নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযানটা পরিবারের ভেতর থেকেই শুরু করতে হবে

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০


বিশ্বের সর্বাধুনিক দেশ বলা হয় আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোকে সেই ইউরোপ, আমেরিকায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা অনেক বেশি । আমেরিকাতে প্রতি দশ নারীর মধ্য একজন নারী ধর্ষণ বা শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন । এর কারণ হচ্ছে,অতি অধুনিকতার নামে উশৃঙ্খলতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব সর্বশেষ পারিবারিক বন্ধন না থাকা। এশিয়ার মুসলিম ও হিন্দু অধ্যুষিত দেশগুলোতে ধর্ষণের রেট অনেক কম এর কারণ ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধ । মানুষ যতোই এই মূল্যবোধ থেকে সরে যাবে ততোই সমাজে ধর্ষণ,নারী নির্যাতন সংখ্যা বেড়ে যাবে।

মনে রাখবেন, আপনি যদি নারীর খোলা বুকের নৃত্য দেখেন বা সর্মথন করেন তাহলে আপনাকে আপনার মেয়ে,মা,বোনের ধর্ষণের সংবাদ পাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে । দু:খের বিষয় হচ্ছে, উগ্রতা প্রকাশ করে নষ্টা মেয়েগুলো আর নির্যাতনের শিকার হয় খুব সাধারণ আর ভাল মেয়েগুলো। এটি হয় সমাজ ও রাষ্ট্রের বিচারহীনতার জন্য । সমাজের মানুষ ল্যাংটাকে ল্যাংটাই বলবে আর এটা বললেই সে মৌলবাদী বা তথাকথিত সুশিল হয়ে যাবে না । একজন ধর্ষক সমাজের নিকৃষ্টজীব তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । পশু ও মানুষের মধ্যে পাথর্ক্য হচ্ছে,পশু তার জৈবিক চাহিদা সংবরণ করতে পারে না কিন্তু মানুষ পারে বলেই সে মানুষ ।

ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ মুখর থাকে পুরুষেরা তবুও তাদের ধর্ষকের দোষে দোষী বানিয়ে সুবিধা নেই কিছু নারীবাদি । এরা ধর্ষকেদের চেয়ে নোংরা প্রাণী । অতি আধুনিক নারীবাদিদের মতামত হচ্ছে , আমি বেল্লাপানা করবো পুরুষ তুই দেখলি ক্যান ? তোর চোখ খারাপ । তোর জাতের দোষ । তবে আশার কথা হচ্ছে, এদের সংখ্যা খুবই কম । শতকরা ১০% এর বেশি হবে না । এদের সাথে যোগদেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকে কিছু পুরুষ যাদের মুখে এক অন্তরে চাকবুম চাকবুম । যাদের অন্তর‍্যে নারীদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ নেই ।

"মেয়ে তুমি আবরু ঢেকে রাখো কারণ দামী ও মূল্যবান জিনিষ মানুষ ঢেকেই রাখে ।"

ধর্ষণ বন্ধে পারিবারের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ বাড়াতে হবে । ছেলে মেয়ে উভয়ের মাঝে ধর্মীও শিক্ষার বীজ বপন করতে । অতি আধুনিক পিতা মাতার সন্তান ই বড় হয়ে ধর্ষক হয় । অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেআসুন ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযানটা পরিবারের ভেতর থেকেই শুরু করতে হবে ।

মজার বিষয় হচ্ছে, মুসলিম দেশ হওয়ার পরেও সৌদি আরবে ধর্ষণের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

একদল এখন হামলে পড়বে পোষাকের কথা বলেছেন যে :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: তবু সত্যটা বলতে হবে । এদের সংখ্যা খুবই কম

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই কয়েকদিন সারা বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে । ক্ষমতা প্রভাব আর আইন এদেরকে মাথায় তুলেছে। সিলেট কিংবা ফেনী সব জায়গায় ক্ষমতাবান জড়িত।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি । ক্ষমতা আকড়ে থাকার মোহ মানুষকে কান্ড জ্ঞানহীন করে ফেলে ।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩

শোভন শামস বলেছেন: এই সময়ের কথা নিয়ে, সুন্দর পোস্ট

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ডিশ এ্যান্টোর অশ্লীল চ্যানেলগুলি বন্ধ এবং ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এসব অপরাধ কমবে।
এ্যামেরিকা ধর্ষণে পৃথিবীতে ১ নম্বর দেশ। কিন্ত সেখানে বাংলাদেশের মতো অপহরণ করে বন-জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা প্রায় ঘটেই না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: না শুধু ডিশ বন্ধ করে ধর্ষণ বন্ধ করা যাবে না । আইনশৃঙ্খলার প্রয়োগ ও ন্যায় বিচার ই পারে সমাজ থেকে এর শিকড় উপড়ে ফেলতে ।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৫

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইউরোপ আমেরিকায় ধর্ষণের পরিমান আগে কম ছিল, যখন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ নেওয়া হতো না। কিন্তু যখন স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে জোরপূর্বক যৌনমিলনকে ধর্ষন হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয় তখনই এই ধর্ষণের হার বাড়তে থাকে। জোরপূর্বক যৌনসঙ্গম করতে চাওয়াকেও ধর্ষণ হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
আমাদের এবং মুসলিম দেশে এই দুইটা জিনিসকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়না, হলে তালিকায় আমরা উপরের দিকেই থাকতাম।
আমাদের দেশের সরকার ধর্ষণের বিচার করতে আগ্রহী নয় এবং বেশির ভাগ ক্ষমতাশীল নেতা আমলারা কোন না কোনভাবে ধর্ষক!

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাশিয়া বলেছেন: বেশিরভাগ ধর্ষণ বিবাহিতেরাই করে, কাজে বিয়ে করলে চরিত্র ভালো থাকবে - এ কথা বলা যাবেনা।
ধর্ষণের শিকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোরখা পড়া বা ইজ্জত আব্রু ঢেকে রাখা মেয়েরাই হয়। কখনও শুনিনি কোন নায়িকা বা মডেল কন্যা রাস্তাঘাটে বনে বাদারে ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
মাদ্রাসার হুজুরেরাও ধর্ষণ করে, যদিও খুব নগণ্য - তাদের ধর্মীয় জ্ঞান কি কম আছে?
মূল্যবোধ কোন বিষয় নয়, বেশির ভাগ ধর্ষণের জন্য দায়ী মাদক ও কুসঙ্গ। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালালে আর শিশু কিশোরদেরকে সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত রাখলে কুসঙ্গ সমস্যা এমনিতেই দূর হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধর্ষকের কোন জাতপাত জেন্ডার বা ধর্ম নেই , ধর্ষক পশুর চেয়েও নিকৃস্ট

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: একজন দূর্নীতিবাজের চেয়ে একজন ধর্ষক বেশি খারাপ। এত হোটেল আছে, বারবনিতার অভাব নাই। ২/৩ শ' টাকা দিয়ে যে কাজ করা যায় স্বাচ্ছন্দে, তাহলে ধর্ষন কেন রে !!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: একজন ধর্ষক নারী ধর্ষণ করে আর দুনীতিবাজ ধর্ষণ করে রাস্ট্রকে উভয়েই নিকৃষ্ট জীব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.