![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পূর্ণিমারা রাত,
বসন্তের হাওয়া বইছে । ডালে ডালে নতুন পাতার সমারোহ । নব পত্রপল্লবে বিচিত্র রঙে রঙিন বৃক্ষ শাখা। পুরানোকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে এসেছে নতুনের জাগরণী । আমের মুকুলে ভ্রমরের গুনঞ্জন । আমের বোলের গন্ধে ভরে গেছে বাগান। জুই, চামেলি, বেলি এবং টগর ফুলের হাতছানি। দোলন চাাঁপা আর জবা ফলেে ভরা কচি শাখা । বিকশিত কিশলয় লতায় জরাজরি খাচ্ছে ।
অদূরে ব্যর্থ প্রেমিক তামজের আলীর বাঁশের বাঁশি বাজছে তার হারানো প্রিয়ার নাম ধরে । নুরজাহানকে ভালবেসেছিল তামজের আলী ।চাল চুলোহীন বংশি বাদক বলে নূরজাহানকে বিয়ে দেয়নি ওর সাথে । এমনি বসন্তের পূর্ণিমা রাতে চলে গেছে নূরজাহান অপরের ঘরে । সে দিন হতে
প্রতি বসন্তের পূর্ণিমা রাতে বাঁশি বাজায় তামজের আলী । তার বাঁশি ডাকে
নূরজাহান নাম ধরে। সুরের মূর্ছনায় প্লাবিত দিক দিগন্ত । বাঁশি আজো কাঁদে হারানো প্রিয়ার নাম ধরে ।
তার মত আরেকটি হৃদয়ে ব্যথার কাঁটা হয়ে বিঁধে এ সুর । তার চোখে
এতদিন পরেও ঘুম নেই ।স্বামী, সংসার, পুত্র কন্যার কথা তলিয়ে দিয়ে স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে বংশীওয়ালার মুখ, যে মুখ ছিল তার কিশোরী জীবনের ধ্রুব তারা ।
এমনি মাধবী রাতে অরও একটি বেদনা বিদুর হৃদয় ঘর ছেড়ে বেরিয়ে দীঘির ঘাটে এসে এক দৃস্টে চেয়ে আছে আকাশের পানে । সে নির্মল চাঁদকে
ডেকে ডেক বলছে-
তুমি সত্য, তুমি চিরন্তন,তুমি শাশ্বত । অনাদিকাল তুমি দিবে তোমার পরশ । শিহরণ জাগিয়ে আসছ বিরহী প্রিমিকের মনে। তোমার স্নিগ্ধ আলো
ভরে দেয় মন । তুমি ধন্য, তুমি বেদনাহীন, তুমি কোটি মানুষের উদাস মন। দীঘির জলে দ্বিখন্ডিত হয়ে পর, তুমি চন্দ্রকলা তোমার বিমূর্ত রূপ
দেখার জন্যে দীঘির জলে নেমে আসে নীল পরী - আসে মদন দেবতা প্রেমেরে প্রতীক । তুমি সবার চাওয়া প্রাণের পাওয়া । শত বছরের পুরোনো
দীঘির উপরের সিঁড়ি ভেঙে গেছে । বনলতা ছেয়ে গেছে এর চারি ধার , বেত বোনে বোলতার বাসা ,সাপের আনা গোনা । এখন এ ঘাটে আর কেউ আসে না ।
একদিন ঐ খানে আর একজন আসতো । সে আজ নেই , কবে অাসবে ,
কোন অনন্ত কালে কে জানে । যদি জানতো কবে আসবে তার প্রিয়া তা হলে তার আসার পথে হৃদয়ের সব ফুল বিছিয়ে দিত।
(চলবে.)................
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
সরদার হারুন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সুন্দর হয়েছে --- চলুক