নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাওয়াহা (রাঃ) কবিতার/আবৃত্তি শুনতে চাই কন্ঠে আপনার/খানসা (রাঃ) এর মতন / চাই শোনাতে / হে প্রিয় রাসূল পেতে চাই স্হান/সেই আসরে জান্নাতে।

Salina Alam

Salina Alam › বিস্তারিত পোস্টঃ

# আনাস

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৫

ভাই আনাস! তুমি জানো কি?
আনাস শব্দের অর্থ কি হয়?
এর অর্থঃ বন্ধু,সঙ্গী
সহজ,প্রিয়,স্নেহময়!

আনাস নামের মানুষ বন্ধুপূর্ণ,দয়ালু
সহানুভূতিশীল হয়ে থাকে;
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সত্যবাদী হিসাবে
পরিচিতি পায় গোত্রে, সমাজে,ভূলোকে।

আনাস তুমি তো নিশ্চয়ই জানো
কার নামে নাম তোমার?
নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
একান্ত প্রিয়ভাজন সাহাবী
আনাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর
নামে নাম!
নবীজীর নিকটতম
অবস্হান ছিল যার!

দোয়া করি পিতা-মাতার মতো
বড় হয়ে হইয়ো উম্মতের
কল্যাণকামী ও খেদমতগার।
ন্যায়ের পথে চলে
ঈমানের কথা বলে
হইয়ো দ্বীনের সমঝদার।

কোরআনের পাখি তুমি
ইকর্!
পড়ো!
যেদিন বলা হবে
তুমিও তিলাওয়াত শোনাবে।
আর!
উঠতে তুমি থাকবে
সোপানে এক এক ধাপ মর্যাদার!
সেদিন কুরআন বলবে
তোমার রবের নিকটে
তোমাকে পড়াতে অলংকার!
এবং তোমায় এমন এক মুকুট পড়াবে
যা সম্মান ও মর্যাদার নিদর্শন হবে।

কুরআন বলবে তারপরও
প্রভু,তাকে পোশাক দিন আরো
এবং সেই পোশাকও মর্যাদা বহু গুন
বাড়িয়ে দেবে তোমার।

কুরআন বলবে অতঃপর
আবারো ফের,
হে প্রভু, সন্তুষ্ট হোন
আপনি তার প্রতি।
কাজেই তিনি!
আমাদের রব! যিনি
রহমানুর রহিম! পরম দয়ালু অতি!
সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন হাফেজে কুরআনের ওপর।

তোমাকে করা হয়েছে লিপিকর
ফেরেশতার সাথে তুলনা
সর্বদা এ মর্যাদার কথা রেখো মনে
কখনোই ভুলো না।

সকলের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি হবে
যখন কুরআন তুমি অন্যকে শেখাবে;
কুরআন অনুযায়ী আমল করবে
এবং সেই মত জীবন গড়বে।

যখন কেয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে
কেউ -ই সাহায্যকারী রবেনা;
রবের পক্ষ থেকে সেদিন
যেমন পুরষ্কার দেয়া হবে তোমায়
তেমনি দেয়া হবে তোমাকে
বিশেষ সংবর্ধনা।

আর তা দেখে প্রতিবেশী গন
আফসোস করবে তখন;
হায়! এমন জ্ঞান এবং সম্পদ
যদি আমাদেরও দেয়া হতো
আমরাও আমল করতাম
কুরআনের ওপর চলনে ওয়ালা
দিনরাত তিলাওয়াতে রত
কুরআনে হাফেজের মতো
এবং সম্পদশালী সেই ব্যক্তি
যে সর্বদা করে দান
আল্লাহর সত্য ও ন্যায়ের পথে
অগনিত,অফুরান।

মর্যাদার তুমি কারনও হবে তোমার
পিতা এবং মাতার!
মাথায় তাদেরকেও
পড়ানো হবে এমন মুকুট
সূর্যের চাইতেও
উজ্জ্বল হবে আলো যার।

দাদাভাই আবারও
দোয়া রইলো জন্য তোমার।
কুরআনের ধারক,বাহক হইয়ো
এবং রবের বিশেষ বান্দা ও
পরিজন হয়ে রইয়ো।
কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিয়ে
হইয়ো এ-যুগের শ্রেষ্ঠ দাঈ-রাহবার।।

---------

**কোরআন সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ। আল্লাহ কোরআনকে কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জন্য হেদায়েতের মাধ্যম হিসেবে মনোনীত করেছেন এবং পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্যই আমিই তার রক্ষক।’ -(সুরা হিজর, আয়াত : ৯)

হাফেজরা সর্বশ্রেষ্ঠ বাণী কোরআনের ধারক। একাধিক আয়াত ও হাদিসে কোরআনের ধারক-বাহক হাফেজদের বিশেষ মর্যাদার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কোরআন শেখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০২৮)

হাফেজে কোরআন সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং সম্মানিত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতকারীদের ব্যাপারে নবীজি (স.) জানিয়েছেন, তারা আল্লাহর পরিজন।

আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ -(ইবনে মাজাহ: ২১৫)

পবিত্র কোরআন হিফজ করা, চর্চা করা এতটাই ফজিলতপূর্ণ কাজ যে, রাসুল (স.) তার হিফজকারীদের ফেরেশতাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (স.) থেকে বর্ণনা করেছেন, কোরআনের হাফেজ পাঠক লিপিকর সম্মানিত ফেরেশতাদের মতো। খুব কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও যে বারবার কোরআন পাঠ করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে। (বুখারি: ৪৯৩৭)

দুনিয়াতে যারা কোরআন শিখবে এবং কোরআন অনুযায়ী আমল করবে, হিফজ করবে, কিয়ামতের দিন তাদের বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, কোরআন কেয়ামত দিবসে হাজির হয়ে বলবে, হে আমার প্রভু, একে (কোরআনের বাহককে) অলংকার পরিয়ে দিন। তারপর তাকে সম্মান ও মর্যাদার মুকুট পরানো হবে। সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তাকে আরো পোশাক দিন। সুতরাং তাকে মর্যাদার পোশাক পরানো হবে।

সে আবার বলবে, হে আমার প্রভু, তার প্রতি সন্তুষ্ট হোন। কাজেই তিনি তার ওপর সন্তুষ্ট হবেন। তারপর তাকে বলা হবে, তুমি একেক আয়াত পাঠ করতে থাকো এবং ওপরের দিকে উঠতে থাকো। এমনিভাবে প্রতি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সওয়াব (মর্যাদা) বাড়ানো হবে। (তিরমিজি: ২৯১৫)

পবিত্র কোরআন হেফজ করতে পারা আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত সমূহের মধ্যে অন্যতম। এই নেয়ামতের ব্যাপারে ঈর্ষা করাও জায়েজ। রাসুল (স.) বলেছেন, দুই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে ঈর্ষা করা যায় না।

এক ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তাআলা কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং সে তা দিন-রাত তেলাওয়াত করে। আর তা শুনে তার প্রতিবেশীরা বলে, হায়! আমাদের যদি এমন জ্ঞান দেওয়া হতো, যেমন অমুককে দেওয়া হয়েছে, তাহলে আমিও তার মতো আমল করতাম। অন্য ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ সম্পদ দান করেছেন এবং সে সত্য ও ন্যায়ের পথে সম্পদ খরচ করে। এ অবস্থা দেখে অন্য এক ব্যক্তি বলে, হায়! আমাকে যদি অমুক ব্যক্তির মতো সম্পদ দেওয়া হতো, তাহলে সে যেমন ব্যয় করছে, আমিও তেমন ব্যয় করতাম।’ (বুখারি: ৫০২৬)

কেয়ামতের দিন কোরআনের হাফেজদের মা-বাবাকে বিশেষ সম্মান দেবেন আল্লাহ তায়ালা। এ বিষয়ে হজরত সাহল ইবনু মুআজ আল-জুহানি (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন-

রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন পাঠ করে এবং তা অনুযায়ী আমল করে, কেয়ামতের দিন তার মা-বাবাকে এমন মুকুট পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কোরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো!’ (আবু দাউদ: ১৪৫৩; শুআবুল ঈমান: ১৭৯৭)

নবীজি (স.) সাহাবায়ে কেরামকে কোরআনের ধারক-বাহকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। যারা ৩০ পারা কোরআন হেফজ করে তা ধরে রাখে, তার ওপর আমল করে, তারাও সেই সম্মানের যোগ্য। আবু মুসা আল-আশআরি (রহ.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, নিশ্চয়ই বৃদ্ধ মুসলিমকে সম্মান করা, কোরআনের ধারক-বাহক ও ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান দেখানো মহান আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।’ (আবু দাউদ: ৪৮৪৩)

-----RabAh✍️
---৯--8--২০২৪ ইং

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.