নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে এমন কোন ঘটনার নজির নেই যেখানে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কেউ আদালতে গিয়ে মামলা করেছে

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১



*** বাংলাদেশে এমন কোন ঘটনার নজির নেই যেখানে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে কেউ আদালতে গিয়ে মামলা করেছে। ভরা আদালতে দাড়িয়ে বলতে পেরেছে, ইয়োর অনার, জরিনা আমাকে ছ্যাকা দিয়েছে । আমি জরিনার দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই । এবং সেই আর্জি শুনে আদালত জরিনার ২০ বছরের জেল বা জরিমানা করেছে ***

বদরুল যে অন্যায় করেছে তাতে তার কোন ক্ষমা নেই । কিন্তু ভেবে দেখতে হবে কেন সে এমন করেছে ? কোথায় সমস্যা ছিল । সে যে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই । তার এই মানুষিক অসুস্থতার কারণ কি ? তার ফেসবুক পড়ে বেশ বুঝা যায় সে নিজের সাথেই নিজে অনেক দিন যাবত আত্ম ধন্ধে লিপ্ত ছিল । চূড়ান্ত কিছু করে ফেলার ভয় পাচ্ছিল । প্রেমে ব্যথ হয়েও সে বারবার ক্ষমা করে দেওয়ার কথা চিন্তা করেছে । কিন্তু নিজের কাছেই সে শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ।

যে বয়সে তার অধ্যয়ন করার কথা । সে বয়সে সে খুনি হয়ে গেছে । সমাজের সবাই তাকে ছি ছি করছে । নিজ গর্ভধারিণী মা তার বিচার চেয়েছে । দলের নেতারা দূর দূর করছে ।

ভাল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল একটি সাবজেক্টের ছাত্র হওয়ার পরেও সে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছে । যেখানে আর একটি বছর গেলেই সে পাশ করে বের হতে পারতো । কর্ম জীবনে প্রবেশ করতে পারতো । কিন্তু হায়, উন্নত জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে সে হাতে তুলে নিয়েছে চাপাটি । কিন্তু কেন ?

নামি একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা হওয়া চাট্রি খানি কথা নয় । তার জন্য ও যোগ্যতা থাকতে হয় । ছাত্র সংগঠনের নেতা হওয়া একটি গর্বের ব্যাপার তা যে কারো জন্যই। কিন্তু কোন কিছুর মোহই তাকে আকষিত করতে পারেনি । প্রেম, নারী সম্পর্ক সব কিছু শেষ করে দিয়েছে বদরুলেন । ধীরে ধীরে সে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে । বারবার প্রেমিকার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যান,অপমান সে মেনে নিতে পারেনি । তার দরকার ছিল চিকিৎসার । জীবনের এমন একটি সময় একজন মানসিক চিকিৎসকের খুব দরকার ছিল তার ।

আমি পুরো বিষয়টিকে এখন একজন অসুস্থ ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধ হিসাবে দেখছি । এর সাথে কোন দলের বা প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই থাকতে পারে না । যারা এই বিষয়গুলোকে এক করার কথা ভাবছেন তারা ভুল পথে হাটছেন । কোন পরিবারের সন্তান বিপথে গেলে সব সময় পিতা মাতাই তার জন্য দায়ী নন।

খাদিজাকে কোপানোর সময় অনেক মোবাইলে তা ধারন করলেও কেউ তাকে বাচাতে এগিয়ে যায়নি । তারা ও মানসিক ভাবে অসুস্থ নয় ? হয়তো যুক্তি দেখাবেন যে, ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি । তা হলে বলবো , সেটি যদি হয় তা হলে মোবাইলে কোপানোর দৃশ্য ধারন করতে কি ভয় হয়নি । কি ভয়াবহ দৃশ্য ছিল সেটি । বদরুলকে যদি ধরে পুলিশে না দেওয়া হতো তা হলে নিশ্চিত সে আত্মঘাতি হতো । তাই অনুরোধ করছি ,বদরুলের বিচার শুরু হওয়ার আগে তাকে মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হোক । পরিশেষে বলবো, যারা আইসিইউতে যমদূতের সাথে যুদ্ধরত খাদিজার পাশে দাড়িয়ে সেলফি তুলে তা নিজেদের ফেসবুকে পোষ্ট দিতে পারে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের কি করে মূল্যায়ন করবো আমরা । সত্যি বলতে চরম এক মানসিক বিপর্যয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি আমরা । এর থেকে সহজে উত্তরণ নেই ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.