নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
পুলিশ খারাপ, সিআইডি খারাপ, র্যাব খারাপ এরা সবাইকে মেরে কেটে হাসপাতালে পাঠায় । ফাঁসিতে ঝুলায়, ঘুষ খায় । ক্রশ ফায়ারে দেয় । মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলে । নির্যাতন করে । আরো কতো অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে । সেই পুলিশ,সেই সিআইডিই কিনা তনুকে যে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে সেটি প্রকাশ করেছিল । তাই তাদের কাছে শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ।
অন্যদিকে চিকিৎসা এক মহান পেশা এই পেশায় যারা নিয়োজিত তারা দেবতা সমতুল্য । মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আছে । নতুন জীবন দান করে । প্রায় সব পিতা, মাতারাই স্বপ্ন দেখেন তাদের ছেলে বা মেয়েরা বড় হয়ে চিকিৎসক হবে । মানুষের সেবা করবে । দেশের মঙ্গল করবে । তারা কবরে বসেও লাউ, কদু খাবো । দোয়ার ভাণ্ডার ওপেন করে যাচ্ছি । দোয়া আসতেই থাকবে । সত্যি বলতে, বাংলাদেশে যতোগুলো প্রফেশন আছে সব চাইতে খারাপ অবস্থানে আছে এখন এ পেশাটি । সবাই এদের কসাই নামে চেনে ।
অনেকেই হয়তো এখন হই হই করে উঠবেন কি বলে ? কি বলে, করে । তাদের বলছি,একটু থামেন । সরকারী, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর দিকে চোখ বুলান সত্যটা নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন । সব ছাত্রছাত্রীই মেডিকেলে ভর্তি হবার আগে স্বপ্ন দেখে মেডিকেলে চান্স পেলে সে একজন আদর্শ চিকিৎসক হয়ে সবাকেল মুখ উজ্জ্বল করবে । কিন্তু বড় হয়ে এক এক জন হয়ে উঠে বড় বড় চোখ । যারা চিকিৎসার নামে মানুষের শরীর নিয়ে,রোগ নিয়ে খেলে অর্থের লোভে । চিকিৎসা নয় অর্থই তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাড়ায় । তবে হ্যাঁ ব্যতিক্রম তো কিছু আছেই । তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই খুবই কম । সরকার যদি এসব চিকিৎসকদের ব্যাপারে কঠিন হয় সনদ কেড়ে নিয়ে ভিক্ষা করতে নামিয়ে দেয় তাহলেই কেবল এদের উচিত শিক্ষা হতো ।
মেডিকেল কলেজগুলোর আশে পাশে রাতের বেলা গেলেই দেখা যায় ভবিষ্যতের মানব সেবকেরা কি ভাবে নেশায় ডুবে আছে । ইয়াবা থেকে ফেনসিডিল । এমন কিছু নেই যা এরা খায় না । সন্ধ্যার পর এখনও আজিজ সুপার মার্কেটের আশে পাশে খুঁজলে দুই চারজন ডাক্তার পাওয়া যাবে যারা নেশায় চুড় হয়ে আছে । এদের কাছ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি আমরা ? এদের দিয়ে ভুল রিপোর্ট তৈরি করা কি কোন ব্যাপার ? বাংলাদেশে যে কয়টি কসাইখানা রয়েছে ( এপোলো,ইউনাইটেড,স্কয়ার,ল্যাবেইড) এখানে মৃত দেহ আটকে রেখে আর্থ আদায়ের ঘটনা তো অহরহ খবরে আসছে । মৃত্যু ব্যক্তিকেও আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় কোমায় আছে বলে । চিকিৎসকেরা চাকরী বাঁচাবার জন্য কর্তৃপক্ষের মর্জি মাফিক রিপোর্ট দেয় । যাক এসব নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না ।
তুনকে হত্যা করা হয়েছে । আজ প্রায় চার মাসের উপরে হতে চলতো । তনুর দেহের প্রথম ময়নাতদন্তের করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তনুর হত্যার কারণ নির্ধারণ করতে পারেননি । তিনি কোন ধর্ষণের টষনের আলামতও খুজে পাননি । উল্লেখ্য ঐ চিকিৎসকও একজন মহিলা ছিলেন । একটি ভুল রিপোর্ট দেওয়ার পরও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন ।
তনু হত্যা মামলাটি সিআইডির কাছে আসার পর সিআইডি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের সময় তনুর পরনের কাপড় ও কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেসব নমুনা ও তনুর পরনের কাপড় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরে সিআইডি জানায়, ডিএনএ ফরেনসিক পরীক্ষায় তনুকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তাতে পৃথক তিন ব্যক্তির বীর্য পাওয়া গেছে। ওই তিন ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইলও তৈরি করা হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অপর দুই সদস্য হলেন একই কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান করুণা রানী কর্মকার ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক মো. ওমর ফারুক। ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর লাশ তোলার পর তাঁরা দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন। কিন্তু কমদা প্রসাদ নানান করণ দেখিয়ে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন (এরা কিন্তু মানব সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন ) । দেশের আইনকে,সিআইডিএ,জনগনকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে কামদা প্রসাদ সাহা বলে বসেন সিআইডির ডিএনএ রিপোর্ট না পেলে তিনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবেন না । ভেবে দেখুন সিআইডি, তনুর পরনের কাপড় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ পরীক্ষা করে তাতে তিন ব্যক্তির বীর্যের আলামত পেয়ে গেল । আর কামদা প্রসাদ তনুর শরীরে ধর্ষণ বা খুনের কোন আলামত খুঁজে পেলে না ।
এমন কি তনুর শরীরে কোন আঘাতের চিহ্নও দেখতে পেল না । কি তামশা তাই না ? কাদের উপর ভরসা করবেন ? এর পরও কি চিকিৎসকদের কসাই না বলে সেবক বলবো ?
কামদা প্রসাদ সাহার মেয়েকে যদি ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় তা হলেও কি তিনি ময়নাতদন্ত করে হত্যার কারণ নিনয় করতে পারবেন ? ধর্ষণের আলামত পাবেন ? কামদা প্রসাদ সাহার জমা দেওয়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের কথা উল্লেখ নেই। এতে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে ‘যৌন সংসর্গ’ হয়েছিল।" অথাত তনু স্বেচ্ছায় তা করেছে । কতো বড় শয়তান ভেবে দেখুন । ইচ্ছে করেই লোকটা, "জোড় করে যৌন সংসর্গ" কথাটিও তিনি উল্লেখ করেনি । এই কামদা প্রসাদ একটি বিভাগের প্রধান হওয়ার পরেও ইচ্ছে করে কারো নির্দেশে ভুল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । মানে হচ্ছে লোকটা বিকিয়ে গেছে । এখানে খেয়াল করুন,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কামদা প্রসাদ সাহা হচ্ছেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান আবার করুণা রানী কর্মকার হচ্ছেন, গাইনি বিভাগের প্রধান । মানে দেশের সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান হচ্ছেন এখন ওনারা । কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে কি বিভাগীয় প্রধান হওয়ার মতো আর কোন যোগ্য ব্যক্ত নেই ।
তনুর মায়ের ভাষ্য, ‘ডাক্তাররা মিথ্যা কথা বলেছে। তনুর পিঠে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাথার পেছন দিক ও নাক থেঁতলানো ছিল। কবর থেকে যখন ওর লাশ তোলা হয়, তখন সেটি ফোলা ছিল। তেমন কোনো বিকৃতি হয়নি।’ আনোয়ারা বেগমের প্রশ্ন, ‘সুস্থ, সুন্দর মেয়েটি কি কোনো কারণ ছাড়াই মারা গেল? ওরে কি জিনে মেরেছে?’ আসুন আমরাও বিশ্বাস করি তনুকে হয় জিনে না হয় ভাল্লুকে মেরেছে । রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায় তা হলে আমাদের আর কি করার আছে ?
কামদা প্রসাদ,করুণা রানী কর্মকারেরা প্রমোশন পাক । উন্নতি করুক । ভবিষ্যতে যদি ওনাদের মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করে তা হলে হয়তো ওনারা বুঝবে তনুর মায়ের কি যন্ত্রণা । যে পুলিশ, সিআইডি,র্যাপকে আমরা খারাপ বলি এখনও যেটুকু আশা বেচে আছে তা আমরা তাদের কাছেই করতে পারি । আপনাদের কাছে অনুরোধ তনুর হত্যাকারীদের খুঁজে বের করুণ । শাস্তি দিন । খুলে দেন কামদা প্রসাদ আর করুণা রানীদের মুখোশ ।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "সত্যি বলতে, বাংলাদেশে যতোগুলো প্রফেশন আছে সব চাইতে খারাপ অবস্থানে আছে এখন এ পেশাটি । সবাই এদের কসাই নামে চেনে ।" - খুবই সত্য কথা। তবে, পুলিশ-র্-্যাব-সরকার নিয়ে আপনার আশাবাদেরও তো কারণ দেখছি না। ডাক্তাররা কি তাদেরই সহায়তা করছে বলে আপনার মনে হয় নি?
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
বিজন রয় বলেছেন: এটাতো অনেক আগেই বলেছিলাম।