![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ নেট
তারা যদি আবার ফিরে আসতো, কোনো স্বপ্নের মতন সুন্দর সকালে, কিংবা প্রিয় শীতের শেষ বিকেলে। কিন্তু ক্যালেন্ডারের পাতা একে একে ফুরিয়ে তাদের অন্তিম দিন পুরাতন হয় তারা আর কেউ ফিরে আসে না।
জীবনের পথচলা কারো কারো অনেক আগেই থেমে যায়, কারো পরে, কিন্তু থামাটাই চিরন্তন নিয়ম।
আমার দীর্ঘশ্বাস হয় আমার ভাইটার কথা ভেবে যার পুত্র সন্তান পৃথিবীতে এসেছে কিন্তু সে দেখে যেতে পারল না, যে অনাগত সন্তানের হাত ধরে একত্রে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, কে জানতো তার দেখা অন্য স্বপ্নগুলোর মতন এটাও কখনো পূরণ হবে না!
বাবার মুখটাও এখনো জীবন্ত, যেন অল্প কিছুক্ষণ আগে কোথাও গেলো, ফিরবে তাড়াতাড়ি।
আলনায় ঝুলতে থাকা বাবার পাঞ্জাবি, কাঁচের বৈয়ামে বোনের বানানো আচার ডাইনিং টেবিলে রাখা, ভাইয়ের দেয়া গত ঈদের নতুন জামাটা আলমারিতে একি রকম আছে, অথচ মানুষ গুলো কোথায়!!
মাঝে মাঝে মনে হয়, এই বুঝি দরজার কলিংবেলের শব্দে খুলে দেখবো ভাই দাঁড়িয়ে হাসি মুখে, কিংবা স্ট্রোকের পর প্রথম সুস্থ হয়ে মসজিদে জুমাআর নামাজ শেষে লাঠি হাতে ধীরে ধীরে হেঁটে হেঁটে বাবা বাড়ি ফেরার রাস্তায়,,
রাস্তাটা হুবহু একই রকম আছে, কিন্তু বাবা কোথায়!! শুধু বাতাসে ভেসে থাকে তার গায়ের গন্ধ।
হৃদয়ের এক কোণে জমে থাকা কথারা মিশে যায় সিজনের মতো, জীবনের কত কথা!! দীর্ঘ সময়, চোখের পলকে হারিয়ে যায় সব। আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি একদম বাবার মতন, ভাইয়ের মতন, সেগুলো তাদের মাটিতে মিশে গেছে, যেন আমার আংগুলটাও মাটি হয়ে গেছে তাদের সাথে সাথে। এই জীবন এই শ্বাস-প্রশ্বাস এত অনিশ্চিত।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
সামিয়া বলেছেন: আমার মেজো ভাইয়া মারা গেল নয় মাস হয়েছে, ভোর পাঁচটায় স্ট্রোক করেছিল, সাথে সাথেই সব শেষ, তার অফিস থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তার কলিগরা নিয়ে আসলো মৃত, অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খুলল, প্রথম চোখ পরল তার পা দুটো অসাঢ় হয়ে পড়ে আছে, তখনো বিশ্বাস হচ্ছিল না ভাইয়া মারা গেছে। তারপর তার মুখটা কি অপার্থিব শান্তিতে চোখ বুজে আছে। এই নয় মাস ধরে আমি ফজরের ওয়াক্তে ঘুমাতে পারি না।
২| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যা একবার চলে যায় উহা আর ফিরে আসে না।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৮
সামিয়া বলেছেন: কিরকম অবিশ্বাস্য সত্য!
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: হুম ফিরে আসে না যে চলে যায়
রয়ে যায় স্মৃতি
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
সামিয়া বলেছেন: জীবনের ভয়ংকর বাস্তব
৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: প্রিয়জন হারানোর অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না,হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
সামিয়া বলেছেন: হুম
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাবার মুখটাও এখনো জীবন্ত, যেন অল্প কিছুক্ষণ আগে কোথাও গেলো, ফিরবে তাড়াতাড়ি।
এই লাইনটা ছুয়ে গেল। মাস কয়েক আগে হঠাৎ করে আমার বাবা মারা যায়। মারা যাওয়ার ঘন্টা দেড়েক আগে একসাথে বসে সকালের নাস্তা করি। কিন্তু কোনো কথা হয় নাই।
প্রায়ই মনে হয় সোফায় বসে আছে।
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪০
সামিয়া বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আপনার বাবার মৃত্যুর খবর জানতাম না। বাবা মা ভাই বোন হারানোর মতন কষ্ট পৃথিবীতে আর একটিও নেই।
৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৬
নকল কাক বলেছেন: ..........
৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০৭
অতন্দ্র সাখাওয়াত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
মিরোরডডল বলেছেন:
হৃদয়স্পর্শী লেখা!
যদিও খুব নির্মম কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মানুষগুলো এক এক করে চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি।
প্রিয়জন হারানোর চেয়ে কষ্ট আর কিছু নেই।
আমি এখনও আমার বাবা, বড় বোন, বড় ভাই ওদেরকে প্রতিদিন স্মরণ করি।
ভালোবাসা কি আমি সঠিক জানিনা কিন্তু প্রিয় মানুষ কাছের মানুষ কে বা কারা এটা বুঝতে পারি।
যখন কারো অনুপস্থিতিতে সেই মানুষটার কথা মনে করলে, তার চেহারাটা মনে পড়লে, বুকের ভেতর একটা ব্যথা হয়, মনের অজান্তেই চোখ ভিজে যায়, তখন বুঝি he or she is someone close to my heart & I miss badly.
ভালো থাকবে সামিয়া।