নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় একজন ব্লগার, আমি সাহসী, আমি নির্ভীক, আমি আপোষহীন । যা বিশ্বাস করি তাই লিখি তাই বলি ।
লক ডাউনের পক্ষে বিপক্ষে অনেক মতামত থাকবে। খাদ্যের জন্য অসহায় মানুষ যেমন নিরুপায় হয়ে দিনকে দিন প্রতিবাদ মুখর হচ্ছে,অনুরুপ ভাবে সরকারও বাধ্য হয়েই জনগনের স্বার্থে লক ডাউনের সময় বাড়াচ্ছে।
লক ডাউন সময় ক বাড়ুক কিন্তু সেই সাথে অসহায় মানুষের পাশে ও দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে, বিশেষ তহবিল গঠন করে হলেও বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর কাছে খাদ্য ও সাহায্য পৌছে দিতে হবে। এবং এটা সরকারকেই করতে হবে। দূর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের কাজ এটি। শুধু মাত্র বন্যা হলেই দেশে দূর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না। অন্যান্য কারণেও দূর্যোগ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই হিসাবে সারা বিশ্বে এখন দূর্যোগ পরিস্থিতি চলছে।
বাস্তবতা হচ্ছে,হাসপাতালগুলোতে তিল ধারনের জায়গা নেই। কেউ অসুস্থ হলে কোন চিকিৎসা নেই। আইসিইউতে বেড পেতে হলে,অন্য একজনের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কেউ মারা গেলে তবেই ফাকা হচ্ছে,আইসিইউর বেড। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরেছে। করোনা টেস্টের জন্য লাইন প্রতিদিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
এই অবস্থার জন্য দায়ী কারা? কারা কোটি টাকার হাসপাতাল ঘায়েব করে ফেলে? কাদের কারনে, দেশের মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না? তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
এটা তো এখন পরিস্কার যে,কাগজ কলমে কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের বেডের কভার আর বালিশ,পর্দা বদলালেই চিকিৎসা সেবার মান উন্নতি হয় না। প্রাইভেট হাসপাতালগুলো টাকা কামাবার মেশিন হয়ে উৎ পেতে আছে। নিম্নমানের চিকিৎসা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও অধিদপ্তর এসব দেখেও দেখছে না। কারণটা তো অবশ্য সবার জানা। এদের পিওন, ড্রাইভার ও কোটিপতি। কর্মকর্তাদের কথা তো সহজেই অনুমান করা যায়।
এবারের লক ডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। গৃহকর্মীরাও কাজ করছে । রিকশা, ভ্যান,সবজিওয়ালারা আছে রাজার হালে। বিশ টাকার ভাড়া নিচ্ছে,১০০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে কোন ভাড়া নেই। কেজিতে ২০ থেকে পঞ্চাশ টাকা লাভ না হলে, কেউ কোন পণ্য বিক্রি করছে না। এ যেনো বেক টু বেক দুর্নীতি! সবাই মিলে অসহায় মানুষকে জিন্মি করে ফেলেছে।
বাস,ট্রাক ড্রাইভারদের অনেকে অটো রিক্সা চালাচ্ছে। ঢাকা শহরসহ অন্যান্য শহরগুলোতে রিকসা ভ্যান চলাচলে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
অসহায় অবস্থায় আছে, মধ্যম ও উচ্চ নিম্ন আয়ের মানুষেরা। যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অল্প বেতনে কাজ করেন তারা। সরকারের উচিত তাদের জন্য কিছু করা। গত বছর লক ডাউনে অনেকে অসহায় মানুষগুলোর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, কিন্তু এ বছর কেউ নেই! হাজার কোটি টাকা লোপাট হয় কিন্তু দেশের মানুষের জন্য বিশেষ মূহুর্তের জন্য কোন বরাদ্দ নেই। যা ও আছে, তা সঠিক ভাবে বন্টন হচ্ছে না। সঠিক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে না।
মানুষের স্বার্থে লক ডাউন কিন্তু সেই লক ডাউন এখন অনেকের জন্য মরন ফাদ বা গলার ফাস হয়ে যাচ্ছে। লক ডাউন ক্রমশ বগ ডাউন হয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সময় যত যাচ্ছে লকডাউন তত হালকা হচ্ছে।