নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
"ভিকারুননিসা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকসহ তিনজন বরখাস্ত। এমপিও বাতিল। এইবার খুশি তো? যাও বাচ্চারা মোবাইল নিয়ে ক্লাসে যাও। পরীক্ষার হলে যাও। যা খুশি করো। কেউ তোমাদের কিচ্ছু বলার সাহস পাবে না। বলতে আসলে দুকথা শুনিয়ে দেবে।এতেও কাজ না হলে বাড়িতে গিয়ে ঝুলে পরবে। আমরা তো আছি তোমাদের হয়ে আন্দোলন করার জন্য। ফেসবুকে লেখালেখি করার জন্য। তোমাদের সকল অধিকার নিশ্চিত করা হবে। "
মাস দুয়েক আগে ভিকারুননিসা স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর এক মেয়েকে মোবাইল রাখার অপরাধে টিসি দেওয়া হয়েছিল। তার ব্যাগে স্মাট ফোনে প্রাপ্ত বয়স্ক ছবি আমরা যাকে নীল ছবি বলি সেই ছবিসহ প্রাপ্ত বয়স্কদের ব্যবহিত জিনিস পত্রও নাকি পাওয়া গিয়েছিল। স্কুলটির অনেক বাচ্চাই মাদকাসক্ত বলে ইতিমধ্যে প্রচার রয়েছে। স্কুল সেকশনে মোট বাচ্চার সংখ্যা আট হাজার। এতো বাচ্চাদের নিয়ম কানুনের মধ্যে রাখতে হলে,একটু কঠিন অবস্থানে থাকতেই হয় সেটা সবার জানা। এখনকার বাচ্চারা তো আর ফেরেস্তা নয় যে,শান্ত সুবোধ হয়ে ক্লাসে বসে থাকবে।
কেউ কি বলবেন,ক্লাস এইটে,নাইনে পড়ুয়া একটা বাচ্চা স্কুলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেন স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে যাবে? তাও আবার ইন্টারনেটসমেত স্মাট ফোন!!!
আমরা ভুল করছি। আমার বাচ্চা যদি নাইনে পড়তো তাহলে আমি কিন্তু কিছুতেই তার হাতে মোবাইল দিয়ে স্কুলে পাঠাতাম না। স্কুলে বাচ্চারা শিখতে যায়। তার আসল শিক্ষাটা কিন্তু তার পরিবার থেকেই শুরু হয়। বলতে বাধ্য হচ্ছি,"গাছ ভাল তো ফল ভাল। পিতা মাতা বেয়াদব তো সন্তান মহা বেয়াদব।" হাজার পড়িয়েও তাদের মানুষ করা যাবে না।
একটা সময় স্কুলে শিক্ষকেরা বাচ্চাদের শাসন করতে পারতেন। সে সময় তাদের হাতে লাঠি ছিল। পান থেকে চুন খসলেই তারা বদমাইশ বলে লাঠি চালাতেন। তাদের কাছে মার খেয়ে, কানে মলা খেয়ে বাচ্চারা লেখা পড়া করে অনেক বড় হতো। মানুষ হতো। দেশের মুখ উজ্জল করতো। বাবা মায়েরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে গিয়ে বলতেন,স্যার এই নিন আমার বাচ্চা দিয়ে গেলাম ওর হাড্ডিগুলো আমার, চামড়া মাংস আপনার। হাড্ডি থাকলে চামড়া মাংস এমনিতেই হবে।
কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে শিক্ষকদের হাত থেকে সেই লাঠি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এইবার সকল আনুষ্ঠানিকতাসহ বকাঝকা করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হলো। এক কাজ করলে ক্যামন হয়? স্কুলের সব নিয়ম, আইন কানুন তুলে দেওয়া হোক। মোবাইল, প্রেম,প্রীতি,ভালবাসা করার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হোক। শিক্ষকেরা না পড়িয়ে বেতন নিবে। বাচ্চারা না পড়ে খুশি থাকবে। উইন উইন সিচুয়েশন।
আবারো বলছি। আমরা ভুল করছি। গুটি কয়েক অবাধ্য বাচ্চার জন্য আমরা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে,লাখ লাখ বাচ্চার ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি।
শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীর পিতা মাতার আসন নিয়ে থাকেন কিন্তু আমরা তাদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিচ্ছি। একটা অবাধ্য বেয়াদপ, মূর্খ জাতী বোধ হয় এই সিস্টেমের ভেতর দিয়েই গড়ে উঠবে।
আমি জানি আমার এই সব কথাবার্তা অতি আধুনিক, উচ্চ শিক্ষিত,স্ব শিক্ষিত, নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকা পিতা মাতাদের অনেকের কাছেই ভাল লাগবে না। কিন্তু তবুও বলছি। আজ এই যে অর্থলোভী একটা শ্রেনী তৈরি হয়েছে তার জন্য ও কিন্তু আমরাই দায়ী। প্রফেশন,লিপিষ্টিক স্নো পাউডারের পেছনে সময় না দিয়ে আমাদের বাচ্চাদের পেছনেও সময় দেওয়া উচিত। অর্থের জোড়ে প্রতিপ্রত্তির প্রভাবে আমরা শিক্ষকদের গোলাম ভাবতে শুরু করেছি। বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে দিয়েই ভাবছি তারা লাট ব্যারিষ্টার হয়ে যাবে। এই প্রবনতা পরিত্যাগ করার সময় এসেছে। সন্মান সন্মান বয়ে আনে এই বিষয়টা বাচ্চা বুঝিয়ে স্কুলে পাঠাতে হবে।
আগে শিক্ষকেরা ভাবতেন, তাদের ছাত্র ছাত্রীদের মানুষ করতেই হবে আর এখন ভাবেন, কি দরকার মরা মেরে দায় কাধে নেওয়ার। পড়লে পড় না পড়লে গোল্লায় যা। আমাদের টিউশনি করে টাকা পেলেই চলবে।
২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার ভাবনা মোটামুটি সঠিক। শিক্ষকেরা ও এডুকেশনের লোকজন নিজেদের পরিবারের জন্য চাকুরী করছেন মাত্র, এরা অমানুষ
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬
নতুন বলেছেন: শিক্ষাকে ব্যবসা বানিয়েছে সেটা ঠিক আছে।
কিন্তু পিটিয়ে মানুষ করার কথা ঠিক নাই....
মাস্টারের মাইখ খেয়ে অনেকে জীবনে স্কুলে যায় নাই তেমন মানুষও সমাজে আছে... ( আমারই এক আত্নীয় প্রাইমারী স্কুলের মাস্টারের মাইর খেয়ে আর স্কুলে যায় নাই)
আর যদি মাইরই মানুষ বানানোর আসল মন্ত্র হইতো তবে সারা দুনিয়ার বড় বড় শিক্ষাপ্রটিস্ঠানেই মাইরের উপরে নতুন নতুন কোস` থাকতো...
যদি কোন আচরনের ফলে কারুর জীবন চলে যায় তবে সেটা অবশ্যই খারাপ.... সেটার জন্য তাদের জবাবদিহি হতেই হবে।
যারা ছেলেমেয়ে না হারিয়েছে তারা ছাড়া এটা কেউই বুঝতে পারবেনা।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮
অধৃষ্য বলেছেন: @ভুয়া মফিজ ভাই,
মোবাইল থাকলে বাবা-মা ছেলেমেয়ের খোঁজ খবর নিতে পারে। এটা আরো পাঁচ-দশ বছর আগের ডায়লগ। আপনার সন্তান যদি কুড়িগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম যায় তো মোবাইল নেয়া যুক্তিসঙ্গত। দশহাত দূরে তিন ঘণ্টার জন্য পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে, সেখানে মোবাইল নেয়া কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে মাফ চাইলেই মাফ করা উচিত নয়। মোবাইলটা পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষকদের কাছে জমা দেয়া যায়।
বাচ্চাদের সাইকোলজি বুঝে পড়ানোর যোগ্যতা হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষকের আছে। বাবা-মা যদি নিজের সন্তানকে শিক্ষা দিতে না পারে তো শিক্ষকের বাপের সাধ্য নেই কাউকে নৈতিক শিক্ষা দেয়। দিতে গেলেও বলবে "আপনার এসব শেখানোর দরকার নেই, নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রের ব্যাখ্যা প্রমাণ করা শেখান"। শিক্ষক বেচারা যদি বাবা-মায়ের কাছে বলে তো তারা বলবে "ঠিকই তো, আপনার কাজ পড়ানো (এবং *** ৫ পাওয়ানো, নীতিশিক্ষা দেয়া নয়, এরজন্য আমরা এতো বেতন দেই না.. ** টুট টুট)।"
..............................
..............................
**** **** ****
৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা মানে, ক্লাসে,পরীক্ষা হলে মোবাইল ফোন বহনের বৈধতা দেওয়া
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী ফিরোজ খান নূনের স্ত্রীর নামে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ ।
এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে " বীরপ্রতীক তারামন বিবি " নামে করা হোক।
বাংলাদেশে কত নামের তো পরিবর্তন হল তাহলে এই নামের পরিবর্তন হবে না কেন ?? এই দেশ তো বীরপ্রতীক তারামন বিবি 'র দেশ। এই দেশ তো মুক্তিযোদ্ধার দেশ। এই দেশ তো লক্ষ প্রাণের বিনিময়ের দেশ। তাহলে যে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করল সেই নাম থাকে কি করে ??
আপনারা কি বলেন ??
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ অধৃষ্য
আমি যেটা বলতে চেয়েছি তা হলো, মোবাইল বর্তমানে কোন বিলাসিতা না, এটা একটা নেসেসিটি। ঢাকার যা অবস্থা, তাতে ১৫/১৬ বছরের একটা মেয়ের কাছে মোবাইল থাকা মানে বাবা/মায়ের সাথে তার প্রতি মুহুর্তে যোগাযোগ রক্ষা করার সুযোগ থাকা। এটা বর্তমানে মা/বাবার জন্য কতোটা স্বস্তির তা নিশ্চয়ই আপনাকে বলে দিতে হবে না। বিপদ যেখানে যে কোনও মুহুর্তেই আসতে পারে, সেখানে তিন ঘন্টা অনেক বড় ব্যাপার!
মেয়েটা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে অন্যায় করেছে। কিন্তু সেটার জন্য শিক্ষকদের পরবর্তী কার্যক্রমকে আপনি কি সমর্থন করতে পারেন? পারলে অবশ্য আমার বলার কিছু নাই।
আমি কোন গ্রামের বা মফস্বলের স্কুল বা শিক্ষকের কথা বলছি না, বলছি ঢাকার প্রথম সারির একটা অভিজাত স্কুলের কথা। সেখানে বাচ্চাদের সাইকোলজি বুঝে শিক্ষাদান করার মতো শিক্ষক থাকা অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। এবং সেটাই উচিত। শিক্ষক নিয়োগের সময়ই এটা নিশ্চিত করার কথা। এতোদিন না করে থাকলে এখন করবে, আশাকরি।
বাবা মায়ের অবশ্যই দায়িত্ব বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা দেয়া। শিক্ষকদেরও তো একই দায়িত্ব আছে, নাকি নেই? আপনি কি বলেন?
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
অধৃষ্য বলেছেন: @ভুয়া মফিজ ভাই,
মোবাইল অবশ্যই বিলাসিতা নয়, এটা অতি প্রয়োজনীয়। আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা আমি বুঝতে পেরেছি। (আল্লাহ না করুক) ধরুন, কাউকে কেউ/কারা অপহরণ করলো, তখন অপহরণকারীরা কী মোবাইলটা খোলা রেখে দেবে? না, হয় ভেঙে ফেলবে নাহয় সিম খুলে ফেলে দেবে। তারপরেও অন্যান্য অনেক সমস্যায় মোবাইল থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এটা আমি সবসময়ই মানি। কিন্তু পরীক্ষার সময় মোবাইলটা শিক্ষকদের কাছে জমা দেয়া সাধারণ নিয়ম। আমরা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষার মতো কঠোর নিরাপত্তার পরীক্ষাও দিয়ে এসেছি। কলেজের সকল পরীক্ষাও একইভাবে দিয়েছি।
মেয়েটা হলে মোবাইল নিয়ে অন্যায় করেনি। অন্যায় করেছে পরীক্ষা চলাকালে নিজের কাছে রেখে।
শিক্ষক নিয়োগে উক্ত স্কুলটির দুর্নীতিবিষয়ক গুজব বা সত্য কাহিনি যাই হোক, শুনেছেন নিশ্চই। তাছাড়া একজন শিক্ষকের পক্ষে সবার সাইকোলজি বোঝা সম্ভবও নয়।
শিক্ষকেরও নৈতিক শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আছে। কিন্তু আমরা সিস্টেম এমন করে ফেলেছি যে শিক্ষকেরা নিউটনের সূত্র পড়াতে গিয়ে নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার কাহিনি বলার সময় পায় না, নৈতিক শিক্ষা কখন দেবে? যেসব স্কুলে ০ - ৫% জিপিএ ৫ পায় সেসব স্কুলে কিন্তু ঠিকই নৈতিক শিক্ষা দেয়। শিক্ষকেরা ক্লাসের অর্ধেক সময় পড়ায়, বাকি অর্ধেক সময় গল্প করে। স্কুলে আমাদের গ্রামার পড়াতো যে ম্যাডাম, তিনি ক্লাসে এলে সবাই বইটই বন্ধ করে সোজা হয়ে বসতো। আমরা তার নৈতিকতার গল্প শুনেও ইনশাআল্লাহ আমাদের সমবয়সী অন্যান্যদের চেয়ে কম ইংরেজি শিখিনি। এসেম্বলিতে কড়া রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখে তিনি ডিসিপ্লিনের শিক্ষা দিতেন, নিয়মশৃঙ্খলা মানার উপকারীতা শেখাতেন। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি কিছু শিক্ষকও বিরক্ত হতেন। আমাদের স্কুল কিন্তু কাউকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠায়নি। একবার এক খণ্ডকালীন শিক্ষক ক্লাস সেভেনের কয়েকটি ছাত্রকে সামান্য বাড়ির কাজের লেখা ফরমেটিঙের ভুলের কারণে পিটিয়েছিলো, তেমন শক্ত পিটুনি নয়, দাগগুলো কেবল কয়েকদিন ভেসে ছিলো। ঐ শিক্ষককে ঐ মূহুর্তে বিদায় করে দেয়া হয়েছিলো। আমাদের শিক্ষার্থীরা কিন্তু আন্দোলন করেনি, ভাংচুর করেনি বা কোনো অভিভাবক স্কুলে বিচার নিয়ে হাজির হয়নি, যদিও তাদের সন্তানদের অতি সামান্য দোষে পেটানো হয়েছিলো।
আলোচিত স্কুলটির শিক্ষকদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। মেয়ের অভিভাবক স্কুলে গিয়ে কী করেছে তা আপনি জানেন? মিডিয়া কিন্তু সে সম্পর্কে নীরব। তর্ক যখন হয় তখন একপক্ষ তা করতে পারে না। শিক্ষক অভিভাবক দুপক্ষই ৫৬০০ ডিগ্রি উত্তপ্ত ছিলো।
আসলে আমাদের ধৈর্যশক্তি বড় কমে গেছে। আমার, আপনার, সবার; এটাই মূল সমস্যা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার লেখাটা অত্যন্ত একপেশে হয়ে গিয়েছে।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর যে উদাহরন দিয়েছেন, তা ঠিক হলে তাকে টিসি দেয়া ঠিক ছিল। তবে মোবাইল নিয়ে যা বললেন তা ঠিক না। এটা মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলার ভাবনা। আজকের যুগে মোবাইল একটা দরকারী জিনিসও বটে। এর মাধ্যমে মা-বাবারা সন্তানদের খবর নিয়ে নিশ্চিতও থাকতে পারে। এটাও ভাবা উচিত। হ্যা, পরীক্ষার হলে মোবাইল নেয়া ঠিক নয়, কিন্তু সেজন্যে এতোবার মাফ চাওয়ার পরও মাফ না করা, কিংবা আপত্তিকর কথা বলাকে জাষ্টিফাই করা যায় না।
আর বাকী যা বলেছেন, তা সত্যি হলে আমরা হতাম বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত জাতী, আর উন্নত বিশ্ব হতো গন্ডমূর্খে ভরা।
আগেও বলেছিলাম একবার, স্কুল মিলিটারী একাডেমী না। বাচ্চাদের সাইকোলজী বুঝে তাদেরকে আদর, মমতা আর সুশিক্ষা দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলাই স্কুলের তথা শিক্ষকদের কাজ।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।