নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীবাদ, মৌলবাদ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজবাদ সবমিলিয়ে নারী অতি তুচ্ছ জাতি

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪





নারীবাদ, মৌলবাদ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজবাদ অমুকবাদ তমুকবাদ কম বেশি সবখানে সব মিলিয়ে নারীকে তার অবস্থান নিয়ে এই কথা ভাবতে বাধ্য করে যে তুমি নারী এবং তুমি স্বাভাবিক ভাবে ন্যূনতম সন্মান নিয়ে টিকে থাকতে চাইলে আমাদের সাহায্য নিতেই হবে তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ তুমি অতি তুচ্ছ জাতি।

একজন নারীকে বার বার তুমি নারী তুমি নারী স্মরণ করিয়ে দেয়ার অর্থ নারীকে হীনমন্য করা, আর এটাই হয়ে আসছে আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে।

পরিবার থেকেই বোঝানো হয় কি দরকার লেখাপড়া করার বরং ভালো করে রান্নাটা শেখো,
শশুর শাশুড়ি স্বামীকে রান্না করে খাওয়াতে হবেনা? সে দায়িত্ব তো শুধু তোমার, এই তোমার জীবন কারন তুমি নারী। এর থেকে বেশি কোন শখ ইচ্ছা আহ্লাদ তুমি করতে পারবেনা। চাকরী বাকরি করার প্রয়োজন নেই ওসব করবার মত ব্রেন তোমাকে দেয়া হয়নি, তোমাকে তৈরি করা হয়েছে কেবল রান্না বান্নার জন্য, স্বপ্ন দেখার দরকার নেই, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই, বাইরে নানা বিপদ কারন তুমি নারী, ঢাকো তোমার শরীর ঢাকো মুখমণ্ডল ঢেকে রাখো কারন তুমি নারী।

একদিন এক বোরখা পড়া মহিলাকে দেখলাম মুখের নেকাপ ঢাকা অবস্থায় বমি করছে, অনেক বলার পরও সে মুখের পর্দা সরায়নি কেননা সে নারী, মুখের নেকাব সরালে বেপর্দা হবেনা!
পর্দা শুধু মেয়েরা করবে, বউরা করবে, আর জামাইরা লাল শার্ট, নীল জিন্স, কালো সানগ্লাস পড়ে ফিটফাট বসে বসে মেয়েদের দেখবে তাতে কোন পাপ নেই।

ধর্ম সবার জন্যই তো সমান না কি?? কোন ধর্মেই বলা হয়নি তোমরা শুধু মেয়েদের বস্তায় বস্তায় কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে তোমরা হেয়ার জেল মেখে, ক্লিন সেভ করে, জিন্স, টি শার্ট পড়ে নায়ক সেজে মেয়েদের পাশে ঘুর ঘুর কর।

একদিন একটি সোশ্যাল সাইটে দেখলাম এক লোক মন্তব্য করেছে, “কচু পাতাও শাক মেয়েরাও মানুষ!’’ মেয়েদের চলতে ফিরতে পথে ঘাটে অফিসে আদালতে তুচ্ছ করে ছোট করে এমন হাজারো কথা হাজারো অঘটন ঘটছে ঘটেই চলছে, এই আধুনিক যুগেও কচু পাতার মতন নিম্নমানের মনে করে নারীদের।

রোজ পত্রিকা খুললেই দেখা যায় গৃহবধুর আত্মহত্যা, খুন, জখম, নির্যাতন ইত্যাদি হচ্ছেই।
যেন নারী জাতি এমনি এক জাতি যাদের সাথে যে কোন কিছু করা যায়, এরা যেন আসলে কোন মানুষের পর্যায়ে পড়েনা, এদের ইচ্ছে করলেই গায়ে হাত তোলা যায়, ব্যাঙ্গ করা যায়, এরা যুগে যুগে এসেছেই পৃথিবীতে ক্রীতদাস হয়ে।

একদিন সকালে বাসে করে অফিস যাচ্ছি, ইদানিং সিটিং বাসে গান শোনার ব্যবস্থা থাকে। বিশ্বরোড এসে এমন জ্যামে পড়লো বাস, বাসের ড্রাইভার তখন অত্যন্ত ভক্তি ভরে কোন একজন মাওলানার ওয়াজ চালু করে দিলো।
মাওলানা খুব দ্রুতই আল্লাহ্‌ রাসুল নামাজ থেকে বিষয় গিয়ে ঠেকালো নারী জাতিতে।
সে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ তারমতে বর্তমানের নারী জাতি এ এক অশ্লীল জাহান্নামী জাতি ওয়াক থু থু এই বয়ান দিয়ে সে বক্তব্য আরম্ভ করলো, বলার অপেক্ষা রাখেনা ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত লোকজনের ঘন ঘন উচ্ছ্বাসিত করতালিতে মাওলানার কণ্ঠস্বর ঢেকে যাচ্ছিলো, নারী জাতিকে অশ্লীল বলে ছোট করাতেই এক ধরনের কুৎসিত আনন্দ উপভোগ করে আমাদের সমাজের বিরাট সংখ্যক মানুষ।
কিন্তু নারীরা এর কোন প্রতিবাদ করতে পারবেনা। প্রতিবাদ করলে, পুরুষের হ্যাঁ তে হ্যাঁ না বললে, তুমি তনু হবে, তুমি রিশা হবে,, তুমি খাদিজার মত মাথায় কোপ খাবে।

এই হচ্ছে অতি তুচ্ছ নারী জাতির জীবন। মাওলানার বক্তব্যে ফিরে আসি সে প্রবল প্রতাপের সাথে বলতে থাকলো
নারী জাতি হইলো নরম জাতি কোমল জাতি মায়ের জাতি অথচ এই কোমল নরম শরীর নিয়া নারী মাঠে ঘাটে দৌড়াবে পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অফিস আদালতে কাজ করবে এটা কি ঠিক?? উপস্থিত জনগন একত্রে বলে উঠলো না কিছুতেই না, হুজুর বলল বলুন নাউজুবিল্লাহ আস্তাগফিরুল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!!!
নারীর শরীর হইলো তার স্বামীর জন্য, তার স্বামীর বাচ্চা ধারন করার জন্য, লালন পালন করে সন্তান বড় করার জন্য কিন্তু তা না করে আজকালের নারীরা কি করতেছে? হাদিসে আছে মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত, কিন্তু না!
আমি বলবো না,
আসলে স্বামীর পায়ের নীচে মেয়েলোকের বেহেশত।
স্বামীর যদি অসুখ হয় শরীরের কোন অংশ কেটে গিয়ে যদি আহত হয় অথবা ঘা হয় সে ঘা দিয়ে পুজ পড়ে তবে স্ত্রী যদি সে পুজ/ রক্ত জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করে দেয় তবে তার বেহেশত নিশ্চিত।
আল্লাহ্‌ তায়ালা মহিলাদের জন্য কত সহজে বেহেশত যাওয়ার পথ করে দিয়েছেন দেখছেন??

মানুষের মন কতটা নীচ হলে এত কুৎসিত মন গড়া কথা বলতে পারে ধর্মের নামে!!
নারীদের নিয়ে কুৎসিত আলোচনাই যেন এক তৃপ্তিদায়ক বিনোদন।
কেন এত আধুনিক যুগে এসেও এই নীচ ছোট মন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেনা! কেন মানুষ হিসেবে সহানুভূতি কাজ করেনা!
স্বজাতির লিঙ্গ ভেদাভেদ কে কেন্দ্র করে এই যে যুগ যুগ ধরে নির্যাতন কেন! কেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েদের দাবিয়ে রাখা, পথ রোধ করা, কেন!
কেন বলতে হবে নারী নির্যাতন বন্ধ করুন কেন বলতে হবে আমরা শুধু নারী না মানুষ, একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষ কে নির্যাতন বন্ধ করুন, কেন বলতে হবে?
এমন দিন কবে আসবে যেদিন নারীবাদ নারীসংঘ করতে হবেনা অধিকার আদায়ের জন্য।
কবে আসবে সেই দিন যেদিন নারীরা যে রক্ত মাংসের মানুষ তারও যে কিছু ইচ্ছে আছে চাওয়া পাওয়া আছে ভালোলাগা আছে সেটার উপর পরস্পর সবাই শ্রদ্ধাশীল হবে, স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারবে।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সহমত আবার দ্বিমতও আছে লেখায়

সুন্দর লিখেছেন ভাল থাকুন আপি

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

সামিয়া বলেছেন: আন্দাজ করতে পারছি আপনি কোথায় দ্বিমত হয়েছেন সেরকম অর্থে বলিনি কিছু আপি, আপনিও ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: //আসলে স্বামীর পায়ের নীচে মেয়েলোকের বেহেশত। //
..........ধর্মের নামে এইসব বাড়াবাড়ি কোন পর্যায়ে চলে গিয়েছে ! মূলত বেহেশত কারো পায়ের নীচে থাকতে পারে না কারন একজন নবী, একজন রাসুল সর্বোপরি পরিক্ষিত একজন মানুষ থাকবেন সেখানে যেটা কিনা একটা লম্পট স্বামীর পায়ের নীচে যার একমাত্র যোগ্যতা পৌরষ্য ! হোয়াট এ লজিক !
শর্তারোপের অঙ্গুলি নির্দেশ করা ছাড়া আর কোন কাজ না থাকলে আর কি করবে বেচারারা ! থ্রি ইডিয়রটস মুভির মত বলতেই হয় ইগনোর ইগনোর ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

সামিয়া বলেছেন: আপনি কখনো ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন?? আমি বাসের এই রেকর্ডিং ছাড়াও এলাকার কয়েক টা মাহফিল প্রচণ্ড মাইকের আওয়াজ বাড়ি পর্যন্ত আসায় কানে এসেছে , , এবং প্রায় প্রতিটি মাহফিলের একটা বিরাট অংশ থাকে এই মেয়েলোক নিয়ে তারা কি সুন্দর করে যে মেয়েদের ছোট করে হাস্যরসের মাধ্যমে কত রকম নিন্দা যে করে, শুনে ঘৃণায় শরীর রি রি করে উঠেছে।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: হ্যা, আমি শুনেছি এবং তাদের বাচন ভঙ্গিমা এমন ভয়ংকর থাকে যে আমি সত্যিই ভয় পেয়ে যাই, মনে হয় কাছে পেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবে ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

সামিয়া বলেছেন: আসলেই ।।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নারীবাদ নারীকে মনে করিয়ে দেয় না সে দুর্বল - তার সাহায্য লাগবে ইত্যাদি। এটা আপনার ভুল ধারনা বলে মনে হলো

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

সামিয়া বলেছেন: হতে পারে

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

সালমা ইসলাম বলেছেন: আসলেই ঠিক আপি

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ডিয়ার

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নারী জাতির শত্রু নারীরাই ! নারীবাদের নামে নারীদের আলাদা নারীরাই করছে, স্বার্থান্নেষীদের হাতের পুতুল বানাইছে, মানুষ থেইকা নারী বানাইছে।
ভালো মন্দ সব জায়গাতেই আছে।সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মের বাণী পৌঁছে দেওয়ার একটা কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ওয়াজ-মাহফিলের দরকার আছে । অকার্যকর হয় যখন বক্তা অডিয়েন্সকে মাতিয়ে রাখার চেষ্টা করে , বকতে বকতে তক্তা হইয়া যায়।তখনই নারীদের নিয়ে চটুল কথা হইতে থাকে। তবে সবাই একরকম তো নয়।

সমস্যা হইলো মুসলমানের খারাপটাই বেশি দেখা হয় আর এটাই স্বাভাবিক। সাদা কাপড়ে দাগ পড়ে বেশি।নারীর পক্ষে লিখতে গিয়ে ধর্মকে, পর্দাকে খোঁচা দেওয়া যেন একটা ট্রেন্ড হইয়া দাড়াইছে ! ধর্মে নারীদের যে সম্মান, অধিকার দেওয়া হইছে সেইটা জানেওনা বলেওনা !

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

সামিয়া বলেছেন: সমসাময়িক যা চোখে পড়েছে সল্প পরিসরে তুলে ধরেছি। আমার লেখায় পর্দা কিংবা ধর্ম কে খোঁচা জাতীয় কিছু নেই, আমি ধর্মপ্রাণ মানুষ, বর্তমানে এটাও একটা ট্রেন্ড হইছে কেউ কোন টপিক নিয়ে কিছু বললেই সেটা ধর্মের পক্ষে বিপক্ষে দাড় করানো হয়।
অবশ্যই ধর্মে নারীদের সম্মান, অধিকার দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়েও পুরুষরাই বলে বেশি কিন্তু করে সেটাই যেটা তাদের ইচ্ছে হয়।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ইসলাম ধর্মে নারীর আসন অনেক উঁচুতে।

সমস্যা হয় ধর্ম সঠিকভাবে না জানার কারনে।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

সামিয়া বলেছেন: একমত, এবং ধর্মের আইনের অপব্যাখ্যা জেনেশুনে।

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



"Tarzan00007 বলেছেন: নারী জাতির শত্রু নারীরাই ! নারীবাদের নামে নারীদের আলাদা নারীরাই করছে, স্বার্থান্নেষীদের হাতের পুতুল বানাইছে, মানুষ থেইকা নারী বানাইছে।
ভালো মন্দ সব জায়গাতেই আছে।সাধারণ মানুষের কাছে ধর্মের বাণী পৌঁছে দেওয়ার একটা কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ওয়াজ-মাহফিলের দরকার আছে ।"

"ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ইসলাম ধর্মে নারীর আসন অনেক উঁচুতে।

সমস্যা হয় ধর্ম সঠিকভাবে না জানার কারনে।"

-দু'জনের সাথে সহমত।

সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করছি।

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব

৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: ইসলাম ধর্মে নারী তুচ্ছ নয়। নারীর স্থান সবার উপরে...

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

সামিয়া বলেছেন: জানিরে ভাই , আমি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কিছু বলিনি।

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে নিজের মনে কিছু এলোমেলো চিন্তা হল। নিচে তা তুলে ধরলামঃ

দূর্বলের উপর সবলের অত্যাচার চিরকালের। এটা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, হয়তো ভবিষৎ এ থাকবে। শরিরীক, মানসিক এমনকি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা নারীদের প্রতি বৈষমূলক আচরনের এই দূর্বলতা গুলোই হয়তো মূল কারন। প্রকৃতির দিকে তাকান পুরুষ সীংহ কর্তৃত্ব করে তার গোত্রের উপর, পুরুষ হরিণের সিং আছে। এখন এসব ভেবে সীংহি বা হরিণী যদি মন খারাপ করে থাকে তাহলে তো তাদের দুঃখ বাড়বে বৈ কমবে না। বলতে পারেন মানুষ কি তাহলে পশু? না পশু না, পশুর সাথে তার পর্থক্য জ্ঞানে, বুদ্ধিতে এবং সভ্যতায়। এই জ্ঞান বুদ্ধি এবং সভ্যতায় যে জাতি যত উন্নত সে জাতির মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরন তত কম। তাই নারী নির্যাতন রোধে নারী আন্দোলন যতটা না জরুরী তার চেয়ে জরুরী সমাজকে শিক্ষিত এবং সভ্য করার আন্দোলনের।

হুজুরের ওয়াজ মাহফিলের বর্ণনা দিয়ে আপনি দুঃখ করেছেন। কেন? আপনার মত শিক্ষিতা একজন নারী কেন এক মধ্যযুগীয় হুজুের কথা শুনে এত কষ্ট পাবেন। এ হুজুরের না আছে ধর্মীয় শিক্ষা না আছে সভ্যতা জ্ঞান। ইসলাম নারীকে কতটুকু সম্মান দিয়েছে তা নিয়ে হয়তো বিতর্ক করা যায় কিন্তু একজন মা কে ইসলাম যে সম্মান দিয়েছে তার দৃষ্টান্ত বিরল। সেটুকুও এই মূর্খ হুজুর জানেনা।

আপনি বলেছেন, পর্দা শুধু মেয়েরা করবে, বউরা করবে, আর জামাইরা লাল শার্ট, নীল জিন্স, কালো সানগ্লাস পড়ে ফিটফাট বসে বসে মেয়েদের দেখবে তাতে কোন পাপ নেই।
অথচ সূরা আননূরের ৩০ নং আয়াতে প্রথমেই বলা হয়েছে " হে মূমিনগন তোমরা তোমাদের দৃষ্টিকে নত রাখ..........." তারপর বলা হয়েছে নারীদের পর্দা প্রসঙ্গে।


নারীকে কে কচুর শাকের সাথে তুলনা করেছে তা নিয়ে দুঃখ করেছেন, এদিকে অনেক নারী যে পুরুষের স্বভাবের সাথে কুকুরের স্বভাবের তুলনা করেন তা নিশ্চয় আপনার অজানা না। এ রকম তিক্ত, মধুর কাদা ছুড়া ছুড়ি পরস্পরের মধ্যে রয়েছে। তরপরও একজন নারীকে ভালবেসে পুরুষ জীবন দিচ্ছে, আবার নারীরা জীবন দিচ্ছে পুরুষের জন্য।

নারী নির্যাতনের জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কে দায়ী করেছেন। সব ক্ষেত্রে কি এটা সত্য? অধিকাংশ গৃহপরিচারকা নির্যাতিত হন গৃহকত্রী দ্বারা। আবার স্ত্রী নির্যাতনেও অনেক ক্ষেত্রে পরোক্ষ ভূমিকা থাকে শাশুড়ী বা নোনদের।

এবার একটি বিজ্ঞাপনের কথায় আসি মেয়ের বাবা মেয়েকে বলছেন " সার্জেন্ট ছেলে ছয়ফুট দুই.............."।
মানে বাবা তার পাঁচ ফুট চার পাঁচ ইঞ্চি (আন্তাজ), পড়া লেখা শেষ করেনি এমন এক মেয়ের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন ছয়ফুট দুই ইঞ্চি লম্বা, হ্যান্ডসাম, প্রতিষ্ঠিত এক সার্জেন্ট ছেলের কাছে। অর্থাৎ বাবা তার মেয়ের চেয়ে অনেক বেশি সুপারিয়র এক ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন তার মেয়েকে । এখন বিয়ের পর এই সংসারে ডোমিনেট কে করবে? বাস্তব জীবনেও একটা মেয়ের জন্য সবদিক থেকে তারচেয়ে সুপরিয়র ছেলে দেখে বিয়ে দিতে চাই আমরা তারপর সংসারে যখন ছেলেটি ডোমিনেট করে তখন হতাশ হই।

আপনি আলেকজান্ডার বা নেপোলিয়ন হতে পারবেন না কারণ নারী হিসাবে আপনার সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা নিয়ে যদি আপনার দুঃখ থাকে তবে আপনার দুঃখে শান্তনা দেয়া ছাড়া আমার কিছু বলার নাই কিন্তু চাইলে আপনি ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, হেলেন কেলার বা মাদার তেরেসা হতে পারেন এবং পৃথিবীকে সুন্দর করতে আলেকজান্ডার এর চেয়ে এই সব মহিয়সী নারীদের অনেক বেশী প্রয়োজন।
তাদের প্রতিনিধি হিসাবে বোন আপনার প্রতি আমার অভিবাদন। ধন্যবাদ।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

সামিয়া বলেছেন: আপনি অনেক ভালো ভালো কথা বলেছেন, ভালো লেগেছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন শান্ত হয়েছে, ভালো থাকুন অনেক অনেক।

১১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আল ইফরান বলেছেন: সকল ধরনের মতবাদই দিন শেষে আমাদের মধ্যে বিভক্তি ছাড়া আর কিছুই ডেকে আনে না।
সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন B:-/

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ডিয়ার আল ইফরান

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বস্তায় বস্তায় রাগ ঝেড়ে গেলেন আপু।

ভালো লিখেছেন।

আমরা যতটা যতনে নারীকে রাখতে চাই, ততোটা যত্ন করে ধর্মকে রাখতে পারলে দুনিয়াটা সুখের হতো, ভালোবাসায় ভরে ওঠতো পৃথিবীর সকল মানুষের অন্তর।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

সামিয়া বলেছেন: হাহা থ্যাংকস ভাইয়া বি হ্যাপি

১৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

আরিফ খন্দকার ॥ বলেছেন: নারীর বেহশত স্বামীর পায়ের নিচে বলে যারা ওয়াজ করেন, যারা মুক্তমনা বলে ইসলামকে ব্যঙ্গ করেন সবগুলোই সমাজের চতুর্থ শ্রেণীর কিট।
কুরআন এবং সহীহ সুন্নাহতে এই উক্তির কোন প্রমাণ নেই। সহীহ প্রমাণ দিতে পারলে আমি অষ্টম শ্রেণীর মূর্খ॥

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

সামিয়া বলেছেন: সেটাই

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: আপনার এই লেখাটি ওদের ভাল লাগবে না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।

তবুও চালিয়ে যান, কাউকে না কাউকে সাথে পাবেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

সামিয়া বলেছেন: কিন্তু ভুল বোঝে যে! লিখলাম কি আর বুঝতেছে কি!! Thanks anyways

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

বিজন রয় বলেছেন: আমি তো সেটাই বললাম। ওদেরকে আপনি আমি বোঝাতে পারবো না। শুধু পারবে বাসে বসে শোনা সেই মাহফিলের হুজুর।
ওদেরকে কি কোনদিন লাইন মতো কথা বলতে দেখেছেন? আর ওদেরকে কোনদিন কোন বিষয়ে জয়ী হতে দেখেছেন? ওদের কোন সাফল্য আছে? না না না ।

তো কি......... আপনি আপনার দর্শনেই থাকবেন।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২০

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস

১৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আসলে নারী মুক্তি কোথায় সেটাই বোঝতে পারলাম না।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

সামিয়া বলেছেন: আপনি বুঝতে পারবেন না সেটাই স্বাভাবিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.