নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

# যাপিত জীবন

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২০

যাপিত জীবনে মানুষ যা-ই করুক,
কেউ জাহান্নামে চায় না যেতে
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না,
যে জান্নাত নয়; জাহান্নাম চায় পেতে।

যেমন আল্লাহ তায়ালা নিজেও চান না
মানুষ জাহান্নামে যাক।
ভালোবেসে তিনি মানুষকে বানিয়েছেন
চান সকলেই জান্নাত পাক।

সে কারণে যেসব কাজ হবে মানুষের
জান্নাতের অন্তরায়
তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মানুষকে
কুরআন ও সুন্নাহ' য়।

নসিহতের মাধ্যমে মানবজাতিকে
সুস্পষ্টভাবে দিয়েছেন জানিয়ে
কিন্তু মানুষ শয়তানের ধোঁকায়,
সেগুলোই করে ;পড়ে থাকে দুনিয়া নিয়ে।

নফসের প্ররোচনায়, পরিবেশের তাড়নায়,
এমন অনেক গুনাহ-ই করে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়।
যার ফলে তার জন্য তা জান্নাতে
যাওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

**যেসব কাজ মানুষের জান্নাতে যাওয়ার অন্তরায় নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো :

মদপানঃ--
কুরআন ও হাদিসে যেসব জিনিসকে কঠোর ভাষায় নিষেধ করা হয়েছে এবং বেঁচে থাকার জন্য জোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম একটি মাদক।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তীর অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের বীজই বপন করতে চায় এবং চায় তোমাদেরকে আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে বিরত রাখতে। সুতরাং তোমরা কি ওসব জিনিস থেকে নিবৃত্ত হবে’ (সুরা মায়েদা : ৯০-৯১)।
এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত ওসমান (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা মদপান থেকে বেঁচে থাকো, কারণ মদ সমস্ত খারাপকাজের মূল’ (নাসায়ী : ৫৬৬৭)।
আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জেনাকারী যখন সে জেনা করে তখন ঈমানদার থাকে না, চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না, মদ্যপ যখন মদ পান করে, তখন সে ঈমানদার থাকে না, ডাকাত যখন ডাকাতি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না।’ (তিরমিজি : ২৬২৫)

সুদ খাওয়াঃ--
ইসলামে যেসব বিষয় খুব শক্তভাবে হারাম করা হয়েছে, তার অন্যতম একটি সুদ খাওয়া। সুদ লেনদেনকারী এবং সুদের সঙ্গে যে কোনোভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে অত্যন্ত ভয়াবহ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আরবি ‘রিবা’ অর্থ সুদ। ‘রিবা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ অতিরিক্ত, বর্ধিত। মূলধনের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে সুদ বলে। মোটকথা বাকিতে কিংবা নগদে সমজাতীয় পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে মূল পণ্যের অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয়, তাকে শরিয়তে সুদ বলা হয়। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সুদ খায়, কেয়ামতের দিন তারা সেই ব্যক্তির মতো উঠবে, শয়তান যাকে স্পর্শ দ্বারা পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এজন্য হবে যে, তারা বলেছিল, ব্যবসাও তো সুদের মতো। অথচ আল্লাহ বিক্রিকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তির কাছে তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ-বাণী এসে গেছে, সে যদি সুদী কারবার থেকে নিবৃত হয়, অতীতে যা কিছু হয়েছে তা তারই। আর তার অভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহর এখতিয়ারে। যে ব্যক্তি পুনরায় সে কাজই করল, এরূপ লোক জাহান্নামি হবে। তারা তাতেই সর্বদা থাকবে। আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-সদকাকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ এমন প্রতিটি লোককে অপছন্দ করেন যে অকৃতজ্ঞ ও পাপিষ্ঠ’ (সুরা বাকারা : ২৭৫-২৭৬)। এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার ওপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান।’ (মুসলিম : ৪১৭৭)

এতিমের মাল ভোগঃ--
ইসলাম দয়া-মায়া, মমতা-ভালোবাসা ও সহমর্মিতার ধর্ম। তাই তো ইসলামের অনুপম আদর্শ আর শিক্ষা হলো আল্লাহ প্রদত্ত ধনদৌলত, সহায়-সম্পত্তি নিজের ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজে বসবাসরত অসহায় ও এতিম লোকদের সাহায্য-সহযোগিতার ওপর কিংবা তাদের জন্য খরচ করা ও তাদের দায়িত্বভার বহনের ওপর উদ্বুদ্ধ করে এবং তাদের জন্য অভাবনীয় ফজিলতের কথা বলে। আর যারা এতিমের সম্পদ ভক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে কুরআন-হাদিসে কঠোর ধমকি ও শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা এতিমের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করে, তারা নিজেদের পেটে কেবল আগুন ভরে। তারা অচিরেই এক জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে’ (সুরা নিসা : ১০)। এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সাতটি ধ্বংসাত্মক কর্ম থেকে দূরে থাকো। সবাই বলল, হে আল্লাহর রাসুল! তা কী কী?’ তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, জাদু করা, ন্যায়সঙ্গত অধিকার ছাড়া আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা করা হারাম করেছেন তা হত্যা করা, সুদ খাওয়া, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যুদ্ধের দিন পলায়ন করা এবং সতী ও উদাসীন মুমিনা নারীর চরিত্রে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া।’ (বুখারি : ২৭৬৭)

মা-বাবার অবাধ্যতাঃ--
পৃথিবীতে মানুষের আগমনের স্বাভাবিক মাধ্যম হচ্ছে মা-বাবা। তাদের মাধ্যমেই প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের নয়নাভিরাম দৃশ্যে ভরা এই অপরূপ সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাস গ্রহণ করতে পারে। রক্তের সম্পর্কে আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে মা-বাবার অবস্থান সবার শীর্ষে। কারণ মা-বাবাই হচ্ছেন সন্তানের সর্বাধিক নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থল। মা-বাবা হাজারও ত্যাগ-তিতিক্ষা আর কুরবানি ও কষ্ট-ক্লেশের মধ্য দিয়ে তিলে তিলে সন্তানকে লালন-পালন করেন এবং গঠনে-গড়নে বড় করে তোলেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ ও উত্তম ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত ও অপরিহার্য একটি বিষয়। এর বিপরীতে বাবা-মার অবাধ্য হওয়া এবং তাদেরকে নানাভাবে কষ্ট দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করো না, বাবা-মার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো, বাবা-মার কোনো একজন কিংবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তাদেরকে উফ পর্যন্ত বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না; বরং তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো’ (সুরা বনী ইসরাঈল : ২৩)। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কবিরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা। মা-বাবার অবাধ্যাচরণ করা, অন্যায়ভাবে কোনো প্রাণ হত্যা করা, মিথ্যা কসম খাওয়া’ (বুখারি : ৬৬৭৫)।

মানুষের জান্নাতে যাওয়ার পথে
যেসব কাজ প্রধান অন্তরায়,
সেসব কাজের বিবরণ তুলে
ধরা হয়েছে উপরের বর্ণনায়।।

আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ঈমানদার
মুমিন-মুসলমানকে
এড়িয়ে চলার তওফিক দান করুন
ঐ কাজ গুলো থেকে।।

-----RabAh✍️
---তেসরা--ডিসেম্বর--২০২৪ ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.