![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গেল বর্ষায় ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছিলো.. ঠিক করাবে বলে বলে ঠিক করানো হয় নি.. এ বর্ষায় ছাদের সেই ফাটল থেকে পানি গরিয়ে পরছে.. কিন্তু সে দিকে কোন খেয়ালই যেন নেই মিশির আলীর.. জানালার বাহিরে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে গতকাল রাতের কথা গুলো ভাবতে লাগলেন..
মিশির আলী প্রচন্ড যুক্তিবাদী মানুষ.. পৃথিবীর সকল রহস্যের যুক্তি তিনি দাড়া করাতে পারেন, কিন্তু তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কোন যুক্তি খুজে পাচ্ছেন না..কারণ গতকাল রাতে তিনি হুমায়ন আহমেদকে দেখেছেন.. প্রথমেই মস্তিস্কের হ্যালোসুনেশন বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন.. কিন্তু এক সাথে দুজনের কিভাবে হ্যালোসুনেশন.? মানতে পারছেন না.. নিশ্চয় অন্য কোন রহস্য..
তিনি আবার গতরাতের ঘটনা মনে করতে লাগলেন.. রাত আনুমানিক ৩ টা, পুরানো না ঘুমানোর রোগটা ফিরে আসেছে তাই "Life after death" নামের বইটি পরছিলেন.. হঠাৎ দরজায় টোকার আওয়াজ.. বজলু ঘুম তাই নিজে উঠেই দরজা খুলে দিলেন.. দরজার ও পাশে দাড়িয়ে ছিলো হলুদ পাঞ্জাবী পরা হিমু নামের ছেলেটা.. ভিঝে চুপচুপ অবস্হা.. খুব দ্রুত নিশ্বাস নিচ্ছে.. অর্থ্যাৎ খুব উত্তেজিত.. ছেলেটিকে আগে বেশ কয়েকবার দেখেছে, কিন্তু এত উত্তেজিত অবস্হায় দেখেনি.. এবং জানে উত্তেজিত হওয়ার ছেলে হিমু না..
কিছু বলার আগেই হিমু বলে উঠলো.. চাচা, হুমায়ন আহমেদ স্যার আপনার সাথে দেখা করতে এসেছে.. দরজা দিয়ে পিছনে দেখতেই দেখলো হুমায়ন আহমেদ দাড়িয়ে আছেন, গায়ে শাল আর লাঠি হাতে.. মিশির আলি অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না.. যে মানুষটাকে ৩ বছর আগে কবর দিতে দেখেছে, সে কিভাবে তার সামনে দাড়িয়ে থাকতে পারে.. মিসির আলীর চিন্তা করতে করতে হুমায়ন আহমেদ ঘরে ঢুকলেন.. শেষ বারের দেখা সেই হাসিটা মুখে এখনো রয়ে গেছে.. অবিকল হাসি..
হুমায়ন আহমেদ ঢুকেই বললেন, মিসির আলি সাহেব, আমি জানি আপনি এখন এটিকে মস্তিস্কের হ্যালোসুনেশন বলে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন.. পৃথিবীর সব রহস্যের পিছনে কিন্তু লজিক থাকে না.. আমি আবার ফিরে...... কথা শেষ করার আগেই মিশির আলী চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করলো.. এবং অবশ হয়ে মাটিতে শুয়ে পরলেন..
কতক্ষন ঘুমিয়েছেন ঠিক নেই সকালে যখন চোখ খুললেন তখন তিনি দরজার সামনেই মাটিতে পরে ছিলেন এবং দরজা খোলা ছিলো.. মাথা ঘুড়িয়ে দেখতেই, দেখতে পেলো হুমায়ন আহমেদের হাতে থাকা লাঠিটি..
©somewhere in net ltd.