নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
মনটা দু'দিন যাবত খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে আছে । যতবার নিউজটি দেখছি ততবারই নিজের মেয়ের কথা ভেবে শঙ্কিত হয়ে উঠছি । সামান্য গলা ব্যথার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলে প্রয়োজন না থাকার পরেও অর্থ লোভী মানুষরূপী হায়েনার দল মেয়েটিকে ক্লিনিকে ভর্তি করে নিয়েছিলো । কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে শেষ পর্যন্ত ফুলের মতো নি:পাপ আরফাকে লাশ হয়ে ফিরতে হল । কে নেবে এ দায়, ওই চিকিৎসক, ক্লিনিকের মালিক নাকি দেশের গোটা সিস্টেমের সাথে জড়িত অর্থ লোভী কিছু হায়েনা ? ইতিমধ্যে ওই ক্লিনিকটি নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু তাতে কি আরফাকে ফেরত পাওয়া যাবে ? শুরুতেই যদি ওই ক্লিনিকটিকে অনুমোদন না দেওয়া হতো তাহলে হয়তো আজ আরফাকে এভাবে মরতে হতো না ।
দেশের চিকিৎসকেরা বুকে ফুলিয়ে বলেন চিকিৎসা হচ্ছে মহান পেশা । তারা মহান পেশায় নিয়োজিত । কথা হচ্ছে, সেই মহান পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসকের দায়িত্ব অবহেলার কারণে যদি ফুটফুটে একটি প্রাণ ঝরে যায় তাহলে সেই পেশাটি আর মহান থাকে কিভাবে ? প্রতিদিন দেশের আনাচে কানাচে এই সংক্রান্ত খবরগুলো পড়তে হচ্ছে । প্রতিদিন কারো না কারে এভাবে মৃত্যু হচ্ছে । প্রতিদিন কোন কোন লাশকে আটকে রেখে ব্যবসা হচ্ছে । বলি, কতোদিন এভাবে চলবে ? কতদিন এমনটা চলতে দেওয়া যায়?
রিকশাওয়ালা রিকশা চালায় অর্থের বিনিময়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, জাহাজ, প্লেন চালকেরাও তাই করেন। সবাই অর্থ উপার্জনের জন্যই এসব সেবা দিয়ে থাকে । বাড়ির কাজের বুয়া,নাপিত থেকে শুরু করে উকিল,পুলিশ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী সবাই তাদের কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন । সেবার মধ্যে যখন কোন লেনদেনের বিষয় চলে আসে তখন আর সেই মহান পেশা আর মহান থাকে না । অন্য দশ পাচটা সেবার মতোই হয়ে যায়।
অর্থের বিনিময়ে আমরা যেমন প্রয়োজনীয় খাদ্য,বস্ত্র,দ্রব্য সামগ্রী কিনে ব্যবহার করি তেমনি হাসপাতাল বা ক্লিনিক নামের দোকানগুলো থেকেও আমরা চিকিৎসা নামের সেবাটি কিনে থাকি । এক দোকানদার না বেচলে অন্য দোকান খোলা আছে সেখানে থেকে তা নেওয়া যাবে । সেহেতু অর্থের লেনদেন হচ্ছে, সেহেতু দোকানী বাধ্য ভাল ব্যবহার করতে,ভাল, সঠিক চিকিৎসাটি দিতে । এখানে গাফলতির সুযোগ নাই । মহান সাজারও উপায় নাই । মহান সাজতে হলে, ফ্রিতে চিকিৎসা করো,সেবা করো । মাদার তেরেসা সাজো ।
কাজের বিনিময়ে যখন অর্থ নেবেন তখন রিকসাওয়ালা,ট্রেন ড্রাইভার কিংবা বাড়ির বুয়ার সাথে আপনাদের কোন পার্থক্য নাই । অর্থ নাও চিকিৎসা দাও ।
নিজের কাজটা ঠিক মতো যথাযথভাবে করতে আপনারা মহান পেশা্র দাবীদারেরা একান্তভাবে বাধ্য । কিন্তু এই কাজটাই অনেক চিকিৎসক ঠিক মতো করে না বলেই চিকিৎসক শব্দটির সাথে কসাই শব্দটি জুড়ে গেছে । এখন যতোই মহান পেশা, মহান পেশা বলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেন না কেন এই পেশা থেকে কসাই শব্দটি আর কিছুতেই বাদ দিতে পারবেন না ।
একসময় মানুষ রোগ মুক্তির আশা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতো কিন্তু এখন মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছে । কিছু অর্থ লোভী মানুষের চক্রে পরে এই পেশায় নিয়োজিত অনেকে হায়েনার চেয়েও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে । দেশে এমন অনেক চিকিৎসক আছেন, যারা রোগী দেখার পূর্বেই তাদের ভিজিটের টাকা নিয়ে নেন । প্রয়োজন না থাকার পরেরও হাজারটা টেস্ট দিয়ে পকেটে কমিশনের পকেটে ঢুকান । আলতু, ফালতু ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন । কথায় কথা এন্টিবায়োটিক, ভিটামিনের নামে চায়না ওষুধ রোগীদের খেতে বাধ্য করেণ । এরূপ চিকিৎসকের সংখ্যা এখন দেশে শতকরা ৯৯ জন। এরাই আবার দাবী করেন মহান পেশা । ছি: লজ্জা হওয়া উচিত আপনাদের । ও হে মহান পেশায় নিয়োজিত ভদ্রলোকগন আপনারা হারাম খাচ্ছেন । হারাম টাকায় ছেলে মেয়ে মানুষ করছেন । একদিন এর জন্য আপনাদের স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করতে হবে ।
এখন মহান পেশা বলে এখন আর কিছুই নেই । সর্বত্র চলছে বাণিজ্যের নামে শোষণ,ঝুলুম নির্যাতন । চিকিৎসকদের কসাই বানাবার জন্য একটি চক্র নানাবিধ ফাদ পেতে চাকচিক্যময় হাসপাতাল তৈরি করে ব্যবসা পেতে বসেছে । এবারই ভাল সৎ চিকিৎসদের টিকতে দিচ্ছেন না । তাদের বদলি করে এমন জায়গায় পাঠাচ্ছে সেখানে সেবা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই ।
সরকারী হাসপাতালগুলো অবস্থা এতোটাই করুণ করে রাখা হয়েছে যে বাধ্য হয়ে মানুষ একটু ভাল সেবার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হাসপাতালগুলোতে যাচ্ছে কিন্তু হায় সেখানেও জুটছে চিকিৎসা সেবার নামে নির্মম মৃত্যু । লাশ নিয়ে বাণিজ্য এখন অতি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে । এখন ই যদি প্রতিরোধ গড়ে তোলা না যায় তাহলে ভবিষ্যতে এমন অনেক নিষ্পাপ ছেলে মেয়েকে ঝরে যেতে দেখার জন্য পিতা মাতাদের তৈরি থাকতে হবে ।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সেই আশাতেই রইলাম
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১০
পদ্মপুকুর বলেছেন: চিকিৎসাবিদ্যায় খামতি থকতে পারে, সরঞ্জামে কমতি হতে পারে কিন্তু, এদের ব্যবহার এত খারাপ ক্যান? আন্তরিকতা কম ক্যান? এগুলো উন্নত করতে তো কোন সরঞ্জামাদি বা বিদ্যা লাগার কথা না।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: চিকিৎসার বিনিময় যখন অর্থ নেয় তখন ভাল ব্যবহার ও সেবা দিতে একশবার বাধ্য থাকবে
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩২
রাকু হাসান বলেছেন: এখনকার ডাক্টার রা এ পেশায় আসার উদ্দেশ্য মূলত বণিজ্যিক ,মানব সেবা নয় । বেশ কিছূ ঘটনায় তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে । খারাপ লাগে । ভাল লিখেছেন । শুভকামনা । আমার ব্লগে আপনার নিমন্ত্রণ রেখে যাচ্ছি । সময় করে যাবেন আশারাখি ।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অবশ্যই আপনার ব্লগে যাবো
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩
নতুন বলেছেন: এই রকমের কস্টে অভিঙ্গতা ৪ বছর আগে জীবনে হয়েছিলো।
তারপরে নিজের শত্রু ও যেন সন্তান মারা যাওয়ার মতন কস্ট পাক সেটা কামনা করিনা।
দেশে চিকিতসার কোন নীতিমালা নেই....নেই জবাবদিহিতা...
রোগীকে কি চিকিতসা দেবে সেটার প্রতিটি ধাপ ডকুমেন্টেট হতে হবে এবং ভুল চিকিতসার জন্য সাজার ব্যবসা থাকতে হবে....
এটা জনগন হিসেবে আমাদের আদায় করে হবে সরকারের থেকে....
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: খুবই হতাশ হই যখন মানুষের কষ্ট আর দূভোগ দেখি
৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ডাক্তারি মহান পেশা।
কিন্তু বিশ্বাস করুন ডাক্তাররা তাদের দায়িত্ব যথযযথ ভাবে পালন করছে না।
এই ঈদের ১১ দিন পরের কথা।
আমি সুরভিকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছি ডাক্তার দেখাতে।
ডাক্তার খুব ব্যস্ত। সে তার বান্ধবীর সাথে কথা বলছে। বলেই যাচ্ছে। এদিকে অনেক রুগী অপেক্ষায় আছে।
সুরভি গেল ডাক্তারের কাছে। সে বান্ধবীর সাথে কথায় ব্যস্ত। রোগীর সাথে ঠিকভাবেই কথাই বলছে না। সুরভি কিছু জিজ্ঞেস করলে বিরক্ত হয়। শেষমেশ সুরভি বিরক্ত হয়ে এসে পরে।
দুই বান্ধবী ঈদের পর খোশ গল্পে ব্যস্ত। আমার ইচ্ছা করছিল দুইটাকে চুলের মুঠি ধরে থাপড়া দেই। অনেক কষ্টে রাগ সামলেছি।
০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এ রকম অভিজ্ঞতা আমাদের সকলের । তারা ফেসবুকে সময় কাটায় ইন্টার্র্নি চিকিৎস্যদের দিতে কাজ করার । প্রতিবাদ করলেই দলের অমুক ভাই তমুক ভাইকে ডাকে এনে মারামারি । পরিণামে কর্ম বিরতি । রোগীদের ভোগান্তি চরমে । এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠিন ব্যবস্থা নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে ।
৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: বাবন ভাই, শুভেচ্ছা নেবেন।
আসলে পার্থক্যটা হলো মানসিকতার। আমাদের দেশের বাবা-মা সন্তানদের ডাক্তার বানায় টাকা কামানোর নেশায়। সন্তানটিও পড়ালেখা শেষ করে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাবা মায়ের চাওয়ার প্রতিদান দিতে সত্যিকারের ডাক্তার হতে পারে না, হয় একজন লাইসেন্সধারী কসাই। কসাইদের তো ইথিক্স থাকতে নেই। কারণ, তাদের পশুর প্রতি প্রেম থাকলে আমরা মাংস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। আর ইংল্যান্ডে এরা ডাক্তারী পড়ে মানব সেবার অভিপ্রায়ে; পাশাপাশি শেখে ডাক্তারদের দায়বদ্ধতা আর পেশার প্রতি একাগ্রতা। এজন্য পাশ করে তারা ডাক্তার হয়, কসাই নয়।
কিছুদিন আগে ব্লগে এ বিষয়টি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম; লেখাটি খুব পাঠকপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ডাক্তারদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যর্থাথ বলেছেন । আপনার লেখাটি পড়বো
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০২
মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ পরিবারটির প্রতি রহমত নাজিল করুন।
মেয়েটির মা বাবাকে ধৈর্য ধরার তওফিক দান করুন।
অর্থলিপ্সা মানুষকে অমানুষ বানিয়ে ফেলছে।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আমিন
৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১০
করুণাধারা বলেছেন: এ দেশের ডাক্তারদের আর বাস ট্রাকের ড্রাইভার দের মধ্যে আমি কোন তফাৎ দেখতে পাইনা। উভয়ই মানুষ মেরে ফেলে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা না করে। আবার তাদের কৃতকর্মের জন্য কোন শাস্তি দেয়া হলে তাদের সহকর্মীরা মানুষকে জিম্মি করে কর্মবিরতিতে নেমে পড়ে।
আল্লাহ এদের হাত থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এ অবস্থা থেকে উত্তরনের উপায় হচ্ছে রাজনৈতিক, সামাজিক বিপ্লব
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
কামরুননাহার কলি বলেছেন: ভাইয়া যেই দিন বাংলাদেশ থেকে প্রত্যেকটি অন্যায় উঠে যাবে সেই দিন এদেরও নিরাশ হবে।