নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সূর্য বাবুর মৃত্যু উপাখ্যান

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩২



প্রতিদিনের মত ভোর রাতে সূর্য বাবু স্নান করতে গেলো পদ্মা নদীতে, নদীর পাড়ে যেখানটায় সে রোজ ঘটি বাটি সাবান কেস, গামছা এবং লুঙ্গি খানা রাখে সেখানেই সেগুলো রাখলো, এবং সামনে যেখানটায় বেলে মাটি পায়ের তলায় নরম হতে থাকে সেই বরাবর কিছুদূর এগিয়ে গেলেই কোমর সমান জল। নদীর এই দিকটায় তেমন জনবহুল না হওয়ায় পাকা ঘাট তো দূরে থাক একটা গাছের গুড়িও নেই, তবু সূর্য বাবু এভাবেই স্নান সেরে নেয় রোজ।

আজ জলে নামার পর নদীর জল আরও কোমল আরও আরামদায়ক ঠেকলো আহা ভগবান!! বেঁচে থাকায় যে এত সুখ!! মুখে খানিক জল নিয়ে কুলকুচি করে খানিকটা খায় এভাবেই তার স্নান শেষ করে সেইখানে চলে আসে সে যেখানে তার সাবান কেস গামছা লুঙ্গি রাখা, এবং ঠিক যখন ঝুঁকে সে গামছা তুলতে গেলো নাকে প্রচণ্ড অসহ্য গন্ধে পেটের নাড়ীভুঁড়ি বেরিয়ে আসার যোগাড় হলে উঠে ঘুরে দাঁড়াতেই সেখানটায় চোখ পড়লো।

একটা পঁচা গলা লাশ! হরহর করে বমি করে দেয় সূর্য বাবু। তারপর অজ্ঞান। ঠিক কতক্ষন পর জ্ঞান ফিরেছে মনে করতে পারেনা। সকালের সূর্যের ঝকঝকে রোদ যেন চিত হয়ে অর্ধচেতন অবচেতনে পরে থাকা সূর্য বাবুর চোখ গেলে দেবে সূর্যের তাপ। সে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই আবারো দেখল মেয়েটিকে, নাহ চেহারা কিছু বোঝা যাচ্ছে না, মুখ শরীর বেশির ভাগ অংশই পোড়া, একটা ব্যাপারে সূর্য বাবু চমৎকৃত হল সেটি হচ্ছে মেয়েটির শরীর ভর্তি গহনা!

একে একে নাকমুখ কুঁচকে পঁচা গন্ধ সহ্য করে সব খুলে নিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় দিলো সূর্য বাবু, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে সেগুলো আলমিরায় রেখে রীতিমত হাঁপাতে লাগলো!
কিছুটা অসুস্থবোধ করতেই চাঁদর মুরি দিয়ে শুয়ে পড়লো সে।


চোখ মেলে তাকালো যখন, তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে, প্রথমে কিছুই মনে করতে পারলো না, বুঝলো খাটে শুয়ে আছে সে, কিন্তু তার চারপাশে সবাই ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে কেন! কি হয়েছে! প্রত্যেকে কেমন উদ্বিগ্ন। মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে, তবু বউয়ের হাতে হাত পাখা, মেয়ে পায়ের তলায় তেল মালিস করছে। ব্যাপার কি!
আর তখনি দেখলো সেই মেয়েটিকে।চোখে চোখ পড়তেই মেঝের সাথে গা ঘষে ঘষে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে লাগলো সূর্য বাবুর দিকে।
আতঙ্কে বিস্ফোরিত চোখে সেদিকে চেয়ে কাঁপতে লাগলো সূর্য বাবু, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে আসতে বললো ওকে আলমারির ড্রয়ার থেকে সোনার গয়না গুলো দিয়ে তোরা, সূর্য বাবুর সেসব অস্পষ্ট কথার অর্থ কেউ বুঝতে পারলোনা।
শুধু বুঝলো সূর্য বাবু ভীষণ অসুস্থ আজ সারাদিন! তার অসুস্থতা এখন আরো বেড়ে গেছে, জলদি ডাক্তার ডাকা দরকার।
তারপর সূর্য বাবু শেষ নিঃশ্বাস নেয়ার তাড়নায় বুক দ্রুত ওঠানামা করতে করতে ফ্যাস ফ্যাসে গলায় আরো কিছু বললো!
কেউ একজন জল আনতে দৌড়ে গেলো পাশের ঘরে।
বাইরে কিছু কালো কাক কা কা করে ডেকেই যাচ্ছে তাড়'স্বরে সেই সাথে অদ্ভুতভাবে এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে এক পাল কুকুর।


ডাক্তার যখন বাড়ি এসে পৌঁছালো ততোক্ষণে প্রান বেরিয়ে গেছে সূর্য বাবুর।
কারন হিসেবে ডাক্তার বাবু বলল হার্ট ফেইল।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

রিকতা মুখাজীর্র্ বলেছেন: ভালোই

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রিকতা মুখাজী

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

পুলহ বলেছেন: ভালো সাসপেন্স ছিলো গল্পে, ডেডবডি দেখার পর থেকেই সাসপেন্স শুরু হয়েছিলো.... তবে লেখাটা আরেকটু বড় হলে বোধহয় আরো ভালো লাগতো।
শুভকামনা সামিয়া !

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

সামিয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমি ব্যাপার টা মাথায় রাখবো , থ্যাংকস

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: গয়না গুলো আনার দরকার ছিল না, লোভি মানুষ বটে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

সামিয়া বলেছেন: হুম লোভের পরিনতিও খুব একটা সুবিধাজনক না ।। থ্যাঙ্কস ভাই

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

তৌহিদ ইসলাম রোবন বলেছেন: ভালো ছিলো

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ তৌহিদ ইসলাম রোবন

৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: প্লট ভালছিল। আরো সুলিখিত হতে পারতো। শুভ কামনা।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা ।। ধন্যবাদ

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২১

উম্মে সায়মা বলেছেন: ভালো লেগেছে। পুলহ ভাইয়ের সাথে সহমত।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ডিয়ার সায়মা

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

শেয়াল বলেছেন: সুন্দর

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

সুমন কর বলেছেন: ছোট গল্প হিসেবে ভালোই হয়েছে। +।

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যতি চিহ্ন গুলো ভালমত দিলে আর সুখপাঠ্য হত। জায়গায় জায়গায় নেই।
প্লট ভাল ছিল। আরও বিস্তারিত, আরও পরিষ্কার করতে পারতেন। খুব দ্রুত যেন শেষ হলো সব

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

সামিয়া বলেছেন: হুম , থ্যাংকস।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আপনার আরো লেখা পড়ার আশা রাখছি।
শুভেচ্ছা...

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া কৃতজ্ঞতা রইলো।। ভাল থাকুন সবসময়।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: গন্ধে বমি করতে করতে আবার অলংকার গুল ঠিক খুলে নিল এবং নিরাপদে রেখে দিয়ে অক্কা পেলেন - না না আর একটু অন্য রকম কিছু হলে আরো ভাল
লাগত । শুভ কামনা রইল ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক, হুম সাজেসন মনে থাকবে। ভাল থাকুন।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন আপি!:)


কবিতার সাথে সাথে সামনের দিকে এরকম আরো কিছু গল্পও আসতে থাকুক!:)

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.