![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবেন্দ্রনাথ রায়, সংক্ষিপ্ত নাম এম এন রায়। হয়তো নাম অনেকের জানা অনেকের হয়তো জানা নেই। উনার সম্পর্কে একটু বলে নিই। তিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতবর্ষের একজন প্রথম সারির কমুনিস্ট নেতা এবং ভারতে কমুনিস্টের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি ছিলেন মেক্সিকান কমুনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, জোসেফ স্টালিন, আইনস্টাইন, বুখারিন প্রমুখ ব্যাক্তিত্বের সাথে তার সরাসরি ব্যক্তিগত পত্র যোগাযোগ ছিল। নেতাজী সুভাস চন্দ্র এবং জহর লাল নেহেরুর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সামনের থেকে নেতৃত্ব দেন।
তিনি ছিলেন মুক্ত চিন্তার মানুষ। ধর্ম কর্ম তেমন পালন করতেন না। ফিলোসফিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর লেখা বইগুলোতে উঠে এসেছে শোসকের অত্যাচারের চিত্র আর ধর্মান্ধতার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া পথহারা মানুষের কথা। তিনি তাঁর কিছু লেখার মাধ্যমে দেখাতে চেয়েছেন কুসংস্কার আর ধর্মান্ধতা মানুষকে তাঁর মূল রাস্তা আর চিন্তাধারা থেকে কতোটা দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
তাঁর একটা বই কয়দিন আগে পড়ে শেষ করলাম। সেই বইয়ের কিছু লাইন তুলে ধরব অনুবাদ সহ -
VULGAR interpreters of the Islamic .history lay stress upon its military achievements either to praise or to deprecate its far-reaching revolutionary significance. If the undoubtedly brilliant military conquests of the Saracens were the only measure of the historic role of Islam, then it would not be a unique historical phenomenon. The depradations of the barbarians of Tartary and Scythia (Goths, Huns, Vandals, Avars, Mongols etc.) approximated, if not equalled or excelled, their military accomplishments. But there is a vast difference between the tidal waves that occasionally rolled West, South and East, from the border land of Europe and Asia, and the Arabic eruption of religious frenzy. Like tidal waves the former rolled on in their cataclysmic greatness, only to subside, sooner or later, having distributed death and destruction, far and wide. The latter, on the contrary, was an abiding historical phenomenon, which ushered in a brilliant chapter of the cultural annals of mankind. Destruction was only a subsidiary part of its mission. It pulled down the played-out old, to construct a necessary new. It demolished the holy edifices of the Cesars and the Chosroes, only to rescue from their impending ruin the accumulated treasures of human knowledge, to preserve and multiply them for the benefit of the posterity.
- by M.N. Roy, "The Historic Role of Islam", Chapter two, 'Mission of Islam'.
ইসলামের ইতিহাসের কদর্য ব্যাখ্যাকারীরা হয় প্রশংসার জন্য, না হয় ইসলামের সুদূরপ্রসারী বৈপ্লবিক গুরুত্বকে অস্বীকার করার জন্য ইসলামের সামরিক অভিযানকে বেশি গুরুত্ব দিতে চান। যদি আরব মুসলমানদের নিশ্চিত দিগ্বিজয়ী সামরিক শক্তির বিজয়ই ইসলামের ঐতিহাসিক ভূমিকার একমাত্র মাপকাঠি হয়, তাহলে তা ইতিহাসে অনন্য সাধারণ বিষয় হয়ে উঠত না। তাতার এবং সিথিয়ার (গোথ, হূণ, ভ্যান্ডাল, অভর, মঙ্গোল ইত্যাদি) অসভ্যদের লুটতরাজ এবং সামরিক দুর্ধর্ষতা তাদের(ইসলামের) সমান বা বেশি না হলেও কম নয়। কিন্তু জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসের মতো ইউরোপ ও এশিয়ার প্রান্ত সীমানা থেকে পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব ভূখন্ডে (ঐ অসভ্যদের) যে প্লাবন, তার সঙ্গে আরব মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগের অনেক ফারাক। প্রথম পক্ষরা (তাতার) একটা দুষ্ট গ্রহের মতো দিগ্বিদিক ধ্বংস মৃত্যু আর তান্ডব চালিয়ে অল্পদিনের মধ্যেই হারিয়ে গেছে। অন্যদিকে পরের শক্তি (ইসলাম) মানব-সভ্যতা-সংস্কৃতি ও ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী বৈশিষ্ঠের ছাপ রেখে গেছে। এদের অগ্রাভিযানে ধবংস ছিল একটি সম্পূরক অংশ মাত্র। নতুন নির্মাণের প্রয়োজনে এরা জরাজীর্ণ পুরাতনকে উপড়ে ফেলেছে। মানব সভ্যতার যুগ যুগ সঞ্চিত জ্ঞান ভান্ডারকে অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে, ভবিষ্যৎ বংশধরদের অসীম কল্যাণের জন্যই ধূলিসাৎ করে দিয়েছে সিজার আর চস্রুদের প্রাসাদ।
এম এন রায় ছাড়াও বহু ঐতিহাসিক আর বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ তাদের লেখায় তুলে ধরেছেন তৎকালীন ইসলামের গৌরবগাথা। যেমন এডওয়ার্ড গিবন এর Decline and Fail of the Roman Empire, সাইমন অকলে র লেখা History of Saracens, জন উইলিয়াম ড্রেপার র History of Intellectual Development of Europe ইত্যাদি।
এতোকিছু আর এতো রেফারেন্স দেয়ার উদ্দেশ্য এটাই যে অবিশ্বাসী বা নাস্তিকতা দোষের কিছু না। মানুষ চাইলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। এটাই মানুষের সব থেকে বড় ক্ষমতা। কিন্তু সমালোচনা করার সময় একটা নীতি নৈতিকতার প্রশ্ন এসে যায় যে আপনি আপনার মতাদর্শটাকে কীভাবে উপস্থাপন করছেন। অথচ দুঃখের বিষয় এই যে কিছু কতিপয় অবিশ্বাসীগণ "মুক্ত চিন্তা"র সংজ্ঞাকে ইসলাম বিরোধী চর্চাতে পরিণত করেছে। তারা কতো বেশি এই ধর্মের নামে বাজে কথা লিখতে পারে তার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত এবং এটাকেই তারা স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরে নিয়েছে। আমার মতে এরা হলেন থার্ড ক্লাস টাইপের নাস্তিক। আমি একজন নাস্তিককে শ্রদ্ধা করি যিনি যুক্তি দিয়ে ধর্মের সমালোচনা করবেন কারও বিশ্বাসে আঘাত করে নয়।
আরেকটা গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ না করলেই নয়। যারা অতি মাত্রায় ধর্মীয় চেতনা উল্লোসিত। এ দেশের চরমোনাই, মাইজভান্ডারী আর অমুখ তমুখ পীরেরা যখন নিজেদের নবী বলে দাবী করে, নিজের মধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্বের কথা দাবী করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিপদগামী করে তখন তাদের চেতনার আগুন এন্টার্কটিকার বরফের ন্যায় শীতল থাকে। শুধু যখন কোনো ব্লগার বা লেখক ইসলামের বিরোধীতা করে তখনি তাদের চেতনার আগুন উনুনের আগুনের মতো প্রজ্বলিত হয়। সব জায়গায় কেন এতো ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ?
আল্লাহর কাছে দোয়া চাই যে তিনি এদের সবাইকে হেদায়াত করুক।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩০
সাবাব ইকবাল বলেছেন: াঙালীতো... বুঝেনই... আমাদের স্বভাবই এইটা।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৪
রিমান বলেছেন: থাপ্পড় টা ভাল ছিল ! ভাল লাগল !!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৯
সাবাব ইকবাল বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৬
সালমান মাহফুজ বলেছেন: উগ্রপন্থা সবসময়েই বিপদজনক । হোক সেটা ধর্মকেন্দ্রিক কিংবা নাস্তিকতাকেন্দ্রিক । উভয় উগ্রপন্থিদেরই বর্জন করা দরকার ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩২
সাবাব ইকবাল বলেছেন: এই উভয়পক্ষই অল্প জ্ঞানে অধিকতর পন্ডিত। তাই এই অবস্থা।
৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:২৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগল
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১০
অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: উগ্রতা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য উভয়েরই বর্জন করা উচিত ।