![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈমানের ছিটাফোটা থাকলে এড়িয়ে যাবেন না অন্তত একটি জুতা মারুন এইসব কুলাঙ্গার জানোয়ারদের মুখে।
.
মুফাসসিল ইসলাম নামক এক ব্রিটেন প্রবাসী অ্যাডভোকেট দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমীমা হোসেনের সাথে তাল মিলিয়ে আযান দ্বারা শব্দ দূষন হয় এমন উদ্ভট স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মুফাসসিল তার স্ট্যাটাসে বাংলাদেশে মাইকে আযানে শব্দ দূষণ হয়, এমন বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলেছেন-
“২০০৯ সালে স্বয়ং সৌদি সরকার পর্যন্ত উচ্চ আওয়াজে মাইকে আজান দেয়ায় অনেক মসজিদ থেকে মাইক খুলে নিয়ে গেছে ধর্ম মন্ত্রনালয় থেকেই ! লিঙ্কে খবর পড়ুন ! না জেনে আর না বুঝে ফালতু খবর ছড়িয়ে উত্তেজনা প্রচার করাই অনেকের কাজ ! ভারতেও ২০১৪ সালে অতি উচ্চ আওয়াজে আজান দেয়ার উপরে হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং সেই রায়কে মুসলিম নেতারা স্বাগত জানিয়েছিলেন !”
(https://goo.gl/rGTsGD)
.
মুফাসিসল ইসলামের কথা শুনে তার দেওয়া লিঙ্কে (http://www.arabnews.com/news/757636) ঢুকলাম। যার প্রথম প্যারায় লেখা-
The Ministry of Islamic Affairs ordered mosques to shut down external speakers and only resort to the internal one, except during calls for prayers, Friday prayers, Eids and the rainfall prayer.
অর্থ: “সউদী ধর্ম মন্ত্রনালয় মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছে, বহিঃমাইকগুলোকে বন্ধ রেখে শুধু ভেতরের মাইকগুলো চালু রাখার জন্য। তবে সেটা আযান, জুমার নামাজ ও বৃষ্টির জন্য নামাজের জন্য প্রযোজ্য নয়।”
মুফাসিসল ইসলাম আযান বহিঃমাইকে দেওয়া বন্ধ করার জন্য এমন একটি রেফারেন্স দিলেন, যেই রেফারেন্সটি আযান বহিঃমাইকে দেওয়ার জন্য প্রযোজ্য নয়। আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, বাংলাদেশের সাথে সৌদির অবস্থা মিল খাবে না কখনই। কারণ সউদীতে নামাজের সময় দোকান খোলা রাখলে ফাইন করা হয়, সে রকম কিন্তু বাংলাদেশে নয়। তাই বাংলাদেশেও যদি নামাজ না পড়লে ফাইন করার সিস্টেম চালু, তবে সউদী রুলস ফলো করলেও চলে।
.
যাই হোক, মুফাসসিল সাহেব দ্বিতীয় যুক্তি এনেছেন ভারতের উদাহরণ দিয়ে। ভারতে ২০১৪ সালে মোদি গভঃমেন্ট আসার পর মুম্বাই হাইকোর্ট থেকে আযানের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা আসে। যদিও মুফাসিসল সাহেব পুরোপুরি বিষয়টি প্রকাশ করতে পারেননি। খবরটি ছিলো এরকম রাত ১০টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত মসজিদের মাইকে আযান ও মন্দিরের মাইকে ভজন করা যাবে না। (http://goo.gl/HxBYdW)
আসলে ভারতে কোন আইন পাশ হলো সেটা দিয়ে বিচার করলে বাংলাদেশে অনেক কিছুই করা উচিত। যেমন-
১) ভারতে গরুর মাংশ নিষিদ্ধ, তাহলে বাংলাদেশেও গরুর মাংশ নিষিদ্ধ করুন।
২) ভারতে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ করতে হাইকোর্ট থেকে অর্ডার দেওয়া হয়। তাহলে বাংলাদেশেও সেই কাজ করা উচিত।
৩) ভারতের হাইকোর্ট থেকে বলা হয়- লিভটুগেদার বৈধ, কারণ হিন্দু দেব-দেবীরা লিভ টুগেদার করতো।
৪) একই সাথে বলতে হয়- ভারতের হাইকোর্ট থেকে নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। (http://goo.gl/Y9Tq9R) ঐ সময় তো নদী দূষণ হয় এমন কথা বলে তাসমীমা বা মফাসিসল কেউ স্ট্যাটাস দেয়নি।
.
মুফাসসিল সাহেবকে আমি ভালোই জানতাম, কিন্তু তিনি যে উটকো যুক্তি দিয়ে বাংলাদেশে মাইকে প্রকাশ্যে আযান দেওয়ার বিরুদ্ধে বলবেন, এতটা বোকা তাকে আমি আগে ভাবিনি।
.
যাই হোক, বাংলাদেশের পেনাল কোড ১৮৬০ এর ধারা ২৯৮ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করলে তা আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাসমীমা হোসেন প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন, আইনত অপরাধ করেছেন। তাই বাংলাদেশের আইন অনুসারে তাসমীমার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
ঝাপসা বালক বলেছেন: সকল প্রকার তথ্য জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দান করুন ।