নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
বিষয়টি জটিল ও স্পর্শকারত। তবুও আমার স্বল্প মেধা নিয়ে এ বিষয়ে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে হলো। না বললেও চলতো, কিন্তু তা হলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো না। আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাইছি। গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
যারা মুসলিম তারা জানেন পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তালা, অসংখ্যবার মুসলিমদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। অসংখ্যবার তিনি বলেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, অসংখ্যবার বলেছেন, ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে।
আমরা নিজেরা নিজেদের অজান্তেই আল্লাহর হুকুম অমান্য করে চলি। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে উলটো তাকে ই চেপে ধরি। পেটের টানে ধর্মকে ব্যবসা বানিয়ে অগ্নি ভক্ষণ করে চলেছি। যদি ঈমান আমল ঠিক থাকতো তাহলে মাদ্রাসায় শিশুরা শিক্ষক নামের জানোয়ারগুলো দ্বারা বলৎকারের শিকার হতো না। মুখে আল্লাহ ও নবী প্রেম রাতে বলৎকার। ফ্রান্স কিংবা ব্যঙ্গচিত্রকর নয় সবার আগে তো এদের ক্ষতম করা উচিত । শুধু আল্লাহ আর রাসুলের নামে রাস্তায় নেমে গেলেই মুসলিম হওয়া যায় না। জান্নাত পাওয়া তো অনেক দূর কা বাত। প্রকৃতই আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালবাসলে, আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে ও রাসুলের সুন্নত পালন করতে হবে। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আমরা ক জন তা সঠিক ভাবে করি?
এটাই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার রাসুলে পাক সঃ এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বহুবার ইসলাম ও মুসলিমদের হেয় প্রতিপন্ন করে, আক্রমণ করা হয়েছে বা হচ্ছে। এটা শুধু ফ্রান্স বা ইউরোপে নয়। এশিয়া আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে।হচ্ছে ।
কেউ যদি কিছু একটা দেখিয়ে বলে, এটা অমুক বা এটা তমুক তাহলেই বা আমি, আপনি তা মানবো কেন? রাসুল সঃ এর মুখচ্ছবি, মুখের আদল কারো পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। যেখানে ইবলিশ পৃথিবীর সব লোকের আকৃতি ধারণ করতে পারলেও রাসুল সঃ আকৃতি ধারণ করতে পারে না, সেখানে ইবলিশের অনুসারীরা কোন ছার? তারা তা পারে না বলেই রাসুলের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে। উদ্দেশ্যে আসলে রাসুল নয় উদ্দেশ্যে মুসলিমদের উত্তেজিত করা । করুক না, করতে দিন । ওরা চাইলেই আমি, আপনি কেন উত্তেজিত হবো? আমরা তো জানি ওটা আমার আপনার রাসুলের চিত্র নয়। হতে পারে না ।
একজন শিক্ষকের কাজ হচ্ছে, মানুষকে আলোকিত করা কারো বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো নয়। কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নয়। তিনি যদি বিদ্বেষ ছড়ান ফ্যাসাদ তৈরি করেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি শিক্ষক নন। মাদকাসক্ত ফ্যাসিস্ট।
আধুনিক বিশ্বে শিল্প সাহিত্যের সূতিকা ঘার বলে খ্যাত ফ্রান্সে ইসলাম ও রাসূল সঃ কে নিয়ে চর্চা একটু বেশ ই হয়। এটা যে শুধু নাস্তিকেরা করে তা কিন্তু নয় এর পেছনে বহুদিন ধরে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করা হচ্ছে। যেহেতু ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সেই প্রাচীন কাল থেকেই বেশ্যাবৃত্তি,সমকামী নির্ভর, ধর্মকর্ম বিমুখ ও মাদকাসক্ত নগরায়ন ব্যবস্থা তাই সেখানে যে কোন ধর্মকে টার্গেট করে অপপ্রচার, পোপাগান্ডা চালানো অনেক সহজ। এ কারণে ফ্রান্সে টাকা খরচ করলেই যে কোন ধর্মের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা করা যায়।
দেখুন মহানবী সঃ কে নিয়ে এ পর্যন্ত ফ্রান্সে যতোগুলো ঘটনা ঘটছে সব গুলোতে কিন্তু খুব বেশি সংখ্যক মানুষের ইনবলভমেন্ট ছিলো না। তবুও সেগুলোকে বিশ্ব ব্যাপী এমন ভাবে প্রচার করা হয়েছে যেনো মুসলিম বিশ্বে তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন একবার তো একবার, কারা চালায় এসব প্রচার? কাদের লাভ হয় এতে ? তাদের উদ্দেশ্য ই বা কী?
আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন তাকে কে অসম্মান করতে পারে কে? কার এতো শক্তি? এক জরিপে দেখা যাচ্ছে,বিশ্বে সব চাইতে জনপ্রিয় ও ব্যাপক ব্যবহৃত নাম হচ্ছে,মুহাম্মদ, সুবাহান আল্লাহ।
নিরাস হবার কিছু নেই। সত্য ধর্ম এসে গেছে তাই হতাশ হবার ও কিছু নেই। ইসলামকে হেফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তালার।
দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়িয়ে মুসলিমদের ইসলামকে কুলষিত করার কোন দরকার নেই। যেহেতু, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,যারা আল্লাহ ও রাসুলের বিরোধিতা করবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। সেহেতু আপনি আমি আমরা কে? তাই বলে কি প্রতিবাদ করবো না? অবশ্যই করবো। শান্তিপূর্ণ ভাবে করবো।
তা না করে যদি আমরা দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়াই ফায়দা লুটবে ইহুদি রাষ্ট্রটি। যারা বহু যুগ ধরে মুসলিম,ইসলাম ও রাসুল কে নিয়ে চক্রান্তের জাল বিছিয়ে যাচ্ছে।
বয়কট করতে হলে, সৌদিকে দিয়ে শুরু করুন,আরব আমিরাতকে করুন,বাহরাইনকে করুন । এমন একদিন আসবে যখন মধ্যপাচ্যে নামকা ওয়াস্ত মুসলিম দেশ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। ঘরের ভেতর শক্রু রেখে ফ্রান্সে গিয়ে ক জনকে মারবেন?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:১৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: প্রতিবাদ না করার কথা বলিনি । বলেছি, ঘরের ভেতরের শক্রুর কথা । গতকাল ফ্রান্সের বন্ধু সৌদি আরব ফ্রান্সের কথা উল্লেখ না করে বিবৃতি দিয়েছে ,বুঝেন কিছু ? এটা হচ্ছে শক্রুতা , বয়কট করতে হলে আগে সৌদিকে করুণ
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা ধর্মের কথা বলে, তারা মুখে যা বলে, কাজে তা করে না; আপনার বেলায় কেমন?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যারা ধর্মের কথা বলে,তারা মুখে যা বলে, কাজে তা করে না ।কথা সত্য তবে সবাই না । এখনো অনেক সঠিক মুসলিম আছে তবে আলেম নামের ভন্ডদের মাঝে তাদের পাবেন না । আমি একজন প্রকৃত মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি ।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেই সময় কোন শিল্পী কর্তৃক নবীজির কোন ছবি কি আঁকা হয়েছিল।
তাহলে এখন যে সমস্ত কার্টুন আঁকা হচ্ছে সেই সমস্ত কার্টুন যে নবীজির তারা কিভাবে বুঝতে পারলেন?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৩
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এ প্রশ্নের উত্তর আমার লেখাতে আছে । কেউ কিছু বললেই সেটা হয়ে যায় না । যারা এসব করছে তারা যে নিকৃষ্ট ব্যক্তি তাতে কোন সন্দেহ নাই । আর মুসলিম ভাইদের ও ধৈর্য্য ধারন করা উচিত । কারণ রাসুলের অপমান হচ্ছে, আল্লাহ তালার অপমান ।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী, স্পেন থেকে এশিয়ান ও আফ্রিকান নাগরিকদের বড় অংকের টাকা দিয়ে তাদের আগের দেশে পাঠিয়ে দেয়া দরকার; না'হয়, ইউরোপের সভ্যতা বিলুপ্ত হবে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভুল বললেন, সব শ্রেনীর মানুষ নিয়েই গড়ে উঠেছে ইউরোপীয় সভ্যতা বা অসভ্যতা ।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ধার্মিকেরাই বেশি করে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধার্মিকেরা নয় বলুন যারা না বুঝেই ধর্মকর্ম করে তারা
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ।”ক জনকে মারবেন” কি সুন্দর প্রকাশ
২৮ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মেরে কেটে কোন পরিবর্তণ আনা যায় না সেটা রাসুলের জীবনিতেই রয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রাশিয়া বলেছেন: ফ্রান্সে কেউ কাউকে মারতে যায়নি, তবে প্রতিবাদ না করাটাও উচিত হবেনা। তুরস্ক, পাকিস্তান বা ইরান এতদিন কি হয়েছে সেটা নিয়ে কোন মাথাব্যাথা দেখায়নি। কিন্তু খোদ প্রেসিডেন্ট যখন আবালের মত কথা বলে, তখন কিছু না বলাটা একেবারে কাঙ্গালের লক্ষণ বলে ফুটে ওঠে। মুসলিম উম্মাহর গায়ের জোর না থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিবাদের কন্ঠ কখনও স্তিমিত হওয়া উচিত নয়।