নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সবসময় সত্য,আমি সত্যেরই সারথী।লেখালেখির অভ্যাস পুরানো,ফেলতে পারি না;সময় অসময়ে জেগে ওঠে।ব্লগ কিংবা ফেবুতে আমি একজনই..\"শাহেদ শাহরিয়ার\'\',জয়\' নামটা বন্ধুদের দেয়া।ওটা\'ও তাই রেখেই দিয়েছি।লিখছি,যতকাল পারা যায় লিখব;ব্যস এতটুকুই!

শাহেদ শাহরিয়ার জয়

আমি শাহেদ শাহরিয়ার,একটু আবেগি আর খানিকটা যৌক্তিক।

শাহেদ শাহরিয়ার জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন কঠিন,বাস্তবতা কঠিনতর!

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৫

পাশের বাড়ির ছেলেটা s.s.c পাশ করেই কিভাবে যেন পুলিশের কনস্টেবল হয়ে গেল,পছন্দের মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে এসে বিয়েও করে ফেলল;শেষবারের খবর হল: মেয়েটা নাকি এখন সাত মাসের গর্ভবতী।ও বাড়ির দু' বাড়ি পরেই একই পরিবারের দু' বোন কলেজে উঠতে না উঠতেই প্রাইমারি স্কুলে চাকুরী জুটে গেল,সেকি চাল- চলন এখন ওদের!সর্বশেষ অবস্থা হল: ওদের বাবা চায়ের দোকানে প্রতিনিয়তই ঝড় তুলছেন এই বলে যে,তার মেয়ের বিয়ের জন্য নাকি অনেক হোমরা-তোমরা হামলে পড়ছে!
এটা ২০১৬ইংরেজির কথা।আমি যখন s.s.c দিই তখন গ্রামে শিক্ষিত ছিল না বল্লেই চলে,উচ্চশিক্ষার আশায় শহরে পারী জমিয়েছি,ক্লাসের পর ক্লাস শেষ করেছি বইয়ের পাতায় চোখ- মুখ গুজে,ভেবেছি এখন বাইরে তাকাবো না,যখন তাকাবো,তখন যেন চারদিকে আলো দেখতে পাই!
এই ভবিষ্যৎ আলোর স্বপ্ন নিয়ে অনেক অন্ধকার দিন পেছনে পেলে এসেছি!সমবয়সী যারা গ্রামে ছিল,পড়া- লেখার ধার ধারেনি,তাদের কেউই এখন একা নয়; বাচ্চা- কাচ্চা নিয়ে সংসার করছে।উপার্জনের জায়গা হয়তো দেখাবার মতো কিংবা বলার মতো নয়,তবুওতো ওরা সংসার সামলাচ্ছে।মা- বাবাকে,স্ত্রী- পুত্র দেখবাল করছে।ওরা অতটা সুখে না থাকুক,দুঃখে নেই।আবার এ প্রজন্মের অনেকেই ছোটখাট সরকারি- বেসরকারি চাকুরি করছে।এবার সর্বশেষ খবরটা বলি: বয়সটা শেষের দিকে,এখনো একটা চাকুরির আবেদন পত্র পুরণের জন্য মায়ের কাছে লজ্জার মাথা খেয়ে হাত পাতি।বাবা সবসময় পাশের বাড়ির কর্মীক মানুষগুলোর উদাহরণ টেনে আমাকে চাকুরির কথা স্মরণ করাবার চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না।বড়ভাই,আকারে ইঙ্গিতে বুঝাতে চায় যে আমি কোনভাবেই পর্দাথের মধ্যে পরি না!আর আমি দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে আজও রেলওয়ের ১৬তম গ্রেডের একটা চাকুরির পরীক্ষা দিয়ে এলাম,যেটার মাইনে পাশের বাড়ির s.s.c পাশ করা ছেলেটির মাইনের চাইতেও কম!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৩

দর্শনপ্রিয়কার্তিকেয় বলেছেন: আপনার কঠিন সময়ের ইতি হোক এই প্রত্যাশা করি

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:২৪

তাজ উদ্দীন সুমন বলেছেন: আপনার লিখাটা পড়ে যতটুকু বুঝলাম হতাশার সুরে লিখেছেন। আপনাকে কিছু বলব ততটুকু পড়াশুনা আমার নেই। তবে বয়সের দাবিতে একটা কথা বলি আপনার মত অসংখ্য ছেলে মেয়ে সর্বচ্ছ ডিগ্রী নিয়ে হতাশার সাগরে ভাসছে। আমাদের দেশে ছেলে মেয়েরা কাজ পাচ্ছে না আবার এটাও সত্যি অনেক নিযোগ র্কতা যোগ্য প্রার্থি পাচ্ছে না। শুধু মনে রাখবেন একজন নিযোগ কর্তা যোগ্য প্রার্থি বলতে শুধু সর্বচ্ছ ডিগ্রীকে প্রাধন্য দেয় না। আমি এমন অনেক কে জানি তাদের চাকুরী খুজতে হয়নি বরং চাকুরি তাদের খুজে নিয়েছে। চাকুরী নেই , মামা খালু , টাকা এসব ছাড়া চাকুরী হয়না এমন বিশ্বাস থেকে সরে এসে নিজের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করুন। প্রযোজনে বিনা বেতনে কাজ করে কাজের অভিজ্ঞতা সাথে দক্ষতা অর্জন করুন সাথে সাথে কাজটাকে ভালবাসুন। গ্যরান্টি আপনার চাকুরি আপনাকে খুজে নিবে। সর্বশেষে আপনার সাফল্য কামনা করে শেষ করছি।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: সাহস হারালে চলবে না।
শুভকামনা।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

শাহেদ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ধন্যবাদ,দর্শনপ্রিয়কার্তিকেয়,শুভকামনার জন্য।
ধন্যবাদ,#তাজউদ্দিন সুমন ভাই,আমি জানি না কাদের কথা বলছেন যাদের কে চাকুরি আজকাল খুঁজে নেয়।আমি হতাশ নয়,আমার মত যারা এ দেশের নোংরা সিস্টেমে আটকা পরা আছে হয়তো তাদের খবর আপনার জানা নেই।
কথা যখন উঠেছে তখন একটু বলি,আমি ইংরেজিতে বি.এ+এ. ম,৩৪তম বিসিএস উর্ত্তীণ,৩৫তমও ভাইবা দিচ্ছি।বন্ধুরা যেখানে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে চাকুরি পাচ্ছে সেখানে আমি ১৩০০নম্বর পাশ করেও কেন পাব না!?!
আর বাকিটা নাইবা বল্লাম,ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ,বিজয় রয়,ঠিক বলেছেন,সাহসটাই আজো চলতে সাহায্য করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.