নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথার সরল সমীকরন

সবসময়ই চাই একটু অসাধারণ হতে কিন্তু তার পরও সাধারন সীমানা পেরুতে পারি না ।

সাম্পানওয়ালা

যা কিছু ভাল, চেস্টা করি তার সংগে থাকার ।

সাম্পানওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাগরিক দায়বদ্ধতা ও শিশু শ্রম

১৭ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের

বিকাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক

কারখানাগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। এসব

কারাখানার বড় একটা অংশের সম্মিলিত

বাজার হল কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ

এলাকা । কেরানীগঞ্জে ক্ষুদ্র পরিসরের

প্রায় হাজার খানেকের মত গার্মেন্টস

রয়েছে । এসব ক্ষুদ্র

কারখানাগুলো সাধারনত স্থানিয় বাজারের

চাহিদা মেটায়। উদ্বেগ জনক বিষয় হচ্ছে,

এসব গার্মেন্টসের বেশিরভাগ কর্মিই শিশু,

যাদের বয়স তের চৌদ্দ বছরের মধ্যে। এদের

সঠিক সং্খ্যা নিরুপন করা কঠিন হলেও

আনুমানিক পচিশ হাজারের কম না। যাদের

শতকরা প্রায় পঁচানব্বই ভাগই প্রাথমিক

শিক্ষাস্তর সমাপ্ত করেনি। শতকরা প্রায়

ষাট ভাগের বয়স আবার দশের ঘরেই

সীমাবদ্ধ।

প্রশ্ন হচ্ছে কেন এসব শিশু শ্রমিক

এখানে কাজ করে ?

কারন একটাই, দারিদ্রতা। এসব শিশুদের

অধিকাংশই ঢাকার বাইরের গ্রাম

থেকে এসেছে। ঢাকার

বাইরে থেকে আসা প্রায় ষাট ভাগেরও

বেশি শিশু আসে বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চল

থেকে। সরকার যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়

প্রকাশনী হিসেবে প্রেস কনফারেন্সে প্রায়

তেত্রিশ কোটি বই

ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণের ঘোষনা দেয়,

সেখানে কালিগঞ্জের হতভাগ্য শিশুদের

দিন কাটে সুই সুতা আর সেলাই মেশিনের

শব্দে। নিরানব্বই শতাংশ শিশু প্রাথমিক ও

গনশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনার

ঘোষনা যেখানে আরও পাচ বছর

আগে দেয়া হয়েছে সেখানে কালিগঞ্জের

শিশুদের সম্ভবত গননার বাইরেই

রাখা হয়েছিল।

প্রশ্ন হচ্ছে আইনত দন্ডনিয় হওয়া সত্বেও

কিভাবে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো হয় ?

উত্তর খুব সোজা, বেশিরভাগ শিশুই

বিনা বেতনে থেকে খেয়ে কাজ করে।

যা নিঃসন্দেহে কারখানা মালিকদের জন্য

লাভজনক। কম মজুরিতে উৎপাদনের

কারনে পন্যের মুল্যও কম হয় যা সুবিধা শুধু

কারখানা মালিকরাই ভোগ

করেনা পাশাপাশি সারা বাংলাদেশের

ক্রেতারাও ভোগ করে। কারন শতভাগ

রপ্তানিকারক পোশাক

কারখানাগুলো দেশিয় বাজারে তাদের পন্য

সরবরাহ করেনা। দেশিয় বাজার

ধরে রাখে ঢাকা ও এর আশেপাশের

ছড়িয়ে থাকা শিশুশ্রমিক চালিত ক্ষুদ্র

গার্মেন্টসগুলো। রপ্তানি শর্তের

খাতিরে শ্রম মন্ত্রালয়

রপ্তানিমূখী গার্মেন্টসগুলোতে নজরদারি অবহ্যত রাখলেও দেশিয়

বাজারে পোশাক

সরবরাহকারী কারখানাগুলোতে সম্ভবত

কখনোই শিশুশ্রমিক নিয়োগের বিষয় খোজ

রাখেনা। অনেকগুলো এনজিও

আছে যারা শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করে।

তবে তাদের বেশিরভাগই ব্যস্ত

থাকে রাস্তা ঘাটে ছড়িয়ে থাকা শিশু

শ্রমিক নিয়ে। কিন্তু অন্তঃপুরের বন্দি এই

অসহায় শিশুদের যেন এই পৃথিবীতে কেউ

নেই।

একবার ভাবুনতো, আপনি গুলিস্তান

কিম্বা নিউমার্কেট

থেকে যে শার্টটি কিনে এনে পরতেছেন

সেটির সাথে কোন শিশুর কান্নার ঘ্রান

জড়িয়ে আছে কিনা ? অঙ্কুরেই বিনষ্ট কোন

ভবিষ্যতের সুতায় সেলাই

করা যে প্যান্টটি আপনি পরে আছেন তার

খেসারত কিন্তু আপনাকেও দিতে হবে। আজ

যেভাবে আমরা এদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

করে দিচ্ছি কাল কিন্তু এরা দেশের

বোঝা হবে, আপনাকে আমাকে টেনে ধরবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.