নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার জীবনের প্রথম ভ্রমন। সমুদ্র ভ্রমন। (পর্বঃ ৪)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০২


ছবিঃ ছেড়া দ্বীপ

আমার জীবনের প্রথম ভ্রমন। সমুদ্র ভ্রমন। (পর্ব-১)

আমার জীবনের প্রথম ভ্রমন। সমুদ্র ভ্রমন। (পর্বঃ ২)

আমার জীবনের প্রথম ভ্রমন। সমুদ্র ভ্রমন। (পর্বঃ ৩)

রুমে ফিরে ইরা আপু তার শপিং গোছাতে বসলো, ম্যাডাম নামাযে, চিফ ফিনান্সিয়াল স্যারের পিচ্চি মেয়েটা এসেছে গল্প শুনতে চায়, ছন্দা লো ভলিউমে গল্প শুনাচ্ছে ওকে, আমি বালিসে গা এলিয়ে নেটে ঢুকে টাইম পাস করছি। নেট দেখলাম খুবই ভালো বুঝলাম না সবাই কেন নেটওয়ার্কের বাইরে বাইরে করে এখানে এলেই! নেটওয়ার্ক তো ঠিকই আছে!!

রুমের দরজায় কেউ একজন নক করলো, দরজা খুলে দিতেই আমাদের কলিগ মাহমুদ ভাইয়ের বউ ঢুকল রুমে, ওষুধ চাইলো তার নাকি মাথা ব্যথা করছে আর ভাইয়ার গ্যসট্রিক সমস্যা! কে নাকি বলেছে আমাদের রুম ওষুধের গোডাউন!
আমি মাথা ব্যথার বাম আর টাফনিল দিলাম, সারজেল দিলাম, ইরা আপু ইমোটিল আর এলাট্রল দিলো, ছন্দা নাম মনে নেই আরও একটা মাথা ব্যথার ওষুধ দিলো। ভাবী নানারকম ওষুধ নিয়ে খুশিতে ডগমগ করতে করতে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।

আমরা রোজ কি পরিমান পরিশ্রম করি তার উদাহরণ হল এই ওষুধ! কর্পোরেট লাইফ এমনই এক যান্ত্রিক জীবন যেখানে অসুস্থ হওয়াকে শরীরের কষ্টের চাইতে ঝামেলা মনে হয়, sick হওয়া মানে Leave নেয়া। Leave নেয়া মানে Pending work. Pending work মানে অনেকের কাজ আটকে যাওয়া (Accounts ডিপার্টমেন্টের কাজ একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড থাকেই) অনেকের আটকে যাওয়া মানে অনেককে বিপদে ফেলা, অনেককে বিপদে ফেলা মানে বসের ঝারি খাওয়া, বসের ঝারি শুধু মাত্র মেনটাল টর্চার, আর কোন বাড়তি উপকার নেই এর।
এত সব কিছুর পর জমে যাওয়া ৩/৪/৫ দিনের কাজ না খেয়ে, সীট থেকে না উঠে, ডানে বামে না তাকিয়ে, ঘাড় ব্যথা রোগ বানিয়ে, মুখ একবারের জন্য ও না খুলে(কথা বলার জন্য) একদিনে কিংবা ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করা।
এই ঠ্যালা সামলানোর ভয়েই আমাদের প্রত্যেকের এই মেডিসিন প্রোটেকশন! কাজ বিষয়ে আমার নিজের তৈরি এক কৌতুক আছে সেটা হচ্ছে’’একদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে হন্তদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকে কাজ করতে করতে টের পাবো আমি হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারছিনা।
ধরবো কীভাবে! বডি তো পড়ে আছে বাড়িতে, কাজের প্রেসার আর টেনশনে খেয়ালই নাই যে মরে গেছি।‘’
যারা চাকরী চাকরী করে চাকরী পায়না তারা ভাগ্যবান! যারা কয়েকদিন পর পর চাকরী পাল্টায় তারা আরও ভাগ্যবান! সব চেয়ে ভাগ্যবান তারা যারা চাকরীই করেনা স্বাধীন বিজনেস করছে অথবা ভিন্ন কিছু।

হোটেল অবকাশের রাতে ফিরে আসি এখানে মনে হচ্ছে সি বীচ থেকে ফেরার পর থেকেই সবার মন অতিরিক্ত উতলা হয়ে গেছে! ঠিকই হচ্ছে না! বিশেষ করে ইরা আপুর মন অতিরিক্ত উতলা।


ছবিঃ ইরা আপু

স্যার এর মেয়েটা ছন্দাকে বেশ চাপাচাপি করছে, ছন্দা আর গল্প খুঁজে পাচ্ছে না, ওকে ভোলাতে এলোমেলো কথা বলছে গল্পের মত করে!
তাই ছন্দা কে নিতান্তই উপকারের জন্য গল্প বলার দায়িত্ব আমি নিলাম।
আমি পর পর ৩টা একি ধরনের কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির অভিজ্ঞতার গল্পকে একসাথে বললাম, তিন গল্পের গল্পকারদের একজন হলো হুমায়ন আহমেদ আরেকজন ভুত এফ,এম,এ গ্রাম থেকে আগত যুবক, আরেকজন হল সম্ভবত ইউকে বসবাসরত এক প্রবাসী যে কিনা ওখানকার এক স্থানীয় পুলিশের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছে। (হুমায়ন আহমেদের অভিজ্ঞতাটি হল তার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা ''কিছু শৈশব'' নামের বইয়ে ৬৯ পৃষ্ঠায় বড়মামা এবং সুবর্ণরেখা শিরোনামে লেখা।
যাই হোক তিনজন আলাদা আলাদা ব্যক্তির একিরকম অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা হল তারা প্রত্যেকে সদ্য কাটা কবরের ভেতর লাশ নামানোর আগে তারা নেমে শুয়ে পরেছিল নিতান্ত কিউরিসিটির জন্য, ফলাফল তিন জনেরই একই, তারা অবশ এবং ভারসাম্যহীন দোদুল্যমান দৃশ্য অদৃশ্য জগতে হারিয়ে যেতে যেতে অনুধাবন করছিলেন অদ্ভুত চেতন অচেতন সমস্ত জীবন এবং তলিয়ে যাচ্ছিলেন গভীর অন্ধকারে। সেটি শব্দহীন অন্ধকার অন্য একটি জগৎ। বর্ণনা শুনে সবাই তাজ্জব এবং বাকরুদ্ধ হয়ে রইলো একেকজন।
অনেক সময় রুম চুপচাপ। কেউ যেন কথা বলার শক্তি পাচ্ছে না, অবশেষে নিরাবতা ভেঙ্গে ম্যাডাম বলল ইতি তো অদ্ভুত সুন্দর করে গল্প বলতে পারো। তারপর বিরবির করলো; হুমায়ন আহমেদ লিখলে মিথ্যা লিখবেনা সত্যিই সত্যিই এমনটাই ঘটেছে!আশ্চর্য!
তারপর ম্যাডাম শুরু করলো তার সেন্সেটিভ লাইফ হিস্ট্রি। ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ৩টা।

ভোর ৫টা কিংবা তার কিছু আগে বুঝলাম ম্যাডাম সহ ইরা আপু আর ছন্দা কোথাও যাচ্ছে আমি ঘুমের মধ্যে ব্যাপারটা টের পেয়ে বললাম আমিও যাবতো তোমাদের সাথে!
ম্যাডাম বলল আমরা কোথাও যাই নাতো বাবু তুমি ঘুমাও!সে আমায় ঘুম পাড়িয়ে দিতে দিতে বলতে থাকলো আহারে বাচ্চাটা বাচ্চাটা বাচ্চাটা! সে কতবার বাচ্চা বাচ্চা করছে!!
রুমে কত বাচ্চা!? এরপর তেমন কিছু শুনতে পেলাম না ফিঁসফাঁস টুকটাক আওয়াজ করে তারা কই যেন চলে গেলো! ঘর নিরব হতেই ঘুমাতে ঘুমাতে মাথায় এলো গতকালের বাচ্চাটা কি তবে আমাদের রুমে ছিল!এখনো কি আছে! কই! আমার খাটে না পাশেরটায়??!
নাহ এত টেনশন নিয়ে আর চোখ বন্ধ করে রাখা যাচ্ছে না!
চোখের পাতা খোলাই যাচ্ছেনা এমনি অবস্থা নিয়ে জোর করে তাকালাম, রুম খালি কোন বাচ্চা কাচ্চা নেই! ওয়াশ রুম খোলা সেখানে ঘন অন্ধকার, আকাশে রক্তিম আভা, পুরা রুম খালি। লাফ দিয়ে উঠে বাইরে বেরোলাম বাইরে কেউ নেই সেখানে লম্বা বারান্দা শুনশান ফাঁকা, ভেতরে অন্ধকার কারেন্ট নেই, সূর্যের আলো নেই! শুধু আকাশ জুড়ে রক্তিম আভা।

ছবিঃ আকাশ জুড়ে রক্তিম আভা।

তিরিশ মিনিট সময় কাটলো রুমে ঢুকে আর বের হয়ে, এক সময় দূর থেকে দেখলাম তারা আসছে, তারা সি বীচে নামাজ পড়তে গিয়েছিল!
হায়রে ঢঙ!!

সকালে নাস্তা সেরে ছেড়া দীপের উদ্দেশে স্প্রিড বোর্ডে রওয়ানা হলাম! বিশাল বিশাল নীল জলের ঢেউ কেটে অল্প সময়েই ছেড়া দ্বিপ পৌঁছে গেলাম।

ছবিঃ দূর থেকে দেখা যাচ্ছে ছেড়া দ্বীপ

ছবিঃ নীল জল ঢেউ

ছবিঃ দ্বিপে উড়ছে জাতীয় পতাকা

তীরে যেতে আলাদা নৌকা ব্যাবহার করতে হল, তারপর ৪০/৫০ গজ প্রবালের উপর হাঁটার পর সব শেষে দ্বীপের মাঝামাঝি অংশে বালি। পুরা প্রসেসিংটাই বিপদজ্জনক, যে কোন বিপদ হতেই পারে; যে কোনখানে, এখন বুঝতে পারছি প্রতি বছর এখানে মানুষ বেড়াতে এসে কিভাবে মরে যায় ১! অজ্ঞতা ২! প্রিপারেশন ছাড়া আসা! ৩! অপার সমুদ্রের তীব্র উচ্ছাস আর টান।
দ্বীপে প্রবাল আর নারকেল গাছ এবং অনেকখানি স্থান জুড়ে কেয়া গাছের ছড়াছড়ি! মানুষের বসতি সেখানে নেই।


ছবিঃ ছেড়া দ্বীপের ধারালো সব প্রবাল, এগুলো হেঁটে পার হয়েই সমান্তরাল স্থানে যেতে হয়।

বেড়ার ছাদ দিয়ে এক স্থানে প্লাস্টিকের কিছু চেয়ার দিয়ে বসার স্থান, সেখানে চা, সিগারেট, কোল্ড ড্রিংকস, পানি এবং অন্যান্য হাল্কা খাবার পাওয়া যায়। প্রচুর ডাব নিয়ে একজনই ডাবওয়ালা তার হাত খুবই দ্রুত, একের পর এক ডাব কেটেই যাচ্ছে খুবই অল্প সময়ে।

ছবিঃ খাবার স্থানে বেড়ার ছাদের সামান্য অংশ

ছবিঃ আয়েশ করে ডাবের দোকানে বসে চা পান করছে আমাদের গ্রুপের কলিগ ভাইয়া

সেখানে আমরা উপভোগ করলাম তীব্র রোদ! চোখ ঝলসে যাওয়ার মত আলো।

(ওখানে যাওয়ার সময় সানগ্লাস এবং ছাতা অবশ্যই অবশ্যই নিয়ে যাওয়া আবশ্যক)কেয়া গাছ, কখনো দেখিনি এরকম ফল, রুক্ষ পা কেটে যায় এমন হাজারো প্রবাল, প্রচুর লবণাক্ত ঘন নীল পানির নীচে সাঁতার কাঁটা মাছ, কাঁকড়া, জোয়ার ভাটা ইত্যাদি


ছেড়া দ্বীপ হচ্ছে চারদিকে স্বচ্ছ কাঁচের মত নীল পানি আর প্রবালে তৈরি এক খণ্ড ভিন্ন জগৎ।


ছবিঃ অচেনা ফল

ছবিঃ দ্বীপের কাঁকড়া

আমরা দুই ঘণ্টা ছেড়া দ্বীপে কাটিয়ে ফিরে এসে তিনটার দিকে হোটেল অবকাশের পাট চুকিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। জাহাজ ভিড়লো টেকনাফ পোর্টে।
ওখানে আমাদের বাস অপেক্ষা করছে হোটেল কক্স টুডে নিয়ে যাবার জন্য। ব্যাগ লাগেজ নিয়ে আর সবার সাথে হেঁটে হেঁটে বাসের দিকে যাচ্ছিলাম চোখ পড়লো একজন মধ্যবয়সী মহিলার দিকে, দ্বিধাগ্রস্ত আর বিপদ যুক্ত চেহারা, তিনি এদিক ওদিক ঘন ঘন তাকাচ্ছে! যেতে যেতেই তাকে বললাম কি হয়েছে! বলল ছেলে মেয়ে নাতি নাত্নির সাথে এখানে বেড়াতে আসছে, কিন্তু জাহাজ থেকে বের হয়ে আর কাউকে খুঁজে পাচ্ছেনা এক সাথেই ছিল!
বললাম ফোন করেন, তার মোবাইল আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল ফোন তো যায় না একটু দেখোনা কি হইছে, দেখলাম তার ফোনে এয়ারপ্লেইন মুড দেয়া কীভাবে হয়েছে বলতে পারেনা, এয়ারপ্লেইন মুড কি তাও সে বোঝেনা।
এয়ারপ্লেইন মুড অফ করে তার হাতে মোবাইল দিতেই সাথে সাথে ফোন করে তার ছেলেকে সে পেয়ে গেলো। কাছাকাছিই ছিল সবাই কিন্তু লোকজনের ভীরে দেখতে পায়নি। আমায় ধন্যবাদ দিলো ওরা, হ্যাপি ফ্যামিলি।

ব্যাপারটা উপভোগ করতে না করতে আমার ফোন বেজে উঠলো! প্রশ্ন আমি কোথায়! সবাই বাসে উঠে গেছে আমার জন্য টেনশন করছে।
দৌড়ে বাসে উঠে দেখি চারদিকে রাগ রাগ আর রাগ। বেশি রাগ করলো আমার ডিপার্টমেণ্টের স্যার আর তার সমবয়সী অন্য ডিপার্টমেণ্টের স্যার। তাদের দুইজনেরই বয়স সত্তুর ছুঁই ছুঁই। টেনশনে তারা এত রাগ করছে, খানিকটা মন খারাপ হল!
চুপ করে সীটে বসতেই স্যারের কোলের উপর থেকে একটা ব্যাগ এগিয়ে দিলো, প্রচুর বিরক্ত হয়ে বললাম কি এটা! ইরা আপু সাইড থেকে বলল ইউনাইটেড ল্যান্ডপোর্টে ফেলে আসা তোমার জুতা! ওরা দিয়ে গেছে!

বিস্মিত হলাম! স্যার আমার জুতা হাতে নিয়ে বসে ছিল আমাকে দেবে বলে! কি আশ্চর্য! !বাসে অনেক জায়গা যে কোনখানে ফেলে রাখলেও আমি সেটি পেতাম! তবু সে সেটা ধরে রেখেছে! যদি আবার হারিয়ে যায় সেই ভয়ে!!
আমি লুকিয়ে আবার একটু স্যারকে দেখলাম তার প্রসন্ন মুখমণ্ডলে বাবার ছায়া!!!।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: হুম. বুঝতেই পারছি ভ্রমণটা উপভোগ করছেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

সামিয়া বলেছেন: 8-| 8-| 8-|

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ছেড়া দ্বীপ দেখে পুরোনো অনেক স্মৃতী মনে পরে গেলো, শেষ গিয়েছিলাম ২০১৩ সালে আর যাওয়া হয়নি!!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

সামিয়া বলেছেন: আবার ঘুরে আসুন , নিজেকে ভালো রাখার জন্য বছরে একবার হলেও ভ্রমন জরুরী।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যারা চাকরী চাকরী করে চাকরী পায়না তারা ভাগ্যবান! যারা কয়েকদিন পর পর চাকরী পাল্টায় তারা আরও ভাগ্যবান! সব চেয়ে ভাগ্যবান তারা যারা চাকরীই করেনা স্বাধীন বিজনেস করছে অথবা ভিন্ন কিছু।কথা গুলি খুব ভাল লাগল। আসলে চাকরি বাকরি করা বিরক্তিকর।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

সামিয়া বলেছেন: শুধু বিরক্তিকর যে তাই ই নয় মেশিন হতে হয় মেশিন।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

ক্লে ডল বলেছেন: প্রথম ছবিটি অসাধারণ। বাকী গুলোও সুন্দর!

আপনার কলিগদের মাঝে গভীর আত্নিক সম্পর্ক বিদ্যমান, তা বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায়।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

সামিয়া বলেছেন: এটা ট্রিপে হয়েছে, অফিসের পরিবেশ আলাদা।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

রাতু০১ বলেছেন: ইমোশনের কারুকাজটা আপনার ভালো হয়।

স্যারকে দেখলাম তার প্রসন্ন মুখমণ্ডলে বাবার ছায়া!!!।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

সামিয়া বলেছেন: আসলে যা ফিল হয়েছে তাই এক্সপ্রেস করেছি, ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে !

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভকামনা।।

৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছবিঃ আয়েশ করে ডাবের দোকানে বসে চা পান করছে আমাদের গ্রুপের কলিগ ভাইয়া


ডাবের দোকানে চা?


আমি লুকিয়ে আবার একটু স্যারকে দেখলাম তার প্রসন্ন মুখমণ্ডলে বাবার ছায়া!!!।

অসাধারণ!

ধন্যবাদ বোন ইতি সামিয়া।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

সামিয়া বলেছেন: ভাইয়া ওটা তো ফান করে লিখেছি, আমি তো আগেই বর্ণনা করেছি ছোট্ট পরিসরে একটু বেড়ার ছাদ দিয়ে মানুষের চা সিগারেট পানি আর ডাব খাওয়ার জায়গা। অনেক অনেক ভালো থাকবেন। থ্যাংকস।

৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জুন বলেছেন: যেমন সুন্দর বিস্তারিত বর্ননা তেমনি ছবি ইতি সামিয়া । অনেক ভালোলাগলো আপনার প্রথম সমুদ্র ভ্রমন ।
আর আপনার অচেনা ফলটি হলো কেয়া ফল। ছবির সাথে মিলিয়ে দেখুন , আর গাছ তো আপনি দেখেছেন :)


+

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

সামিয়া বলেছেন: মাই ডিয়ার সুইট জুন আপি আমিও একটু একটু অনুমান করেছিলাম ওটা কেয়া ফল বাট লিটল বিট কনফিউসড হওয়ায় কেয়া ফল লিখিনি যদি ভুল ইনফরমেশন হয়!!! অনেক থ্যাংকস অ্যান্ড কেয়া ফল চিনিয়ে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞ।

৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সুমন কর বলেছেন: শেষটা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। তাই +।

ভ্রমণ ভালো হয়েছে, হচ্ছে.......!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

সামিয়া বলেছেন: আপনি প্রথম থেকেই এই সিরিজে কমেন্ট করে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন, আই এ্যাম সো হ্যাপি।

১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আবারো মুগ্ধ হলাম ছবি আর বর্ণনাতে। এত সুন্দর আকাশ! আকাশের এমন রঙ কি এডিট করে করা হয়েছে? এমন অপূর্ব সুন্দর আকাশ আমি সেন্ট মারটিনে দেখতে পাই নি।

আপনার কাছ থেকে ঔষধ না পেলে ভাবী বিরাট বিপদে পড়তেন। সেন্ট মারটিনে দুটো অষুধের দোকান আছে কিন্তু তাতে এমন সব ফার্মাসিউটিকল কোম্পানির অষুধ পাওয়া যায় যার নাম পর্যন্ত জীবনে শুনি নি। আবার কক্স বাজারেও আনেক খুঁজে ফার্মেসী পেয়েছিলাম ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০০

সামিয়া বলেছেন: গাঙ্গচিল উড়ে বেড়াচ্ছে ওই আকাশটায় একটু কালার টাচ করেছি, আর প্রথম ছবিটা সমুদ্রের নীল রঙ সবুজ রঙে পরিবর্তনের জন্য ওভারলেআউট করেছি ,বাকী ছবি উইদাউট এডিট। ওখানকার সন্ধ্যা নামার মুহূর্তে এবং সূর্য ওঠার মুহূর্তে আকাশ এমনটাই হয়ে থাকে। আপনি কেন দেখেননি বুঝতে পারছি না। হতে পারে একেক ঋতুতে একেক রকম আকাশ।
আর ওষুধ সহ অনেক টুকিটাকি ব্যাপারে প্রিপারেসন নিয়ে গিয়েছিলাম, পরে দেখেছি সবই কাজে লেগেছে। ভ্রমনে গেলে অবশ্যই সব ব্যাপারে সচেতন এবং যতটা সম্ভব প্রোটেকশন নিয়ে বের হওয়া উচিৎ।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

পবন সরকার বলেছেন: ছবিঃ আয়েশ করে ডাবের দোকানে বসে চা পান করছে আমাদের গ্রুপের কলিগ ভাইয়া

ডাবের দোকানে চা? তাহলে কি চায়ের দোকানে ডাব পাওয়া যায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

সামিয়া বলেছেন: ওটা আমি ফান করে লিখেছি, আমি তো আগেই বর্ণনা করেছি ছোট্ট পরিসরে একটু বেড়ার ছাদ দিয়ে মানুষের চা সিগারেট পানি আর ডাব খাওয়ার জায়গা। ভালো থাকবেন।

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সামিয়া আপু, আপনার লেখার মধ্যে সহজ, সরল, গল্প বলার ঢং থাকে। আমার খুবই ভালো লাগে এজন্যে পড়তে। শেষের আবেগ মন ছুঁয়ে গেল। আর ছবি সবগুলোই সুন্দর এবং কয়েকটা মারাত্মক সুন্দর।

অসাধারন সিরিজে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

সামিয়া বলেছেন: সো সুইট অফ ইউ ডিয়ার। থ্যাংকস থ্যাংকস থ্যাংকস একশোটা থ্যাংকস। :) :)

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২২

নির্বাক শাওন বলেছেন: শেষ?
যাই হোক, ৪টা পর্বই একবারে পড়লাম। ভাল লেগেছে। আর আপনার ফটোগ্রাফী; হ্যাটস অফ। ছবিগুলো আসলেই সুন্দর। আর বর্ণনা?
মনে হচ্ছিল চোখের সামনে সব ঘটছে।
সাবলীল প্রকাশভঙ্গী। নির্দ্বিধায় আবেগ, অনুভুতিগুলো প্রকাশ করতে সাহস লাগে, কারণ এখানে বর্ণনাকারীর ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। সবমিলিয়ে, অ-সা-ধা-র-ণ!!!!
পুনশ্চ: সেন্টমার্টিন যাওয়ার সু্যোগ হয়েছিল এবছর, কিন্তু কিছু ফালতু অযুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিলাম। আফসোস হচ্ছে এখন!!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

সামিয়া বলেছেন: প্রথমত ধন্যবাদ চার টা পর্বই পরেছেন বলে, ছবি গুলো সহ আমার লেখা সম্পর্কে পজেটিভ আলোচনা শুনে আমি অতিরিক্ত হ্যাপি। B-) B-)
সেন্টমার্টিন যাওয়ার সুযোগ নেক্সট টাইম এলে কিছুতেই আর হাত ছাড়া করবেন না। সমুদ্র আপনার মনকে কিছুটা হলেও সুখী করবে। তবে অনেক প্রোটেকশন নিয়ে যাবেন, ওখানকার ওয়েদার অনেক ডিফারেন্ট যা আমাদের শরীরে স্যুট করেনা, আবার অনেক বিপদ ও হতে পারে, যেমন ফেরার সময় পোর্টে দেখলাম একদল ছেলে এসেছে কেবলি , তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই বেহাল। কাপর চোপড়ের ব্যাগ লাগেজ নিয়ে দিশেহারা, মোটামুটি স্বাস্থ্যবান এক ছেলে কীভাবে যেন পা ভেঙ্গেছে বা মচকে গেছে, তাঁর ওজনের কারনেই সাথের বন্ধুরা কেউ হেল্প করতে পারছেনা, ওইদিকে হাসপাতাল নেই ডাক্তার নেই, চিকিৎসা করতে হলে আবার ফিরে যেতে হবে, সে উপায় নেই, ফিরে যাওয়া বললেই হয়না, টিকেট কেটে তার পরদিন ফিরতে পারবে, ছেলে মানুষ তবু দেখলাম ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। ছোট ছোট ভ্যান এ চরার অবস্থাও তার নেই, উনার ফ্রেন্ডদের ভাব দেখে বুঝলাম ওই অবস্থায়ই ওরা হোটেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভ্যানে ওকে টেনে হেঁচড়ে তুলছে। যেহেতু ওরা ছেলে তাই ওদের কিছুই বলিনি আমার গ্রুপ আর ওদের গ্রুপ সবাই মাইন্ড করবে ভেবে। ছেলেটার কষ্ট হচ্ছে ব্যাথায় নাক মুখ কুঁচকে আছে, কিন্তু বন্ধুদের বলছে ঠিকাছে, অসুবিধা নাই, ওর বন্ধুরাও তাই ভেবে বসে আছে, ঘটনার সিরিয়াস ভাব নেই তেমন বাকী ছেলেদের।

১৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: উপভোগ্য পোষ্ট ।
ভ্রমন আয়েশে উপভোগ করলাম ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস এডওয়ার্ড মায়া

১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ছবি এবং বর্ননা খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস অনেক ভালো থাকবেন।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৪

আমি মাধবীলতা বলেছেন: আপু !!!! অসাধারণ পোস্ট !!!!
ছবিতেই এতো সুন্দর আর চোখের সামনে দেখলে যে কী হবে !!
আকাশটা এতো বেশি সুন্দর কেন !!! সত্যি ছবিগুলো দেখে মন আর টিকতে চাইছে না !

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ডিয়ার মাধবীলতা।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: র্পোরেট লাইফ এমনই এক যান্ত্রিক জীবন যেখানে অসুস্থ হওয়াকে শরীরের কষ্টের চাইতে ঝামেলা মনে হয়, sick হওয়া মানে Leave নেয়া। Leave নেয়া মানে Pending work. Pending work মানে অনেকের কাজ আটকে যাওয়া (Accounts ডিপার্টমেন্টের কাজ একটার সাথে আরেকটা রিলেটেড থাকেই) অনেকের আটকে যাওয়া মানে অনেককে বিপদে ফেলা, অনেককে বিপদে ফেলা মানে বসের ঝারি খাওয়া, বসের ঝারি শুধু মাত্র মেনটাল টর্চার, আর কোন বাড়তি উপকার নেই এর

পারফেক্ট এনালিসিস :)

একদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে হন্তদন্ত হয়ে অফিসে ঢুকে কাজ করতে করতে টের পাবো আমি হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারছিনা।
ধরবো কীভাবে! বডি তো পড়ে আছে বাড়িতে, কাজের প্রেসার আর টেনশনে খেয়ালই নাই যে মরে গেছি।‘’

আপনার কৌতুক পড়ে স্তব্ধ হয়ে বসে আছি!!!!
ইটস টু হার্ড রিয়েলিটি রিফ্লেক্টস -অব প্রাইভেট জব লাইফ!!!!

মুগ্ধতা অসীম

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

সামিয়া বলেছেন: হাসতে হাসতে একটু কষ্ট শেয়ার করেছি, ভেবেছিলাম কেউ বুঝতে পারবেনা।
যাই হোক আপনার অসীম মুগ্ধতায় আনন্দিত। ভালো থাকবেন।

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: এটাও অসাধারন!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। 8-|

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সব ছবি সাবলীল বর্ননায় আপনার পোষ্টটি অনেক ভাল লেগেছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ভাই সুজন। বি হ্যাপি ।

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

আমি ইহতিব বলেছেন: শেষটা দারুনভাবে করলেন। তাই এটা আপনার জন্য


১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬

সামিয়া বলেছেন: ওলে কিউট মামনিটা :) Thanks এত special gift এর জন্য। baby টা আপনার কি হয়??

২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

আমি ইহতিব বলেছেন: আমার ছোট কন্যা :)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪০

সামিয়া বলেছেন: মাশআল্লাহ!! অনেক অনেক আদর এই ছোট পরীটাকে........

২২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৩৪

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আপনি একা একা গেলেন আমাকে বললেনও না :( কত্ত মজা করছেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

সামিয়া বলেছেন: অফিসের আমাদের ডিপার্টমেন্টের সাথে গিয়েছিলাম ভাই। আহা তোমাকে না নিয়ে যাওয়ায় বেশ খারাপ লাগছে ।। =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.