নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথে ঘাটে পর্ব (২১)

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮



ইকোনমিক্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমদিন ক্লাসে আমরা সবাই আবিষ্কার করলাম ৮/১০ জনের থেকে আলাদা এক হুজুর ছেলেকে, সে কথা বলিতো(বলতো)সাধু ভাষায়, এবং খানিকটা চিকন কণ্ঠস্বর করিয়া(করে)প্রথম দিনই আমাদের সবাইকে সে বলল, “এই তোমরা কিন্তু ইকোনমিক্সকে সহজ ভাবিও না, ইহা অত্যন্ত কঠিনতর বিষয়, আমাদের আজিকেই প্রথম বর্ষের সকল পুস্তক কিনিতে হইবে এবং যার যার নিজ বাসায় ফিরিয়াই তাহা পাঠ করিতে বদ্ধ পরিকর থাকিতে হইবে” তারপর আরো আরো কথা, স্বাভাবিক ভাবেই এর বন্ধু কারোই হওয়ার কথা নয়, আমি অতিরিক্ত মিশুক সত্ত্বেও তার একটা প্রশ্নের উত্তর দিতেও বিরক্ত অনুভব করতাম সে আমার নাম ধরে ডাকলেই আমার গা জ্বলে যেত।

সে এমনি এক ছোট ছোট ক- গাছা দাড়িওয়ালা খানিকটা ময়লা পাজামা পাঞ্জাবী পড়া বিরক্ত উৎপাদনকারী ছেলে যে সে নিজেও বুঝতে পারতোনা এর কথাবার্তা আমরা একদম পছন্দ করতে পারছিনা, সে তার বিরক্ত উৎপাদনকারী কথাবার্তা চালিয়ে যেতেই থাকতো এমনকি ক্লাস চলাকালীন সময়ে সে টিচারদের লেকচার থামিয়ে এটা ওটা খুঁটিনাটি নানা বিষয় জানবার জন্য একটার পর একটা উৎসুক প্রশ্ন করে আমাদের সবাইকে মানসিক টর্চারে রাখতো, আলফ্রেড মার্শালের চাহিদা আর যোগান রেখার সামান্য ব্যাখ্যা নিয়া ঘাটাঘাটি, মালথাসীয় তত্ত্ব, প্রান্তিক আয় ব্যয়,বাজার ভারসাম্য, মুনাফা, জাতীয় চাহিদা নীট/গ্রস, যোগান তত্ত্ব, অন্তরীকরণ সূত্র, উৎপাদন/আয়/মুদ্রাস্ফীতি/,উপযোগিতা, ক্রমবাচক উপযোগিতা, প্যারেটোর মানদন্ড, চাহিদার মুল্যগত স্থিতিস্থাপকতা, ন্যাশ ইকুইলিব্রিয়াম ইত্যাদি এমন কোন টপিক নাই যার ভেতর সে নাক গলাতো না, ৫০ মিনিটের ক্লাস তার জানবার এবং জানাবার বাসনায় এবং স্যারদের বোঝানোর অতি মাত্রার আগ্রহতে ৭০/৮০ এমনকি একশো মিনিটে গড়াতো।

যখন একদম ধৈর্যের শেষ সীমানায় পৌঁছে যেতাম সবাই, তখন স্যার ওকে থামিয়ে দিয়ে ক্লাস শেষ করতো। এমন ছেলের জন্য কারো সমবেদনা কিংবা সাহায্য করার মানসিকতা থাকা উচিত না। দিনের পর দিন ক্লাস লম্বা করে (বেহুদা সহজ জিনিস মাথায় ঢুকত না এমন খারাপ ব্রেন) আমাদের জীবনটা তামা তামা করে দিয়েছিল সে।

প্রথমবর্ষ ফাইনাল(বোর্ড)পরীক্ষায় সে প্রথম হল, আমরা ওর দিকে সরু চোখে তাকাতে লাগলাম স্যাররা ওকে বাহবা দিতে লাগলো এবং ওলিউল্লা, তাসনিম, বাশার, মিম, সেলিম, শিশির, রাসেল, মাহমুদ, এমন কি নাক সিটকানো সুমি, চরম ঢঙ্গী আর স্টাইলিশ মেয়ে লিপিও ওর মোটামুটি ফ্রেন্ড হয়ে গেলো। নাসরিন হয় নাই, কারন হুজুর ছেলে তার একদম অপছন্দের আর ক্লাসে এবং ক্লাসের বাইরে অনেকের সাথেই তার প্রেম সে ওইগুলা নিয়েই বেশি বিজি থাকতো, রোম্যান্টিক গার্ল সে।

তাছাড়া নাসরিনের পরীক্ষায় পাশ করার জন্য আমিই ওর জীবনে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান, রোল নং একসাথে হওয়ায় আমার পাশে ওর চিরকালের সিট। ও নিশ্চিন্ত নির্ভাবনায় একের পর এক প্রেম করে যেতে লাগলো, ক্লাসের কোন ব্যাপারেই ওর মাথা ব্যথা নেই।

দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটা বছর কেটে গেছে, চলে এলো শেষ বর্ষ (ফাইনাল বোর্ড পরীক্ষা) আমাদের ইউনিভারসিটি থেকে অনেক দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র। আমি আর নাসরিন কাছাকাছি থাকি সিট এক সাথে এবং পরীক্ষার হলে নাসরিন আমি দুইজন একি সাথে পরীক্ষা দিতে যাই, আমাদের ট্রান্সপোর্ট সি,এন,জি। হুজুর পরীক্ষা দিতে আসতো বাসে করে, তার বাস পাল্টাতে হতো এক বাসে সরাসরি যাওয়া যেত না, শেষ বাস পাল্টাতো আমরা যেখান থেকে সি,এন,জিতে উঠতাম সেই বাস স্ট্যান্ড থেকে।

ঘটনার দিন সে তুরাগ বাসে করে এসে নেমেই তরিঘড়ি করে দ্বিতীয় বাসে উঠলো। ও যে বাসে করে এসেছে সেটি খালি প্রায় তাই ছাড়ছে না যাত্রী তোলার জন্য অপেক্ষায় আছে। আমরা অপেক্ষায় আছি সি,এন,জির।

অনেকক্ষণ ধরেই দেখছি ছেলেটা বাসে যেখানটায় দাঁড়িয়ে ছিল ওখানে ভাজ করা কাগজ পড়ে আছে,অনেকক্ষণ দেখলাম, কিছুই মনে হলনা, ওটায় যাত্রীরা উঠছে, কেউ তুলছেনা কাগজটা, দেখছেইনা কেউ, একজন তো পাড়াই দিলো ওটার উপর, বাসটা ছেড়ে দিলো, ধীরে।

আর ঠিক ওই মুহূর্তে আমার মনে হল ওটা প্রবেশ পত্র হয়ে থাকতে পারে! ছেলেটা ওখানটায় দাঁড়িয়ে ছিল, পাঞ্জাবীর পকেট থেকে পরীক্ষার টেনশনে বেখেয়ালে কাগজটা পরে যেতে পারে, ব্যাপারটা মাথায় আসতেই আমি অর্ধ চলন্ত গাড়িতে উঠলাম ওটা হাতে নিয়ে খুলে দেখলাম হুম; উনার এডমিট কার্ড আর রেজিস্ট্রেশন কার্ড।বাস অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে, এতে ১০/১২ মিনিট সময় অপচয় হল।
৯ টায় এক্সাম। তখন অলরেডি সাড়ে ৮টা বেজে গেছে। আর একটাও সি,এন,জি ঠিক করতে পারেনাই নাসরিন, ও আমাকে ছাড়া কিছুই করতে পারেনা, শুধু ও কেন যেই আমার সাথে থাকে সেই আমাকে ছাড়া কিছুই করতে পারেনা,এখনো।

ও সি,এন,জি না পাওয়ার জন্য আমাকে বকতে লাগলো। দৌড়াদৌড়ি করে ৮টা ৪০মিনিটে সি,এন,জি পেলাম দেখতে দেখতে প্রচণ্ড জ্যামেও পড়ে গেলাম। যখন ৯টা বেজে গেছে তখনও আমরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলাম।
নাসরিন মেয়েটা পৃথিবীর সেরা সুন্দরী মেয়েদের একজন, শ্যামলার মধ্যে ওর চেহারা হুবুহু এঞ্জেলিনা জলির মত লাগতো আমার কাছে, সেই এঞ্জেলিনা জলি ওই সময় পরীক্ষার টেনশনে দেখতে দেখতে ভয়ঙ্কর ডাইনির রুপ নিলো, কণ্ঠ পাল্টে গিয়ে বিভীষিকা বার বার বলতে লাগলো কেন আমি হুজুরটার এডমিট কার্ড কুড়াতে বাসে উঠে সময় নষ্ট করলাম আমি কি হাতেম তাই!!
কি যে এক মুহূর্ত ছিল, সি,এন,জির ভেতর নাসরিনের চিৎকার চেঁচামেচি কান্নাকাটি বকাঝকা!!শেষের দিকে একটা ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে ফেললো আমার হাতে প্রচণ্ড খামচি দিয়ে রক্তারক্তি করে ফেললো, আমি যা রিভিশন দিয়ে বের হয়েছিলাম ততোক্ষণে সব গিলে খেয়ে ফেলেছি যেন।

ঠিক নয়টা দশে আমাদের সিএনজি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এসে থামল,
সিএনজিওয়ালার কাছে ভাংতি নেই।
নাসরিন পেছন দিকে একবারও না তাকিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে দৌড়।

আমি ভাড়া দেয়া, প্রবেশ পত্র শো করা, গেট চেকিং পর্ব, মোবাইল, বই খাতা, জমা দেয়া পর্ব শেষ করে, হেঁটে সামনে গিয়ে বোর্ড দেখে হুজুর ছেলেটার কোন বিল্ডিঙে পরীক্ষা জেনে যত দ্রুত সম্ভব সেদিকে হাঁটতে লাগলাম।

দূর থেকে দেখলাম ছেলেটা এর ওর হাতে পায়ে ধরছে, ছোটাছুটি করছে, দূর থেকেই ডাক দিলাম, শুনছেই না,আমাকে একবার দেখল যেন তারপর মুখ ফিরিয়ে নিলো। ও যেন এখন এই পৃথিবীতেই নেই এমনি উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি।

বাধ্য হয়েই ওর পর্যন্ত আমাকে পৌছাতে হল এতে আরও সময় নষ্ট হল, কাছে যেতে না যেতেই চিকন গলায় বলতে লাগলো ইতি আমি এখন তোমার সাথে কথা বলিতে পারিবনা আমাকে এখন তুরাগ বাসে যেতে হবে, ওদের নাম্বার যোগাড় করিতে হবে, ওর এসব কথা শুনবার যথেষ্ট সময় হাতে নেই, এডমিট কার্ড হাতে দিলাম ওর। তারপর ও হুশ নেই সে তার কথা রোবটের মত বলেই যাচ্ছে তুরাগ বাসের ফোন নাম্বার আছে তোমার কাছে? আমাকে এখুনি তুরাগ বাসের নাম্বার যোগাড় করতে হবে।

হাতে কি দিয়েছি দেখো বলে আমি ছুটতে ছুটতে নিজের সীট রুম খুঁজে পেয়ে যখন রুমে ঢুকলাম তখন ৯টা ৩৫ বেজে গেছে।

এই ঘটনার পর ছেলেটা সবাইকে বলে বেড়াতো আমি ওর জীবন বাঁচিয়েছি।

বেশ কয়েকদিন আমার সাথেও যতবার দেখা হল ততবারই আমাকে বলল। আমি বললাম আমি তোমার জীবন বাঁচিয়েছি বল কেন তুমি তো মরে যাচ্ছিলে না এতে আমার জীবন বাঁচানোর কি আছে?
বলল ইতি তুমি বুঝবেনা কি যে কষ্ট করে এতদূর এসেছি, সারাদিন টিউশনি করে স্কুলে ক্লাস নিয়ে রাতে মেসে ফিরলে ঘুমে দুচোখ জড়িয়ে এলে পায়ের আঙ্গুলে দরি বেঁধে শুতাম, পায়ে টান পরলেই ঘুম ভেঙ্গে যেত আর আমি পড়া শুরু করতাম, এত গুলো পরীক্ষা এত ভালোভাবে পার হয়ে শেষে ফাইনালে এত কষ্টে এত ভালো প্রিপারেসনের পর যদি পরীক্ষা দিতে না পারতাম আমি সহ্য করতে পারতাম না, বলতে বলতে ওর কণ্ঠ ভারী হয়ে এলো তারপর একদম চুপ করে রইলো।
দেখে বোঝা যাচ্ছিল ছেলেটার ভেতরটা কষ্টে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আমি কিছু বললাম না, বাকীটা ওর ধুলো জমা পা, পায়ের ছেড়া স্লিপার, আধাময়লা পাঞ্জাবী আমাকে জানান দিয়ে দিলো।

ওইদিন নাসরিন পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি মাফ চাওয়া চাওয়ি করেছিলো, ওর খামচিতে কাঁটা জায়গায় দোকান থেকে স্যাভলন কিনে লাগাতে লাগাতে সে কি মায়া কান্না, যত্তসব ড্রামা কুইন।

ওই সময় আরেকটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল।
আমাদের ক্লাসের শুকনা, লম্বা ফর্শা মিষ্টি চেহারা আর সব থেকে ঠাণ্ডা স্বভাবের মেয়ে শ্যামলী প্রথম পরীক্ষার পর আর এলোনা, আত্মহত্যা করেছিলো ও, ওর সীট পড়েছিল আমার দুই বেঞ্চ সামনে একটা বিশাল জানালার পাশে, সেই জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি গাছ, খানিকটা আকাশ, শুকনো পাতা দেখা যেত।

বাকী পরীক্ষাগুলোতে সীটটা ছিল ফাঁকা। এত মানুষের ভিড়েও ওটা কি যেন কি এক বিষাদ জানান দিয়ে যেত সারাটাক্ষণ।


বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খুবই গোছালো ঝরঝরে লেখা। একটানে পড়ে ফেলেছি। দেখতে গেলে খুবই সাধারন একটা এক্সপেরিয়েন্স, সবার জীবনেই এমন চরিত্রগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। কিন্তু লেখার সরলতাই হয়ত পাঠে এত আনন্দ দিল।

শুধু ও কেন যেই আমার সাথে থাকে সেই আমাকে ছাড়া কিছুই করতে পারেনা,এখনো।

এক্স্যাক্টলি আপু! আই কুড রিলেট টু ইট সো মাচ! আমিও এমনই। কেমন যেন মা মা ব্যাপার আছে আমার স্বভাবে, আমার আশেপাশে যারা থাকবে আমিই যে তাদের খেয়াল রাখব সেটা যেন বিধি প্রদত্ত নিয়ম! এতে সবার ভালোবাসা পাওয়া যায় যেটা ভালো লাগে, তবে জীবনের কোন স্ট্রেসফুল টাইমে মনে হয় কেউ যদি আমার খেয়াল রাখত!

যাই হোক, আপনি আসলেই ছেলেটার অনেক বড় উপকার করেছিলেন। আপনার নিঃস্বার্থ মনোভাবের জন্যে বাহবা দিতেই হয়। শুভকামনা রইল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সামু পাগলা০০৭
লটস অফ লাভ,,,,,,,,,,,,

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, আজকের সামুতে তোমার
গল্পটা শ্রেষ্ঠ হবে বলেই বিশ্বাস করি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

সামিয়া বলেছেন: কমেন্ট পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো, কিন্তু এটা তো গল্প না , সত্যি ঘটনা।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অসাধারণ গল্প। ভাল লাগল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

সামিয়া বলেছেন: এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা। যাক গে ভালোলাগার জন্য থ্যাংকস সুজন

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটা সুন্দর হয়েছে , এর মধ্যে মৌলকিত্ব পরিলক্ষিত হয়েছে । লিখার প্রচেস্টা চালিয়ে গেলে নিয়মিতভাবে ভাল লিখা আপনার কাছ হতে পাব বলে আমরা অাশা করছি ।
নীচের দুটো লাইন একটু দেখে নিলে মনে হয় ভালো হয়, কারণ এর প্রেক্ষিতে একটু আগ্রহ সৃস্টি হয়েছে ।
ইকোনমিক্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমদিন ক্লাসে -
প্রথমবর্ষ ফাইনাল(বোর্ড)পরীক্ষায়
এই বোর্ড পরীক্ষাটির বিষয়ে একটু ছোট ব্যাখা দিলে ইদানিংকার পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু জানতে পারতাম ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

সামিয়া বলেছেন: ভাইয়া প্রথমত এটা গল্প নয় আমার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা। পথে ঘাটে পর্বটা আমার জীবনে পথ চলতে চলতে ঘটেছে এমন নানা বিষয় লিখে থাকি।
আর ইকোনমিক্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথমদিন ক্লাসে মানে হল অনার্স ক্লাস।
প্রথমবর্ষ ফাইনাল(বোর্ড)পরীক্ষার ব্যাখ্যা হচ্ছে ন্যাশনাল ইউনিভারসিটিতে অনার্সে ৪ সেমিস্টারে বিভক্ত হয়ে বোর্ড পরীক্ষা নেয়া হয়। ওটা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত রুটিন দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়, নিজস্ব ইউনিতে সাধারনত টেস্ট মিড ট্রাম এক্সামের সামান্য নম্বরই ফাইনালে এড হয়, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড কর্তৃক যে পরীক্ষা হয় তাতে অবশ্যই পাশ করতে হবে এবং সেটা এক যোগে সারা দেশের ন্যাশনাল ইউনিতে একি সময়ে নেয়া হয়। ওই পরীক্ষায় কেউ কোন বিষয়ে পাশ না করলে পরের বছর রি-টেক দেয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে অথবা কোন বিষয়ে ফেল করলে তাকে পরের বছর আবার রি-টেক দিতে হয় নয়ত সার্টিফিকেট থেকে বঞ্চিত হয়। জানিনা বুঝিয়ে বলতে পারলাম কিনা

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটি আবারো পড়লাম অর্থনীতির মুল বিষয়গুলি উঠে এসেছে নীচের কটি কথায় দেখে ভাল লাগল।
একটা উৎসুক প্রশ্ন করে আমাদের সবাইকে মানসিক টর্চারে রাখতো, আলফ্রেড মার্শালের চাহিদা আর যোগান রেখার সামান্য ব্যাখ্যা নিয়া ঘাটাঘাটি, মালথাসীয় তত্ত্ব, প্রান্তিক আয় ব্যয়,বাজার ভারসাম্য, মুনাফা, জাতীয় চাহিদা নীট/গ্রস, যোগান তত্ব, অন্তরীকরণ সূত্র, উৎপাদন/আয়/মুদ্রাস্ফীতি/,উপযোগিতা, ক্রমবাচক উপযোগিতা, প্যারেটোর মানদন্ড, চাহিদার মুল্যগত স্থিতিস্থাপকতা, ন্যাশ ইকুইলিব্রিয়াম
একটি বিষয় বুঝা গেল এইগুলি নিয়ে প্রশ্ন করে যে ৬০ মিনিটের একটি ক্লাশকে ১০০ মিনিটে নিয়ে যেতে পারে সে একজন মেধাবী ছাত্র অবশ্যই , বিষয়ে ভাল না জানলে প্রশ্ন করা যায়না এটা সবসময় আমাদের টিচারগন বলতেন ।
সুন্দর গলপটির জন্য আবারো ধন্যবাদ রইল ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

সামিয়া বলেছেন: আমি জানি ও মেধাবী আমি সেটাই লিখেছি। আমি ওর খারাপ ব্রেন বলেছি ওই সময়টায় ওর উপর বিরক্ত হয়ে , এটাই তো বেশির ভাগ মানুষের স্বভাব কোন কিছু না জেনে একটা মানুষকে প্রথম দেখে তার সম্পর্কে ধারনা করা,
আর এটা গল্প নয় সত্যি ঘটনা। ধন্যবাদ আবারো।

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো !

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

রাকিব সামছ বলেছেন: এক দমে পড়ে গেলাম। খুব ভাল লেগেছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাকিব সামছ

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১

ঋতো আহমেদ বলেছেন: বানানো গল্পের চাইতে জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার গল্পগুলোই বেশ ভাল লাগে। ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তথ্যপুর্ণ প্রতিমন্তব্যের জন্য । উচ্চ শিক্ষার পাঠটা দেশের বাইরে হওয়ায় ন্যাশনাল ভার্সিটির ইদানিংকালের পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা ছিলনা । পরীক্ষা পদ্ধতিটি সুন্দরভাবে ব্যখ্যা দিয়েছেন । এখন পরিস্কার হলো । । অর্থনীতির ছাত্র হিসাবে বিষয়টির উপরে একটা নাড়ির টান থাকায় লিখাটি একটু মনযোগ দিয়ে পড়ছিলাম ।

নিরন্তর শুভকামনা থাকল , উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। হুম We love Economics ;) ;)

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা আমার ভালই লাগে। আরও নানার ঘটনা নিয়ে আপনি আমাদের সামনে হাজির হোন সেই কামনাই করি

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতার ঝুলি শেয়ারে ধন্যবাদ !!!

বর্ণিল বৈচিত্রময় সূখ-দু:খ আনন্দে ভরপুর:)

জীবনে পথে ঘাটে ঐ হুজুরের আর খবর নিতে পেরছিলেন!!!!!

ভাল লাগল অনেক অনেক ++++++++++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

সামিয়া বলেছেন: ভালোলাগলো মন্তব্যে। এবং ১০ প্লাস প্লাস প্লাসে :) কৃতজ্ঞতা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

সামিয়া বলেছেন: হুজুরের আপডেট জানিনা। আশা করি ভালো আছে সে।

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: পুরো ঘটনায় আনন্দ, বিষাদের প্রলেপ। জীবনে চলার পথে কত কিছুই ঘটে যায়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

সামিয়া বলেছেন: সেটাই উল্টা দূরবীন ব্লগে আসার জন্য থ্যাংকস

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

সাহসী সন্তান বলেছেন: শেষটাতে এসে মন খারাপ হয়ে গেল! :(

বাস্তব জীবনের গল্প গুলো আসলে এমনই হয়! একটানা পথ চলতে চলতে হঠাৎ করে ছন্দপতন হয়ে জীবনটা এলোমেলো করে দিয়ে যায়!

ভাল লাগলো আপনার বাস্তব জীবনের গল্প! শুভ কামনা ইতি আপু!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেরকম ভাবছিলাম তার পুরো উল্টো ঘটনাটাই লেখনিতে ফুটে উঠেছে.......ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম আপু।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

সামিয়া বলেছেন: হাহা কি রকম ভেবেছিলেন? যাক গে কষ্ট করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি ভাবছিলাম শেষ পর্যন্ত সে একটা অঘটন ঘটাবে, বা কোন নির্লজ্জ কাজ কারবারের মাধ্যমে এই গল্পের সমাপ্তি ঘটবে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

সামিয়া বলেছেন: ও আচ্ছা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.