নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
ভুল বানানে বাংলা লিখলে বা লিখতে গিয়ে বা অসতর্ক ভাবে বানান ভুল হলে তাতে ভাষার ইজ্জত যায় না । যদি যেতো তাহলে ভুল উচ্চারণ কথা বললেও ভাষার ইজ্জত ত্যানাত্যানা হয়ে ছিঁড়ে যেত । এই ধরনের সস্তা মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকেই এই ধরনের চিন্তার উদ্ভব হয় । যেমনটা একসময় ছিলো সংস্কৃতি ভাষার চর্চার ক্ষেত্রে । বেশি কচলাকচলি করতে গিয়ে পৃথিবীর প্রথম ভাষা হিসাবে ভুয়া দাবীকৃত ভাষাটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
পৃথিবীর কোন ভাষাই শ্রেষ্ঠ বা মহান নয় । পৃথিবীর বহুল ব্যবহৃত ভাষা হিসাবে ইংরেজির যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি সবচেয়ে কম ব্যবহৃত ভাষা হিসাবে, পাহাড়ি অঞ্চলের একটি ভাষাও সমান গুরুত্বপূর্ণ বা অর্থবহ। একবার চিন্তা করুণ না ভাষার উদ্দেশ্যটা আসলে কি ? উদ্দেশ্য হচ্ছে, অন্যকে মনের ভাবটা বোঝানো । আবার যারা বলেন, শুদ্ধ বানানে লিখা ও শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা হচ্ছে, ভাষার অধিকার । তাদের জন্য বলছি, ভাষার কোন অধিকার ফদিকার বলে কিছু নাই । বরং মায়ের মুখের ভাষায় কথা বলতে ও মত প্রকাশ করতে পারাটাই হচ্ছে সকলের অধিকার।
ঠিক তেমনি কোন ভাষাই শ্রেষ্ঠ নয় । পৃথিবীর সব ভাষাই গুরুত্বপূর্ণ ও সমান অর্থবহ । অতি আবেগ প্রবল জাতি আমরা মাইক পেলে হুশ থাকে না । কি বলতে কি বলি নিজেও জানি না। মানুষ তার নিজে প্রয়োজনে যে কোন ভাষা স্বাধীন ভাবে শিখবে ও বলবে এটাই হচ্ছে, তার অধিকার । ইচ্ছে , হলে বোবা থাকবে সেটাও তার অধিকার ।
এবার হুজুরদের জন্য বলছি , ভাইজানেরা কুরআন বুঝে পড়ার জন্য যতোটা প্রয়োজন ততোটা ছাড়া মুসলিমদের জন্য আরবি ভাষা শেখাটা জরুরী নয় । যারা কবরের ভাষা আরবি হবে বলে লোকজনকে ভয় দেখান তারা আল্লাহ্ র শক্তির সাথে এক প্রকার শেরেক করেন, কারণ আল্লাহ সব ভাষাই জানেন সব ভাষাই ওনার । আল্লাহ্ যদি বিশ্বের কোণায় কোণায় জীব জন্তু সৃষ্টি করতে পারেন, তবে তিনি যে কোন ভাষাকে ওনার ভাষায় ও রূপান্তরিত করতে পারেন । তাই কোন বাঙ্গালি কিংবা ইংরেজ ভাই মারা গেলে তার কবরের ভাষাটা আরবীতে রূপান্তরিত করা মহান সৃস্টিকর্তার জন্য কোন ব্যাপারই না ।
এছাড়াও শব্দ উর্চ্চরণ করে না এমন অনেক ভাষাও অনেক সময় অনেক বেশিগুরুত্বপূর্ণ ও অর্থ বহ ।হয়ে উঠে । যেমন, চোখের ভাষা, মনের ভাষা, যুদ্ধের ভাষা । হাতের ভাষা । জ্ঞান চর্চার জন্য যে কোন ভাষা শেখাটাই মানুষের অতিরিক্ত যোগ্যতা পৃথিবীর সর্বত্র গণ্য হয় ।
তবে হ্যাঁ, প্রকাশ যোগ্য কিংবা পুস্তক আঁকারে যা বের হবে সে সব ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাষাটা নির্ভুল হওয়া একান্ত কাম্য । কেননা , ভুল বানান এক ধরনের বিরক্তি সৃস্টি করে ।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালি ক্যাচাল করতে পছন্দ করে।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪২
রিফাত হোসেন বলেছেন: তবে বিদেশিদের সাথে তাদের ভাষায় বিকৃত করে দেখবেন, কি অভিজ্ঞতা হবে? কথা ঠিক ভাষা যাই হোক বুঝতে ও বুঝাতে আসল কিন্তু বাস্তব দুনিয়া অন্য দিকে। তার মধ্যে বাংলাদেশ আরো উল্টো। অনিচ্ছাকৃত(টাইপো, ঘরোয়া/ স্থানীয়) আর ইচ্ছাকৃত(অনীহা) পার্থক্য আছে। ভাষাটা যখন সবার সামনে আসবে যেমন, গণমাধ্যম;শিক্ষা;ইত্যাদিতে, তখন এর ব্যবহারে সংযত হতে হবে। গণমাধ্যম শুধু পত্রিকা নয়। এর সাথে ফেবু,ইউটিউবসহ বাকি অন্য মাধ্যমও জড়িত।
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৮
স্প্যানকড বলেছেন: কচলাইতে ভালো লাগে সোজ উত্তর । কচলানিতে যে কি সুখ! না কচলাইলে টের পাবেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: শেষের বাক্যটি দু'বার আসছে।