নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হকিং সাহেব ও আমার ভাবনা ....পুরোটা না পড়ে মন্তব্য করবেন না প্লিজ । পড়া শেষ হলে গালিও দিতে পারেন । বোকারা এড়িয়ে যাবেন

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯


আমি জ্ঞানী নই ।
অন্তত অন্যরা তা ভাবতে পারে কিন্তু আমি জানি আমি জ্ঞানী তাই আমি এ লেখাটা লিখতে পারছি । এর মানে হচ্ছে, জ্ঞান সবার আছে এমনকি পাগল,শিশুর ও । মাতৃগর্ভ থেকে প্রতিটি প্রাণী জ্ঞানী হয়ে পৃথিবীতে আসে। জ্ঞানেও কোন পরিসীমা নেই এর ক্ষয়ও নেই । এটি চলমান । আইনস্টাইন,সক্রেটিস, হোকিং ওনারা সবাই জ্ঞানী ছিলেন । তবে, আমার চেয়ে বেশি বা কমে সে প্রশ্নে আমি যাবো না । তবু ও যদি যাই, তাহলে শতকরা ৯৯জন বলবে, পাগল আর কারে বলে, রেল লাইনের পাথরের সাথে মক্কার পাথরের তুলনা । কিসের সাথে কি ? কিন্তু একজন হয়তো বলবে, হ্যাঁ আমি তাদের মতোই বা তাদের চেয়ে বেশি জ্ঞানী । কারো কারো পাগলামি বা বোকামি দেখে আমরা তাদেরকে সহজেই জ্ঞানী বলে আখ্যা দিয়ে দেই । কেননা আমরা নিজেরা নিজেদের জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন নই । শতকরা ৯৫ জন মানুষ অন্যেরটা শুনে বা কপি করে কাজ করতে অভ্যস্ত । নিজের মস্তিষ্কের পরোপুরি ব্যবহার করে না বা করতে চায় না। আর ত্বত্ত কথা না বলে সোজা পয়েন্ট, আসি । হোকিং সাহেবকে আমার অন্য দশজন সায়েন্স ফিকশন রাইটারের মতোই মনে হয়েছে । এর বেশি কিছু না । অন্যদের সাথে, ওনার পার্থক্য হল শুধু এই, উনি পদার্থ বিদ্যায় ডিগ্রীধারী । তার উপর যন্ত্রপাতিতে ডাঁশা হুইল চেয়ারে বসার পর ওনার জনপ্রিয় হু হু করে বেড়ে গেছে । যা বলেছেন, যা লিখেছেন তাই বুঝে না বুঝে সবাই হই হই করে উঠেছে । মিডিয়া পুরোপুরি সফল । অবশ্য সব যুগে হই হই করার জন্য কিছু লোক জন্মে । তারা সব কিছুই নিয়েই হই হই করেন । একবার চিন্তা করে দেখুন, যারা কোনদিন নোবেল প্রাইজ পায়নি তারাই নির্ধারণ করে কে নোবেল পাবে, কে পাবেনা । কি হাস্যকর তাই না? হকিং এর মৃত্যুর পর কেউ কেউ ওনাকে বেহেস্তে পাঠাচ্ছে । আবার কেউ কেউ পাঠাচ্ছে জাহান্নামে । আস্তিকেরা তাকে জাহান্নামে পাঠাতে পারে । কিন্তু কেউ তার জন্য বেহেস্ত কামনা করলে সেটা হবে বোকামি । কারণ হকিং সাহেব এসব ঈশ্বর, খোদায় বিশ্বাস করতেন না ।

হকিং বলেছেন, "মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না। মরার জন্য আমার কোনো তাড়াহুড়াও নেই। তার আগেই বহু কিছু করার আছে আমার। আমার কাছে মস্তিষ্ক হচ্ছে কম্পিউটারের মতো, যার সরঞ্জামগুলো নষ্ট হলেই সে আর কাজ করবে না। আর একটি নষ্ট কম্পিউটারের জন্য কোনো স্বর্গ বা নরক অপেক্ষায় থাকে না। অন্ধকারে ভয় পাওয়া মানুষের জন্য নির্মিত এক কাল্পনিক গল্প এটি।’ কি হাস্যকর । খেয়াল করেছেন, উনি বলেছেন, মস্তিষ্ক হচ্ছে, কম্পিউটারের মতো । বোকাদের মতো কথা তাই না । অন্তত আমি তাই ভাবি । কিন্তু আহাম্মক কূল ভাবে আহা! আহা! কি দারুণ কথা বলেছেন উনি। এটা তো ভাবিনি । এটা তো বুঝে আসে নাই । আদতে, মস্তিষ্ক হচ্ছে কম্পিউটার থেকেও লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গুন বেশি শক্তিশালী। অথচ জ্ঞানী হকিং সাহেব মস্তিস্ককে কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন । মানুষের মস্তিস্কের বলি দিলেন মানুষের তৈরি কম্পিউটারের পায়ে ।

হকিংয়ের নাকি রসবোধের দারুণ । ২০০৯ সালের ২৮ জুন হকিং কাল ভ্রমণকারীদের (যাঁরা মনে করেন অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ করা সম্ভব) সম্মানে একটি পার্টি দিলেন। কিন্তু কেউ এল না। কারণ, এই আয়োজনে যোগ দিতে অতিথিদের কাছে আমন্ত্রণপত্রই পাঠানো হয়নি। ওই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় পরদিন, অর্থাৎ ২৯ জুন। সবাই হতবাক। আর হকিংয়ের সোল্লাস ব্যাখ্যা, ‘কালভ্রমণ অসম্ভব। এরই পরীক্ষামূলক প্রমাণ এটি।’ আবারো কি বোকাদের মতো কথা বললেন উনি । আর না বোঝার দয়ে হই হই করে উঠলো ।
যারা কাল ভ্রমণের কথা বলে । যাঁরা মনে করেন অতীত ও ভবিষ্যতে ভ্রমণ করা সম্ভব । তারা কি কেউ বলেছে, যে তারা বর্তমান মানে গতিতে থেকেই কাল ভ্রমণ করবেন ? এ কথা বলেন নাই । তারা বলেছেন, একটি নিদিষ্ট গতিতে চলতে পারলে কাল ভ্রমন সম্ভব । সে গতিটা আলোর গতীর কাছাকাছি । অথচ হকিং সাহেব - বর্তমান গতিতে অবস্থান করে কাল ভ্রমণের পরীক্ষামূলক প্রমাণ দেখাতে চাইলেন । বাচ্চাদের মতো আচরণ । মহা বোকাদের মতো কাজ । তবু মানুষ আহা আহা করে উঠলো । কারণ সব যুগেই কিছু মানুষ জন্মে যারা আহা উহু করার জন্যই জন্মায় ।

কোন সন্দেহ নেই হকিং সাহেব অনেক পড়াশোনা করেছেন । এর জন্য জানতেও বিশি। জানা আবার দুই রকম হয় । সঠিক জানা আর ভুল জানা । উনি যা জানতেন বা চিন্তা করতেন, তার কোন কিছুই প্রপার যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারেন নাই । সাইন্স ফিকশন রাইটারদের মতো ভবিষ্যত সর্ম্পকে রূপকথা শুনিয়ে গেছেন । বিগ ব্যাং ও পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কে উনি যা বলেছেন, সেটাও অনুমান নিভর । আমার কাছে গ্রহণ যোগ্য নয় । সব যুগেই নতুন কথা আলোড়ন সৃষ্টি করে । হকিং সাহেবের ক্ষেত্রেও তা হয়েছে । যেমন কৃষ্ণগহ্বর । এলিয়েনদের সম্পর্কে উনি যা বলেছেন তা হাস্যকর তবে রোমাঞ্চ কর । সভ্যতার শুরু থেকেই অন্য গ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের কোন কমতি ছিলো না । ইএফও শুনলেই সবাই কান খাড়া হয়ে যায়।

দিনে দিনে সাইন্স ফিকশন রাইটাররা সে আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলেছেন। এলিয়েন শব্দের বাংলা হচ্ছে, আগন্তুক বা অন্য স্থান হতে আগত । হকিং সাহেব বলেছেন, এলিয়েন এসে নাকি পৃথিবী দখল করে নিবে । হকিং সাহেব কুরআন,বাইবেল পড়েছেন কিনা আমি জানি না । কারণ এসব গ্রন্থে ফেরেশতাদের কথা বলা হয়েছে,জিনদের কথা বলা হয়েছে । ফেরেশতারা তারা অতীতে হাজার হাজার বার পৃথিবীতেও এসেছে । পৃথিবী ও পুরো সৃষ্টি জগত তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে । এটা ধমে বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করে । আমিও করি ।

কিন্ত হকিং সাহেব এর চিন্তা পরিপূর্ণ ছিলো না বলেই, তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে, এলিয়েনে বিশ্বাস রেখেছেন। বিশ্বাস করেছেন, পোকা থেকে মানুষের জন্ম । বানরের বিবতনের ফলে আজকের আমি আপনি ।
বিবর্তনবাদ । যা হাস্যকর । যা বলছিলাম, এলিয়েন, ফেরেশতা বা জিনেরা কখনো আসবে না পৃথিবী দখল করতে । কারণে সে যোগ্যতা তাদের নেই । তারা শুধু হুকুমের গোলাম । জিন জাতি অবশ্য চেষ্টা করে দেখতে পারে । কিন্তু তারা পারবে না। কারণ মানুষ তাদের চেয়েও শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান । এভাবেই তৈরি করা হয়েছে ।

হকিং সাহেব অন্য গ্রহে জায়গা খুছতে বলেছেন । কারণ পৃথিবী নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে । অন্যগ্রহ থেকে প্রাণী এসে পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলবে । পৃথিবী যে ধ্বংস হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই । আমরা সাধারণ মানুষেরা বলছি, পৃথিবী ধ্বংস হলে তা হবে মানুষের কারণেই। এলিয়েনদের জন্য নয় ।

হকিং সাহেব শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সর্তক করতে পারতেন । অনুরোধ করেতে পারতেন, তোমরা হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি,যুদ্ধ এটোমবোম বানানো বন্ধ করো । কিন্তু তা না করে উনি অপরিপক্ব মস্তিষ্কের অধিকারীদের মতো, অন্য গ্রহে মানুষকে জায়গা খুঁজে টাকা নষ্ট করার পরামর্শ দিলেন । অথচ এই অর্থ পৃথিবীর নিরাপত্তায় ব্যয় করলে পৃথিবী আরো সুন্দর ও বসবাস যোগ্য হয়ে উঠতে । অনাহারে শিশুদের মরতে হতো না । পরিশেষে নতুন কোন হকিং এর আগমনের অপেক্ষায় শেষ করলাম ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: হকিং সাহেব হাস্যকর, তাই তো?

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: না হাস্যকর নন, তবে অনেক হাস্যকর কথা বলে গেছেন ...।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ডাক্তারেরা ভেবেছিলেন যে, তিন সামান্য সময় বেঁচে থাকবেন।
ডাক্তার বলেছিল তিনি আর দুই মাস বাঁচবেন। কিন্তু তিনি মারা গেল আরো ৫৪ বছর পরে।
মৃত্যুকে বিলম্বিত করা গেছে, একদিন আটকানোও যাবে।

তিনি মানব সমাজকে অনেক নতুন জ্ঞানের কথা বলে গেছেন, বিশ্ব সম্পর্কে সঠিক ধরণা দিয়ে গেছেন।
উনার শারীরিক অবস্হা ও গবেষণার প্রতি নিবেদিত-প্রাণ দেখে, বিশ্বের সবার মনে উনার জন্য সীমপ্যাথি ছিল।
মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করে মানব সভ্যতাকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়ে গেছেন।

নতুন হকিংদের জন্ম হোক।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে । তার চিকিৎসকের ব্যবস্থা পত্র দেওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে যন্ত্রপাতি লাগিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে । এর মানে মৃত্যুকে বিলম্বিত করা নয় । মৃত্যু ঠিক সময়েই এসেছে ।আসবে

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

কাউয়ার জাত বলেছেন: লেখাটি যদি আপনার মৌলিক হয় তবে আপনাকে স্যালুট। খুব ভালো লিখেছেন।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ । কাজের ফাকে লিখি তাই ভুল থেকে যায়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.