নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভিতর থেকে অসম্ভব একা একজন মানুষ। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর নিজের মতো ঘুরি। বলতে পারেন অনেকটা যাযাবর।

শেষ বেলা

আমি ভিতর থেকে অসম্ভব একা একজন মানুষ। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি আর নিজের মতো ঘুরি। বলতে পারেন অনেকটা যাযাবর।

শেষ বেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্লিজ ! মধ্যরাতে মৃত্যু সংবাদ শোনাবেন না

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

বিশিষ্ট লেখক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী মুহম্মদ জাফর ইকবাল এদেশের কয়েকজন ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে সঙ্গে নিয়ে জার্মানীর লিন্ডাউ শহরে গিয়েছিলেন নেবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীদের মুখে সরাসরি বক্তৃতা শুনতে। সেখানে এক বিজ্ঞানী বলেন- মানুষের শরীরে যতগুলো কোষ রয়েছে তার থেকে দশগুন বেশি জীবানু তথা ব্যাক্টেরিয়া পরজীবী বসবাস করছে। দশগুন ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে মানুষের ২৫ বছর বেঁচে থাকার কথা। বাকীটা বেনাস। উক্ত বিজ্ঞানী আরও বলেন- একজন মানুষ বংশ বৃদ্ধি করে ফেলার পর সে বাঁচলো কি মরলো তা নিয়ে প্রকৃতি মাথা ঘামায় না। কিন্তু বাস্তবে উল্টোটাই ঘটে। মৃত্যুটাই মানুষ আশ্চর্য হিসেবে নেয়। তাই দেখা যায়, কেউ মারা গেলে পরিবারের অনেকেই শোকে মোহ্যমান হয়ে পড়েন। এক শ্রেণীর দরদী লোকের সমারোহ ঘটে। তারা মাইকিং করার জন্য †বরিয়ে পড়েন। চলে যান উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। বলতে থাকেন অমুকের পিতা, অমুক। অমুকের দাদা অমুক। কখনও কখনও বলেন অমুকের শ্বাশুড়ী অমুক মৃত্যুবরণ করেছেন। অমুকটার সময় নামাজে জানাযা হবে। ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। বর্তমানে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে এক জনের হাতে একটি মোবাইল ফোন। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এমনিতেই খবর পেয়ে যায়, তারাই শুধু হাজীর হন জানাযায়। তারপরও উচ্চশব্দ সৃষ্টি করে মাইকিং করেন। ভাবটা যেন- ‘যেন এরকম যে গেছে যাক, আমরাতো আছি, সেটা জানানো দরকার’। একজন আমাকে বলেছেন-পূর্বে যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানের মতো ছিল না, ফলে মৃত্যু সংবাদ বিলম্বে জানতে হতো। বর্তমানে মোবাইল ফোনের যুগ, একই সঙ্গে সকলে মৃত্যু সংবাদ পেয়ে যায়। ফলে একদিনেই সেই আজাহারী শেষ। অন্যদিকে নাগরিক অধিকার রায় কেউ সচেতন না হওয়ায় সমগ্র দিনই মাইকিং চলে। ছাগল হারিয়েছে, মহিষের মাংস বিক্রি হবে, মুরগীর সঙ্গে ডিম ফ্রি ইত্যাদি বিষয়ে ডাবল হর্ণ লাগিয়ে মাইকিং করতে দেখা যায়। মানুষের ৬৫ ডেসিবল শব্দ সহ্য করার মতা রয়েছে। অথচ যত্রতত্র শব্দ দূষণের কারণে ১২০ ডেসিবল শব্দ সহ্য করতে হয়। যা হোক সারাদিন শব্দ দূষণের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা যখন ঘুমোতে যাই, তখনও শোনা যায় মৃত্যু সংবাদ। এতে অনেকেরই হার্ডের সমস্যায় বেশি অসুস্থ এবং অন্যদিকে পাশ্ববর্তী অনেক মানুষকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। দয়া করে মধ্যরাতে মুত্যুর সংবাদ শোনাবেন না।


মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: যা হোক সারাদিন শব্দ দূষণের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা যখন ঘুমোতে যাই, তখনও শোনা যায় মৃত্যু সংবাদ। এতে অনেকেরই হার্ডের সমস্যায় বেশি অসুস্থ এবং অন্যদিকে পাশ্ববর্তী অনেক মানুষকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। দয়া করে মধ্যরাতে মুত্যুর সংবাদ শোনাবেন না।

ভালই বলেছেন।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

শেষ বেলা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাদের মন্তব্যগুলো লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। ভাল থাকবেন, সব সময়।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

নীলপরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
শুভকামনা রইলো ।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

শেষ বেলা বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৃত্যু সংবাদ রাতে প্রচার ইত্যাদি নিতান্ত ভুল; পরিবারদের বুঝতে হবে যে, মৃত্যুর পর, বাহিরের মানুষকে অকারণ জানানোর কোন দরকার নেই।

৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

শেষ বেলা বলেছেন: যুক্তিনির্ভর তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.