নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারী খরচে শিক্ষা লাভের অধিকার দেশের প্রতিটি ছেলে মেয়ের রয়েছে । এ অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫২


আমি স্কুল জীবন শেষ করে সরকারী কলেজ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই লেখা পড়া শেষ করেছি । প্রাইমারিটাও সরকারী বিদ্যালয়ে পড়েছি। বেশ মনে আছে, যেখানে স্কুলে বেতন দিতাম ৬৫ টাকা সেখানে একাদশ শ্রেণীতে বেতন দিতাম মাত্র ১৯ টাকা। অথচ আমার ভাইয়ের বোনের কলেজ বেতন ছিল তখন ৩০০ টাকার ও বেশি। ছাত্র কেমন ছিলাম জানিনা, কিন্তু যেখানেই ভর্তির জন্য আবেদন করেছি,পরীক্ষা দিয়েছি বেশ ভাল ভাবেই টিকে গেছি। আমাকে ভর্তি করাবার জন্য বাবা মাকে কোথাও দৌড় ঝাপ করতে হয়নি।

এভাবে এমএসসি পর্যন্ত কখনো ২২ টাকার বেশি বেতন দিতে হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে, যতদিন পড়েছি ততদিন জনগণের টাকাতেই পড়েছি। অন্যের করের টাকায় পড়েছি। তাই দেশের প্রতি আমার যতো ক্ষুদ্রই হোক না কেন দায়বদ্ধতা রয়েছে। যেহেতু আমি সরকারের টাকায়, দেশের মানুষের টাকায় পড়ে অর্থ উপার্জনে সক্ষম হয়েছি সেহেতু আমি দেশের জন্য কাজ করতে বাধ্য থাকবো এটাই হওয়া উচিত। অথচ দেশের টাকায় লেখা পড়া শেষ করে অনেক পাখি উড়াল দেয় বিদেশে। বিদেশে মোটা ইনকাম করে নাক ছিটকায়, ন্যাষ্টি দেশে মানুষ থাকে? দেশটা উচ্ছন্নে গেছে। এই নব্য বিলাতি ভাইয়েরাই আবার দেশের জন্য মেকি কান্না কাঁদে। কথা হচ্ছে,এদের পেছনে কাড়িকাড়ি অর্থ ব্যয় করে রাষ্ট্রের কি লাভ হল? ডাক্টার ইন্জিনিয়ার তৈরি করলাম আমরা আর মোয়া খায় ইউরোপ আমেরিকা অথবা মধ্যপাচ্যের কোন দেশ । দেশের কি লাভ হলো ? সময় এসেছে হিসাব নিকাশ করার। বন্ডিংস তৈরি ও বাধ্য করার । সরকারি টাকায় লেখা পড়া শেষ করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে কেউ পালিয়ে যেতে পারবে না। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের জন্য সময় দিতে হবে। যেতে চাইলে দায় শোধ করে যাও।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০ টাকা সিট ভাড়া ৩০ টাকায় খাওয়ার কথা। আমি ও ওনার সাথে একমত। এই খরচ এখন বৃদ্ধি করার সময় এসেছে। সরকারী স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেতন খরচ বৃদ্ধি করা হোক। যে পিতা মাতা ছেলের শিক্ষার জন্য ২০ টাকা খরচ করে সেই ছেলেই ক্যাম্পাসের চিপায়, চাপায় হাজার টাকার চা, সিগারেট খায়। শুধু একা নয় দল বদ্ধ ভাবে খায়। তাদের কাছে শিক্ষার মূল্য চা, বিড়ি সিগারেটের চেয়েও কম। ৩০০- ৫০০ টাকা মাসে বেতন দিয়ে এখন সকল বাবা, মা ই তাদের সন্তানদের সরকারী কলেজ বিশ্বঃ বিদ্যালয়ে পড়াতে সক্ষম। যদি কেউ তা দিতে না পারে তাহলে গরিব ছাত্রদের জন্য প্রতিটি কলেজ বিশ্বঃ বিদ্যালয়ে আলাদা ব্যবস্থা আছে। আবেদন করে সেই কোটায় পড়তে হবে।

কথায় আছে, সস্তার তিন অবস্থা থাকে। সস্তা পেলে কেউ তার মূল্য বোঝে না। একবার চিন্তা করুন একটি বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েকে পড়াবার টাকা যোগার করার জন্য পিতা মাতাকে কি পরিশ্রম ই না করতে হয়। এই সুযোগটা নিয়ে বেসরকারি খাতে শিক্ষা এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এই বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। বেসরকারি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য সরকারের ভর্তুকি দিতে হবে। সেটা আসবে সরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃদ্ধি করা অর্থ থেকে। এ ব্যাপারে সরকারের এবং বেসরকারি ছাত্রদের আলোচনায় বসে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শিক্ষা কোন পণ্য নয় । এটা অধিকার । কেউ পাবে কেউ পাবে না তা হবে না । তা হবে না । রাষ্ট্র যদি সবার হয় তাহলে সরকারী খরচে শিক্ষা লাভের অধিকার দেশের প্রতিটি ছেলে মেয়ের রয়েছে । তাদের এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে । শুধু মেধার কারণে সরকারী প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবার সুযোগ পাওয়া ছেলে মেয়েরাই সে অধিকার পাবে এটা হবে না ।

ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসার জন্যে। যেখান বেসরকারি কলেজে পড়তে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় সেখানে সরকারী এই খরচ কিছুই না। সকলেই এই দেশের নাগরিক, সকলের ই অধিকার সমান। তাই এই বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। দূর করতে হবে। সরকারের উচিত বেসরকারি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধ্যয়নরত ছেলে মেয়েদের দিকেও নজর দেওয়া। তাদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা। লেখা পড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে এই বৈষম্য এখন ই দূর করা প্রয়োজন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

চোরাবালি- বলেছেন: বিশেষ করে শহরে তো সম্ভবই না। আর তখনই পাখির বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দেয়।--- এরা কেন পালিয়ে যাচ্ছে সেটির পেছনের কারণ কি? ৫৬কোটা মেধার কোন মূল্য নাই তো সামর্থবান মেধাবীরা কি করবে? আপনি আমেরিকান কাউকে বলেন এদেশে আসতে দেখেন আসে কিনা। বাঙালীকে বলেন সব চলে যাবে কারণ পরিবেশ।

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কোটাধারীরা মেধাহীন এ কথা কিভাবে বলেন ? যারা পালায় তারা সুয়োগটা নিয়েই পালায় । সরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বেতন বৃদ্ধি করতে হবে । ২০ টাকায় পঞ্চাশ টাকায় আর পড়া যাবে না । একজন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার তৈরি করতে রাষ্ট্র লাখ লাখ টাকা খরচ করে আর সেই ফল দেশের মানুষ না পেয়ে ইউরোপ আমেরিকা ভোগ করে । এটা হবে না । যেতে চাইলে দায় শোধ করে যাও ..

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

চোরাবালি- বলেছেন: কোটাধারীরা যদি মেধাবীই হয় তা হলে কোটার কি দরকার? তারা তো প্রতিযোগিতায়ই টিকতে পারে।
আসলে আমরা শুধু আমাদের নিজের আখেরের চিন্তা করি। যে দেশে প্রকৌশলিকে দলীয় ঠিকাদারের হাতে থাপ্পর কেতে হয় সে দেশে মেধাবী প্রকৌশলী থাকবে না যদি তার সুযোগ থাকে। তিন আনার ছাত্র নেতা ব্যাংক ম্যানেজারের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসে জমা স্লিপ ধরিয়ে দেয় জমা দেয়ার জন্য, মেধাবিদের ঠেকায় পড়ে নাই এত লাঞ্চনা গঞ্জনা সহ্য করে দেশের সেবা করার।

পরিবেশ তৈরী করুন মেধাবী উল্টো বাইরের দেশ থেকে আসবে যাবে না কখনও।

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে আরো যত্নবান হতে হবে । শিক্ষা অধিকার কারো করুণা নয় । পরিবেশ তৈরি হচ্ছে । সচেতন হলে সেই পরিবেশ দ্রুত তৈরি হবে ।

দেশের সকল নারী মেধাহীন তাই তারা কোটা পায় , সকল জেলার লোক মেধাহীন তাই তারা কোটা পায় , উপজাতীরা মেধাহীন তাই তারা কোটা পায় , মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা মেধাহীন তাই তারা কোটা পায় । এই দেশে মেধা শুধু আন্দোলনরত গুটিকয়েক ছাত্রের ।
এই তোতা পাখির বুলির কোন মূল্য নেই ভাই । যোগ্যদের কোটার চিন্তায় থাকতে হয় না ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১

অহনাব বলেছেন: সরকার যদি এসব স্কুল কলেজের খরচই বহন না করে তাহলে আমরা ট্যাক্স দেই কোন কাজে? পাশ করে বের হয়ে তো প্রতিনিয়ত ট্যাক্স দিচ্ছি। কয়জনই আর বিদেশে যায়? আর দেশে থেকেই বা তারা কি করবে। দেশে কি এত কর্মসংস্থান আছে?

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । আমি সরকারী এই খরচ বেসরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করে তাদের কেও দেওয়ার কথা বলছি । সবাই দেশের মানুষ সবার অধিকার সমান । দেশে যথেষ্ট কর্ম সংস্থান আছে । কিন্তু বেশি টাকার লোভে তারা বিদেশে পালিয়ে যায় । ভুলে যায় দেশ তাদের জন্য কি করেছে । বিদেশে অবশ্যই যাবে । কিন্তু সেই সাথে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্যও কাজ করবে ।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

অহনাব বলেছেন: আপনি ছাত্রদের চা-বিড়ি সিগারেটের কথা বললেন। মনে রাখবে প্রতিটা সিগারেট বিড়িতেও এই ছাত্রদেরও ট্যাক্স পে করতে হয়। প্রতি পদে পদে ট্যাক্স পে করতে হয়। তাদের বাবা মাকে পে করতে হয়। এই জন্যই নিজের যোগ্যতায় সরকারের ১৫ টাকার সিট আর ৩৮ টাকার খাবারের খেতে পারে। অবশ্য আমি আমার ভার্সিটি লাইফে কখনই ৩৮ টাকার খাবার খাই নাই। উল্টা দেখতাম যারা হল ম্যানেজার হইতো তারা পরের মাসে মোবাইল অথবা স্মার্টফোন কিনত। আর হলগুলো তো ছিল ক্ষমতাশীনদের দখলে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এই বিড়ি সিগারেটের খরচ টা শিক্ষার জন্য ব্যয় করতে হবে । তর্কের জন্য তর্ক নয় ভাই বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল সরকারী স্কুল কলেজের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে । এতো সস্তায় পড়া যাবে না । পড়ে বিদেশ পালিয়ে যেতে পারবে না । দেশের জন্য কাজ করতে বাধ্য থাকতে হবে ।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আজ শহীদ মিনারে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর আবারো হামলা হয়।
এই বর্বরতার শেষ কোথায়?

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি বাড়াতে গেলেই কিছু গ্রুপ আন্দোলন শুরু করে। মনে হয় যেন, সোমালিয়া, উগান্ডার মত গরীব দেশ। ফি বাড়িয়ে সার্ভিস ভালো করা যেতে পারে। সরকারী মানেই সবাই ফ্রি ধরে নেয় কেন বুঝি না। এখন তো মোবাইলেই খরচ করে ১০০০ টাকা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা...

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১২

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ঠিক তাই , এরা মনে করে পেয়ে গেছি খেয়ে নেই । বড় হয়েও এ অভ্যেস যায় না । আমলা হয়ে দেশে উজার করে দেয় । গোরায় গলদ থাকলে যা হয় আর কি !

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: দালাল।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: কারে বললেন ? বুঝলাম না । এখানে দালালির কি দেখলেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.