নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি যদি আজ পাশে থাকতে,তাহলে আমার স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নে পরিণত হত না . . . . . .

সিগারেটের ধোঁয়ার মত যদি, নিজের কষ্টগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা যেত । তাহলে হয়তো অনেক আগেই তোমাকে ভুলে যেতাম . . . . . . .

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন

আমি সাধারন ছেলে, স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালবাসি, মনের প্রশান্তির জন্য লেখালেখি করি..................

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ স্বপ্নীল প্রেমের অকালমৃত্যু

১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

পর্বঃ ১



ভার্সিটির দিন গুলো ভালই কাটছিল,পুলকের|

সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাশে যাওয়া,ক্লাশ

শেষে ঝুপড়িতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া|

কখনো বা বন্ধুদের সাথে বেসুরে গলায় গান

গাওয়া|গানের ফাঁকে ফাঁকে আলী ভাইয়ের

দোকানের চা এ ,চুমুক না দিলে যেন গানই

জমতো না|পুলক,

লেখাপড়া পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের

সাথে প্রথম থেকেই জড়িত ছিল|পুলকের

মনে যে কখনো প্রেম,ভালবাসা নাড়া দেয়নি|

এমনটা নয়|পুলক অবশ্য আগে কখনো প্রেমে পড়েনি|

আসলে প্রেমে পড়া হয়ে ওঠেনি...।

পুলকের ছোট বোন তিশা|এবার চট্টগ্রাম

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীহ্মা দিতে এসেছে|

তিশা, পুলকের আদরের একমাত্র বোন

হওয়ায়,মাঝে মাঝেই ওর সাথে মনের

কথাগুলো শেয়ার করে|তিশা ক্যাম্পাসে নতুন

আশায় ।ওকে ক্যাম্পাস

টা ঘুরেফিরে দেখাচ্ছে|কথার

ফাঁকে তিশা ওর ভাইকে বললো|

ভাইয়া,তোমার জন্য একটা মেয়ে দেখেছি|

আমার জন্য মেয়ে দেখেছিস মানে?

বুঝলাম না|

আচ্ছা,বলছি তোমাকে|

তিশা বলা শুরু করলো|

আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীহ্মা দেওয়ার

সময়|একটা মেয়েকে দেখেছি|ওর নাম লিলি|ও

আর আমি একরুমেই ছিলাম|অনেক ভাল বন্ধুত্ব

হয়েছে, আমার সাথে|মেয়েটি অনেক

ভাল,ভদ্র,নম্র এবং অনেক সুন্দরী|

তুমি যেমনটা চাও|মেয়েটার ফোন নাম্বারও

আমার কাছে আছে|

পুলক এতহ্মন ধরে,ওর বোনের কথা শুনছিল|

ওর বোনকে বললো,মেয়েটার বিজ্ঞাপন

দেওয়া বন্ধ কর,তোর ক্যাসেটাও এবার অফ কর|

শোন,ভার্সিটিতে তিন বছর ধরে আছি|

এখানেই কোন প্রেম ভালবাসা হল না|আর

এটা তো অদেখা মেয়ে|ওসব আমার

দ্বারা হবে না|আমি একা আছি,খুব ভাল

আছি|কয়কদিনের মধ্যে তিশার পরীহ্মা শেষ

গেলে|ওকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়|

ভার্সিটিতে ভর্তি পরীহ্মা শেষ হয়ে গেল|পুলক

আবার ক্লাশ পরীহ্মা নয়ে ব্যাস্ত হয়ে যায়|

কয়েকমাস পর,হঠাৎ করে একদিন মেয়েটির

কথা মনে পড়ে |তিশাকে ফোন

দিয়ে মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করে, পুলক|

পরে তিশার কাছ থেকে মেয়েটির

নাম্বারটাও নেয়|এতে ওর বোন

কিছুটা খুশি হয়|পরে পুলককে বলে,

ভাইয়া ,লিলির কোন নিজস্ব ফোন নেই|

এটা ওর আম্মুর নাম্বার|ও মাঝে মাঝে এ

ফোনটা ব্যাবহার করে|পুলক,ও

আচ্ছা বলে রেখে দেয়|

কিছুদিন পর,তিশা একদিন লিলির

সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দেয়|পুলক এর

আগে কখনো ,এভাবে কোন মেয়ের

সাথে কথা বলেনি|তাই প্রথম দিন

কথা বলতে কেমন জানি, একটু ইতস্ত বোধ

করছিল|পরিচয় পর্বটুকু সেরেই সেদিনের মত ফোন

রেখে দেয়, পুলক |

কয়েকমাস পর আবার তাদের মধ্যে কথা হয়|

মেয়েটিও তেমন কথা বলতে পারছিল না|কেমন

জানি লাজুক লাজুক ভাব মেয়েটির|

এমনভাবে কথা বলছিল মেয়েটি,যেন এমন

মহোনীয় কন্ঠ,পুলক এর আগে কখনো শোনেনি|

মেয়েটির সাথে যতই কথা বলছিল,ততই তার

ভাল লাগছিল|একসময় পুলক মেয়েটিকে অনুরোধ

করে,তার সাথে কথা বলার জন্য|কিন্তু,মেয়

েটি রাজি হচ্ছিল না|মেয়েটি বার বার

বলছিল,সে কথা বলতে পারবে না|কারন তার

কোন নিজস্ব ফোন নেই|এটা তার আম্মুর ফোন|

পুলকের অনুরোধ,মেয়েটি একসময়

ফেলতে পারে না|মেয়েটি রাজি হয়ে যায়|

তবে এটাও বলে,

সে দিনে কথা বলতে পারবে না|

তবে রাতে কথা বলার জন্য চেষ্টা করবে|এই

বলে দুজনে সেদিনের মত ফোন রেখে দেয়|

মাঝে মাঝে লিলির সাথে পুলকের কথা হয়|

পুলক বুঝতে পারে,মেয়েটির প্রতি সে মানসিক

ভাবে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে|এদিকে লিলির ও একই

অবস্থা|আগে মাঝে মাঝে লিলির

সাথে কথা হতো|এখন প্রায়

প্রতিরাতেই,কথা হয়|



চলবে . .

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.