নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে যতোটুক কম জানা যায় ততটুকু ভালো... বেশী জানলে নিজের প্রতি সম্মানটা কমে যাই...

নোটিশ নাই

শাবাব বিন জাহাঙ্গীর

শাবাব বিন জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারানো ডায়েরি

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

সাউন্ড সিষ্টেমের ভলিউম কমিয়ে রাফি পুরানো ডায়েরীটা খুলে দেখতে লাগলো.. প্রায় ৫ বছর পুরানো ডায়েরী.. আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেই দেখে মা পুরান কাগজ পত্র বিক্রির জন্য দিয়ে দিচ্ছেন.. এবং সেখানে হঠাৎ তার চোখ পরে তার পুরানো ডায়েরীটার দিকে.. একটা সময় ডায়েরিটাই ছিলো তার প্রিয় বন্ধু.. পুরানো কাগজ পত্র থেকে ডায়েরীটি বের করে তার রুমে নিয়ে আসে..

ডায়েরীটা আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগের.. যত রাগ, দুঃখ কষ্ট, মান অভিমান সব কিছুর সাক্ষী এই ডায়েরী.. একটা সময় ডায়েরী লিখাটা ডেইলি রুটিনের অংশ ছিলো.. সব ছোট খাটো অনুভূতির কথা লিখা আছে ডায়েরীতে..

ডায়েরীটা তন্দ্রার দেওয়া.. লিখা লিখির অভ্যাস আছে, তাই পাগল মেয়েটি জোর করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেছিলো, "ডায়েরীতে তোমার সবকিছু লিখে রেখো. জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কলমে বন্দি করে রেখো.. অনেকে বছর পরও পুরানো স্মৃতি গুলো যেন হারিয়ে না যায়".

হ্যা অনেক বছর পর পার হয়ে গেছে.. ডায়েরীতে ধুলোর মত স্মৃতিতেও জং ধরে গেছে.. আজ সেই ডায়েরীর ধুলো গুলোর সাথে স্মৃতির জং গুলোও যেন হঠাৎ সরে গেল.. ডায়েরীর পাতা উল্টে দেখতে দেখতে পুরানো সব স্মৃতি যেন তাজা হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো.. যেন সেদিনের কথা.. বুকের ভিতর হঠাৎ চিন চিন করে উঠলো.. পুরানো স্মৃতির সাথে যেন পুরানো ভালোবাসাটার গাছটাতেও যেন কেউ পানি দিয়ে গেল.. তন্দ্রা যেদিন শেষবার দেখা করেছিলো সেদিন কান্না চোখে বলেছিলো তাকে ভুলে যেত.. আসলেই কি সে এখনো পেরেছে.? কত রাত একা কেদেছে, এই ডায়েরীর প্রতিটা পাতা তার সাক্ষী.. চোখের পানির দাগ গুলো শুকিয়ে গেছে, মনের ব্যাথাটাকি আদো শুকিয়েছে.? ..

ডায়েরীর শেষ পাতাটা উল্টে দেখলো.. সাদা কাগজে লিখা গুলো এখনো জ্বল জ্বল করছে .. "প্রিয় তন্দ্রা, জানিনা কেন ভাগ্য এমনটা করলো, এটাও জানিনা আর কোনদিন দেখা হবে কিনা.. শুধু এটা জানি তোমাকে সারা জীবন ভালোবেসে যাবো.. আর তোমাকে পাওয়ার জন্য ভালোবাসি নি.. ভালোবাসতেই ভালোবেসেছি.. তাই চাই যেখানেই থাকো, ভালো থেকো. হয়তো এটাতেই এখন মনের ব্যাথাটা কমবে"..

রাফি ডায়েরীটা বন্ধ করে চোখের কোনায় হাত দিয়ে দেখলো.. না কোন পানি নেই তার চোখের কোনে.. বুকের ভিতরের চিনচিনটাও খুব একটা বেশী না.. ডায়েরীর পাতার মত স্মৃতিতেও একদিন ধুলো পরে যাবে.. সবটাই স্বাভাবিক হয়ে আসবে.. শুধু ডায়েরীর লিখা গুলোই স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে..
সাউন্ড সিষ্টেমের ছোট সাউন্ডে তখনো বেজে চলেছে "walking down the street, distant memories.. are buried in the past forever... follow the moskva, down to gorky park.. listening to the wind of change"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৬

শাবি বলেছেন: ভালো লিখছো শাবাব।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৮

শাবাব বিন জাহাঙ্গীর বলেছেন: thank you bhai

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.