নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

# উচ্চাকাঙ্খা

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:২০

ইনশাআল্লাহ! যেদিন জান্নাতে আমার
আবৃত্তির পালা আসবে।
সশ্রদ্ধ জানিয়ে সালাম, আবৃত্তির আগে
বলবো আত্মকথনেঃ--

ইয়া রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আপনাকে শোনাবো বলে
কবিদের দ্বারে ফের পুনরায়
লিখিয়েছিলাম নাম;
নাম,যশের আকাংখায় নয়!

সেই কবে,
জীবনের প্রথম লগনে
যেগুলোর দিয়েছিলাম কবর
বুকের গহীনে
লুকায়িত স্বপ্নের;
কবিতা হারাম শুনে।
কতজনের কত রকমের
স্বপ্ন, সাধ থাকে;
কল্পনায় কত কিছু ছবি আঁকে।

একদা ছিলাম দ্বীনহীন
যাযাবর বেদুঈন!
ভালোবেসে আপনাকে
দিওয়ানা হয়েছি যেদিন থেকে
খানসা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর মতন;
শোনাতে চেয়েছে মন
তুচ্ছ যদিও আমি,
হীন অধম মানুষ একজন।

যেদিন জেনেছি দরবারে আপনার
বসতো আসর কবিতার
সেদিনের পর থেকে
প্রতি নিঃশ্বাসে বেঁচেছি স্বপ্ন দেখে।

জান্নাতে একদিন বসবে ফের
তেমনি আসরে আবৃত্তি হবে শের
ইয়া আবা-উমায়ের, মা ফাআলান নুগায়ের?’
ছন্দে আপনি যেমন উমায়েরকে দিয়েছিলেন সান্ত্বনা
হাদীসে এই কথা জেনে,
সেই থেকে আমার কাব্যবন্দনা
আর এই স্বপ্ন- কল্পনা।

আজ আপনার এই আসরে
করতে অংশগ্রহণ
বড় বড় কবিগনের ভীড়ে
ভীত- সন্ত্রস্ত হয়ে
আমার এই আগমন।
গোস্তাকি মাফের আশা
করছি পোষন;
এই অধম!

ইয়া রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আপনাকে ভালোবাসি।
ভালোবাসি জপতে আপনার পবিত্র এ-নাম
ইয়া হাবিবুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

যদিও জীবনে তেমন
সেরকম আমল নেই কোন।
তবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি
যখন থেকে আমার রব
এবং আপনাকে চিনেছি
আপনার নামে আমার রবের
সালাত ও সালাম পেশের কথা জেনেছি
আমার সকল চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে
আপনাকেই ভালোবেসেছি;
ইয়া মুহাম্মাদ,ইয়া আহমদ,ইয়া মোস্তফা,ইয়া রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আমার সালাত ও সালাম করুন গ্রহন।।

اَللّٰهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ

আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।
‘যে কেউ সকাল বেলা আমার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবে এবং বিকাল বেলা দশবার দরুদ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ দ্বারা সৌভাগ্যবান হবে।’
( মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ ১০/১২০;)

নবী করীম (সা.)-কে ভালোবাসাও ঈমানের একটি অংশ। সহীহ আল বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,

لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ وَوَالِدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ

‘তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ আমি তার কাছে তার সন্তান সন্ততি ও অন্যদের চেয়ে বেশী প্রিয় না হবো।[১]

সহীহ্ আল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আরেক হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন- তিনটি জিনিস যার মধ্যে রয়েছে সে ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে। (তার একটি হচ্ছে) যার কাছে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সা.) অন্য সবকিছু থেকে অধিক প্রিয়।

আরেক হাদীসে বলা হয়েছে- ‘এক ব্যক্তি নবী করীম (সা.)-এর কাছে এলেন। বললেন- হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কবে হবে? রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বললেন, তুমি সেজন্য কী ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে? লোকটি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেজন্য বেশী রোযা কিংবা দান সাদকা আমার প্রস্তুতির মধ্যে নেই। আমি কেবল আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসি। তিনি বললেন, তুমি যাকে ভালোবাস তার সাথেই থাকবে।

[১]. সহীহ্ আল বুখারী, ঈমান অধ্যায়; সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, (হাদীস-৭৫)।

-----RabAh ✍️
---৭ই-- জানুয়ারী--২০২৫ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.