নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার আমি

সানজিদা প্রীতি

কোনো এক শীতের জ্যোৎস্নাস্নাত রাতে শিশির ভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে তোমার হাতটি ধরে হাঁটবো। শিশিরের ফোঁটা গুলো আমার পায়ে শিশির নুপুর পড়িয়ে দিবে।আর তুমি ঘাস ফুল নিয়ে আমার খোঁপায় পড়িয়ে দিবে।তখনি জোনাকি পোকার দল এসে হাজির হবে রংবে রং এর প্রজাপতিদের নিয়ে।তারা আমাদের ঘিরে একটা বলয় সৃষ্টি করবে।সে বলয়ের মধ্যে জ্যোৎস্নার আলোতে ভিজব আমরা দুজন।আমার চোখের মায়ায় তুমি নিজেকে হারাবে অন্য একরাজ্যে।তখনই চন্দ্রসুধা এসে আমাদের আমন্ত্রণ করবে তার রাজ্যে যাওয়ার জন্য সাথে থাকবে চন্দ্রাবতীর প্রহরীরা।তার আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ফুলের ভেলা নিয়ে হাজির হবে।সে ফুলের ভেলায় বসে আমরা পৌঁছে যাবো চন্দ্রাবতীর দেশে।সেথায় আমায় পড়ানো হবে জ্যোৎস্নার তৈরি শাড়ি, মাথায় পড়ানো হবে হবে প্রজাপতির ক্রাওন আর পায়েতো আছে আমার শিশিরের তৈরি নুপুর।তুমি বরাবরের মতই আমার প্রেমে পড়বে।তুমি শুধু আমায় অপলক দেখবে আর ভাববে ইসস আমার নামটা যদি চন্দ্রাবতী হত তাহলে মন্দ হত না।

সানজিদা প্রীতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেতাত্মা

২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১


পর্ব-১

-দোস্ত তোর প্রেতাত্মা গল্পটা অনেক ভাল্লাগছেরে।জানিস তোর এই গল্পটা পড়ে আমার একটা কাহিনীর কথা মনে পড়ে গেলো। (জামিল)

-তাই?কি কাহিনীরে?(রাফি)

-জানিস আমাদের গ্রামে একটা পুরাতন রাজবাড়ি আছে। (জামিল)

-তাতে কি হইছে?রাজারা বাড়ি বানাই গেছে তাই আছে এটা আবার বলার কি আছে? (ইমন)

-আরেহ কথাটা তো আগে শুনবি তারপর কথা বলিস। (জামিল)

-আচ্ছা দে বল।ওই তোরাও এদিকে আয় জামিল কি কাহিনী শুনাবে আমাদের। (রাফি)

-আমাদের গ্রামে অনেকটা জঙ্গলের মধ্যেয় একটা বাড়ি আছে।সবাই বলে এটা নাকি কোন রাজার ছিলো।বাড়িটা প্রায় ১৫০বছর আগের (জামিল)

-এতো পুরানো বাড়ি!! এখনো ভেঙ্গে পরে নাই? (সফিক)

-নারে এখনো নাকি বাড়িটা আছে।ওইদিকে মানুষ তেমন একটা যাই না সবাই বলে বাড়িটাতে নাকি ভূত আছে (জামিল)

-এত্ত বড় হইছোস ইউনিভার্সিটি পড়ছ এখনো এইসব হাবি জাবিতে তুই বিশ্বাস করছ?শুন এইসব মিথ্যে বানোয়াট বুঝলি? (রাফি)

-তুই যা জানিস না তা নিয়ে কথা বলবি না।আমার দাদু কখনো মিথ্যা কথা বলে না।আমার দাদু আমাদের বারণ করে দিছিলো কখনো যেন ভুলেও ওইদিকে না যাই...আচ্ছা তোর থেকে যখন মিথ্যে মনে হচ্ছে তাহলে তোরে একটা কাহিনী বলি এটা সত্যি।

তখন আমি মনে হয় ক্লাস ফোর কি ফাইভে পড়ি আমাদের গ্রামীরি একটা ছেলে আমাদের সাথেই পড়তো...ওর সাথে সব সময় আমরা খেলাধুলা করতাম।একদিন রাইহান আমাদের এসে বললো ওই রাজবাড়ি টার সামনে নাকি অনেক বড় একটা তেঁতুল গাছ আছে ও নাকি তা সকালে রাজবাড়িটাই গিয়ে দেখছে। (জামিল)

-রাইহান রাজবাড়িতে কেনো গেলো? (অনুপম)

-বলতেছিতো তোরা আমি কথা বলার সময় কথা বলবি না তো।চুপ করে শুন আমি বলতেছি আমার কথা বলা শেষ হলেই তারপর কথা বলবি।

রাইহান নাকি শুনছিলো রাজবাড়িতে নাকি অনেক সুন্দর সুন্দর গুটি পাওয়া যায়।তখন আমরা গুটি খেলতাম।ও গুটি আনার জন্য এ গিয়েছিলো।আমাদের ও গুটি গুলোও দেখাছিলো সত্যি গুটি গুলো অনেক সুন্দর ছিলো আর অমন গুটি আমরাও আগে আর দেখি নাই।গুটি গুলো দেখেই আমাদের লোভ হইছিলো সাথে আরও পাঁকা তেতুলের লোভে আমরা ঠিক করলাম বিকাল বেলা আমরা কাউকে না জানিয়ে ওই রাজবাড়িতে যাবো কিন্তু কেউ কারোর বাসায় জানাবো না।যেই কথা সেই কাজ বিকালবেলা আমরা ৫/৬জন মিলে রাজবাড়িতে চলে গেলাম সাথে ব্যাগ ও নিয়ে নিলাম। বাড়িটা দেখে কেমন জানি লাগলো আমাদের অনেকটা ভূতুড়ে ভূতুড়ে। আমরা তাড়াতাড়ি করে গুটি কুরানো শুরু করলাম অনেক সুন্দর সুন্দর গুটি ছিলো যে যতটা পারছি নিছিলাম এইদিকে সন্ধ্যা ও হয়ে আসছিলো রাইহান বললো যে,

-শুন সন্ধ্যা হয়ে আসছে আমরা কিন্তু বেশি তেঁতুল নিবো না, আগে কয়টা বাসায় নিয়ে দেখি যদি আম্মা আচার দেয়ার জন্য রাজি হয় তাহলে আমরা আবার কালকে আসবো। এককাজ করি গাছে আমি উঠি তেঁতুল গুলো ফেললে তোরে খুঁজে নিস পরে আমরা ভাগ করে নিবো। (রায়হান)

ওর কথাই আমরা সবাই রাজি হয়ে গেলাম।কথা মত ও গাছে উঠে গেলো,

-গাছের উপরের দিকে কি অন্ধকাররে বাবা!এই আমি বেশি উপরে উঠবো না....নে নে এটা ধর (রায়হান)

আমরা নিচে থেকে তেঁতুল খুঁজে নিচ্ছি নিতে নিতে অনেক গুলোয় হয়ে গেলো, হঠাৎ রায়হান ওমা বলে একটা জোরে চিৎকার দিলো,

আমরা সবাই ভয় পেয়ে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম,

-কি হয়েছেরে রায়হান??

ও কিছু বলার আগে উপর থেকে নিচে পরে গেলো আমরা উপরে তাকাতেই একটা ভয়ংকর কুৎসিত চেহারার লম্বা চুলওয়ালা কি যেন দেখলাম এটা দেখে যখন আমরা রায়হানের কাছে ছুটে গেলাম ও শুধু হাত উঁচিয়ে রাজবাড়িটার দিকে কি যেন দেখালো সাথে সাথে ওর নাক,মুখ, কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু হলো, আমরা যখন রাজবাড়িটার দিকে তাকালাম তখন দেখলাম একজন বয়স্ক লোক রাগী চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে....আমরা ভয়ে আর দেরি করলাম না ব্যাগ ফেলে রায়হানকে তুলার চেষ্টা করছি কিন্তু রায়হান এতোটাই ভারি হয়ে গেছে যে ওকে আমরা মাটি থেকেই তুলতে পারছি না। রায়হান ও কোনো কথা বলছে না চোখ বড় করে মুখ হা করে শুধু তাকিয়ে ছিলো। আমরা সবাই যখন একসাথে টেনে ওকে উঠানোর চেষ্টা করছি তখনি বাড়িটার ভিতর থেকে ছোট বাচ্চাদের হাসির শব্দ ভেসে আসছিলো।ভয়ে আমরা কান্না কাটি শুরু করে দিলাম।সবাই মিলে রায়হানকে টেনে ধরাধরি করে ওই বাড়ি থেকে নিয়ে রায়হানের বাড়িতে চলে আসলাম।

রায়হানের বাবা - মা ওর এই অবস্থা দেখে ওকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে গেলেন।রায়হানের মা ওর এই অবস্থা দেখে কতবার যে সেন্সলেস হইছিলেন। হসপিটালে নেয়ার পরে ডাক্তাররা বলছিলেন রায়হান আরোও আগেই মারা গেছে।
রায়হানের মৃত্যুর পর ওর মা অনেকটা পাগলের মত হয়ে গেছিলো।
আমাদেরও বাসা থেকে অনেক বকাঝকা করা হইছিলো।
তখন দাদু বলছিলো,
এই বাড়িটা নাকি একটা অভিশাপ্ত বাড়ি...এইবাড়িতে যে রাজারা থাকতেন উনি নাকি অনেক অত্যাচারী ছিলো...এই রাজবাড়ির তেঁতুলগাছে নাকি কেউ চোখ তুলেও তাকাতে পারতো না যদি কোনো বাচ্চা ভুল করে ওই গাছ থেকে তেঁতুল পারতো ওই রাজাটা নাকি ওই বাচ্চার প্রানটাই নিয়ে নিতো...শেষবারে ওনার ছেলে নাকি বৃষ্টির মধ্যে তেঁতুল কুড়তে গিয়েছিলো বর্জাঘাতে ওই ছেলে নাকি একটা গাছের পাশে মারা যাই তারপর থেকেই ওই গাছ নাকি ভয়ানক হয়ে যাই সবাই বলে ছেলেটার আত্মা নাকি ওই তেঁতুলগাছেই রয়ে গেছে....তারপর ওই রাজা নাকি কি একটা খারাপ কাজ করছিলো এরপর থেকেই ওই বাড়িতে ধ্বংস নেমে আসে বাড়িটা অভিশাপ্ত বাড়িতে পরিনত হয়। (জামিল)

-কি খারাপ কাজ করছিলো রাজাটা? (রনি)

-তাতো দাদু আমারে বলে নাই শুধু বলছে খারাপ কাজ করছে।এরপরতো আমরা শহরেই চলে আসলাম আজ কত্তবছর হয়ে গেছে গ্রামের বাড়ি যাই না। রাফির গল্পটা পড়েই হঠাৎ ওই কাহিনীটার কথা মনে পরে গেলো।রাফির বর্ণনা করা বাড়িটা আর ওই রাজবাড়িটা একদম সেম তাই বললাম কাহিনীটা। (জামিল)

-হুম বুঝলাম....আচ্ছা শুন আগামী সাপ্তাহ থেকেইতো ভার্সিটি অফ হয়ে যাচ্ছে এই ছুটিতে আমরা না হয় ওই বাড়িটা থেকে ঘুরে আসলাম ঘুরাও হলো, একটু এক্সপেরিয়েন্স ও হবে এডভান্টেজ ও হবে সাথে ওই ভূতটাকেও দেখা হবে কি বলিস? হাহাহাহাহাহাহা.... (রাফি)

-রাফি সব কিছু নিয়ে মজা ভালো না। (জামিল)

-আমরা রাজি রাফি...আমরা তোর সাথে যাবো জামিল তুই ভালোই ভালোই আমাদের সাথে গেলে ভালো না হলে তোরে আমাদের সাথে তুলে নিয়ে যামু।

-দেখ ভাই শুধু শুধু কেনো ঝামেলার মধ্যে পরতে চাচ্ছিস?দরকারটা কি যাওয়ার?


-তুই আমাদের সাথে যাবি কি যাবি না তা শুধু বল। (অমিত)

-তোরা কি সত্যি এ যাবি? (জামিল)

-হ্যাঁ আমরা যাবো।

-তোরা যখন যাবি তখন আর আমার কি বলার থাকে ঠিক আছে আমিও তোদের সাথে যাবো কিন্তু পরে যদি কোনো প্রব্লেম হয় আমারে দোষ দিতে পারবি না। (জামিল)

-হুম আমরা রাজি।।

তাহলে এখন শুধু অপেক্ষা ভার্সিটি অফ হওয়ার আর আমাদের ঘুরতে যাওয়ার........

চলবে......

ফেসবুক আইডি লিংকঃ https://www.facebook.com/sanjidabegum.kingz

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.