নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে \"আমার কবিতা নামে\" আমি ব্লগিং করি মূলত নিজের ভেতরে জেগে উঠা ব্যর্থতা গুলোকে ঢেকে রাখার জন্য । দুনীতিবাজ, হারামখোর ও ধর্ম ব্যবসায়িদের অপছন্দ করি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন

আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।

সাখাওয়াত হোসেন বাবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণের জন্য দায়ী নারীর পোষাক না অন্যকিছু ?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩



ধর্ষণের কথা উঠলেই নারীর পোশাক, তার চালন বলন,স্বভাব চরিত্র ইত্যাদি সব কিছু টেনে নিয়ে আসা হয় । সব দোষ যেন নারীর। নারীই যেন বলছে, এই দেখে আমি এমন পোশাক পরেছি, এমন ভাবে চলছি এসো আমাকে ধর্ষণ করো।

সত্যিই কি ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক,তার চলন বলন দায়ী নাকি অন্য কিছু?

ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক দায়ী। এই বক্তব্য দিয়ে অনেকেই আলোচিত সমালোচিত হয়েছেন।

নারীর পোশাক সংক্রান্ত বিষয় কথা উঠলেই অনেকেই এর পক্ষে বিপক্ষে ফুসে উঠেন। কেউ কেউ আবার ধর্মীয় রীতিনীতি টেনে এনে যুক্তি দেখাবার চেষ্টা করেন যে, ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাক ই দায়ী। নারী বাদীরা আবার পাল্টা বক্তব্য দেন,আগে ব্যাটা তোর চোখ ঠিক কর আমি যা ইচ্ছা পরমু তাতে তোর কি?

মূলত যারা খুবই অল্প তথ্যের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তারাই মূলত এই ধরনের বির্তকে জড়িয়ে পরেন।

ধর্ষণের সঠিক কারণ যদি খুঁজতে যাই তাহলে অনেকগুলো বিষয় চলে আসতে বাধ্য। একটু খোলা মনে চিন্তা করলে আশা করি সবাই একমত হবেন।

নারীর পোশাক ই যদি ধর্ষণের জন্য দায়ী হতো তাহলে শিশুরা,পশুরা কখনো ধর্ষণের শিকার হতো না। আবার আধুনিকতার নামে ছোট ছোট পোশাক পরিহিতা আলট্রা মডার্ন নারীরা যদি বেল্লা পানা করে না বেড়াতো তাহলেও তাদের কেউ টার্গেট করতে পারতো না। এদের কথা না হয় বাদ দিলাম। এখন প্রশ্ন হল,তাহলে সাধারণ মেয়েরা,শিশুরা এমনি পশুরা কেন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে? এই ঘটনাগুলোর পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। ধর্ষণ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় আবার যারা ধর্ষণ করে তারা কেউ ভিন গ্রহ থেকেও আসেনি।
তারা আমাদের সমাজেই বাস করে। আমাদের পরিবারেরই সদস্য।

ধর্ষণের কারণগুলো নিম্নরুপ -

১.আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনের প্রয়োগের অভাব।

২. পারিবারিক শিক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব।

৩.অশ্লীল সংস্কৃতির প্রভাব।

৪.অপরাধীদের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আশ্রয় প্রশ্রয়সহ তাদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার।

৫.মাদক দ্রব্যের প্রভাব

৬. ধর্ষকের মানসিক সমস্যা।

অনেক জার্নালে শেষের এই কারণটিকে বড় করে দেখানো হয়েছে। উপরের পাচটি কারণ ছাড়াও শুধুমাত্র ষষ্ঠ কারটির জন্য ৭৫% ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরা মানুষিক রুগী। এজন্য ই মৃত দেহের সাথে ধর্ষণ করার মতো ন্যাকারজনক ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়।

সুতরাং এটা সহজেই অনুমেয় যে,শুধু নারীর পোশাক নয় ধর্ষণের জন্য দায়ী নয়। পুরুষের গঠনগত হরমোনও ধর্ষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী।

কঠিন থেকে কঠিনতর আইন করেও সমাজ থেকে ধর্ষণ একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু যথাযথ আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতা ফলে ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

একটি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে,বেশির ভাগ ধর্ষণকারী ই মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ধর্ষণের পূর্বে তারা কোন না কোন প্রকার মাদক গ্রহণ করেছে। এবং তাদের সকলেরই বিকৃত যৌন ছবি বা ব্লু ফ্লিম দেখার অভ্যাস রয়েছে।

তাই বলা যায় যে, আইনের কঠোর প্রয়োগ করে হয়তো, সমাজ থেকে সন্ত্রাস,মাদক দূর করা যাবে কিন্তু ধর্ষণ একেবারে বন্ধ করা যাবে না। তবে কমিয়ে আনা যাবে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হতে পিতা মাতা ভাই বোন ও রাষ্ট্রকে। মনে রাখতে হবে সবচেয়ে নিকট আত্মীয় স্বজন দ্বারাই বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।।

সাখাওয়াত বাবন
মহাখালী
১২.১০.২০২০

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: তোমরা নারীরা পাশ্চাত্যের মেয়েদের মতো অশালীন-অসভ্য পোশাক পরার কারণে ধর্ষণের শিকার হও। তোমরা শালীন পোশাক পরো, তাহলে ধর্ষণের শিকার হবে না: হযরত মাওলানা অনন্ত জলিল, সিআইপি

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পোষাক দায়ী নয়।

দায়ী বিবেক এবং অসুস্থ্য মানসিকতা।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ধর্ষনের সম্ভাব্য সব কারনগুলো বিবেচনা করতে হবে।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনার প্রশ্ন আমি না পড়েই মন্তব্য করি। ‌ তবে একটা কথা বলি।
আপনারা বা দিনের-পর-দিন রিলেশন করেন প্রেম করেন ছেলেদের সাথে মেলামেশা করেন।
ছেলেদের সাথে হোটেলে দেখা করতে যান দেখা করার আগে আপনি ভাবেন আপনি ধর্ষিত হবেন।
গতকাল আমাদের এলাকায় ধর্ষিত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে হোটেলে। মেয়ে বলছে তার সাথে সম্পর্ক ছিল বল।
বিয়ে করবে বলছে এখন হোটেলে দেখা করছে। দেখা করার পরে এখন আর বিয়ে করবে না এখন সে বলতেছে তাকে ধর্ষণ করছে।
এখন আপনি বিচার করেন কি করবেন? কাকে দায়ী করবেন।

ভাই আমার একটা সমস্যা আমি কোন রিলেশন করা মেয়েদের কে বেশি একটা ভালো চোখে তাকায় না মনে মনে খারাপ বলি কারণ এরা কিছুদিন পরে রিলেশন নষ্ট হয়ে যাবে একটা মেয়ের নষ্ট হবে ফালতু রিলেশন বাদ হয়ে যাবে বিয়ে-টিয়ে কিচ্ছু হবে না তখন ভাই একটা মেয়ে নষ্ট হবে। কেউ প্রকাশ করে দেয় কেউ প্রকাশ করেনা।সমস্ত ফালতু লোকের সাথে যারা নষ্টি ফষ্টি করতে জানে তাদেরকে তারা বেশি ভালো জানে। তাদের কাছে যারা পড়ে যায় এবং হোটেল পর্যন্ত যাওয়া পর্যন্ত রিলেশন টিকে থাকে এবার আপনি বলেন। কারা দায়ী আর কারা দায়ী না আমার এই লেখাটা আমি বাস্তব কিছু দৃশ্য থেকে বলেছি

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৬

নতুন বলেছেন: এম ডি মুসা বলেছেন: .........<<<<< ভাই আমার একটা সমস্যা আমি কোন রিলেশন করা মেয়েদের কে বেশি একটা ভালো চোখে তাকায় না মনে মনে খারাপ বলি কারণ এরা কিছুদিন পরে রিলেশন নষ্ট হয়ে যাবে একটা মেয়ের নষ্ট হবে ফালতু রিলেশন বাদ হয়ে যাবে বিয়ে-টিয়ে কিচ্ছু হবে না তখন ভাই একটা মেয়ে নষ্ট হবে।

মুসা ভাই। সুধুই ঐ মেয়েরা নস্টা হবে? মেয়েরা যার সাথে সেক্স করে সেই সব ছেলেরা নস্ট হবে না? সেই সব ছেলেরা ইজ্জত হারাবে না? সমাজে ঐ সব ছেলেরা মুখু দেখাতে পারবে? নারীর ইজ্জত যদি যোনী তে থাকে তবে ছেলেদের ইজ্জতও তো শিশ্নুতে থাকার কথা তাই না?

মুর্খরাই নারীর পোষাককে কারন হিসেবে দেখে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.