নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেভ দ্যা পেরেন্টস

আমি অনেক কথাই বলতে চাই তার মধ্যে অন্যতম হলো সেভ দ্যা পেরেন্টস। সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মতো সেভ দ্যা পেরেন্টস এরও যে প্রয়োজনীয়তা আছে আমি তা 'ই আমার ব্লগের মাধ্যমে বুঝাতে চাই।

নজরুল ইসলাম বিডি

নজরুল ইসলাম বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হত্যার ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি আদায়ের অভিযোগ ঐশীর

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

রাজধানীতে স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঐ দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছেন। তাই সেই স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবদেন করেছেন তিনি। আদালত তার আবেদন নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে ঐশী ও গৃহকর্মী সুমীর জামিন আবেদনও নাকচ করেছে আদালত।



আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২ টায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মাদ এরফান উল্লাহ এই আদেশ দেন। ঐশীর শুনানি শেষ হওয়ার পর সুমিকে ম্যাজিষ্ট্রেট আনোয়ার ছাদাতের আদালতে নেয়া হয়। সুমি কিশোর হওয়ায় শিশু আইন অনুযায়ী বিচারক তাকে ও তার আইনজীবী খাসকামরায় ডেকে নেন। খাসকামরায় ১০ মিনিটের শুনানি শেষে সুমীর আইনজীবী সৈয়দ নাজমুল হুদা জানান, জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।



আদালতে ঐশীর উপস্থিতিতে শুনানিতে আইনজীবীরা দাবি করেন, ঐশী তার মা-বাবাকে হত্যা করেনি, অন্য কেউ হত্যা করেছে। তার কাছে থেকে জোর করে ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তাই তাকে জামিন দেয়া হোক। এ সময় আইনজীবীরা ঐশী স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের ব্যাপারে আদালতের সঙ্গে কথা বলতে চান জানান। কিন্তু বিচারক ঐশীকে কথা বলতে সুযোগ না দিয়ে আইনজীবীদের লিখে আনা স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে স্বাক্ষর করাতে অনুমতি দেন। এরপর ঐশী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন।



ঐশীর আইনজীবী ছিলেন, প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস ও মাহবুবুর রহমান রানা।



স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, 'আমি (ঐশী রহমান) এই মামলার আসামি। বিগত ১৭ আগস্ট পল্টন থানায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে আমাকে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ও আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে গত ১৮ আগস্ট আমাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ও ভয়ভীতি দেখায়। পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমাকে প্রহার করেছেন। একপর্যায়ে বলে যে, আমাদের কথামতো তুমি যদি আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের সামনে আমাদের শেখানো কথা না বলো, তাহলে তোমাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে মেরে ফেলবো অথবা ক্রসফায়ারে মেরে ফেলবো। তোমরা সমাজের কীট! আবর্জনা! আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এবং মৃত্যুর ভয়ে তাদের শেখানো কথা আদালতে গিয়ে বলতে বাধ্য হই। তাই গত ২৪ আগস্ট তারিখে আদালতে আমার প্রদত্ত জবানবন্দি সত্য নয়।'



উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর দিন ঐশী নিজে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। গত ২৪ অগাস্ট রিমান্ড শেষ ঐশী মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাতের খাস কামরায় ওই জবানবন্দি দেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.