নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
ভেবে দেখেছেন কি, বাংলাদেশে বেছে বেছে খোদা ভক্ত মুসলিম নারীদের হত্যা করা হচ্ছে ! প্রথমে তনু তারপর মিতু। দু'জনই হেজাব পরতেন এবং দু'জনই কোন না কোন ভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে জড়িত।
এরপর হত্যা করা হল একজন খৃষ্টানকে। তারপর বেছে নেওয়া হল হিন্দু পুরোহিতকে । বিভিন্ন ধমের লোকদের হত্যা করা হচ্ছে বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।
* নারীদের হত্যা করে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বদনাম করা হচ্ছে। দেশের মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা হচ্ছে।
** হিন্দু পুরোহিত হত্যা করে ভারতের হিন্দুদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা হচ্ছে। যেমনটি করা হয়েছিল গুজরাটে মুসলিম নিধন আর বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার আগে।
সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ এক গভীর ষড়যন্ত্রে মধ্যে নিম্নজ্জিত । যারা এই হত্যা কাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের পরিকল্পনা অনেক গভীর। আমার তো হচ্ছে, যারা ভারতকে মুসলিম শূন্য করার ঘোষুনা দিয়েছে তারাই বাংলাদেশকে মুসলিম শূন্য করতে চাইছে। একবার চিন্তা করে দেখুন তো বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবেশ অস্থির হলে কাদের লাভ বেশি ? নেপাল,শ্রীলঙ্কায় কোন দেশ যুগের পর যুগ সন্ত্রাস টিকিয়ে রেখেছিল । নেপাল কাদের জুতা মেরে তাদের দেশের ব্যাপারে নাক গলাতে গেলে শিক্ষা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে । পাকিস্তান তো নিজেদের সমস্যা সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে । তাহলে অন্য কোন দেশটি রয়েছে যারা সীমান্তে বাংলাদেশিদের মারছে, মেরে ঝুলিয়ে রাখছে । আশা করি বুঝতে কারো বাকি নেই আমি কাদের কথা বলছি ।
*** বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার,সমকামী,খৃষ্টানদের হত্যা করে আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা হচ্ছে ।
বিষয়টা এমন যে, বন্ধুর লেবাসে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যতিব্যস্ত রেখে নিজেদের কার্য সিদ্ধি করা । ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা যাকে বলে । আমার লেখাটি পড়ে অনেকে আমাকে ভারত বিদ্বেষী ভাবতে পারেন । তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না । আমি আমার চিন্তাগুলো শেয়ার করছি মাত্র ।
একটু খেয়াল করলে মনে করতে পারবেন, দেশের সব কটি নিউজ পেপারে খবরটা প্রকাশ পেয়েছিল । আসন্ন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাতে রবাট ট্রাম জিততে পারে তার জন্য ভারতের একটি কট্টর মৌলবাদী হিন্দু গোষ্ঠী পূজা আচনা করেছে । তাদের উদ্দেশ্য ট্রাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলে সেখান থেকে তিনি মুসলমানদের বের করে দেবে । কি হাস্যকর অথচ প্রতিহিংসা পরায়ণ চিন্তা, ভাবনা তাই না ?
আর একটু চিন্তা করে দেখুন, যে দেশে বাসে, ট্রেনে,অলিতে, গলিতে নারীদের নির্যাতন করা হয় । মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রকাশ্য ঘর থেকে বের করে এনে হত্যা করা হচ্ছে । সে দেশের হাইকমিশনার বাংলাদেশে পুরোহিত হত্যাকাণ্ডে সমবেদনা জানাতে যাবার সাহস দেখায় । এর মানে কি ? পুরোহিত কি ভারতের নাগরিক ছিলেন ? না ভারতের চর ছিল । যারা নিজের দেশে নিম্ন বর্ণের হিন্দু মহিলাদের নেংটো করে রাস্তায় ফেলে রাখে তারা অন্য একটি দেশে ঘটা হত্যাকাণ্ডে নাক গলাবার সাহস দেখায় কোন সাহসে ?
পুরোহিত ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক তাই তার হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের ধরা ও শাস্তি দেবার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ভারতের নয় । তাই সাবধান ইন্ডিয়া । বাংলাদেশের ব্যাপারে নাক গলিয়ো না । পাকিস্তান পারেনি তোমরাও পারবে না । ভুলে যেও না বাংলাদেশ লড়াকু জাতি । কারো ধমকে প্যান্ট ধুতি ভিজিয়ে ফেলে না । বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন সহযোগিতার ব্যাপারেই ভারত কে পাওয়া যায়নি । শুধু নিয়েছে । আর নিয়েছে । স্বাধীনতার সময় এদেশ থেকে ট্রাকের পর ট্রাক অস্ত্র,স্বণ নিয়ে গেছে । সেই লোভের হাত এখনও পেতে রেখেছে । কংগ্রেস সরকার যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততোদিন ভারত মানুষের দেশ ছিল এখন তারা যন্তু জানোয়ারের দেশে পরিনত হয়েছে । তাই তাদের কাছে পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রেই নিরাপদ নয় ।
যতো এই ধরণের হত্যাকাণ্ড ঘটবে ততো জঙ্গি, অস্থিতিশীল রাষ্ট্র,আএসএস ইত্যাদির সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে বলে বিশ্বে অপপ্রচার চালানো হবে আর সে সুযোগটাই নিতে চাইছে ভারতে । ইতি মধ্যে আমরা দেখতে পেয়েছি যে, আমেরিকা,বৃটেন বাংলাদেশে আইএসএস আছে বলে প্রচার করছে । বাংলাদেশে যখনই কোন হত্যাকান্ড ঘটছে । তার দায় আইএসএস স্বীকার করছে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে । বলি এই ওয়েব সাইট চালাচ্ছে কারা ? আইএসএস এর মূল ওয়েব সাইটে কিন্তু কোন দায় স্বীকার করা হয় না আমা ধারনা এগুলো ভারতের কাজ । বাংলাদেশের উন্নতি তারা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না ।
ভারত বাংলাদেশে ইংরেজ নীতির প্রয়োগ ঘটাতে চাইছে । ইংরেজ যেমন ভারতে মীর জাফরকে দিয়ে পুতুল সরকার বানিয়ে ছিল । ভারতের উদ্দেশ্যও হয়তো তাই । বাংলাদেশে তারা তেমন কিছু একটা করতে চাইছে । এখন যদি ভারত, জঙ্গি দমনের নামে বাংলাদেশে সৈন্য পাঠায় বা পাঠাবার প্রস্তাব দেয় তাতে আমি মোটেও অবাক হবো না । তাই বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের ব্যাপারে বিশেষ সর্তক থাকা এবং আমাদের দ্বায়িত্ব আওয়াজ তোলা ।
০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: দু:খিত ভাই আপনার মতো এতো তেজি ব্রেন আমার নাই ।
২| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: ভারতের অনেক কিছুকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করি না। ভারত আমাদের সবসময়। ক্ষতিই করেছে ভাল কিছু করে নি। তাই তাদের নিয়ে সর্তক থাকা উচিত।
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
রাশেদ রাহাত বলেছেন: মোস্তফা ভাই এইটা কি কইলেন...? হাঁসি পাইলো।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
Ami Abir বলেছেন: @সাখাওয়াত ভাই, আপনার চিন্তাগুলো আমাকেও ভাবিয়ে তুলছে। আসলেই সাবধানে থাকা উচিত।
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
রোষানল বলেছেন: নারীদের হত্যা করে সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বদনাম করা হচ্ছে। দেশের মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা হচ্ছে।
উল্টোটিও তো হতে পারে। জনগনের মন থেকে ইসলামের প্রতি বেচেঁ থাকা ভালোবাসা টুকু বিলিন করে দেয়া।
আমাদের প্রধান ম.. সেদিন যেন কোন দেশে ছিল?
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
আবদিয়াৎ বলেছেন: ক্ষমতার মোহে সবই পারে .......দোষ দিব অন্যের ঘারে এইটাই শাসকের চরিত্র ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
মোস্তফা ভাই বলেছেন: মাথার ব্রেন খাটালে বুঝতে পারবেন যে ইসলামী জংগীরাই সারা পৃথিবীতে মানুষ হত্যা করছে। ওয়াজে যাওয়া বন্ধ করুন, মাথা কাজ করবে।