নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত নিয়ে কিছু কথা ...........

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫


যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে শনাক্ত করেছেন বলে খুবই হইচই হচ্ছে । একটি থ্রিডিও ভিডিও তৈরি করা হয়েছে । সেটি ফেবুতে অসংখ্যবার শেয়ার করা হয়েছে ।
আমার এ ব্যাপারে একটি বক্তব্য রয়েছে, সেটির অল্প কিছু অংশ এখানে লিখলাম । যদি কারো আরো ব্যাপক কিছু জানা থাকে তা হলে সেটা আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন ।
প্রথমেই বলতে চাই এই বিজ্ঞানী দল যাকে "মহাকর্ষীয় তরঙ্গ-সংকেত" বলছে সেটা নিয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণ ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে । বিষয়টি "ঈশ্বর কণার" মতো ভাঁওতাবাজি না হলেই হয় । আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বলছে, মহাবিশ্বের সর্বত্র তরঙ্গ রয়েছে । সেটি যতো ক্ষুদ্র পরিসরেই হোক না কেন ।
তরঙ্গ কি ? সেটা আমাদের সবার জানা আছে । "তরঙ্গ" হচ্ছে, কম্পন । একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য একটি বস্তুর আঘাত বা ঘর্ষণের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় । এটি অতি সাধারণ একটি বিজ্ঞান । আজ পর্যন্ত "ব্ল্যাক হোল" নিয়ে যতোগুলো গবেষণা হয়েছে এবং তার ফলে যেসব তথ্য উঠে এসেছে সেগুলোতে সব বিজ্ঞানীরা একমত হতে পারেন নি । বিতর্ক থেকে গেছে । কেননা ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ন গহব্বরের কোটি কোটি দূর থেকে এসব গবেষনা চালানো হয়েছে ।

"ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে, মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তাড়িতচৌম্বক বিকিরণকেও (যেমন: আলো) নয়। প্রকৃতপক্ষে এই স্থানে সাধারণ মহাকর্ষীয় বলের মান এত বেশী হয়ে যায় যে এটি মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে।"
এই সংজ্ঞাটি কিন্তু অনুমানের উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হয়েছে্ । আমরা যতোটুকু জানতে পেরেছি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু অজানা রয়ে গেছে । পরিস্কার ভাবে যদি বলতে যাই, তা হলে বলা যায়, ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর আসলেই কি এবং কি দিয়ে তৈরি আমরা তা জানি না । কিছু দিন আগে যেমন বলা হয়েছে, ষ্টার বা তারা জ্বলে জ্বলে নিভে গিয়ে ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরে পরিনত হয় ।
"মহাকর্ষীয় তরঙ্গ-সংকেত" ক্ষেত্রে আমার পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, একশন, ইভেন্ট যাকে বলে বস্তু থাকলে সেখানে একশন হলে ইভেন্টও হবে । বাংলায় বললে, বলা যায় ঘাত প্রতিঘাত । ব্যাপারটা যদি এভাবে চিন্তা করি, মনে করি ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে একটি নদী । এখন কেউ যদি সেই নদীতে একটি ঢিল ছুড়ে মারে তা হলে কি হবে ? হ্যা ঠিক ধরেছেন, তরঙ্গের সৃষ্টি হবে । কিন্ত সেহেতু বিজ্ঞানীরা বলছেন, হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এর ভর এত বেশি যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না,তা হলে তরঙ্গ সৃষ্টি না হওয়ার ই কথা। ঘনত্ব যতো বেশি তরঙ্গ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা ততো কম । কিন্তু সূত্র বলছে, ভর যতো বেশিই হোক না কেন অতি ক্ষুদ্র মাত্রায় হলেও তরঙ্গের সৃষ্টি হবেই হবে । আঘাত হলে প্রতিঘাত আসবেই । এটি নতুন কোন আবিস্কার নয় ।
দেখুন ভেবে যেখানে "ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর" জিনিসটা আসলেই কি তার সঠিক ব্যাখ্যাই কেউ দিতে পারলো না অথচ তার ভেতরের তরঙ্গ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আগে ব্ল্যাক হোলের সঠিক নির্ভুল ব্যাখ্যা চাই । তারপর দেখবো ভেবে এই নতুন ইস্যুটি নিয়ে হইচই করার কিছু আছে কিনা । দু'টি ব্যাক হোলের সংঘর্ষের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হতেই পারে সূত্র তো একই "একশন এন্ড ইভেন্ট" ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনি তো অনেক জানেন!!
+++++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রশংসা করলেন নাকি বাঁশ দিলেন বুঝলাম না ভাই

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

বিজন রয় বলেছেন: বাঁশ কেন বলছেন? আপনি যে নিজের যুক্তি তুলে ধরেছেন সেটাই বলতে চেয়েছি। আপনার যুক্তি সত্য বা মিথ্যা হতে পারে, সেটা সময় ঠিক করে দেবে, তবু তো কিছু একটি বলেছেন।

ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ , খুবই ভালো বলেছেন ।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৪

গরল বলেছেন: একটি বস্তুর সঙ্গে অন্য একটি বস্তুর আঘাত বা ঘর্ষণের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় - এইটা ভূল ধারণা

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কোন স্থিতিস্থাপক জড় মাধ্যমের বিভিন্ন কণার সমষ্টিগত পর্যায়বৃত্ত কম্পনের ফলে মাধ্যমে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, তাকে তরঙ্গ বলে । ভাই একশন এন্ড ইভেন্ট চিন্তা করুণ তরঙ্গ পেয়ে যাবেন ।

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

গ্রিন জোন বলেছেন: তবুও লেখাটা ভাল। চিন্তা তো করতে হয়েছে লেখকের। ধন্যবাদ ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ, আলোচনা চাই আলোচনা হলেই ব্যাপারটা খোলাশা হবে ।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: অপর্যাপ্ত ধারণা এবং ক্লিয়ার কন্সেপশনের অভাবে এরকম অদ্ভুত পোস্ট প্রবস হয়েছে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: একটু পরিস্কার করুণ প্লিজ , আমি আগেই বলেছি কারো ভাল ধারনা থাকলে সেটা শেয়ার করুণ

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পোস্টটি ভাল তবে যথেষ্ট নয়। এটি আরো বেশি বিশ্লেষণাত্বক আলোচনা ও তথ্যপুর্ণ হবার দাবি রাখে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আমি শুরুতেই বলেছি , আমার এ ব্যাপারে একটি বক্তব্য রয়েছে, সেটির অল্প কিছু অংশ এখানে লিখলাম । ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হলেই প্রকৃত জিনিস বের হয়ে আসবে ।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

দরবেশমুসাফির বলেছেন: "মহাকর্ষীয় তরঙ্গ-সংকেত" বলছে সেটা নিয়ে ব্যাপক বিশ্লেষণ ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে । বিষয়টি "ঈশ্বর কণার" মতো ভাঁওতাবাজি না হলেই হয় ।

ঈশ্বর কনা ভাঁওতাবাজী???!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রথমেই বলি হিগস-বোসন বা ঈশ্বর কনা সন্ধান পাওয়া একটি ডিসকোবার এটা কোন আবিস্কার নয় । কিন্তু সেটি নিয়ে যা করা হয়েছে সেটি ভাওতাবাজি । পরমানুকে ভেঙ্গে হইচই ফেলে দেওয়ার জন্য ফলাও করে প্রচার করা হলো "ঈশ্বর কনার" সন্ধান পেয়েছেন । কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের প্রযেক্ট কিছু তো একটা দেখাতে হবে, তাই এতো হইচই এর প্রচেষ্টা ছিল । অথচ 'সত্যেন বোস' ফ্রিতে সেটার কথা বলে গেছেন ।

যদি "ঈশ্বর কনা না বলে শুধু হিগস বোনসই বলা হতো তা হলে এতো হইচই হতো না । এটা মানুষের সঙ্গে পরিস্কার প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না । মজার ব্যাপার আরো যে,হিগস নিজেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না । দেখুন ক্যামন ভাওতাবাজি ছিল এটি ! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.