অনুগল্পঃ পথ শিশু

১৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৯

ক্যাম্পাসের পথ শিশু জাবির|ক্যাম্পাসে জাবিরের মত অনেক ছেলে আছে|যারা প্রতিদিন ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে আসে| আবার ট্রেনে করে শহরে চলে যায়|এদের বেশীর ভাগের বাড়ি প্রায় রেললাইনের বস্তিতে|জাবিরের মত ছেলেরা সামান্য কয়েকটি টাকার জন্য|বিভিন্ন ছোটখাট কাজ করে|কেউ ট্রেনের মধ্যে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সিংগারা বিক্রি করে|কেউ বা পেপার বিক্রি করে|অনেকে আছে ভীষন দুষ্ট| আবার অনেকে ভাল গান গাইতে পারে|

জাবির তাদের মধ্যে একজন|কলার ঝুপড়ীতে আড্ডা বা নাস্তা করার জন্য বসলে|মাঝে মাঝে ওর গান শুনি|আসলে জাবিরের গানের গলা অনেক সুন্দর|যেটা না শুনলে বোঝা যাবে না|সকালে কলার ঝুপড়ীতে নাস্তা করতে গেলেই|জাবিরের মত অনেক ছেলেকে দেখতে পাওয়া যায়|যারা নাস্তা করার সময়,হাত পেতে বলে,ভাই সকালে কিছু খাই নাই|কিছু দেন|

মাঝে মাঝে জাবির আমাকে দেখলেই|আমার কাছে চলে আসে|আমি তখন বুঝতে পারি|ওকে কিছু দিতে হবে|প্রায় সময় চেষ্টা করি|আমি যা নাস্তা করি,তা থেকে কিছু অংশ জাবিরকে দেওয়ার জন্য|দেওয়ার পর জাবিরের হাসিমুখটা দেখতে ভালই লাগে|

এমনি একদিন ঝুপড়িতে আলী ভাইয়ের দোকানে নাস্তা করছিলাম|হঠাৎ করে পিছন থেকে শুনি|একটি ছেলের হাউমাউ করা চিৎকার|পিছনে তাকিয়ে দেখি জাবির|শুনতে পেলাম,একটি ছেলে জাবিরকে থাপ্পর মেরেছে|কিছু খাবার চেয়েছিলো বলে|

আমি উঠে জাবিরের কাছে যাওয়ার আগেই|অন্য একটি ছেলে জাবিরের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছে|

কি রে কি হয়েছে?

জাবির কাঁদতে কাঁদতে বললো|

খাইতে চাইছি,আর আমারে মারছে|

ছেলেটি কিছু বললো না|

শুধু জাবিরকে বললো . . . . .সকালে কিছু খাইছোস|

না সকালে কিছু খাই নাই . . . .

পরে দেখলাম,আলী ভাইকে বললো . . .

ও কি খাইতে চায়|

ওরে দাওতো,আমি টাকা দিয়ে দেব . . . . .

পরে, জাবিরকে তৃপ্তির সহিত খেতে দেখলাম|

ঘটনা টা দেখে ভাবলাম . . . .

ক্যাম্পাসে এখনো কিছু ছেলে আছে যারা,অধিকার বঞ্চিত বা পথশিশু প্রতি একটু হলেও সহানভূতি প্রদর্শন করে . . .

৬ টি +১/-০