নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
আচ্ছা চিন্তা করে দেখুন তো, একজন মুসলমান কি কখনো অন্য একজন মুসলিমকে হত্যা করতে পারে? পারে কি একজন মুসলিম ঈদের নামাজের জামাতে হামলা করতে ? যতো নিম্ন স্তরের মুসলিম ই হোক না কেন এসব করতে পারে না। কেননা এসব আমাদের রক্তে নেই। আমাদের কালচারে নেই। যদি উগ্র টাইপের মুসলিমও হয়,তা হলে তো তারা মন্দিরে আঘাত করবে, চার্চে আঘাত করবে তা না করে নিজেদের জ্ঞাতি ভাইদের উপর হামলা করতে যাবে কোন দু:খে ? যদি তাদের মাজাব আলাদাও হয় তবুও তো তারা এশিয়া কন্টিনালে অন্য মুসলমানের উপর আঘাত করবে না । কেননা এখানে শিয়া,সুন্নি,আহেলে হাদিস যারা আছেন তারা পাশাপাশি চলে অভ্যস্ত । ঝামেলা যা একটু আছে কাদেয়ানীদের সাথে তবুও সেখানে মারামারি কাটাকাটি নেই ।
তবে এখন যারা মুসলমান মারছে, মুসলিম দেশে আঘাত করছে তারা তা হলে কারা ? কি তাদের উদ্দেশ্য ? কোথা থেকে তারা এসেছে । বেছে বেছে শিক্ষিত ছেলেগুলোকে তারা কি করে রিক্রুট করলো ? কতো দিন,কতো বছর ধরে তার এ দেশে কাজ করছে ? কতো হাজার কোটি টাকা তাদের ইনভেষ্টমেন্ট তা খুজে বের করা দরকার ।
তাহলে কি আমরা ধারণা করতে পারিনা এর আগে সারা দেশে সংখ্যা লঘুদের উপর হামলাগুলো ছিল শুধু আই ওয়াশ । মূল হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কি তার সেসব হামলা করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর দৃষ্টি অন্যদিকে ব্যস্ত রেখেছিল ।
রমজান মাসে ফিলিস্তিনিতে মুসলমান নিধন হলেও তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেয়নি। কোন বক্তব্য প্রকাশ করেনি । কাশ্মীরেও তারা যায় না মুসলমানদের উপর চলা নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে । ভারতে গরু খাওয়ার অপরাধে মুসলমান হত্যা করা হলেও তাদের তাতে কিছু যায় আসে না। তাহলে তা হলে এরা আসলে কারা ? এদের টার্গেট কি শুধু নামাজরত মুসলমান আর মুসলিম দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা ? ঈদের দিনে,খুশির দিনে মানুষ মারার চেষ্টা করা ? ভেবে দেখুন, দাড়ি টুপি পড়ে কারা এসব করে বেড়াচ্ছে ? কাদের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করছে এরা ? অনেক প্রশ্ন তাই না ? কিন্তু জবাব নেই ।
গুলশানের হলী আটিজানে মুসলিম বলে,কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়ার পরই শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলা হল। এর মানে, হচ্ছে এরা বোঝাতে চেয়েছিল তারা মুসলিম জঙ্গি । তাই কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়ার নাটক সাজিয়ে ছিল। আটিজানে জঙ্গিরা নাকি যাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিল তাদের বলে গেছে ,তোমরা বাহিরে গিয়ে আমাদের কথা বলবে। বলবে,তোমরা মুসলমান বলে তোমাদের ছেড়ে দিয়েছি। কি হাস্যকর তাই না ? জঙ্গিরাও জানে প্রচারেই প্রসার। তাই হামলার দায় যেন সব মুসলমানদের উপর বর্তায় তার ব্যবস্থাও করে গেল। কিন্তু কেন? ভাবুন আর একটু ভাবুন না ?
বিজিপি ক্ষমতায় আসার পর মোছাসের আনাগোনা ভারতে বেড়ে গেছে। কেন,কেন? কাদের সাথে মিশে, কাদের মুসলমান বানিয়ে কি ট্রেনিং দিচ্ছে তারা? আইএস এর প্রধান যে,ইহুদি তা তো এখন সবার জানা। ভাবুন ভালো করে ভেবে দেখুন। জঙ্গি তো আমাদের খুব কাছেই রয়েছে। চিন্তা করে দেখুন পান কিনা খুঁজে জঙ্গি ! কাদের লাভ হচ্ছে আমাদের শরীরে জঙ্গি জামা পরিয়ে ? কারা ফায়দা লুটছে ? ভারতে সংখ্যা লঘুদের উপর প্রকাশ্য নির্যাতন চলছে আর বদনাম হচ্ছে বাংলাদেশের । রানা পিষুষের মতো সুবিধা ভোগিরা প্রকাশ্য অন্য একটি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করার মতো সাহস দেখায় ।
কোন কিছু হলেও অনলাইনে বিশেষজ্ঞরা হামলে পরেন । যে যার দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে শানে নজুল বণনা করতে শুরু করেন । ফেসবুক, টুইটারে ঝড় তুলেন আতন্কে নাকি তাদের নাওয়া খাওয়া শেষ । যে যার মতো বলে যাচ্ছে । সারা রাত রাস্তায় শুইয়া থাকলেও যারে কুত্তায় জিগাইবো কিনা সন্দেহ আছে । হেয়ও এখন পোষ্ট দেয় - পাশের জনরে সন্দেহ হয়, যদি পকেট থেইকা লম্বা ছুরি বাইর কইরা কল্লা কাইটা ফেলায় । চিন্তা করেন অবস্থা । কথায় আছে, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর সন্ত্রাসীদের কোন দলীয় পরিচয় নাই । কিন্তু বাস্তব্যে ব্যক্তি বা দলীয় স্বাথে আমরা নিজেরাই তাদের পরিচয় দিচ্ছি ।
আরে মামুরা, বাংলাদেশ এখনও পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র থেকে নিরাপদ । অনেকে চাইছে দেশের পরিস্থিতি আর মুসলমানদের বিশ্বের মসনদে খারাপ করতে । আপনাদের এই ছেঁচড়া কাঁদুনি অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে । তাই কাঁদুনি কুদুনি বাদ দিয়া রাস্তায় বুক ফুলিয়ে হাঁটুন । শ্বাস নিতে শিখুন । হাই ব্রীড নেতা গো মতো গর্তে লুকিয়ে থাইকেন না । তাইলে অনেক যন্ত কইরা করা বাগানের আম খাইবো পাশের বাড়ির অন্য কেউ । আজকে এই টুকুই থাক । অন্যদিন লিখবো জঙ্গি হামলা কেন হচ্ছে তার মূল কারণ । কতোজন কতো কথা বলে কিন্তু সত্যটা কেই বলে না । মানুষগুলো পোতায়ে গেছে । নেতায়ে গেছে । ইচ্ছে করে সত্যর পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে,স্বার্থের কারণে । কি বিচিত্র তাই না । অথচ আমাদের রক্তেই ঘুমিয়ে আছে হাজার হাজার বীর শহীদেরা ।
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যতো দোষ নন্দঘোষ আর কি ? কাদের লাভ হচ্ছে আমাদের শরীরে জঙ্গি জামা পরিয়ে ? কারা ফায়দা লুটছে ? ভারতে সংখ্যা লঘুদের উপর প্রকাশ্য নির্যাতন চলছে আর বদনাম হচ্ছে বাংলাদেশের । রানা-পিষুষের মতো সুবিধাভোগিরা প্রকাশ্য অন্য একটি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করার মতো সাহস দেখায়। কি বলার আছে আর ?
২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
প্রন্তিক বাঙ্গালী বলেছেন: মুসলিমদের দাবীয়ে রাখার চেষ্টা।
কে যেন বলেছিল যানি না, আই এস ভুল যায়গায় ক্ষমতা দেখাবার চেষ্টা করছে, বাংলাদেশ হল শহিদের রক্ত দিয়ে অর্জন।
আমি হলপ করে বলতে পারি এই বাংলায় জঙ্গিদের ঠাই হবে না। আমরা তা হতে দেব না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
আহলান বলেছেন: আমিও আপনার মতো করে ভেবেছি, ফেসবুক থেকে জেনেছি ইসরায়েলকে নাকি তারা (আইএসআইএস) ভয় পায়। মায়ানমারের মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, ভারতে গরু খাওয়া নিয়ে মুসলিম পিটিয়ে মেরে ফেলছে, চিনে মুসলিমরা রোজা রাখতে পারছে না, ফিলিস্তিন তো বহুত পুরানোর ইস্যু, যেখানে মুসলমানরা চরমভাবে নির্যাতিত। এমন কত শত বিশৃঙ্খলতা চলছে সারা বিশ্বে, যেখানে মুসলমারা নির্যাতিত হচ্ছে শুধু মুসলমান বলে, সেখানে তারা যায় না। নিরীহ বাংলাদেশে তারা মানুষ হত্যা করে ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে চায় .... এটা কিভাবে সম্ভব ?