড়া ঘ্রান
হাজারো মানুষের মাঝে খুজে নিতে নয়।
মেপে মেপে নিতে হয় স্বজন।
গাল বেয়ে আনন্দাশ্রু হয়ে অশ্রু মিশে যায়
ট্যাংকের চুইয়ে পড়া পানির ফোটায়।
সসপ্যানে মগ,ডেকচির ভীড়,
মাঝরাতে ঘুম ভেংগে, কখনো বা দ্বিপহর;
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়,
ভাগের এক টুকরো রুটিতে
ক্ষুধা নিবৃত্ত করতে উদর।
রক্ত জমা হয়ে পানীয়ের বোতলে
পৌঁছে যায় বাজারে,দোকানে দোকানে
ঘরে- ঘরে অনুষ্ঠানে।
আবার বুক ফুলিয়ে গর্বে বলে ওঠে
কারখানা রয়েছে ফি* লি*স্তিনে।
নিরাপদ নগরীতে দামী রেস্টুরেন্টে বা দোকানে
সন্ধ্যা বা বিকেলে ভীড় জমে কোথায়
ভালো পাওয়া যায়? গ্রীল,চাপের সন্ধানে;
কখনো মধ্য রাত্র,সেহেরীতেও রমাদানে;
ম- ম করে চারিদিক কাচ্চির ঘ্রাণে।
কত কোটি আজ মুসলিম?
দুটো করে হাত; গোনো কতো?
এবার হলো কত বলো তো?
যদি সেই হাত এক যোগে ওঠে?
কালেমার বানী থাকে ঠোঁটে?
বদরে তাঁরা ছিলেন তিনশত তের জন।
প্রতিপক্ষ ছিল সেখানে তিনগুণ।
একজনের তাহাজ্জুদের দু- ফোটা অশ্রুর গুন
নিভে যদি যায় জাহান্নাম সমুদ্রের অনন্ত আগুন!
বিপরীতে এক যোগে হয় মোমবাতির প্রজ্বলন!
একযোগে হয় করা কত কিছু
শোক প্রকাশে সমগ্র পৃথিবী আঁধার করে
মিনিটের নিরবতা পালন;
হাতে হাতে বাঁধে রাখি বন্ধন।
দেশে বিদেশে অনির্বান শিখা জ্বলে
একাত্মতা প্রকাশ; কত রকমের ছলে।
বিশ্বে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীও হয়,লোকে বলে।
চোখের কোন চিকচিক করে
বুকে আশা নিয়ে বেঁচে থাকা;
অন্তরে বিজয়ের সেই ছবি আঁকা।
হ্যা শীঘ্রই আসবে একদিন
হাতগুলো একত্রিত হবে
তখন ফরিয়াদ আসমানে পৌঁছে যাবে।
মুসলিম হবে এক দেহ এক প্রাণ
মোরা সকলেই ভাই- বোন
কেঁদে ওঠার কথা শরীরের কোথাও
এতটুকু ব্যথা পেলে কোন।
হায়, আমার ভাই! হায়,আমার বোন!
আমার একারই অপরাধ।
ক্ষমা এর নেই কোন;
আমার এই ভুলে থাকা ;
আমার সাধ- আহ্লাদ,
শুধই আমাকে ঘিরে;
রবের দরবারে কেমনে দেখাব
এইমুখ আমি গিয়ে ফিরে।
লজ্জিত আমি! অক্ষম, নিরুপায়!
মুসলিমের লান্হনা দেখে, সয়ে
কালের সাক্ষী হয়ে।
অন্তরে মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে স্বপ্ন দেখি
আর তাদের জন্য বদদোয়া জবানে রাখি।
দোআ:
اَللّٰهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ، سَرِيْعَ الْحِسَابِ، اِهْزِمِ الْأَحْزَابَ، اَللّٰهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
আল্লা-হুম্মা মুনযিলাল কিতা-বি সারী‘আল হিসা-বি ইহযিমিল আহযা-ব। আল্লা-হুম্মাহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম।
হে আল্লাহ, কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করুন। হে আল্লাহ! আপনি তাদেরকে পরাজিত করুন এবং তাদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে দিন।
[ মুসলিম, ৩/১৩৬২, নং ১৭৪২]
-----RabAh✍️
--- ২৩শে-- অক্টোবর --২০২৪ইং
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:৪৬
Salina Alam বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খয়রান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবিতায় ভালো লাগা। হাদিসটি প্রচারের জন্য আল্লাহ উত্তম যাযা দান করু্ন।