নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগের স্বত্বাধিকারী সামিয়া

সামিয়া

Every breath is a blessing of Allah.

সামিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলাম সমুদ্র(ছবি ব্লগ)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪


সমুদ্রের প্রতি এত টান কিশের! সমুদ্র দেখে ফিরে এসে নিঃসঙ্গ বারান্দায় বসে বসে ধূলোয় ভরা রাস্তায় আসা যাওয়া করা যানবাহনের দিকে তাকিয়ে আমি সমুদ্রের কথা ভাবছি, শীতের ঠান্ডা বাতাসের সাথে সাথে ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে সময় মেনে গর্জনে গর্জনে মুখরিত সমুদ্রের ঢেউয়ে আসা শীতল পানি আমার পায়ের পাতায় স্পর্শে যে স্বস্তি দিল তার জন্য সমুদ্রের কাছে আমি ঋণী।সমুদ্রের বিশালতা মুছে দিতে পারে হৃদয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা জঞ্জাল ভরা রোগ শোক কষ্ট দুঃখ বেদনা জ্বালা যন্ত্রণা। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বছরে একবার অন্তত প্রত্যেক মানুষের সমুদ্রের কাছে যাওয়া উচিত।

ছবিটা তুলেছি ইনানী বিচ থেকে

অচেনা জলপরীটা হঠাৎ ক্যামেরায় চলে এসেছিল,

ঢেউ
ঢেউ

কক্সবাজারের ঝাউবনের সৌন্দর্য ছিল অন্যরকম ঝাউগাছগুলো সৈকতের কাছাকাছি এলাকায় লাগানো বলে এর সারির নীচের মাটি সমুদ্রের কারনে একদম ঝকঝকে তকতকে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।

এই ছবিটা পাটুয়ারটেক থেকে তুলেছি, সমুদ্রের ঢেউ বদলানোর নাটকীয় দৃশ্য, এখানে ঢেউ অনেক বেশি শক্তিশালী আর খুব উঁচু। ঢেউগুলো পাথরে আছড়ে পড়ার দৃশ্য চোখ ধাঁধানো।

ইনানী বিচ

হিমছড়ি পাহাড়ের উপর থেকে সমুদ্র

সূর্য ডোবার ক্ষণে। সূর্য ডোবার সময় সুগন্ধা বিচে থাকলে সূর্য ডোবার দৃশ্য শত চাইলেও জনমানবহীন খালি তোলা সম্ভব না সম্ভবই না।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ দিয়ে ঘুরলেই সমুদ্রের বিচের বিভিন্ন বৈচিত্র দেখা যায়, একটা থেকে আরেকটা মনে হয় যেন আলাদা। কিছু কিছু বিচ একদম ফাঁকা পড়ে থাকে। কিছু কিছু বিচের পানি একদম ঘন নীল সেন্টমার্টিনের পানির মতন। সবথেকে বাজে পানি সুগন্ধা বিচের, একদম কালো।
সমুদ্রের মাছ ধরার নৌকা
মৎস্যকন্যার পা,
অচেনা এক মৎস্যকন্যা কে ছবিটা তুলে দেখিয়ে বললাম আপনার অনুমতি না নিয়ে তুললাম আপত্তি থাকলে কেটে দেব, সে তার দেবীর মতন চেহারা নিয়ে হেসে বলল না না আপত্তি নেই সুন্দর হয়েছে ছবিটা, এই কথা বলার মধ্যেও কি এক বিষন্নতা তার ছিল কে জানে! ভালো থাকুক সে।


বিদায় সমুদ্র

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: আমারও সমুদ্র মন্থনের রোগ আছে । দেখি যাব ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৪

সামিয়া বলেছেন: কি যে শান্তি সমুদ্রের কাছে গেলে। একদম সমস্ত টেনশন দূর করে দিয়েছিল মন থেকে যতক্ষণ সমুদ্রের কাছে ছিলাম।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪০

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: খুব ইচ্ছে করে সমুদ্র দেখবো, পাহাড় দেখব, নদী দেখবো, জঙ্গলে সৌন্দর্য়্য প্রান ভরে উপভোগ করবো। সমুদ্রের পানি গায়ে মাখবো, নদীতে ঝাপাঝাপি করবো। কিন্তু হচ্ছে কই। বাড়ির পাশের লেকই তো ঠিক মতো দেখিনি।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪২

সামিয়া বলেছেন: যেভাবেই হোক একটু সমুদ্র দেখে আসেন প্লিজ এটা আমার অনুরোধ আপনার প্রতি

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৩

এ পথের পথিক বলেছেন: যাক আপনার স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা অবশেষে পুরন হল ।
ছবি গুলা দারুন হয়েছে । এগুলা আমি পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করব, কিছু মনে কইরেন না ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ আলহামদুলিল্লাহ কিভাবে কিভাবে যেন পূরণ হয়েছে, ছবি ব্যবহার করলে আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু যদি আপনি ছবি তুলেছেন এরকম ক্রেডিট নেন তাহলে একটু আপত্তি আছে ভাই ।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আল্লাহ বলেন,'আমি প্রানের সৃষ্টি করেছি পানি থেকে।'তাই সমুদ্রের বিশাল জলরাশীর কাছে গেলে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়।
আমি৷ পোলা মাইয়া ও তাদের মাকে নিয়ে ২২ সালে গিয়েছিলাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৩

সামিয়া বলেছেন: আসলেই প্রাণের সাথে যে টান সেটা অপার্থিব, কোন কিছুর সাথেই মিলবে না, পরিবারের সমুদ্র দেখার আনন্দ অনেক। তবে বারবার যেতে ইচ্ছে করে, দেখেও যেন মনের স্বাদ মেটে না।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ছবিগুলো বেশ সুন্দর।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪০

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রইল

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫১

এ পথের পথিক বলেছেন: ছবি ব্যবহার করতে দিবেন জেনে খুশি হলাম । আর ক্রেডিট থাকবে ব্লগার সামিয়া, এ নিয়ে ভাববেন না ।
আল্লাহ্‌ আমাদের পথ চলা সহজ করুন ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৯

সামিয়া বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা ধন্যবাদ। হুম আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভাল রাখুক।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৮

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @ সামিয়া, আপনি সমুদ্রের কাছ থেকে ঘুরে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। আশাকরি মন এখন আগের চেয়ে ভালো। ছবিগুলিও সুন্দর হয়েছে।

ঠিক জানিনা কেন, সমুদ্র আমার তেমন ভালো লাগে না। আই মিন, ভালো লাগে, তবে তারচেয়ে বেশি ভালো লাগে পাহাড়। তবে পাহাড় আর সমুদ্রের কম্বিনেশন হলো বেস্ট। মায়ামি থেকে মালিবু, সবই ঘুরেছি - তবে সমুদ্রের চেয়ে উপভোগ্য ছিল আড্ডা উইথ সোনালী পানীয়।

এনিওয়েজ, এবারের বন্ধে গেছিলাম সমুদ্রের পাশে গ্যালভেস্টন নামের এক জায়গাতে। আমার এখন থেকে বেশ দূরে, প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। ড্রাইভ করে গেছি আবার ড্রাইভ করেই এসেছি। উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলতে, আসার সময় হিউস্টন থেকে খাসি কিনে এনেছি। খাঁটি দেশি খাসি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

সামিয়া বলেছেন: সমুদ্রের চেয়ে পাহাড় আপনার বেশি ভালো লাগে! আমার ঠিক উল্টোটা। তবে আপনি যেটা বললেন, পাহাড় আর সমুদ্রের কম্বিনেশন সত্যিই দারুণ। মায়ামি থেকে মালিবু! আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বেশ রোমাঞ্চকর।
১৬০০ কিলোমিটার ড্রাইভ করে যাওয়া মানে সাহস আর ধৈর্যের কম্বো। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা আরও শুনতে ইচ্ছে করছে।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সুন্দর!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আমারও সমুদ্র ভালো লাগে খুব, অবশ্য অনেক মানুষের ভিড়ে সমুদ্রকে ঠিক চক্ষু কর্ণ দিয়ে পুরোপুরি দেখাশোনা হয়না।

ছবিগুলো সুন্দর, কিন্তু এর চাইতে সুন্দর ছিল সেন্ট মার্টিনে তোলা ছবিগুলো। আমার মনে হয়েছিল সেগুলোতে রঙ দেয়া হয়েছে, এতো নীল আর সবুজ পানি।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

সামিয়া বলেছেন: আপু কেমন আছেন, আপনার একটা জিনিস আমার এত ইন্টারেস্টিং লাগে,খুব ছোটখাটো ব্যাপার যেগুলো অনেক অনেক পুরনো কিন্তু আপনি মনে রাখেন, একদম নিজের কাছের মানুষের মতন, সেন্টমার্টিন তো অসাধারণ ওখানকার পানি কক্সবাজারের পানির থেকে আসলেই অনেক নীল বিশেষ করে ছেঁড়া দ্বীপের পানি এত পরিষ্কার আর সুন্দর। সে কারণে ছবি গুলো ভালো হয়েছিল। তাছাড়া ওই ছবিগুলো তুলেছিলাম ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে, এই ছবিগুলো তোলা মোবাইল থেকে। আবার তখন ছিলাম সিঙ্গেল যে কারণে ছবি তোলায় খুব মন দিতে পেরেছিলাম। এখন বিবাহিত সাথে বাচ্চা, বাচ্চাকে অবশ্য আমার শাশুড়ি ননাস সামলেছে। ভালো থাকবেন আপু, দোয়া রইল।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অনেক দিন সমুদ্র দেখা হয় না।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

সামিয়া বলেছেন: সময় করে একটু দেখে আসেন, ভালো লাগবে।

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: সমুদ্র আর পাহাড়!!
সমুদ্র রহস্যের আঁধার। মানুষ সুখে দুঃখে আর আনন্দে সমুদ্রের কাছে যায়। যেতে হয়।
পাহাড় এবং সমুদ্র আমাকে সাহস দেয়, শান্ত্বনা দেয়। ছবি গুলো দেখলাম। আমার কন্যাকে নিয়ে সমুদ্রে যাবো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৬

সামিয়া বলেছেন: সমুদ্র আসলেই এক রহস্যময়। তার ঢেউয়ে সুখ, দুঃখ, আর আনন্দ সব মিলে একাকার। আর পাহাড়ের বুক থেকে যে সাহস আর শক্তি পাওয়া যায়, তা সত্যিই অতুলনীয়।
আপনার কন্যাকে নিয়ে সমুদ্রে যাওয়ার পরিকল্পনা সুন্দর। বাচ্চারা সমুদ্র ভালোবাসে—ঢেউয়ের সাথে খেলা, বালুর দুর্গ বানানো, আর অবাক হয়ে প্রকৃতির বিশালতা দেখা।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

জটিল ভাই বলেছেন:
অসম্ভব সুন্ন্দর ছবি আর লিখনী। তবে ছবিগুলোতে কপিরাইট যুক্ত থাকলে আরো উত্তম হতো না?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:০৩

সামিয়া বলেছেন: ইচ্ছে করেনি, অনলাইনে আমার তোলা এরকম অনেক ছবি আছে, কখনো কপিরাইট যুক্ত করি নাই, কারো যদি ভালো লাগে ইউজ করুক আমার প্রবলেম নাই, ক্রেডিট না নিলেই হল, আর না জানিয়ে নিলে কি আর করা ছবিই তো। অনেক ধন্যবাদ

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: @সামিয়া, ধৈর্য্য ও সময় - দুটোরই বড়োই অভাব। চোখ দিয়ে যা দেখি, এটা কখনোই লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

অনেকেই হয়তো পারেন; ভালোভাবেই পারেন। আমি ওনাদের দলে পড়ি না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

সামিয়া বলেছেন: হুম, ভালো থাকুন।

১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

সামিয়া বলেছেন: জেনে ভালো লেগেছে?

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া,



আমার বাড়ীতে "সাম্প্রতিক যারা ব্লগ দেখেছেন" অংশে আপনার নামটি দেখলুম। অনেকটা সমুদ্দুরের হাতছানি দিয়ে ডাকার মতোন মনে হলো! :P

আমার প্রথম সমুদ্র দেখা এক বৌদ্ধ পূর্ণিমার রাতে কূয়াকাটাতে। রাতের শেষ প্রহর, জোছনায় ভেসে যাচ্ছে চরাচর! বিশাল একটা রূপালী থালার মতো গোলাকার চাঁদটা তখন সমুদ্রজলের দিগন্তের খানিকটা ওপরে। জলের বুকে তার রূপালী ছটা তখন ঢেউ খেলে যাচ্ছে। আহা......মরি...মরি..... কী অপরূপ মোহময়ী সে দৃশ্য!!!!
সে সময় ছবি তোলার সুযোগ ছিলনা বলে সেই অবিস্মরনীয় মূহুর্তটিকে ধরে রাখতে পারিনি। তবে তার ত্রিশ বছর পরে সেই কূয়াকাটারই ছবি তুলেছি নীচের ছবির মতো করে যদিও চাঁদের নয়, সূর্যের---
অস্তাচলের পথে ......

ভোরের সূর্য...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২১

সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ আপনার প্রোফাইলে গিয়েছিলাম, কেমন আছেন কি অবস্থা এটা জানারই আগ্রহ থেকে, আপনি যে ছবি দুটো কমেন্ট করেছেন জাস্ট অসাম। প্রকৃতির মতন রহস্য আর কিছুতে নেই। আর আপনি যে বর্ণনা করলেন এই দৃশ্য দেখার জন্য ভাগ্য লাগে আসলে, আপনি ভাগ্যবান নিঃসন্দেহে। ভালো থাকুন শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.